শাহরিয়ার হাসান, টেকনাফ (কক্সবাজার) থেকে

দূর থেকে দেখলে মনে হয় পাহাড়টা আকাশ ছুঁয়েছে। পাহাড়ের চূড়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা-কালো মেঘ। লোকালয়ের ভেতর দিয়ে পাহাড় বেয়ে নেমে এসেছে সরু রাস্তা। কক্সবাজারের টেকনাফ শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের দৃষ্টিনন্দন এই পাহাড়ের নাম শালবাগান। মানুষ চেনে শালবন নামে। এই পাহাড়ের চারপাশ ঘিরে নয়াপাড়া ২৬-২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প। অপরাধীদের দৌরাত্ম্যে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকতে হয় ক্যাম্পের বাসিন্দাদের।
পুলিশ বলছে, ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পাহাড়টির একেক অংশের একেক নাম। শালবন অংশটুকুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। অন্তত ১০টি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ এখানে সক্রিয়। খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক ও মানব পাচার—সব অপকর্মই হয়। অপরাধীরা নিচে নেমে কাজ সেরে আবার পাহাড়ে চলে যায়। রোহিঙ্গাদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ থাকলেও গহিন এই পাহাড়ের পুরোটাই তাদের অজানা।
সাধারণ রোহিঙ্গারা বলছেন, সন্ত্রাসীরা জনবল ও অস্ত্রশস্ত্রে অনেক শক্তিশালী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একাধিকবার অভিযানে গিয়েও সন্ত্রাসীদের দমনে ব্যর্থ হয়েছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শালবনে অন্তত ১০টি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয়। প্রতিটি গ্রুপের ৮০-৯০ জন সদস্য। তাদের আছে দেশি-বিদেশি অস্ত্র। ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক তারিকুল ইসলামও বিষয়টি অস্বীকার করেননি।
গোয়েন্দা তথ্য বলছে, পাহাড়ে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী আদ্দু বাহিনী, গিয়াস বাহিনী ও সালমান শাহ বাহিনী। এ ছাড়া আছে জাকির বাহিনী, পুতিয়া বাহিনী, খালেক বাহিনী, জাকারিয়া গ্রুপ ও মুন্না গ্রুপ। জাকির বাহিনীর জাকির ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হলে এই বাহিনীর হাল ধরে তাঁর বড় ভাই দিল মোহাম্মাদ আর জামিল।
র্যাবের কর্মকর্তা উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, কক্সবাজারে সব মিলিয়ে ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে প্রায় ১১ লাখ মানুষের বাস। শালবন পাহাড়কেন্দ্রিক নয়াপাড়া ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলে সবচেয়ে বেশি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৩০ জুন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী হাসিমউল্লাহ ও আজিম উল্লাহ গ্রুপ চাঁদার দাবিতে বাংলাদেশি হাবিব উল্লাহর পরিবারে হামলা চালায়। তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে হাবিবের তিন সন্তান আহত হয়। গত শুক্রবার র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হাসিমউল্লাহ নিহত হন।
মুক্তিপণ না পেলে খুন
২৬ নম্বর শালবাগান ক্যাম্পের আই-৯-এর বাসিন্দা সত্তর ছুঁইছুঁই রোহিঙ্গা সৈয়দ আলম। ৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে হঠাৎ তাঁর ঘরের দরজার কড়া নাড়ার আওয়াজ। খুলতেই জাকারিয়া বাহিনীর কয়েকজন সন্ত্রাসী পিস্তলের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাঁকে রক্তাক্ত করে। তাঁকে তুলে নিয়ে যায় তারা। পরিবারকে বলে যায়, তাঁকে ফেরত পেতে হলে ৩ লাখ টাকা দিতে হবে।
গত শুক্রবার ক্যাম্পের মসজিদের সামনে আলমের ছেলে আজিজুল অভিযোগ করেন, এপিবিএনের কাছে সহায়তা চাইতে গেলে তারা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনার পরামর্শ দেয়। পরে ৫০ হাজার টাকায় বাবাকে ছাড়িয়ে আনেন তিনি।
নয়াপাড়া ক্যাম্পের ব্লক–আইয়ের ২৪,২৫, ২৬,২৭–এর সমন্বয়ক মো. জাফরও অভিযোগ করেন, ক্যাম্পে প্রতিদিন এমন চার–পাঁচটি ঘটনা ঘটে। পুলিশের সাহায্য পাওয়া যায় না। তিনি নিজেও অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। তিনি এখনো সে ভয় কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
টেকনাফ থানার ওসি হাফিজুর বলেন, ‘ক্যাম্পে অপহরণ, ধর্ষণ, মারামারি, ছিনতাই লেগেই আছে। অনেক সময় আমরা খোঁজ পাই। কিন্তু ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে না। তাই অনেক ঘটনা অজানা থেকে যায়।’
কোনো কৌশল কাজে আসছে না
শালবন পাহাড়ে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর সাত-আট শ সদস্য আছে। পাহাড়ে আস্তানা গেড়ে বসেছে তারা। ঘন জঙ্গলে সেটি বোঝার উপায় নেই। খাবারের জন্য তারা মাঝেমধ্যে সমতলে নামে। কাকে অপহরণ করা হবে, ক্যাম্পে থাকা অন্য সদস্যরা সেটি ঠিক করে। ২৬ নম্বর এই ক্যাম্পের ৫ ব্লকে ৪১ হাজার ৭৭২ রোহিঙ্গার বসবাস।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, গত দুই বছরে ক্যাম্পে অন্তত ৭০টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই দুই বছরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে করা ৪৯৩টি মামলা হয়েছে, যাতে ১ হাজার ৪৫৮ জন আসামি। সবচেয়ে বেশি, প্রায় দুই শ হলো মাদক মামলা। রয়েছে মানব পাচার, অস্ত্র, ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা, নারী নির্যাতন, অপহরণ ও পুলিশের ওপর হামলার মামলা।
র্যাবের উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলছেন, ‘হেলিকপ্টার আর ড্রোন উড়িয়ে আমরা সন্ত্রাসীদের আস্তানা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১২ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।’
মানব পাচার, মাদক, স্বর্ণ চোরাচালান থেকে আসে অর্থ। র্যাব-পুলিশের তথ্য বলছে, এসব বাহিনীর অর্থের বড় একটি উৎস ইয়াবা, মানব পাচার ও স্বর্ণ চোরাচালান। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যেসব সিন্ডিকেট ইয়াবা, মানব পাচার ও স্বর্ণ চোরাচালান করছে, তাদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেয় তারা। এমনকি সাগরপথে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের শুরুতে এই পাহাড়ে রাখা হয়।
বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ বলছে, গত ১০ মাসে এসব এলাকায় অনন্ত ১০৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, রোহিঙ্গাদের পাহাড়ি ক্যাম্পে এত অস্ত্র-গোলাবারুদের উৎস কী?
আর্মড পুলিশের পদস্থ এক কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মূল উৎস মিয়ানমার। সে দেশ থেকে মাদকের সঙ্গে আসছে অস্ত্র। বান্দরবানের চাকঢালা, আশারতলী, তুমব্রু, ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে আসছে এসব অস্ত্র। পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের গুদামও রয়েছে।
র্যাব ও বিজিবির তথ্যমতে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় গত ছয় মাসে অভিযান চালিয়ে ১৫১টি গোলাবারুদ, ৩৩টি দেশীয় বন্দুক, দুটি নাইন এমএম পিস্তল, তিনটি রিভলবার, দুটি থ্রি কোয়ার্টার গান, তিনটি এলজি, পাঁচটি এসবিবিএল, একটি রাইফেল উদ্ধার করা হয়।
ক্যাম্পে কাজ করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেফ দ্য চিলড্রেনের এক নারী কর্মী বলেন, ‘নয়াপাড়া ক্যাম্পের পেছনের পাহাড়ে রোহিঙ্গা ডাকাতদের আস্তানা। দিনে পাহাড় আর রাতে ক্যাম্প চষে বেড়ায় তারা। আমরা নিজেরাও অনিরাপদ বোধ করছি।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পুলিশ ক্যাম্পের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এপিবিএনের সঙ্গে কাজ করছে। আমরা একাধিক অভিযান চালিয়েছি। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

দূর থেকে দেখলে মনে হয় পাহাড়টা আকাশ ছুঁয়েছে। পাহাড়ের চূড়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা-কালো মেঘ। লোকালয়ের ভেতর দিয়ে পাহাড় বেয়ে নেমে এসেছে সরু রাস্তা। কক্সবাজারের টেকনাফ শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের দৃষ্টিনন্দন এই পাহাড়ের নাম শালবাগান। মানুষ চেনে শালবন নামে। এই পাহাড়ের চারপাশ ঘিরে নয়াপাড়া ২৬-২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প। অপরাধীদের দৌরাত্ম্যে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকতে হয় ক্যাম্পের বাসিন্দাদের।
পুলিশ বলছে, ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পাহাড়টির একেক অংশের একেক নাম। শালবন অংশটুকুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। অন্তত ১০টি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ এখানে সক্রিয়। খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক ও মানব পাচার—সব অপকর্মই হয়। অপরাধীরা নিচে নেমে কাজ সেরে আবার পাহাড়ে চলে যায়। রোহিঙ্গাদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ থাকলেও গহিন এই পাহাড়ের পুরোটাই তাদের অজানা।
সাধারণ রোহিঙ্গারা বলছেন, সন্ত্রাসীরা জনবল ও অস্ত্রশস্ত্রে অনেক শক্তিশালী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একাধিকবার অভিযানে গিয়েও সন্ত্রাসীদের দমনে ব্যর্থ হয়েছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শালবনে অন্তত ১০টি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয়। প্রতিটি গ্রুপের ৮০-৯০ জন সদস্য। তাদের আছে দেশি-বিদেশি অস্ত্র। ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক তারিকুল ইসলামও বিষয়টি অস্বীকার করেননি।
গোয়েন্দা তথ্য বলছে, পাহাড়ে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী আদ্দু বাহিনী, গিয়াস বাহিনী ও সালমান শাহ বাহিনী। এ ছাড়া আছে জাকির বাহিনী, পুতিয়া বাহিনী, খালেক বাহিনী, জাকারিয়া গ্রুপ ও মুন্না গ্রুপ। জাকির বাহিনীর জাকির ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হলে এই বাহিনীর হাল ধরে তাঁর বড় ভাই দিল মোহাম্মাদ আর জামিল।
র্যাবের কর্মকর্তা উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, কক্সবাজারে সব মিলিয়ে ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে প্রায় ১১ লাখ মানুষের বাস। শালবন পাহাড়কেন্দ্রিক নয়াপাড়া ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলে সবচেয়ে বেশি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৩০ জুন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী হাসিমউল্লাহ ও আজিম উল্লাহ গ্রুপ চাঁদার দাবিতে বাংলাদেশি হাবিব উল্লাহর পরিবারে হামলা চালায়। তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে হাবিবের তিন সন্তান আহত হয়। গত শুক্রবার র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হাসিমউল্লাহ নিহত হন।
মুক্তিপণ না পেলে খুন
২৬ নম্বর শালবাগান ক্যাম্পের আই-৯-এর বাসিন্দা সত্তর ছুঁইছুঁই রোহিঙ্গা সৈয়দ আলম। ৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে হঠাৎ তাঁর ঘরের দরজার কড়া নাড়ার আওয়াজ। খুলতেই জাকারিয়া বাহিনীর কয়েকজন সন্ত্রাসী পিস্তলের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাঁকে রক্তাক্ত করে। তাঁকে তুলে নিয়ে যায় তারা। পরিবারকে বলে যায়, তাঁকে ফেরত পেতে হলে ৩ লাখ টাকা দিতে হবে।
গত শুক্রবার ক্যাম্পের মসজিদের সামনে আলমের ছেলে আজিজুল অভিযোগ করেন, এপিবিএনের কাছে সহায়তা চাইতে গেলে তারা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনার পরামর্শ দেয়। পরে ৫০ হাজার টাকায় বাবাকে ছাড়িয়ে আনেন তিনি।
নয়াপাড়া ক্যাম্পের ব্লক–আইয়ের ২৪,২৫, ২৬,২৭–এর সমন্বয়ক মো. জাফরও অভিযোগ করেন, ক্যাম্পে প্রতিদিন এমন চার–পাঁচটি ঘটনা ঘটে। পুলিশের সাহায্য পাওয়া যায় না। তিনি নিজেও অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। তিনি এখনো সে ভয় কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
টেকনাফ থানার ওসি হাফিজুর বলেন, ‘ক্যাম্পে অপহরণ, ধর্ষণ, মারামারি, ছিনতাই লেগেই আছে। অনেক সময় আমরা খোঁজ পাই। কিন্তু ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে না। তাই অনেক ঘটনা অজানা থেকে যায়।’
কোনো কৌশল কাজে আসছে না
শালবন পাহাড়ে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর সাত-আট শ সদস্য আছে। পাহাড়ে আস্তানা গেড়ে বসেছে তারা। ঘন জঙ্গলে সেটি বোঝার উপায় নেই। খাবারের জন্য তারা মাঝেমধ্যে সমতলে নামে। কাকে অপহরণ করা হবে, ক্যাম্পে থাকা অন্য সদস্যরা সেটি ঠিক করে। ২৬ নম্বর এই ক্যাম্পের ৫ ব্লকে ৪১ হাজার ৭৭২ রোহিঙ্গার বসবাস।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, গত দুই বছরে ক্যাম্পে অন্তত ৭০টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই দুই বছরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে করা ৪৯৩টি মামলা হয়েছে, যাতে ১ হাজার ৪৫৮ জন আসামি। সবচেয়ে বেশি, প্রায় দুই শ হলো মাদক মামলা। রয়েছে মানব পাচার, অস্ত্র, ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা, নারী নির্যাতন, অপহরণ ও পুলিশের ওপর হামলার মামলা।
র্যাবের উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলছেন, ‘হেলিকপ্টার আর ড্রোন উড়িয়ে আমরা সন্ত্রাসীদের আস্তানা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১২ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।’
মানব পাচার, মাদক, স্বর্ণ চোরাচালান থেকে আসে অর্থ। র্যাব-পুলিশের তথ্য বলছে, এসব বাহিনীর অর্থের বড় একটি উৎস ইয়াবা, মানব পাচার ও স্বর্ণ চোরাচালান। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যেসব সিন্ডিকেট ইয়াবা, মানব পাচার ও স্বর্ণ চোরাচালান করছে, তাদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেয় তারা। এমনকি সাগরপথে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের শুরুতে এই পাহাড়ে রাখা হয়।
বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ বলছে, গত ১০ মাসে এসব এলাকায় অনন্ত ১০৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, রোহিঙ্গাদের পাহাড়ি ক্যাম্পে এত অস্ত্র-গোলাবারুদের উৎস কী?
আর্মড পুলিশের পদস্থ এক কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মূল উৎস মিয়ানমার। সে দেশ থেকে মাদকের সঙ্গে আসছে অস্ত্র। বান্দরবানের চাকঢালা, আশারতলী, তুমব্রু, ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে আসছে এসব অস্ত্র। পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের গুদামও রয়েছে।
র্যাব ও বিজিবির তথ্যমতে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় গত ছয় মাসে অভিযান চালিয়ে ১৫১টি গোলাবারুদ, ৩৩টি দেশীয় বন্দুক, দুটি নাইন এমএম পিস্তল, তিনটি রিভলবার, দুটি থ্রি কোয়ার্টার গান, তিনটি এলজি, পাঁচটি এসবিবিএল, একটি রাইফেল উদ্ধার করা হয়।
ক্যাম্পে কাজ করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেফ দ্য চিলড্রেনের এক নারী কর্মী বলেন, ‘নয়াপাড়া ক্যাম্পের পেছনের পাহাড়ে রোহিঙ্গা ডাকাতদের আস্তানা। দিনে পাহাড় আর রাতে ক্যাম্প চষে বেড়ায় তারা। আমরা নিজেরাও অনিরাপদ বোধ করছি।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পুলিশ ক্যাম্পের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এপিবিএনের সঙ্গে কাজ করছে। আমরা একাধিক অভিযান চালিয়েছি। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
৭ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
১২ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২৪ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২৮ মিনিট আগেনাটোর ও লালপুর প্রতিনিধি

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। নিহত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে মাসুদ রানাও রয়েছেন।
মাসুদ রানা নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর ছোট দুই ভাই মনিরুল ইসলাম জনি ও রনি আহমেদও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত।
মাসুদের শোকে তাঁর স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই দম্পতির আট বছরের মেয়ে আছে। আঁখি বলেন, ‘আমার মেয়েকে এতিম করে সে চলে গেল। বাকি জীবন আমরা কীভাবে কাটাব? গতকালও (শনিবার) আমাদের সঙ্গে সে কথা বলেছিল। আজ সে নেই, ভাবতে পারছি না।’
ছেলের মৃত্যুর খবরে মা মর্জিনা খাতুন (৫৫) বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার তিন সন্তান সেনাবাহিনীতে। এক সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিল। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। সরকার যেন আমার সন্তানের বিধবা স্ত্রী ও এতিম মেয়ের কথা ভাবে। আমাদের আর কেউ নাই।’
প্রতিবেশীরা জানান, মাসুদ রানা ছিলেন শান্ত ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। পরিবারের সুখের স্বপ্ন নিয়ে তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েছিলেন।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, নিহত মাসুদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে আজ রোববার বিকেলে নাটোর আর্মি স্টেডিয়ামের সেনাক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. নাজমুল আলম আবীর নিহত শান্তিরক্ষী মাসুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, শহীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। নিহত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে মাসুদ রানাও রয়েছেন।
মাসুদ রানা নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর ছোট দুই ভাই মনিরুল ইসলাম জনি ও রনি আহমেদও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত।
মাসুদের শোকে তাঁর স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই দম্পতির আট বছরের মেয়ে আছে। আঁখি বলেন, ‘আমার মেয়েকে এতিম করে সে চলে গেল। বাকি জীবন আমরা কীভাবে কাটাব? গতকালও (শনিবার) আমাদের সঙ্গে সে কথা বলেছিল। আজ সে নেই, ভাবতে পারছি না।’
ছেলের মৃত্যুর খবরে মা মর্জিনা খাতুন (৫৫) বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার তিন সন্তান সেনাবাহিনীতে। এক সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিল। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। সরকার যেন আমার সন্তানের বিধবা স্ত্রী ও এতিম মেয়ের কথা ভাবে। আমাদের আর কেউ নাই।’
প্রতিবেশীরা জানান, মাসুদ রানা ছিলেন শান্ত ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। পরিবারের সুখের স্বপ্ন নিয়ে তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েছিলেন।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, নিহত মাসুদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে আজ রোববার বিকেলে নাটোর আর্মি স্টেডিয়ামের সেনাক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. নাজমুল আলম আবীর নিহত শান্তিরক্ষী মাসুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, শহীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

দূর থেকে দেখলে মনে হয় পাহাড়টা আকাশ ছুঁয়েছে। পাহাড়ের চূড়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা-কালো মেঘ। লোকালয়ের ভেতর দিয়ে পাহাড় বেয়ে নেমে এসেছে সরু রাস্তা। কক্সবাজারের টেকনাফ শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের দৃষ্টিনন্দন এই পাহাড়ের নাম শালবাগান। মানুষ চেনে শালবন নামে।
১৯ জুলাই ২০২১
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
১২ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২৪ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২৮ মিনিট আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ওজনে কম দেওয়া, শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, পোড়া তেল দিয়ে শিশুখাদ্য ভাজা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রস্তুতের অভিযোগে ‘আরব বেকারি’কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় এ জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে দেখা গেছে, পার্টি কেকের ক্ষেত্রে প্রতি দুই পাউন্ডে প্রায় ৭০ গ্রাম কম দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্য প্রস্তুতে নিষিদ্ধ রং ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নমুনা সংগ্রহকারী মো. সাকিব। অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বলেন, অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ওজনে কম দেওয়া, শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, পোড়া তেল দিয়ে শিশুখাদ্য ভাজা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রস্তুতের অভিযোগে ‘আরব বেকারি’কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় এ জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে দেখা গেছে, পার্টি কেকের ক্ষেত্রে প্রতি দুই পাউন্ডে প্রায় ৭০ গ্রাম কম দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্য প্রস্তুতে নিষিদ্ধ রং ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নমুনা সংগ্রহকারী মো. সাকিব। অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বলেন, অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

দূর থেকে দেখলে মনে হয় পাহাড়টা আকাশ ছুঁয়েছে। পাহাড়ের চূড়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা-কালো মেঘ। লোকালয়ের ভেতর দিয়ে পাহাড় বেয়ে নেমে এসেছে সরু রাস্তা। কক্সবাজারের টেকনাফ শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের দৃষ্টিনন্দন এই পাহাড়ের নাম শালবাগান। মানুষ চেনে শালবন নামে।
১৯ জুলাই ২০২১
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
৭ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২৪ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার মো. শাজাহান শিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শামীম জানান, উত্তর বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালের সামনের সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল ইসলাম বলেন, কারা বাসে আগুন দিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সে সময় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার মো. শাজাহান শিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শামীম জানান, উত্তর বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালের সামনের সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল ইসলাম বলেন, কারা বাসে আগুন দিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সে সময় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

দূর থেকে দেখলে মনে হয় পাহাড়টা আকাশ ছুঁয়েছে। পাহাড়ের চূড়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা-কালো মেঘ। লোকালয়ের ভেতর দিয়ে পাহাড় বেয়ে নেমে এসেছে সরু রাস্তা। কক্সবাজারের টেকনাফ শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের দৃষ্টিনন্দন এই পাহাড়ের নাম শালবাগান। মানুষ চেনে শালবন নামে।
১৯ জুলাই ২০২১
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
৭ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
১২ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় এক নারীর গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগে চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা সাত্তারের আদালতে ভুক্তভোগী নারী নাসরিন আক্তার মামলার আরজি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সিরাজুন নূর, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) মো. নুরুল হক, পরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) এ এফ এম আশরাফুল করিম এবং ডেপুটি ডিরেক্টর (অ্যাডমিন-আইসিইউ) মো. আবু সাইদ চৌধুরী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রিগ্যান আচার্য্য জানান, মামলার আবেদনের পর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং মামলাটি তদন্তের জন্য ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দেন। আদালত আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। ভর্তির