সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দাফনের দুই মাস পর আদালতের নির্দেশে এক গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে। আজ শনিবার চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ্বশুর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে তাঁর লাশ উত্তোলন করে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।
লাশ উত্তোলনের সময় সুবর্ণচর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অশোক বিক্রম চাকমা উপস্থিত ছিলেন। এতে চরজব্বর থানা–পুলিশ সহযোগিতা করে।
একই গ্রামের আবুল হাসেমের মেয়ে নিহত গৃহবধূ শাহেনা আক্তার (৩৪)। গত ১৬ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যুর পর চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামে তাঁকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় চলতি বছর ১৮ জানুয়ারি নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালতে হত্যা মামলা করেন গৃহবধূর বাবা আবুল হাসেম। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলায় শাহেনার স্বামী বেলাল হোসেন (৩২), দেবর মাঈন উদ্দিন (১৯), মনোয়ারা বেগম (৩৫), আজাদ হোসেন (৩৮) ও শাশুড়ি মোকছেদা খাতুনকে (৬০) আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী আবুল হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে আমার মেয়ে শাহেনা আক্তার (৩৭) স্বামীর বাড়িতে মারা যাওয়ার সংবাদ পেয়ে আমরা ছুটে যায়। পরে মেয়ের লাশ তার স্বামীর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ মৃত্যু আমাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হয়নি। সে জন্য তদন্ত সাপেক্ষে সত্য উদ্ঘাটনের জন্য মামলা দায়ের করি।’
এ ছাড়া শাহেনার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে, যৌতুক, চিকিৎসায় অবহেলা ও পারিবারিক অশান্তির বিষয়ে মামলায় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
গৃহবধূর স্বামী বেলাল হোসেন বলেন, ‘মৃত্যুর আগে আমার স্ত্রী আট মাসের গর্ভবতী ছিল। হঠাৎ ১৫ ডিসেম্বর রাতে সে বুকে ব্যথা অনুভব করে। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। তার অবস্থা অবনতির দিকে গেলে তার মা-বাবাকে খবর দেওয়া হয়। তাদের উপস্থিতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে সে মারা যায়। মৃত্যুর পর উভয় পরিবার একত্রিত হয়ে তার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। তখন আমার শ্বশুরপক্ষ কোনো অভিযোগ করেনি।’
বেলাল হোসেন আরও বলেন, ২০১৯ সালে উভয় পরিবারের সম্মতিতে শাহেনার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের চার বছর বয়সে কন্যা শিশু রয়েছে। এর আগে তাঁদের প্রথম সন্তান মারা যায়। মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে কোনো অশান্তি ছিল না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্ত্রীর আগের স্বামীর দেওয়া জমির দখল ও ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে কিছুদিন যাবৎ আমাদের সঙ্গে ঝামেলা করছেন শ্বশুর। ওই জমির ভাগ–বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে আমাকে ও আমার পরিবারকে হয়রানি করতে এ মামলা করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা, নোয়াখালী সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, মামলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়ে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করলে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দাফনের দুই মাস পর আদালতের নির্দেশে এক গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে। আজ শনিবার চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ্বশুর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে তাঁর লাশ উত্তোলন করে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।
লাশ উত্তোলনের সময় সুবর্ণচর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অশোক বিক্রম চাকমা উপস্থিত ছিলেন। এতে চরজব্বর থানা–পুলিশ সহযোগিতা করে।
একই গ্রামের আবুল হাসেমের মেয়ে নিহত গৃহবধূ শাহেনা আক্তার (৩৪)। গত ১৬ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যুর পর চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামে তাঁকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় চলতি বছর ১৮ জানুয়ারি নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালতে হত্যা মামলা করেন গৃহবধূর বাবা আবুল হাসেম। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলায় শাহেনার স্বামী বেলাল হোসেন (৩২), দেবর মাঈন উদ্দিন (১৯), মনোয়ারা বেগম (৩৫), আজাদ হোসেন (৩৮) ও শাশুড়ি মোকছেদা খাতুনকে (৬০) আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী আবুল হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে আমার মেয়ে শাহেনা আক্তার (৩৭) স্বামীর বাড়িতে মারা যাওয়ার সংবাদ পেয়ে আমরা ছুটে যায়। পরে মেয়ের লাশ তার স্বামীর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ মৃত্যু আমাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হয়নি। সে জন্য তদন্ত সাপেক্ষে সত্য উদ্ঘাটনের জন্য মামলা দায়ের করি।’
এ ছাড়া শাহেনার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে, যৌতুক, চিকিৎসায় অবহেলা ও পারিবারিক অশান্তির বিষয়ে মামলায় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
গৃহবধূর স্বামী বেলাল হোসেন বলেন, ‘মৃত্যুর আগে আমার স্ত্রী আট মাসের গর্ভবতী ছিল। হঠাৎ ১৫ ডিসেম্বর রাতে সে বুকে ব্যথা অনুভব করে। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। তার অবস্থা অবনতির দিকে গেলে তার মা-বাবাকে খবর দেওয়া হয়। তাদের উপস্থিতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে সে মারা যায়। মৃত্যুর পর উভয় পরিবার একত্রিত হয়ে তার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। তখন আমার শ্বশুরপক্ষ কোনো অভিযোগ করেনি।’
বেলাল হোসেন আরও বলেন, ২০১৯ সালে উভয় পরিবারের সম্মতিতে শাহেনার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের চার বছর বয়সে কন্যা শিশু রয়েছে। এর আগে তাঁদের প্রথম সন্তান মারা যায়। মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে কোনো অশান্তি ছিল না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্ত্রীর আগের স্বামীর দেওয়া জমির দখল ও ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে কিছুদিন যাবৎ আমাদের সঙ্গে ঝামেলা করছেন শ্বশুর। ওই জমির ভাগ–বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে আমাকে ও আমার পরিবারকে হয়রানি করতে এ মামলা করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা, নোয়াখালী সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, মামলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়ে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করলে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে