Ajker Patrika

এক সন্তানকে বিষ খাইয়ে আরেক সন্তানসহ পুকুরে ঝাঁপ দিলেন মা 

কক্সবাজার ও উখিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১০: ১৫
এক সন্তানকে বিষ খাইয়ে আরেক সন্তানসহ পুকুরে ঝাঁপ দিলেন মা 

কক্সবাজারের টেকনাফে স্বামীর ওপর অভিমান করে পাঁচ বছরের সন্তানকে বিষ খাইয়ে, ৪০ দিনের সন্তানকে নিয়ে পুকুর ঝাঁপ দেন এক গৃহবধূ। পরে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ রয়েছে ৪০ দিনের শিশু। ইয়াসিন নামে পাঁচ বছর বয়সী সন্তানটি বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পুকুরে নিখোঁজ শিশুটি উদ্ধার হয়নি। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বেইংগাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। 

ওই গৃহবধূর নাম রুমানা আক্তার রুনি (৩২)। তিনি ওই এলাকার আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী এবং সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরপাড়া এলাকার মৃত নজির আহমদের মেয়ে। নিখোঁজ ৪০ দিনের মেয়েশিশুটির নাম রুবি। 

এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে এক মাস ধরে গৃহবধূর স্বামী আবদুর রাজ্জাককে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। স্বামীর ওপর অভিমান করে দুই ছেলে-মেয়েকে বিষপান করিয়ে এবং নিজে বিষপান করে আত্মহত্যা করতে পুকুরে ঝাঁপ দেন গৃহবধূ। গৃহবধূর অপর এক ছেলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মো. ইয়াছিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। পরে দুপুরে গৃহবধূর লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।’ 

রুনির বড় ভাই আবদুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রুনির স্বামী রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। তাঁদের পরিবারের খরচাপাতি দিচ্ছেন না। আমরা বোন ও তার সন্তানদের আমি লালন-পালন করে আসছি। এক মাস ধরে কোনো ধরনের যোগাযোগও করেনি রাজ্জাক। এর মধ্যে রুনির সঙ্গে যোগাযোগ করে সে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে। সেই রাগে, অভিমানে আমার বোন এমনটি করেছে।’ 

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াদ মাহমুদ ফায়েজ চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল বেলা ১১টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় মো. ইয়াছিন নামের এক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ 

টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত