আব্দুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ আবার তামাক চাষে জড়িয়ে পড়ছেন। হালদায় চলছে বেপরোয়া বালু উত্তোলনও।
হালদা নদীর উজানে তামাক চাষে উদ্বেগ জানিয়ে চট্টগ্রামের হালদা রিসার্চ সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা হেরিটেজ আইনে হালদা অববাহিকায় তামাক নিষিদ্ধ সত্ত্বেও সম্প্রতি কিছু পরিবেশ বিনষ্টকারী মানুষের অজ্ঞতায় এবং তামাক কোম্পানির প্ররোচনায় তামাক চাষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার তামাক চাষ বিষয়ে আইনে আরও কঠোরতা আনতে যাচ্ছে। তামাক চাষ বিষয়ে ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। হালদা রক্ষায় প্রশাসন আরও কঠোর হবে।
হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া আরও বলেন, ‘হালদার উজানে তামাক চাষের ফলে তামাকের নিজস্ব বিষাক্ততা ও তামাক চাষে অত্যধিক মাত্রায় ব্যবহৃত কীটনাশক, রাসায়নিক সার হালদার পানিকে অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত করছে। এতে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ, ডলফিনসহ মিঠাপানির সকল মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। হালদাকে বাঁচাতে না পারলে মৎস্য খাতে আমাদের বিশাল ক্ষতি হবে।’
উপজেলা কৃষি ও মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রথমে হালদা নদীর উজান খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গোরখানা, কালাপানি, ছদরখীল, তুলাবিল, বড়বিল, যোগ্যাছোলা, গ্যাসফিল্ড, দক্ষিণ কালাপানি, দশবিল, ডাইনছড়ি, সালদা, বাটনাতলী এলাকায় শত শত হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়।
এ সময় এলাকার প্রান্তিক কৃষকদের বেশির ভাগ তামাক চাষ নির্ভর হয়ে পড়ে। স্কুল-মাদ্রাসা ঘেঁষে তামাক চাষ, অবাধে গাছ কেটে চুল্লিতে তামাক পোড়ানো এবং তামাক পাতা থেকে নির্গত পানি হালদায় মিশে মিঠা পানির মাছের অবাধ বিচরণ বাধাগ্রস্ত হয়। তখন সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারে তামাকের বিকল্প চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে এগিয়ে আসে প্রশাসন। ধীরে ধীরে কমতে থাকে তামাক চাষ। বিকল্প চাষাবাদে এগিয়ে আসে ৭০-৮০ শতাংশ কৃষক। কিন্তু অবশিষ্ট ২০-৩০ শতাংশ কৃষক অতিমুনাফার লোভে তামাক কোম্পানির প্রলোভনে তামাক চাষ অব্যাহত রাখে। চলতি মৌসুমেও ২০ একর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। একেবারে হালদা নদী ও এর উপশাখা ঘেঁষে লাগানো তামাক এখন দৃশ্যমান।
হালদার উৎপত্তি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়ন হাসুকপাড়া এলাকার হালদাচড়ায়। দীর্ঘ ৯৮ কিলোমিটার বয়ে চট্টগ্রাম শহরের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় গিয়ে মিশেছে। মানিকছড়ি উপজেলার সদর থেকে ৫-৬ কিলোমিটার পশ্চিমে হালদা নদীর উজান ও শাখাপ্রশাখার চরে সবুজ শাকসবজি চাষ হলেও কিছু কৃষক অধিক লোভে তামাক কোম্পানি থেকে অগ্রিম বীজ, সার, কীটনাশক নিয়ে বিষাক্ত তামাক চাষ করছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হালদার উজান গোরখানা, ছদরখীল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হালদা নদীঘেঁষা জমিতে তামাকের চারা মাথা উঁচু করে বেড়ে উঠছে। গোরখানায় ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে তামাক চাষ করেছেন আছারতলীর চাষি মো. আবদুল মতিন। সবজি না করে তামাক চাষ কেন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হালদা খাল চরের মাটির উর্বরতা শক্তি কমায় শাকসবজি চাষে লোকসান গুনতে হয়। অতিরিক্ত রাসায়নিক সারে তামাক ভালো হয়। তামাক চাষের প্রয়োজনীয় সব সার, ওষুধ তামাক কোম্পানি আমাদের অগ্রিম দিয়ে সহযোগিতা করে। এতে পুঁজি নিয়ে চাষিকে টেনশন করতে হয় না। গত বছর প্রতি কেজি শুকনা তামাকপাতা ভালোমন্দ হিসেবে ১৮০-২১৬ টাকা দরে দিয়েছে কোম্পানি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা নদী আমাদের অমূল্য সম্পদ। এই নদীর উজানে এক দশক আগে যে হারে তামাক চাষ করা হতো, এখন তা একেবারে নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। আগের তামাকচাষিদের তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সম্পৃক্ত করতে কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ ও আইডিএফ যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছে। শাকসবজি চাষাবাদে জৈব সারের ওপর জোর দেওয়া এবং সরকারি প্রণোদনায় হালদাপাড়ের কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে তামাক নির্মূলে কাজ চলছে। জনসচেতনতা বাড়লে তামাক নির্মূল সহজ হয়। এই জন্য জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসা উচিত।