পর রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা তাৎক্ষণিক জরুরি চিকিৎসা দেননি বলে অভিযোগ করা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে রেখে দেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। রোগীর স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলেও আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়, এমন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, দীর্ঘ সময় লেবার রুমে ফেলে রাখার কারণে রোগীর রক্তক্ষরণ বেড়ে যায় এবং অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে। পরে একজন সিনিয়র কনসালট্যান্ট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জরুরি অস্ত্রোপচারের নির্দেশ দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করেন। পরে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে মায়ের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়।
বাদীপক্ষের দাবি, সময়মতো সঠিক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হলে গর্ভস্থ শিশুটিকে বাঁচানো যেত। ঘটনার পর দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; বরং বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয় এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় রাখা হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. নুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জানলাম। তবে ওই রোগীর কাগজপত্র না দেখে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’

চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় এক নারীর গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগে চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা সাত্তারের আদালতে ভুক্তভোগী নারী নাসরিন আক্তার মামলার আরজি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সিরাজুন নূর, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) মো. নুরুল হক, পরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) এ এফ এম আশরাফুল করিম এবং ডেপুটি ডিরেক্টর (অ্যাডমিন-আইসিইউ) মো. আবু সাইদ চৌধুরী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রিগ্যান আচার্য্য জানান, মামলার আবেদনের পর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং মামলাটি তদন্তের জন্য ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দেন। আদালত আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। ভর্তির পর রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা তাৎক্ষণিক জরুরি চিকিৎসা দেননি বলে অভিযোগ করা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে রেখে দেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। রোগীর স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলেও আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়, এমন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, দীর্ঘ সময় লেবার রুমে ফেলে রাখার কারণে রোগীর রক্তক্ষরণ বেড়ে যায় এবং অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে। পরে একজন সিনিয়র কনসালট্যান্ট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জরুরি অস্ত্রোপচারের নির্দেশ দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করেন। পরে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে মায়ের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়।
বাদীপক্ষের দাবি, সময়মতো সঠিক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হলে গর্ভস্থ শিশুটিকে বাঁচানো যেত। ঘটনার পর দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; বরং বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয় এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় রাখা হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. নুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জানলাম। তবে ওই রোগীর কাগজপত্র না দেখে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’

দূর থেকে দেখলে মনে হয় পাহাড়টা আকাশ ছুঁয়েছে। পাহাড়ের চূড়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা-কালো মেঘ। লোকালয়ের ভেতর দিয়ে পাহাড় বেয়ে নেমে এসেছে সরু রাস্তা। কক্সবাজারের টেকনাফ শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের দৃষ্টিনন্দন এই পাহাড়ের নাম শালবাগান। মানুষ চেনে শালবন নামে।
১৯ জুলাই ২০২১
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
৭ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
১২ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২৪ মিনিট আগে