Ajker Patrika

লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজের ৭ দিন পর মাটির নিচ থেকে এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার, আটক ১

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ১১: ৫৯
লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজের ৭ দিন পর মাটির নিচ থেকে এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার, আটক ১

লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজের সাত দিন পর মাটিচাপা দেওয়া এনজিও কর্মী মো. ইউনুছের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে জাবেদ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। জাবেদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্বপন মোস্তফা (ক্রাইম অ্যান্ড আপস) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কিস্তির টাকা চাওয়ায় জাবেদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৪ আগস্ট বিকেলে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের কালু হাজী সড়কের জাবেদ হোসেনের দোকানে মোটরসাইকেল নিয়ে কিস্তির আড়াই শ টাকার জন্য আসেন মো. ইউনুছ। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। তাঁর কোনো সন্ধান না পাওয়ায় পরদিন সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন ইউনুছের স্ত্রী সুলতানা জামান। ওই জিডির সূত্র ধরে কালু হাজী সড়ক থেকে গতকাল রাতে জাবেদ হোসেনকে আটক করে পুলিশ। 

জাবেদ হোসেনকে আটকের পর প্রামমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গ্রামীণ মাল্টিপারপাস নামে একটি এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা কিস্তি নেন জাবেদ। প্রতি সপ্তাহে ২৫০ টাকা হারে কিস্তি পরিশোধ করছেন। ঘটনার দিন কিস্তির টাকা নিয়ে ইউনুছের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ইউনুছের মাথায় লক্ষ্য করে আঘাত করেন জাবেদ হোসেন। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। পরে নিজের দোকানের পেছনে ইউনুছের লাশ মাটিচাপা দেন। 

পুলিশ আরও জানায়, জাবেদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে ইউনুছের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। নিহত ইউনুছের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে লক্ষ্মীপুরে বসবাস করে আসছেন মো. ইউনুছ।

নিহতের স্ত্রী সুলতানা জামান জানান, শহরের সমসেরাবাদ এলাকায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন মো. ইউনুস। গ্রামীণ মাল্টিপারপাস নামে একটি এনজিও খুলে ব্যবসা করে আসছিলেন ইউনুছ। জাবেদকে ২০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয় সেখান থেকে। এই কিস্তির টাকা চাওয়ায় তাঁকে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয়। ইউনুসের স্ত্রী ও স্বজনদের দাবি, হত্যাকাণ্ডে জাবেদ হোসেনের সঙ্গে আরও মানুষ জড়িত রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
 
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  স্বপন মোস্তফা (ক্রাইম অ্যান্ড আপস) বলেন, কীভাবে ইউনুছকে হত্যা করা হয়েছে তা স্বীকার করেছেন জাবেদ। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইউনুছের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত