Ajker Patrika

চট্টগ্রামে কারখানা থেকে কেএনএফের ২০ হাজার পোশাক জব্দ, মালিকসহ গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে কারখানা থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন কেনএনএফের জব্দ পোশাক। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামে কারখানা থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন কেনএনএফের জব্দ পোশাক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের একটি তৈরি পোশাক কারখানা থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ২০ হাজার ৩০০ সেট পোশাক জব্দ করেছে পুলিশ। প্রতি সেটে একটি শার্ট ও একটি প্যান্ট রয়েছে। এ সময় পোশাক কারখানাটির মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুই কোটি টাকার চুক্তিতে পোশাকগুলো তৈরি করা হয়েছিল বলে পুলিশ মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছে। চলতি মে মাসে পোশাকগুলো সরবরাহের কথা ছিল।

জানা গেছে, ১৮ মে রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়াহাট এলাকার রিংভো অ্যাপারেলস নামের একটি পোশাক কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণের এসব পোশাক জব্দ করে নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন সাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার। তাঁদের মধ্যে সাহেদুল ইসলাম কারখানার মালিক। অন্য দুজন পোশাকগুলো তৈরির কার্যাদেশ এনেছিলেন।

ওই ঘটনায় পরদিন ১৮ মে গ্রেপ্তার তিনজনসহ মোট চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করে পুলিশ। মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এই মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বর্ণনা অনুযায়ী, গোয়েন্দা পুলিশের দলটি প্রথমে কুকি-চিনের পোশাক তৈরির সঙ্গে যুক্ত রিংভো অ্যাপারেলস নামের একটি পোশাক কারখানার মালিক সাহেদুল ইসলামের বিষয়ে তথ্য পায়। পরে ১৮ মে রাতে বায়েজিদ থানা এলাকার মোজাফফর নগর এলাকা থেকে সাহেদুলকে আটক করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, ক্রেতা গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দারের মাধ্যমে তিনি দুই কোটি টাকার চুক্তিতে চারটি রঙের কুকি-চিনের ২০ হাজার ৩০০ পোশাক তৈরির কার্যাদেশ পেয়েছেন। সেগুলো গুদামে সংরক্ষিত আছে। পরে পুলিশ ওই গুদামে অভিযান চালিয়ে সেগুলো জব্দ করে।

এজাহার থেকে আরও জানা গেছে, এর আগে মার্চে পলাতক আসামি মংলহাচিং মারমা ওরফে মং নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে কুকি-চিনের পোশাক তৈরির কাপড় দিয়ে যায়। কুকি-চিনের জন্য প্রস্তুত করা ২০ হাজার ৩০০ সেট পোশাকের প্রতি সেটে একটি শার্ট ও একটি প্যান্ট রয়েছে। চলতি মাসে পোশাকগুলো ক্রেতার কাছে সরবরাহের কথা ছিল।

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, নিষিদ্ধ সংগঠন কেএনএফের সদস্যরা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র অবস্থান করে ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, হত্যা, অপহরণ, গুমসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে। গ্রেপ্তার ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে অবৈধভাবে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন।

কুকি-চিনের পোশাক জব্দ ও তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য পুলিশের কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করলেও দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উত্তর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) আমিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল করা হলে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো খবর নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’ এরপর তাঁকে কল দিলে তিনি আর ধরেননি।

এর আগে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমানকে একাধিকবার ফোনকল ও খুদেবার্তা পাঠানোর পরও তাঁর কোনো সাড়া মেলেনি। খুদেবার্তারও কোনো জবাব দেননি।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে অফিসিয়ালি কোনো তথ্য নেই। আমি এসবের কিছুই জানি না। তবে এটা হয়ে থাকতেও পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্বে ১৮৬ দেশের মধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ মাত্র একটি: গবেষণা

একচেটিয়া ভাতা লেনদেনের সুবিধা হারাচ্ছে ‘নগদ’

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধান বিচারপতি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগের নাটক সাজানো হয়: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

আপনার ছেলেমানুষি মানায় না: প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে দুদু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত