শিপ্ত বড়ুয়া, রামু (কক্সবাজার)
পালংকী যাবেন? পালংকী এখন যে নামে পরিচিত, তা শুনলে নিঃসন্দেহে স্যুটকেস গোছাতে শুরু করবেন। করোনাকালে বাড়ি বসে থাকতে থাকতে অতিষ্ঠ হয়ে এখন নিশ্চয়ই সমুদ্রের কাছে যেতে মন চাইছে? হ্যাঁ, এ জন্য পালংকী আপনার পছন্দের জায়গা হতে পারে।
আমরা আসলে কক্সবাজারের কথা বলছি। কক্সবাজারের আদি নাম পালংকী। কী করে তা কক্সবাজার হলো, সে কথা যেমন আপনাদের জানাব, তেমনি নিয়ে যাব কক্সবাজার থেকে ২৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে রামু উপজেলায়। এখানে আসতে হবে ইতিহাসের স্বার্থেই। যার নামে এখন কক্সবাজার, সেই হিরাম কক্সের বাংলো দেখলে মনের খিদে মিটবে আপনার।
রামুর তরুণ ইতিহাস গবেষক অ্যাডভোকেট শিরুপন বড়ুয়া জানাচ্ছেন পালংকীর ইতিহাস। ১৭৮৪ সালের আগে ভারতবর্ষ ও মিয়ানমারের মাঝখানে ছোট একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল, যার নাম আরাকান। এ সময় বর্মি রাজা বোধপায়া আরাকান দখলের জন্য অভিযানের দায়িত্ব দেন তাঁর ছেলে যুবরাজ থাডো মিনসোকে।
বর্মি যুবরাজ থাডো মিনসো সহজেই পরাজিত করেন আরাকান অধিপতিকে। আরাকান দখল করার পর বর্মিরা রাখাইনদের অত্যাচার করতে লাগল। তখন হাজার হাজার রাখাইন নাফ নদী পার হয়ে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনাধীন বর্তমানের টেকনাফ, উখিয়া, রামু, কক্সবাজার, হারবাং এলাকায় উদ্বাস্তু হিসেবে এল। এই রাখাইন উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের জন্যই ব্রিটিশ কূটনীতিক হিরাম কক্সকে পাঠানো হয়েছিল পালংকীতে। তাঁকে পালংকীর মহাপরিচালক নিযুক্ত করা হয়। ক্যাপ্টেন কক্স এখানকার নানা সমস্যা সমাধানের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান, শরণার্থীদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করেন। সেই চেষ্টা চালানোর সময়টাতেই তিনি ১৭৯৯ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি এখানে খুব জনপ্রিয় ছিলেন, তাই তাঁর মৃত্যুর পর পালংকীর মূল বাজারের নাম রাখা হয়েছিল কক্স সাহেবের বাজার।
হিরাম কক্সের জন্যই রামুতে তৈরি হয়েছিল বাংলোটি।
রামুর চৌমুহনী স্টেশনে নেমে রামু অফিসের চর ডাকবাংলোর নাম বললেই আপনাকে যে কেউ রাস্তা দেখিয়ে দেবে। দুই কিলোমিটার দক্ষিণে গেলে রাস্তার ডান পাশে যে নীরব-নিস্তব্ধ ব্রিটিশ নকশার বাড়ি দেখবেন, সেটিই হিরাম কক্সের বাংলো। বাংলোর চারপাশে শত শত মেহগনি আর কাঁঠালগাছ। ষাটোর্ধ্ব মো. বদিউজ্জামান ৩০ বছরের বেশি সময় এই ডাকবাংলোর দেখাশোনা করছেন।
এখানে রাতে থাকা যায়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে। ভাড়া ৪০০ টাকা।
বাংলোর ভেতরে বিশাল এক বারান্দা। হিরাম কক্স এখানে বসে অবসর সময় কাটাতেন। বারান্দার ডান পাশের ঘরে দুটি কাঠের খানদানি খাট। একটি সংযুক্ত টয়লেট। বারান্দার বাঁ পাশের ঘরটি বড়। এই ঘরে আছে একটি খাট আর সোফা। বদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে জানান, সম্প্রতি জেলা পরিষদ থেকে এসব আসবাব দেওয়া হয়েছে।
হিরাম কক্সের সময়ের ভবনটি ছিল পুরো কাঠের তৈরি। জেলা পরিষদের মাধ্যমে নিয়মিত এই ভবনটি শক্তপোক্ত করা হচ্ছে। ডাকবাংলোর আসল কাঠের ভবনটি বর্তমান ভবনের মতোই দেখতে ছিল।
দুঃখ একটাই। ঐতিহাসিক বাড়িটি এখনো পর্যটক টানতে পারছে না। পারবে কী করে, এলাকার কোথাও কোনো পরিচিতি-সাইনবোর্ড নেই, কে জানবে এটা হচ্ছে সেই বাংলো, যে বাংলোয় থাকতেন হিরাম কক্স, যাঁর নামে কক্সবাজারের নামকরণ হয়েছে?
পালংকী যাবেন? পালংকী এখন যে নামে পরিচিত, তা শুনলে নিঃসন্দেহে স্যুটকেস গোছাতে শুরু করবেন। করোনাকালে বাড়ি বসে থাকতে থাকতে অতিষ্ঠ হয়ে এখন নিশ্চয়ই সমুদ্রের কাছে যেতে মন চাইছে? হ্যাঁ, এ জন্য পালংকী আপনার পছন্দের জায়গা হতে পারে।
আমরা আসলে কক্সবাজারের কথা বলছি। কক্সবাজারের আদি নাম পালংকী। কী করে তা কক্সবাজার হলো, সে কথা যেমন আপনাদের জানাব, তেমনি নিয়ে যাব কক্সবাজার থেকে ২৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে রামু উপজেলায়। এখানে আসতে হবে ইতিহাসের স্বার্থেই। যার নামে এখন কক্সবাজার, সেই হিরাম কক্সের বাংলো দেখলে মনের খিদে মিটবে আপনার।
রামুর তরুণ ইতিহাস গবেষক অ্যাডভোকেট শিরুপন বড়ুয়া জানাচ্ছেন পালংকীর ইতিহাস। ১৭৮৪ সালের আগে ভারতবর্ষ ও মিয়ানমারের মাঝখানে ছোট একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল, যার নাম আরাকান। এ সময় বর্মি রাজা বোধপায়া আরাকান দখলের জন্য অভিযানের দায়িত্ব দেন তাঁর ছেলে যুবরাজ থাডো মিনসোকে।
বর্মি যুবরাজ থাডো মিনসো সহজেই পরাজিত করেন আরাকান অধিপতিকে। আরাকান দখল করার পর বর্মিরা রাখাইনদের অত্যাচার করতে লাগল। তখন হাজার হাজার রাখাইন নাফ নদী পার হয়ে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনাধীন বর্তমানের টেকনাফ, উখিয়া, রামু, কক্সবাজার, হারবাং এলাকায় উদ্বাস্তু হিসেবে এল। এই রাখাইন উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের জন্যই ব্রিটিশ কূটনীতিক হিরাম কক্সকে পাঠানো হয়েছিল পালংকীতে। তাঁকে পালংকীর মহাপরিচালক নিযুক্ত করা হয়। ক্যাপ্টেন কক্স এখানকার নানা সমস্যা সমাধানের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান, শরণার্থীদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করেন। সেই চেষ্টা চালানোর সময়টাতেই তিনি ১৭৯৯ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি এখানে খুব জনপ্রিয় ছিলেন, তাই তাঁর মৃত্যুর পর পালংকীর মূল বাজারের নাম রাখা হয়েছিল কক্স সাহেবের বাজার।
হিরাম কক্সের জন্যই রামুতে তৈরি হয়েছিল বাংলোটি।
রামুর চৌমুহনী স্টেশনে নেমে রামু অফিসের চর ডাকবাংলোর নাম বললেই আপনাকে যে কেউ রাস্তা দেখিয়ে দেবে। দুই কিলোমিটার দক্ষিণে গেলে রাস্তার ডান পাশে যে নীরব-নিস্তব্ধ ব্রিটিশ নকশার বাড়ি দেখবেন, সেটিই হিরাম কক্সের বাংলো। বাংলোর চারপাশে শত শত মেহগনি আর কাঁঠালগাছ। ষাটোর্ধ্ব মো. বদিউজ্জামান ৩০ বছরের বেশি সময় এই ডাকবাংলোর দেখাশোনা করছেন।
এখানে রাতে থাকা যায়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে। ভাড়া ৪০০ টাকা।
বাংলোর ভেতরে বিশাল এক বারান্দা। হিরাম কক্স এখানে বসে অবসর সময় কাটাতেন। বারান্দার ডান পাশের ঘরে দুটি কাঠের খানদানি খাট। একটি সংযুক্ত টয়লেট। বারান্দার বাঁ পাশের ঘরটি বড়। এই ঘরে আছে একটি খাট আর সোফা। বদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে জানান, সম্প্রতি জেলা পরিষদ থেকে এসব আসবাব দেওয়া হয়েছে।
হিরাম কক্সের সময়ের ভবনটি ছিল পুরো কাঠের তৈরি। জেলা পরিষদের মাধ্যমে নিয়মিত এই ভবনটি শক্তপোক্ত করা হচ্ছে। ডাকবাংলোর আসল কাঠের ভবনটি বর্তমান ভবনের মতোই দেখতে ছিল।
দুঃখ একটাই। ঐতিহাসিক বাড়িটি এখনো পর্যটক টানতে পারছে না। পারবে কী করে, এলাকার কোথাও কোনো পরিচিতি-সাইনবোর্ড নেই, কে জানবে এটা হচ্ছে সেই বাংলো, যে বাংলোয় থাকতেন হিরাম কক্স, যাঁর নামে কক্সবাজারের নামকরণ হয়েছে?
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৬ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৬ ঘণ্টা আগে