Ajker Patrika

১৭ আগস্ট থেকে খাদ্যবান্ধবে ১৫ টাকায় চাল: খাদ্য উপদেষ্টা

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খাদ্য উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফেনী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খাদ্য উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ‘ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় আমরা খোঁজ নিয়েছি, যে চাল বাজারে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়, তা ওএমএসে ৩০ টাকায় দেওয়া হচ্ছে, আবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে সেই চাল ১৫ টাকায় মিলবে।

‘খারাপ মানের জিনিস (চাল) কিন্তু দেওয়া হয় না। একসময় রেশনের চাল রান্না করলে অনেক গন্ধ বের হতো। আগে চালের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ওষুধপত্র দেওয়া হতো, এখন সেদিন চলে গেছে।’  

আজ বুধবার ফেনী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।  

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘১৭ আগস্ট খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে। গত বছর পর্যন্ত এ কর্মসূচিতে পাঁচ মাসে ৫০ লাখ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হতো। এবার এটি সম্প্রসারিত করে ৫৫ লাখ পরিবার ও ছয় মাস করা হয়েছে।

‘তার মধ্যে আগস্ট থেকে নভেম্বর ও ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে চাল দেওয়া হবে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে সাধারণত আমন ফসল আসে, সে জন্য মাঝে এ দুই মাস বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ কর্মসূচি সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারাও সচেষ্ট রয়েছে।’

খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের ২২ লাখ টন খাদ্য মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ২০ লাখ টনের বেশি রয়েছে চাল। আমন ফসল ভালো হলে আমদানিও খুব বেশি করতে হবে না।’  

ভূমিসংক্রান্ত খাতে প্রযুক্তি উন্নতি লাভ করেছে উল্লেখ করে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘বর্তমানে নামজারি, খতিয়ান ডিজিটাল মাধ্যমে করা যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেশিন অথবা ওয়েবসাইট সঠিকভাবে কাজ না করার কারণে অসুবিধা হয়।

‘তবে এটি বড় সমস্যা হবে বলে মনে করি না। প্রযুক্তি উত্তরোত্তর উন্নতি লাভ করছে। পাশাপাশি আমরাও ধীরে ধীরে সব কাজকর্ম উন্নততর করতে সক্ষম হব। সমাজে বিরোধ যেন কমে যায়, সে জন্যই প্রযুক্তিনির্ভর জরিপ, খতিয়ান ও খাজনাপ্রক্রিয়া করা হয়েছে। ধীরে ধীরে এ-সংক্রান্ত বিরোধ কমে যাবে। পাশাপাশি জনসাধারণের মধ্যেও ভূমিসংক্রান্ত সচেতনতা বাড়বে বলে আশাবাদী।’  

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানকার বাঁধগুলো মেরামতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করি, দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী দিনেও ক্ষতিগ্রস্তদের সবধরনের সহায়তা করা হবে। যারা হতদরিদ্র, তারা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আসবে।’  

এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত