জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
শুক্রবার মধ্যরাত। শাহীনুর বেগম তাঁর সাত মাস বয়সী যমজ শিশুদের বুকে নিয়ে তখন গভীর ঘুমে। হঠাৎ পাহাড়ধসে ঘুম ভাঙে শিশুদের নানা ফয়জুল হকের। শাহীনুরকে ডাকতে ডাকতেই বাসায় আঁচড়ে পড়ে মাটির স্তূপ। শাহীনুর বিপদ বুঝতে পেরে বুকের নিচে রাখেন যমজ শিশুদের। পিঠের ওপর বাসার লোহার লম্বা পাত পড়েছে, টিন ভেঙে পড়েছে। এমনকি একপর্যায়ে মাটিতেও চাপা পড়েন তিনি। কিন্তু সবকিছু সহ্য করেছেন তিনি। পুরো শরীর অসাড় হওয়ার আগপর্যন্ত আগলে রেখেছিলেন সন্তানদের। দুই শিশু বেঁচে গেলেও না ফেরার দেশে চলে যান মা শাহীনুর।
শাহীনুরকে উদ্ধার করেন পাশের বাসার মো. সোহেল। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, শাহীনুরের ওপর থেকে প্রথমে মাটি সরান, তারপর সরানো হয় একটি টিন। শাহীনুর ছিলেন ইউ আকৃতির মতো করে। বুকের নিচে ছিল তাঁর যমজ শিশুরা। শাহীনুরের নিথর দেহটি যখন উদ্ধার করা হয় তখন শিশু তাসকিয়া ইসলাম তানহা ও তাকিয়া ইয়াসমিন তিন্নি ঘুমে ছিল।
সোহেলের বোন শাহনাজ বলেন, ‘আমরা কোলে নেওয়ার পর শিশু দুটির ঘুম ভাঙে। কিছুক্ষণ পর কান্নাকাটি করে। পরে আমার বোন তিন্নি এসে বুকের দুধ খাওয়ান।’
জানা যায়, শাহীনুরের সঙ্গে ওই বাসায় তাঁর বাবা ফয়জুল হক ছাড়াও মা মোবাশ্বেরা বেগম ও আরেক বোন মাইনুর আক্তারও থাকতেন। তিনিও পাহাড়ধসের ঘটনায় মারা যান। মাইনুর আক্তার পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ফয়জুল হক ও মোবাশ্বেরা বেগম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তাঁদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। পাঁচ-ছয় বছর আগে নগরের আকবরশাহ থানার ১ নম্বর ঝিল বরিশালঘোনায় এলাকায় ঘরটি তৈরি করেন। শাহীনুরের স্বামী জয়নাল আবেদীন ঘটনার দিন ওই বাসায় ছিলেন না। তিনি তাঁর আরেক সন্তান তরিফুল ইসলাম তানিমকে (৮) নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে নিজ বাসায় ছিলেন।
আজ শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে দেখা যায়, শাহীনুরের ঘর ঘেঁষা বিশাল একটি পাহাড়। নিচে ছিল তাঁদের ঘরটি। ওই ঘরের মাঝখানে ছিল একটি লম্বা নারকেলগাছ। সেটি এখনো অক্ষত আছে। ওপর থেকে ধসে আসা মাটিতে টিনশেডের ঘরটির অর্ধেক মাটির নিচে। একটি প্লাস্টিকের চেয়ার ও মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাটও অক্ষত অবস্থায় দেখা গেছে।
শাহীনুরের তিন সন্তান এখন দাদির বাড়িতে। দাদি সখিনা খাতুন তাদের নিয়ে অঝোরে কান্না করছেন। পাশে খেলা করছিল যমজ ওই দুই শিশু। সখিনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন তাদের দেখবে কে? আমার নাতি-নাতিনগুলা তো একা হয়ে গেল।’
শিশুদের চাচি তানিয়া আখতার বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে অন্যজনের বুকের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। যত দিন আমরা বেঁচে আছি, ওদের মানুষের মতো মানুষ করব।’
শুক্রবার মধ্যরাত। শাহীনুর বেগম তাঁর সাত মাস বয়সী যমজ শিশুদের বুকে নিয়ে তখন গভীর ঘুমে। হঠাৎ পাহাড়ধসে ঘুম ভাঙে শিশুদের নানা ফয়জুল হকের। শাহীনুরকে ডাকতে ডাকতেই বাসায় আঁচড়ে পড়ে মাটির স্তূপ। শাহীনুর বিপদ বুঝতে পেরে বুকের নিচে রাখেন যমজ শিশুদের। পিঠের ওপর বাসার লোহার লম্বা পাত পড়েছে, টিন ভেঙে পড়েছে। এমনকি একপর্যায়ে মাটিতেও চাপা পড়েন তিনি। কিন্তু সবকিছু সহ্য করেছেন তিনি। পুরো শরীর অসাড় হওয়ার আগপর্যন্ত আগলে রেখেছিলেন সন্তানদের। দুই শিশু বেঁচে গেলেও না ফেরার দেশে চলে যান মা শাহীনুর।
শাহীনুরকে উদ্ধার করেন পাশের বাসার মো. সোহেল। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, শাহীনুরের ওপর থেকে প্রথমে মাটি সরান, তারপর সরানো হয় একটি টিন। শাহীনুর ছিলেন ইউ আকৃতির মতো করে। বুকের নিচে ছিল তাঁর যমজ শিশুরা। শাহীনুরের নিথর দেহটি যখন উদ্ধার করা হয় তখন শিশু তাসকিয়া ইসলাম তানহা ও তাকিয়া ইয়াসমিন তিন্নি ঘুমে ছিল।
সোহেলের বোন শাহনাজ বলেন, ‘আমরা কোলে নেওয়ার পর শিশু দুটির ঘুম ভাঙে। কিছুক্ষণ পর কান্নাকাটি করে। পরে আমার বোন তিন্নি এসে বুকের দুধ খাওয়ান।’
জানা যায়, শাহীনুরের সঙ্গে ওই বাসায় তাঁর বাবা ফয়জুল হক ছাড়াও মা মোবাশ্বেরা বেগম ও আরেক বোন মাইনুর আক্তারও থাকতেন। তিনিও পাহাড়ধসের ঘটনায় মারা যান। মাইনুর আক্তার পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ফয়জুল হক ও মোবাশ্বেরা বেগম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তাঁদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। পাঁচ-ছয় বছর আগে নগরের আকবরশাহ থানার ১ নম্বর ঝিল বরিশালঘোনায় এলাকায় ঘরটি তৈরি করেন। শাহীনুরের স্বামী জয়নাল আবেদীন ঘটনার দিন ওই বাসায় ছিলেন না। তিনি তাঁর আরেক সন্তান তরিফুল ইসলাম তানিমকে (৮) নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে নিজ বাসায় ছিলেন।
আজ শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে দেখা যায়, শাহীনুরের ঘর ঘেঁষা বিশাল একটি পাহাড়। নিচে ছিল তাঁদের ঘরটি। ওই ঘরের মাঝখানে ছিল একটি লম্বা নারকেলগাছ। সেটি এখনো অক্ষত আছে। ওপর থেকে ধসে আসা মাটিতে টিনশেডের ঘরটির অর্ধেক মাটির নিচে। একটি প্লাস্টিকের চেয়ার ও মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাটও অক্ষত অবস্থায় দেখা গেছে।
শাহীনুরের তিন সন্তান এখন দাদির বাড়িতে। দাদি সখিনা খাতুন তাদের নিয়ে অঝোরে কান্না করছেন। পাশে খেলা করছিল যমজ ওই দুই শিশু। সখিনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন তাদের দেখবে কে? আমার নাতি-নাতিনগুলা তো একা হয়ে গেল।’
শিশুদের চাচি তানিয়া আখতার বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে অন্যজনের বুকের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। যত দিন আমরা বেঁচে আছি, ওদের মানুষের মতো মানুষ করব।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের ইয়ার্ডগুলোয় প্রায় দেড় যুগ ধরে পড়ে রয়েছে ৩০০টির বেশি মালবাহী ওয়াগন। একদিকে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ওয়াগন কেনা হচ্ছে। অন্যদিকে খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে এসব পুরোনো ওয়াগন। সান্তাহার, পার্বতীপুর ও সৈয়দপুর ইয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি ওয়াগন পড়ে রয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেচার বছরের শিশু সাফওয়ান। দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিল কিডনি রোগে। চলছিল বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা। শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হয়। স্বজনেরা দ্রুত তাকে মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়। তবে চিকিৎসক জানান, সাফওয়ান আর বেঁচে নেই। কিন্তু মানছিলেন না স্বজনেরা।
১ ঘণ্টা আগে‘আমি এতিম হয়া গ্যালাম, আমারে কেউ আম্মু কয়া ডাক পারবি না। আর কোনো দিন আমার আব্বুকে দেকতে পারব না। আমার আব্বুকে আনে দাও।’ কাঁদতে কাঁদতে এভাবেই কথাগুলো বলছিল ইরাকে মালিকের হাতে খুন হওয়া মো. আজাদ খানের মেয়ে আবিনা আক্তার কথা (১২)।
২ ঘণ্টা আগেখুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন ও জনসংযোগে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মিন্টু মোল্লার নির্দেশে স্থানীয় কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক উপজেলার সব খেয়াঘাট
২ ঘণ্টা আগে