থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
বান্দরবানের থানচি উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়নের কানাজিও পাড়ার অর্ধশতাধিক পরিবারের একমাত্র ভরসা শঙ্খ নদীর দূষিত ও ঘোলা পানি। বিশুদ্ধ পানির জন্য সেখানে নেই কোনো রিংওয়েল, টিউবওয়েল বা জিএসএফ পাইপের ব্যবস্থা, এমনটাই জানিয়েছেন স্থানী বাসিন্দারা।
থানচি উপজেলা সদরের বলিপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে শত বছরের পুরোনো ১টি গ্রামে ৬০ পরিবারের জন্য কোনো গভীর নলকূপ নেই। ফলে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির সংকটে ভুগছেন তারা। কোনো উপায় না থাকায় ওই সব গ্রামের মানুষ শঙ্খ নদীর দূষিত ও ঝিড়ির ঘোলা পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছেন।
ফলে ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
থানচি-বান্দরবান নতুন সড়ক নির্মাণের ব্যবহারের জন্য বোল্ডার পাথর উত্তোলন, গাছ কাটা, বালির উত্তোলনসহ মানুষের প্রয়োজনীয় কাজের ব্যবহারের কারণে এমনিতে ঝিড়ি ও নদীর পানির প্রবাহ কমে আসছে।
এর পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমসহ শুল্ক মৌসুমে দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে ছোট বড় সব ঝিড়িগুলো শুকিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রামের বাসিন্দারা দ্রুত জলাধার নির্মাণ ও গভীর নলকূপ বসিয়ে সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
বলিপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মংথোয়াইসা মারমা বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে ঝিড়িতে একটু পরিষ্কার পানি হলেও সারা বছরঝুড়ে পানি ফুটিয়ে খেতে হয়। অনেক বছর আগের একটি টিউবওয়েল রয়েছে তাও নষ্ট। সম্প্রতিকালে গাছ কাটা, পাথর বালি অবাধ উত্তোলনের কারণে ঝিড়িতে পানির উৎস কমেছে। একসময় গ্রামের আশপাশে ব্যাপক জঙ্গল ছিল, এখন তা ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত হয়েছে।
পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পাথর কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝিড়িতে পানির প্রবাহ অনেক কমে গেছে। বিকল্প হিসেবে নলকূপ বসানোর চেষ্টা করা হয়নি। ফলে এলাকাবাসী নোংরা পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছ।’
কানাজিও পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ ত্রিপুরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন নিজ নিজ ব্যবহারের জন্য বাড়ি থেকে ফুটন্ত পানির নিয়ে আসে। সেই পানি শিক্ষকদেরও ব্যবহার করতে হয়। দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য একটি গভীর নলকূপ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নজড়ের না আসলে আমাদের কি করণীয়?’
বলিপাড়ার ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমাকে মোবাইল ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
থানচি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী (অতি:) স্বপন চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় গভীর নলকূপ ও রিংওয়েল বসানো হয়েছে। কিছু এলাকায় বাঁধ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে দেওয়া হচ্ছে। আমাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জুন মাসে। তবে এবারে কিছু গভীর নলকূপের বরাদ্দ হাতে পেয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যানেরা ওই গ্রামের গভীর নলকূপের তালিকা দিলে চলতি মৌসুমের গভীর নলকূপ স্থাপনের আপ্রাণ চেষ্টা করব।’
বান্দরবানের থানচি উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়নের কানাজিও পাড়ার অর্ধশতাধিক পরিবারের একমাত্র ভরসা শঙ্খ নদীর দূষিত ও ঘোলা পানি। বিশুদ্ধ পানির জন্য সেখানে নেই কোনো রিংওয়েল, টিউবওয়েল বা জিএসএফ পাইপের ব্যবস্থা, এমনটাই জানিয়েছেন স্থানী বাসিন্দারা।
থানচি উপজেলা সদরের বলিপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে শত বছরের পুরোনো ১টি গ্রামে ৬০ পরিবারের জন্য কোনো গভীর নলকূপ নেই। ফলে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির সংকটে ভুগছেন তারা। কোনো উপায় না থাকায় ওই সব গ্রামের মানুষ শঙ্খ নদীর দূষিত ও ঝিড়ির ঘোলা পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছেন।
ফলে ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
থানচি-বান্দরবান নতুন সড়ক নির্মাণের ব্যবহারের জন্য বোল্ডার পাথর উত্তোলন, গাছ কাটা, বালির উত্তোলনসহ মানুষের প্রয়োজনীয় কাজের ব্যবহারের কারণে এমনিতে ঝিড়ি ও নদীর পানির প্রবাহ কমে আসছে।
এর পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমসহ শুল্ক মৌসুমে দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে ছোট বড় সব ঝিড়িগুলো শুকিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রামের বাসিন্দারা দ্রুত জলাধার নির্মাণ ও গভীর নলকূপ বসিয়ে সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
বলিপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মংথোয়াইসা মারমা বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে ঝিড়িতে একটু পরিষ্কার পানি হলেও সারা বছরঝুড়ে পানি ফুটিয়ে খেতে হয়। অনেক বছর আগের একটি টিউবওয়েল রয়েছে তাও নষ্ট। সম্প্রতিকালে গাছ কাটা, পাথর বালি অবাধ উত্তোলনের কারণে ঝিড়িতে পানির উৎস কমেছে। একসময় গ্রামের আশপাশে ব্যাপক জঙ্গল ছিল, এখন তা ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত হয়েছে।
পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পাথর কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝিড়িতে পানির প্রবাহ অনেক কমে গেছে। বিকল্প হিসেবে নলকূপ বসানোর চেষ্টা করা হয়নি। ফলে এলাকাবাসী নোংরা পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছ।’
কানাজিও পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ ত্রিপুরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন নিজ নিজ ব্যবহারের জন্য বাড়ি থেকে ফুটন্ত পানির নিয়ে আসে। সেই পানি শিক্ষকদেরও ব্যবহার করতে হয়। দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য একটি গভীর নলকূপ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নজড়ের না আসলে আমাদের কি করণীয়?’
বলিপাড়ার ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমাকে মোবাইল ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
থানচি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী (অতি:) স্বপন চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় গভীর নলকূপ ও রিংওয়েল বসানো হয়েছে। কিছু এলাকায় বাঁধ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে দেওয়া হচ্ছে। আমাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জুন মাসে। তবে এবারে কিছু গভীর নলকূপের বরাদ্দ হাতে পেয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যানেরা ওই গ্রামের গভীর নলকূপের তালিকা দিলে চলতি মৌসুমের গভীর নলকূপ স্থাপনের আপ্রাণ চেষ্টা করব।’
বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য র্যালি হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে খাগড়াছড়ি শহরের টাউন হল প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এই মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম।
২০ মিনিট আগেমাদারীপুরের শিবচরে তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণকালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির লোকজনের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে শিবচরের চরশ্যামাইল এলাকার পৌরভবন ২-এর কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লো
৩৩ মিনিট আগেপুলিশ বলছে, দুটি লাশই বিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। যাত্রীর আসনে থাকা মরদেহের মুখ থেঁতলানো অবস্থায় ছিল। গাড়ির সব দরজা খোলা ছিল। তাঁদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি তারা।
৩৭ মিনিট আগেফেনীর পরশুরাম সীমান্তে নুরুল ইসলাম (৬৩) নামের এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ৭ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ সোমবার বিকেলে পতাকা বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় উভয় বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৪৩ মিনিট আগে