প্রতিনিধি, সুবর্ণচর ও নোয়াখালী
গত চার বছরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সড়কের পাশ ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রায় ১৩ হাজার গাছের চারা রোপণ করেছেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের যুবক শাখাওয়াত হোসেন। নিজ উপজেলায় যার পরিচিতি বৃক্ষপ্রেমী হিসেবে। শুধু গাছ লাগানো নয়, করোনায় পিছিয়ে পড়া শিশু শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধেও কাজ করেছেন তিনি। তাঁকে এসব কাজে সহযোগিতা করছেন এলাকার ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক। উপকূল রক্ষায় এবং আগামী প্রজন্মকে নির্মল পরিবেশ উপহার দিতে নিজের চাকরির বেতনের একটি অংশ ব্যয় করে যাচ্ছেন এই যুবক। শাখাওয়াতের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয় লোকজন, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও উপকারভোগীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোর বয়স থেকে নিজ বাড়ির আঙিনায় গাছ লাগানো শুরু করেন শাখাওয়াত। আর বড় পরিসরে বিভিন্ন স্থানে গাছ লাগানো শুরু করেন চার বছর আগ থেকে। তাঁর এই কাজ বর্তমানে ছড়িয়ে গেছে সুবর্ণচর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। গ্রামীণ সড়ক, বসত-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির কিংবা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সবস্থানে গাছ লাগাচ্ছেন তিনি। গত চার বছরে ফলজ ও ভেষজসহ বিভিন্ন জাতের অন্তত ১৩ হাজার গাছ লাগিয়েছেন উপজেলার চরবাটা এলাকার বৃক্ষপ্রেমী শাখাওয়াত।
গত বছরের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম থেকে গাছ আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রায় তিন মাস। মাঝে সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হন। তবে এখন সুস্থ আছেন। নতুন জীবন পেয়ে উপকূলকে সবুজায়িত করার প্রত্যয় নিয়ে বৃহৎ পরিসরে গাছ লাগানো শুরু করেন তিনি। তাঁর স্বপ্ন এক লাখ গাছ লাগিয়ে উপজেলায় একটি সবুজ বেস্টুনি তৈরি করা। বেসরকারি একটি জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানে চাকরির বেতনের একটি অংশ দিয়েই ব্যয় বহন করছেন এ সমাজকর্মী। কিছুদিন পর পর নিজেদের লাগানো গাছের পরিচর্যা করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। শুধু গাছ লাগানো বা পরিচর্যা নয়। শাখাওয়াতের প্রয়াত শিক্ষক বাবার ‘চন্দ্রকলি’ সংগঠনের অধীনে করোনাকালে যাতে গ্রামীণ শিশু শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়তে না হয়, সে জন্য ১০টি সেন্টারের মাধ্যমে শিক্ষার আলোও ছড়িয়ে যাচ্ছেন। উপকূল ও পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষসখা শাখাওয়াতের মতো গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ হবে তরুণ-যুবকরা, এতে বিষমুক্ত নির্মল বাতাসে বেড়ে উঠবে নতুন প্রজন্ম এমটাই প্রত্যাশা প্রকৃতিপ্রেমী এ যুবকের।
শাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'আমার বাবা ও চাচাদের পর আমি এলাকায় গাছ লাগানো শুরু করি। এ পৃথিবীর প্রতি আমার দায় আছে বলে আমি মনে করি। সেই দায় থেকেই আমি এ কাজ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক লাখ গাছের চারা রোপণ করা।
উপকূলীয় পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল বারী বাবলু বলেন, 'নোয়াখালীর এসব অঞ্চলের মানুষের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে আমরা কাঠ গাছ লাগানোর প্রবণতা দেখেছি। কিন্তু কাঠের পাশাপাশি ফল ও ওষুধি গাছের যে প্রয়োজন আছে তা এ অঞ্চলের মানুষ শাখাওয়াতের মাধ্যমে বুঝতে পারছে। তিনি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফলজ ও ভেষজ গাছের চারা রোপণ করে দিচ্ছেন। এটা ভালো উদ্যোগ, এতে করে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।'
সৈকত সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোনায়েম খান বলেন, 'করোনার এই মহামারির সময়ে তরুণেরা যখন মাদকাসক্ত কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইসে আশক্ত তখন শাখাওয়াতের এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। নিজের টাকা খরচ করে তাঁর এমন কাজ মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। আশা করছি সমাজকে আলোকিত করার স্বপ্নে তাঁর সঙ্গে অন্যরাও শামিল হবে।'
গত চার বছরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সড়কের পাশ ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রায় ১৩ হাজার গাছের চারা রোপণ করেছেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের যুবক শাখাওয়াত হোসেন। নিজ উপজেলায় যার পরিচিতি বৃক্ষপ্রেমী হিসেবে। শুধু গাছ লাগানো নয়, করোনায় পিছিয়ে পড়া শিশু শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধেও কাজ করেছেন তিনি। তাঁকে এসব কাজে সহযোগিতা করছেন এলাকার ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক। উপকূল রক্ষায় এবং আগামী প্রজন্মকে নির্মল পরিবেশ উপহার দিতে নিজের চাকরির বেতনের একটি অংশ ব্যয় করে যাচ্ছেন এই যুবক। শাখাওয়াতের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয় লোকজন, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও উপকারভোগীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোর বয়স থেকে নিজ বাড়ির আঙিনায় গাছ লাগানো শুরু করেন শাখাওয়াত। আর বড় পরিসরে বিভিন্ন স্থানে গাছ লাগানো শুরু করেন চার বছর আগ থেকে। তাঁর এই কাজ বর্তমানে ছড়িয়ে গেছে সুবর্ণচর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। গ্রামীণ সড়ক, বসত-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির কিংবা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সবস্থানে গাছ লাগাচ্ছেন তিনি। গত চার বছরে ফলজ ও ভেষজসহ বিভিন্ন জাতের অন্তত ১৩ হাজার গাছ লাগিয়েছেন উপজেলার চরবাটা এলাকার বৃক্ষপ্রেমী শাখাওয়াত।
গত বছরের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম থেকে গাছ আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রায় তিন মাস। মাঝে সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হন। তবে এখন সুস্থ আছেন। নতুন জীবন পেয়ে উপকূলকে সবুজায়িত করার প্রত্যয় নিয়ে বৃহৎ পরিসরে গাছ লাগানো শুরু করেন তিনি। তাঁর স্বপ্ন এক লাখ গাছ লাগিয়ে উপজেলায় একটি সবুজ বেস্টুনি তৈরি করা। বেসরকারি একটি জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানে চাকরির বেতনের একটি অংশ দিয়েই ব্যয় বহন করছেন এ সমাজকর্মী। কিছুদিন পর পর নিজেদের লাগানো গাছের পরিচর্যা করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। শুধু গাছ লাগানো বা পরিচর্যা নয়। শাখাওয়াতের প্রয়াত শিক্ষক বাবার ‘চন্দ্রকলি’ সংগঠনের অধীনে করোনাকালে যাতে গ্রামীণ শিশু শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়তে না হয়, সে জন্য ১০টি সেন্টারের মাধ্যমে শিক্ষার আলোও ছড়িয়ে যাচ্ছেন। উপকূল ও পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষসখা শাখাওয়াতের মতো গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ হবে তরুণ-যুবকরা, এতে বিষমুক্ত নির্মল বাতাসে বেড়ে উঠবে নতুন প্রজন্ম এমটাই প্রত্যাশা প্রকৃতিপ্রেমী এ যুবকের।
শাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'আমার বাবা ও চাচাদের পর আমি এলাকায় গাছ লাগানো শুরু করি। এ পৃথিবীর প্রতি আমার দায় আছে বলে আমি মনে করি। সেই দায় থেকেই আমি এ কাজ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক লাখ গাছের চারা রোপণ করা।
উপকূলীয় পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল বারী বাবলু বলেন, 'নোয়াখালীর এসব অঞ্চলের মানুষের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে আমরা কাঠ গাছ লাগানোর প্রবণতা দেখেছি। কিন্তু কাঠের পাশাপাশি ফল ও ওষুধি গাছের যে প্রয়োজন আছে তা এ অঞ্চলের মানুষ শাখাওয়াতের মাধ্যমে বুঝতে পারছে। তিনি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফলজ ও ভেষজ গাছের চারা রোপণ করে দিচ্ছেন। এটা ভালো উদ্যোগ, এতে করে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।'
সৈকত সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোনায়েম খান বলেন, 'করোনার এই মহামারির সময়ে তরুণেরা যখন মাদকাসক্ত কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইসে আশক্ত তখন শাখাওয়াতের এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। নিজের টাকা খরচ করে তাঁর এমন কাজ মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। আশা করছি সমাজকে আলোকিত করার স্বপ্নে তাঁর সঙ্গে অন্যরাও শামিল হবে।'
আবিদ নার্সারির স্বত্বাধিকারী হাফিজুর রহমান মাসুদ বলেন, ‘২০২০–২১ সালে বিভিন্ন স্থান থেকে চারা এনে রোপণ করি। গত বছর কয়েকটি গাছে সামান্য ফল ধরেছিল। এবছর আশানুরূপ ফল এসেছে। আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ফলগুলো পাকে।’
২০ মিনিট আগেবিএনপির রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি কখনো ক্ষমতার রাজনীতি করে না, বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে। আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে আমাদের দলের নেতা–কর্মীরা রক্ত দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন। আমরা তাঁদের কাছে দায়বদ্ধ।’
২৯ মিনিট আগেপুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে বৃদ্ধা মমতাজ বেগম ঘরে একা ছিলেন। তাঁর ছেলে সোহেল প্রধানিয়া বাসায় ফিরে মাকে খুঁজে না পেয়ে দেখতে পান, ঘরের দরজা খোলা এবং কক্ষগুলো রক্তাক্ত। পরে রান্নাঘরের পাশে পাতার স্তূপের নিচে মমতাজ বেগমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের
৩৫ মিনিট আগেদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ময়মনসিংহ জেলার নালিতাবাড়ির তাহসিন আহমেদ (২৫), ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়ার ইশাক হোসেন শান্ত (২৩), বাউন্ডারি রোডের আনাফ রাজিন (২৪), আউটার স্টেডিয়াম রোডের নাসির হোসাইন (২৬) এবং সানকিপাড়ার আহমেদ মাহফুজ (২৪)। তাঁরা সবাই ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের স্নাতকের (অনার্স) শিক্ষার্থী।
১ ঘণ্টা আগে