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘তামাক চাষের ফলে ব্যবহৃত কীটনাশক ও তামাকের নির্যাস হালদা নদীর পানিতে মেশায় মাছের প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষেত্র ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানিকছড়ি মৎস্য অফিস এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে হালদাপাড়সংশ্লিষ্ট এলাকায় তামাকের বিকল্প চাষাবাদ যেমন পুকুরে উন্নত জাতের মাছ চাষে উৎসাহ দিচ্ছে। সরকারি পোনা বিতরণেও ওখানকার লোকজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছে। আগে হালদাপাড়ে তামাক চাষ বেশি হলেও এখন কমে আসছে। এবার ১১ জন চাষি ২০ একর জায়গায় তামাক লাগিয়েছেন। আশা করছি, ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে।’

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ আবার তামাক চাষে জড়িয়ে পড়ছেন। হালদায় চলছে বেপরোয়া বালু উত্তোলনও।
হালদা নদীর উজানে তামাক চাষে উদ্বেগ জানিয়ে চট্টগ্রামের হালদা রিসার্চ সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা হেরিটেজ আইনে হালদা অববাহিকায় তামাক নিষিদ্ধ সত্ত্বেও সম্প্রতি কিছু পরিবেশ বিনষ্টকারী মানুষের অজ্ঞতায় এবং তামাক কোম্পানির প্ররোচনায় তামাক চাষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার তামাক চাষ বিষয়ে আইনে আরও কঠোরতা আনতে যাচ্ছে। তামাক চাষ বিষয়ে ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। হালদা রক্ষায় প্রশাসন আরও কঠোর হবে।
হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া আরও বলেন, ‘হালদার উজানে তামাক চাষের ফলে তামাকের নিজস্ব বিষাক্ততা ও তামাক চাষে অত্যধিক মাত্রায় ব্যবহৃত কীটনাশক, রাসায়নিক সার হালদার পানিকে অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত করছে। এতে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ, ডলফিনসহ মিঠাপানির সকল মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। হালদাকে বাঁচাতে না পারলে মৎস্য খাতে আমাদের বিশাল ক্ষতি হবে।’
উপজেলা কৃষি ও মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রথমে হালদা নদীর উজান খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গোরখানা, কালাপানি, ছদরখীল, তুলাবিল, বড়বিল, যোগ্যাছোলা, গ্যাসফিল্ড, দক্ষিণ কালাপানি, দশবিল, ডাইনছড়ি, সালদা, বাটনাতলী এলাকায় শত শত হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়।
এ সময় এলাকার প্রান্তিক কৃষকদের বেশির ভাগ তামাক চাষ নির্ভর হয়ে পড়ে। স্কুল-মাদ্রাসা ঘেঁষে তামাক চাষ, অবাধে গাছ কেটে চুল্লিতে তামাক পোড়ানো এবং তামাক পাতা থেকে নির্গত পানি হালদায় মিশে মিঠা পানির মাছের অবাধ বিচরণ বাধাগ্রস্ত হয়। তখন সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারে তামাকের বিকল্প চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে এগিয়ে আসে প্রশাসন। ধীরে ধীরে কমতে থাকে তামাক চাষ। বিকল্প চাষাবাদে এগিয়ে আসে ৭০-৮০ শতাংশ কৃষক। কিন্তু অবশিষ্ট ২০-৩০ শতাংশ কৃষক অতিমুনাফার লোভে তামাক কোম্পানির প্রলোভনে তামাক চাষ অব্যাহত রাখে। চলতি মৌসুমেও ২০ একর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। একেবারে হালদা নদী ও এর উপশাখা ঘেঁষে লাগানো তামাক এখন দৃশ্যমান।
হালদার উৎপত্তি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়ন হাসুকপাড়া এলাকার হালদাচড়ায়। দীর্ঘ ৯৮ কিলোমিটার বয়ে চট্টগ্রাম শহরের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় গিয়ে মিশেছে। মানিকছড়ি উপজেলার সদর থেকে ৫-৬ কিলোমিটার পশ্চিমে হালদা নদীর উজান ও শাখাপ্রশাখার চরে সবুজ শাকসবজি চাষ হলেও কিছু কৃষক অধিক লোভে তামাক কোম্পানি থেকে অগ্রিম বীজ, সার, কীটনাশক নিয়ে বিষাক্ত তামাক চাষ করছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হালদার উজান গোরখানা, ছদরখীল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হালদা নদীঘেঁষা জমিতে তামাকের চারা মাথা উঁচু করে বেড়ে উঠছে। গোরখানায় ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে তামাক চাষ করেছেন আছারতলীর চাষি মো. আবদুল মতিন। সবজি না করে তামাক চাষ কেন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হালদা খাল চরের মাটির উর্বরতা শক্তি কমায় শাকসবজি চাষে লোকসান গুনতে হয়। অতিরিক্ত রাসায়নিক সারে তামাক ভালো হয়। তামাক চাষের প্রয়োজনীয় সব সার, ওষুধ তামাক কোম্পানি আমাদের অগ্রিম দিয়ে সহযোগিতা করে। এতে পুঁজি নিয়ে চাষিকে টেনশন করতে হয় না। গত বছর প্রতি কেজি শুকনা তামাকপাতা ভালোমন্দ হিসেবে ১৮০-২১৬ টাকা দরে দিয়েছে কোম্পানি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা নদী আমাদের অমূল্য সম্পদ। এই নদীর উজানে এক দশক আগে যে হারে তামাক চাষ করা হতো, এখন তা একেবারে নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। আগের তামাকচাষিদের তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সম্পৃক্ত করতে কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ ও আইডিএফ যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছে। শাকসবজি চাষাবাদে জৈব সারের ওপর জোর দেওয়া এবং সরকারি প্রণোদনায় হালদাপাড়ের কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে তামাক নির্মূলে কাজ চলছে। জনসচেতনতা বাড়লে তামাক নির্মূল সহজ হয়। এই জন্য জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসা উচিত।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘তামাক চাষের ফলে ব্যবহৃত কীটনাশক ও তামাকের নির্যাস হালদা নদীর পানিতে মেশায় মাছের প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষেত্র ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানিকছড়ি মৎস্য অফিস এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে হালদাপাড়সংশ্লিষ্ট এলাকায় তামাকের বিকল্প চাষাবাদ যেমন পুকুরে উন্নত জাতের মাছ চাষে উৎসাহ দিচ্ছে। সরকারি পোনা বিতরণেও ওখানকার লোকজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছে। আগে হালদাপাড়ে তামাক চাষ বেশি হলেও এখন কমে আসছে। এবার ১১ জন চাষি ২০ একর জায়গায় তামাক লাগিয়েছেন। আশা করছি, ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে।’
আব্দুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ আবার তামাক চাষে জড়িয়ে পড়ছেন। হালদায় চলছে বেপরোয়া বালু উত্তোলনও।
হালদা নদীর উজানে তামাক চাষে উদ্বেগ জানিয়ে চট্টগ্রামের হালদা রিসার্চ সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা হেরিটেজ আইনে হালদা অববাহিকায় তামাক নিষিদ্ধ সত্ত্বেও সম্প্রতি কিছু পরিবেশ বিনষ্টকারী মানুষের অজ্ঞতায় এবং তামাক কোম্পানির প্ররোচনায় তামাক চাষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার তামাক চাষ বিষয়ে আইনে আরও কঠোরতা আনতে যাচ্ছে। তামাক চাষ বিষয়ে ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। হালদা রক্ষায় প্রশাসন আরও কঠোর হবে।
হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া আরও বলেন, ‘হালদার উজানে তামাক চাষের ফলে তামাকের নিজস্ব বিষাক্ততা ও তামাক চাষে অত্যধিক মাত্রায় ব্যবহৃত কীটনাশক, রাসায়নিক সার হালদার পানিকে অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত করছে। এতে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ, ডলফিনসহ মিঠাপানির সকল মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। হালদাকে বাঁচাতে না পারলে মৎস্য খাতে আমাদের বিশাল ক্ষতি হবে।’
উপজেলা কৃষি ও মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রথমে হালদা নদীর উজান খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গোরখানা, কালাপানি, ছদরখীল, তুলাবিল, বড়বিল, যোগ্যাছোলা, গ্যাসফিল্ড, দক্ষিণ কালাপানি, দশবিল, ডাইনছড়ি, সালদা, বাটনাতলী এলাকায় শত শত হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়।
এ সময় এলাকার প্রান্তিক কৃষকদের বেশির ভাগ তামাক চাষ নির্ভর হয়ে পড়ে। স্কুল-মাদ্রাসা ঘেঁষে তামাক চাষ, অবাধে গাছ কেটে চুল্লিতে তামাক পোড়ানো এবং তামাক পাতা থেকে নির্গত পানি হালদায় মিশে মিঠা পানির মাছের অবাধ বিচরণ বাধাগ্রস্ত হয়। তখন সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারে তামাকের বিকল্প চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে এগিয়ে আসে প্রশাসন। ধীরে ধীরে কমতে থাকে তামাক চাষ। বিকল্প চাষাবাদে এগিয়ে আসে ৭০-৮০ শতাংশ কৃষক। কিন্তু অবশিষ্ট ২০-৩০ শতাংশ কৃষক অতিমুনাফার লোভে তামাক কোম্পানির প্রলোভনে তামাক চাষ অব্যাহত রাখে। চলতি মৌসুমেও ২০ একর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। একেবারে হালদা নদী ও এর উপশাখা ঘেঁষে লাগানো তামাক এখন দৃশ্যমান।
হালদার উৎপত্তি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়ন হাসুকপাড়া এলাকার হালদাচড়ায়। দীর্ঘ ৯৮ কিলোমিটার বয়ে চট্টগ্রাম শহরের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় গিয়ে মিশেছে। মানিকছড়ি উপজেলার সদর থেকে ৫-৬ কিলোমিটার পশ্চিমে হালদা নদীর উজান ও শাখাপ্রশাখার চরে সবুজ শাকসবজি চাষ হলেও কিছু কৃষক অধিক লোভে তামাক কোম্পানি থেকে অগ্রিম বীজ, সার, কীটনাশক নিয়ে বিষাক্ত তামাক চাষ করছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হালদার উজান গোরখানা, ছদরখীল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হালদা নদীঘেঁষা জমিতে তামাকের চারা মাথা উঁচু করে বেড়ে উঠছে। গোরখানায় ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে তামাক চাষ করেছেন আছারতলীর চাষি মো. আবদুল মতিন। সবজি না করে তামাক চাষ কেন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হালদা খাল চরের মাটির উর্বরতা শক্তি কমায় শাকসবজি চাষে লোকসান গুনতে হয়। অতিরিক্ত রাসায়নিক সারে তামাক ভালো হয়। তামাক চাষের প্রয়োজনীয় সব সার, ওষুধ তামাক কোম্পানি আমাদের অগ্রিম দিয়ে সহযোগিতা করে। এতে পুঁজি নিয়ে চাষিকে টেনশন করতে হয় না। গত বছর প্রতি কেজি শুকনা তামাকপাতা ভালোমন্দ হিসেবে ১৮০-২১৬ টাকা দরে দিয়েছে কোম্পানি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা নদী আমাদের অমূল্য সম্পদ। এই নদীর উজানে এক দশক আগে যে হারে তামাক চাষ করা হতো, এখন তা একেবারে নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। আগের তামাকচাষিদের তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সম্পৃক্ত করতে কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ ও আইডিএফ যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছে। শাকসবজি চাষাবাদে জৈব সারের ওপর জোর দেওয়া এবং সরকারি প্রণোদনায় হালদাপাড়ের কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে তামাক নির্মূলে কাজ চলছে। জনসচেতনতা বাড়লে তামাক নির্মূল সহজ হয়। এই জন্য জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসা উচিত।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘তামাক চাষের ফলে ব্যবহৃত কীটনাশক ও তামাকের নির্যাস হালদা নদীর পানিতে মেশায় মাছের প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষেত্র ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানিকছড়ি মৎস্য অফিস এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে হালদাপাড়সংশ্লিষ্ট এলাকায় তামাকের বিকল্প চাষাবাদ যেমন পুকুরে উন্নত জাতের মাছ চাষে উৎসাহ দিচ্ছে। সরকারি পোনা বিতরণেও ওখানকার লোকজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছে। আগে হালদাপাড়ে তামাক চাষ বেশি হলেও এখন কমে আসছে। এবার ১১ জন চাষি ২০ একর জায়গায় তামাক লাগিয়েছেন। আশা করছি, ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে।’

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ আবার তামাক চাষে জড়িয়ে পড়ছেন। হালদায় চলছে বেপরোয়া বালু উত্তোলনও।
হালদা নদীর উজানে তামাক চাষে উদ্বেগ জানিয়ে চট্টগ্রামের হালদা রিসার্চ সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা হেরিটেজ আইনে হালদা অববাহিকায় তামাক নিষিদ্ধ সত্ত্বেও সম্প্রতি কিছু পরিবেশ বিনষ্টকারী মানুষের অজ্ঞতায় এবং তামাক কোম্পানির প্ররোচনায় তামাক চাষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার তামাক চাষ বিষয়ে আইনে আরও কঠোরতা আনতে যাচ্ছে। তামাক চাষ বিষয়ে ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। হালদা রক্ষায় প্রশাসন আরও কঠোর হবে।
হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া আরও বলেন, ‘হালদার উজানে তামাক চাষের ফলে তামাকের নিজস্ব বিষাক্ততা ও তামাক চাষে অত্যধিক মাত্রায় ব্যবহৃত কীটনাশক, রাসায়নিক সার হালদার পানিকে অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত করছে। এতে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ, ডলফিনসহ মিঠাপানির সকল মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। হালদাকে বাঁচাতে না পারলে মৎস্য খাতে আমাদের বিশাল ক্ষতি হবে।’
উপজেলা কৃষি ও মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রথমে হালদা নদীর উজান খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গোরখানা, কালাপানি, ছদরখীল, তুলাবিল, বড়বিল, যোগ্যাছোলা, গ্যাসফিল্ড, দক্ষিণ কালাপানি, দশবিল, ডাইনছড়ি, সালদা, বাটনাতলী এলাকায় শত শত হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়।
এ সময় এলাকার প্রান্তিক কৃষকদের বেশির ভাগ তামাক চাষ নির্ভর হয়ে পড়ে। স্কুল-মাদ্রাসা ঘেঁষে তামাক চাষ, অবাধে গাছ কেটে চুল্লিতে তামাক পোড়ানো এবং তামাক পাতা থেকে নির্গত পানি হালদায় মিশে মিঠা পানির মাছের অবাধ বিচরণ বাধাগ্রস্ত হয়। তখন সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারে তামাকের বিকল্প চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে এগিয়ে আসে প্রশাসন। ধীরে ধীরে কমতে থাকে তামাক চাষ। বিকল্প চাষাবাদে এগিয়ে আসে ৭০-৮০ শতাংশ কৃষক। কিন্তু অবশিষ্ট ২০-৩০ শতাংশ কৃষক অতিমুনাফার লোভে তামাক কোম্পানির প্রলোভনে তামাক চাষ অব্যাহত রাখে। চলতি মৌসুমেও ২০ একর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। একেবারে হালদা নদী ও এর উপশাখা ঘেঁষে লাগানো তামাক এখন দৃশ্যমান।
হালদার উৎপত্তি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়ন হাসুকপাড়া এলাকার হালদাচড়ায়। দীর্ঘ ৯৮ কিলোমিটার বয়ে চট্টগ্রাম শহরের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় গিয়ে মিশেছে। মানিকছড়ি উপজেলার সদর থেকে ৫-৬ কিলোমিটার পশ্চিমে হালদা নদীর উজান ও শাখাপ্রশাখার চরে সবুজ শাকসবজি চাষ হলেও কিছু কৃষক অধিক লোভে তামাক কোম্পানি থেকে অগ্রিম বীজ, সার, কীটনাশক নিয়ে বিষাক্ত তামাক চাষ করছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হালদার উজান গোরখানা, ছদরখীল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হালদা নদীঘেঁষা জমিতে তামাকের চারা মাথা উঁচু করে বেড়ে উঠছে। গোরখানায় ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে তামাক চাষ করেছেন আছারতলীর চাষি মো. আবদুল মতিন। সবজি না করে তামাক চাষ কেন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হালদা খাল চরের মাটির উর্বরতা শক্তি কমায় শাকসবজি চাষে লোকসান গুনতে হয়। অতিরিক্ত রাসায়নিক সারে তামাক ভালো হয়। তামাক চাষের প্রয়োজনীয় সব সার, ওষুধ তামাক কোম্পানি আমাদের অগ্রিম দিয়ে সহযোগিতা করে। এতে পুঁজি নিয়ে চাষিকে টেনশন করতে হয় না। গত বছর প্রতি কেজি শুকনা তামাকপাতা ভালোমন্দ হিসেবে ১৮০-২১৬ টাকা দরে দিয়েছে কোম্পানি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা নদী আমাদের অমূল্য সম্পদ। এই নদীর উজানে এক দশক আগে যে হারে তামাক চাষ করা হতো, এখন তা একেবারে নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। আগের তামাকচাষিদের তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সম্পৃক্ত করতে কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ ও আইডিএফ যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছে। শাকসবজি চাষাবাদে জৈব সারের ওপর জোর দেওয়া এবং সরকারি প্রণোদনায় হালদাপাড়ের কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে তামাক নির্মূলে কাজ চলছে। জনসচেতনতা বাড়লে তামাক নির্মূল সহজ হয়। এই জন্য জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসা উচিত।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘তামাক চাষের ফলে ব্যবহৃত কীটনাশক ও তামাকের নির্যাস হালদা নদীর পানিতে মেশায় মাছের প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষেত্র ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানিকছড়ি মৎস্য অফিস এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে হালদাপাড়সংশ্লিষ্ট এলাকায় তামাকের বিকল্প চাষাবাদ যেমন পুকুরে উন্নত জাতের মাছ চাষে উৎসাহ দিচ্ছে। সরকারি পোনা বিতরণেও ওখানকার লোকজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছে। আগে হালদাপাড়ে তামাক চাষ বেশি হলেও এখন কমে আসছে। এবার ১১ জন চাষি ২০ একর জায়গায় তামাক লাগিয়েছেন। আশা করছি, ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
১০ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। নৌ পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সদরঘাট থেকে ভোলাগামী ‘বোগদাদীয়া-১৩’ লঞ্চটি ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা অংশে পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটিকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী শেখ সাদ্দাম বলেন, ‘নদীপারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেছি।’

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। নৌ পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সদরঘাট থেকে ভোলাগামী ‘বোগদাদীয়া-১৩’ লঞ্চটি ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা অংশে পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটিকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী শেখ সাদ্দাম বলেন, ‘নদীপারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেছি।’

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রাইভেট কারটির মালিক শিমুল জানান, পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরদী থেকে রাতে গাড়ির জ্বালানি গ্যাস নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মনিপার্ক এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন ডাকাত গাড়িটি লক্ষ্য করে তাড়া করে। অস্ত্রের মুখে তারা গাড়িতে থাকা ৩২ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় চালক হিমেলকে মারধর করা হয়।
ডাকাতির ঘটনা প্রাইভেট কারে থাকা বাপ্পি নামের এক যাত্রী ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। শিমুল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় লিখিত অভিযোগ ও মামলা করা হবে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, থানায় এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রাইভেট কারটির মালিক শিমুল জানান, পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরদী থেকে রাতে গাড়ির জ্বালানি গ্যাস নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মনিপার্ক এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন ডাকাত গাড়িটি লক্ষ্য করে তাড়া করে। অস্ত্রের মুখে তারা গাড়িতে থাকা ৩২ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় চালক হিমেলকে মারধর করা হয়।
ডাকাতির ঘটনা প্রাইভেট কারে থাকা বাপ্পি নামের এক যাত্রী ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। শিমুল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় লিখিত অভিযোগ ও মামলা করা হবে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, থানায় এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
১০ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১ ঘণ্টা আগেপটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় আগুনে গুদামসহ সাতটি দোকান পুড়ে গেছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দোকানগুলোর নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকিব জাবেদ বলেন, মনু বেকারিতে গ্যাস সংযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তা না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় আগুনে গুদামসহ সাতটি দোকান পুড়ে গেছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দোকানগুলোর নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকিব জাবেদ বলেন, মনু বেকারিতে গ্যাস সংযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তা না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
১০ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১ ঘণ্টা আগেপীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
১০ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে