Ajker Patrika

বন্দরের এনসিটি ও লালদিয়ারচর ইজারার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে হরতাল-অবরোধ: স্কপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) গণ-অনশন কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) গণ-অনশন কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ও লালদিয়ারচর টার্মিনাল ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে হরতাল, অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) গণ-অনশন কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্কপ কেন্দ্রীয় নেতা ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

কর্মসূচি চলাকালে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ও আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এনসিটি বর্তমানে দেশের সবচেয়ে সফল কনটেইনার টার্মিনাল। অথচ এটিকে বিদেশি কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে তুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থবিরোধী ও আত্মঘাতী। এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি) চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্ত বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে নেওয়া এই একতরফা সিদ্ধান্ত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বহাল রেখেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের কৌশলগত সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার এই চক্রান্ত জনগণ কখনোই মেনে নেবে না। সরকারকে অবশ্যই এনসিটি ও লালদিয়ারচর ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে, অন্যথায় হরতাল, অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে চট্টগ্রাম অচল করে দেওয়া হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, ‘রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো জনগণের সম্পদ রক্ষা করা, বিক্রি বা ইজারা দেওয়া নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। একই সঙ্গে বন্দর শ্রমিকদের হয়রানি ও অযৌক্তিক কারণ দর্শানো নোটিশের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’

বক্তারা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাম্প্রতিক গণবিজ্ঞপ্তিতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেন, প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা বা পুলিশি বাধা দিয়ে কোনো ন্যায্য আন্দোলনকে দমন করা যায়নি, এবারও যাবে না। শ্রমিকেরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁদের অধিকার আদায়ে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে।

সরকার যদি অবিলম্বে এনসিটি ও লালদিয়ারচর ইজারা বাতিলের ঘোষণা না দেয়, তবে সার্বিক কর্মবিরতি, চট্টগ্রামে হরতাল ও বন্দর অবরোধসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

টিইউসির কেন্দ্রীয় সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টুর সঞ্চালনায় অনশনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহ আলম, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এস কে খোদা তোতন, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের খোরশেদুল আলম, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল উদ্দিন, ডক শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন সেলিম, বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতা আল কাদেরী জয়, গণমুক্তি ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি রাজা মিয়া, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর শাখার সভাপতি মিরাজ উদ্দিন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন জেলা আহ্বায়ক জাহেদুন্নবী কনক, টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মছিউদ্দৌলা, স্কপের যুগ্ম আহ্বায়ক রিজোয়ানুর রহমান খান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন কবির, বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি নুরুল আবসার তৌহিদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডেমরায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল, সাবেক এমপি ও কাউন্সিলরসহ ১৪ জনের নামে মামলা

শ্যামপুর-কদমতলী প্রতিনিধি 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানারে রাজধানীর ডেমরায় মিছিল করার অভিযোগে ঢাকা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মশিউর রহমান মোল্লা সজলসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের ৩০-৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে ডেমরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেছে পুলিশ। এর আগে ওই দিন সকাল পৌনে ৭টার দিকে মিছিলটি বের করা হয়। '

মামলায় নামীয় আসামিরা হলেন ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আকরামুল ইসলাম সাগর, ঢাকা-৫-এর সাবেক সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আতিকুর রহমান আতিক, ছাত্রলীগের মো. মোনায়েম, রাকিবুল হাসান শাওন, রাজু আহমেদ রতন, আল আমিন, জহিরুল ইসলাম, মহিবুর রহমান রনি ভূঁইয়া, এনামুল হক তায়িফ, মো. মাহিন খান, ফয়সাল ও শান্ত।

ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সদস্যরা রাষ্ট্রবিরোধী মিছিল বের করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে মিছিলকারীরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে আসামিদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর: ইসি আনোয়ারুল ইসলাম

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে জেলার কুয়াকাটায় অবস্থিত কোডেক প্রশিক্ষণকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান নির্বাচনী আইনে (আরপিও) সংশোধন আনা হয়েছে। এখন রিটার্নিং কর্মকর্তারা চাইলে তাঁদের দায়িত্বপ্রাপ্ত আসনে ভোট গ্রহণ স্থগিত করতে পারবেন।

বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপপ্রধান মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আ.লীগ-জাপাকে ভোটের বাইরে রাখলে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারে: শামীম পাটোয়ারী

রংপুর প্রতিনিধি
শনিবার বিকেলে রংপুরে জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাপা মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। ছবি: আজকের পত্রিকা
শনিবার বিকেলে রংপুরে জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাপা মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা গেছে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টি, জাসদ, আওয়ামী লীগ—এরা ৫০ ভাগ বা কমবেশি ভোট পেয়েছে। এখন সেটি কমবেশি হতে পারে। এই বিপুলসংখ্যক লোককে প্রক্রিয়ার বাইরে রাখলে, ভোটের বাইরে রাখলে, সংস্কারের বাইরে রাখলে, ভবিষ্যতে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটতে পারে।’

শনিবার বিকেলে রংপুরে জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশের আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

একই সঙ্গে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘জাতীয় পার্টি খুব দ্রুত দেশের জন্য দফাওয়ারি প্রস্তাব নিয়ে আসবে; যার মাধ্যমে দেশের মুক্তির চেতনা থাকবে, মুক্তির আলো থাকবে, নতুন বাংলাদেশ গড়ার দিকনির্দেশনা থাকবে।’

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘ভবিতব্য গৃহযুদ্ধকে ঠেকানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সকল দলের সঙ্গে ন্যাশনাল ডায়ালগ ওপেন করা খুব দ্রুত। জাতীয় সংলাপ জাতীয় ঐকমত্য করবে। সকলের সাথে সংলাপ, সকলকে নিয়ে ঐকমত্য। এ ছাড়া আমরা মনে করি, দেশ একটি দীর্ঘমেয়াদি দ্বন্দ্বের ফাঁদে পড়ে যাবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু দল ইতিমধ্যে ঐকমত্য কমিশনে গিয়ে বা স্বাক্ষর করে একধরনের ফাঁদে পড়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সকলের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। আজকে কিছু রাজনৈতিক দল বলছে, ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে। প্রতারক, প্রতারণা শব্দটি উচ্চারিত হচ্ছে। আমরা তো এই ঐকমত্য চাইনি।’

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘গত বছর যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছে, যারা জীবন দিয়েছে, যাদের অঙ্গহানি হয়েছে, তারা একটা ঐকমত্যের বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছে। এক ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছে। একটা বাদ দেওয়ার বাংলাদেশ গড়তে চায়নি।’

তিনি বলেন, ‘একটা বাদ দেওয়ার বাংলাদেশে আবার গণ-অভ্যুত্থান হবে, আবার বিপ্লব হবে, আবার আন্দোলন হবে, দেশের অর্থনীতি আস্তে আস্তে ধ্বংস হয়ে যাবে। বাংলাদেশ একটা স্যাটেলাইট কান্ট্রি হয়ে যাবে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের মাৎসন্যায় চলবে। কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ থাকবে না, কোনো কেন্দ্রীয় সরকার থাকবে না, কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থা থাকবে না। যেটার কিছু নিদর্শন আমরা ইতিমধ্যেই দেখছি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন হচ্ছে, জনদুর্ভোগ বাড়ছে। আমরা এই অবস্থার উত্তরণ চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বন্দরের ভেতরে ধূমপানের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে ধূমপান করার কারণে মিন্টু বিশ্বাস নামে এক জেটি সরকারের প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত ২৩ অক্টোবর জরিমানার ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের আদেশ দেন চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল জহিরুল ইসলাম। মিন্টু বিশ্বাসের জরিমানা কমানোর দরখাস্তের বরাতে গতকাল শুক্রবার এ খবর জানাজানি হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান মেসার্স এইচ টি এম এন্টারপ্রাইজ (প্রাইভেট) লিমিটেডের জেটি সরকার মিন্টু বিশ্বাস। গত ২২ অক্টোবর বন্দরের ফায়ার ব্রিগেড পরিদর্শক ও বন্দরের একটি দল মিন্টু বিশ্বাসকে বন্দরের ভেতরে ধূমপানরত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে উভয় পক্ষের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) বন্দরের অভ্যন্তরে ধূমপান করার অপরাধে জেটি সরকার মিন্টু বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এইচ টি এম এন্টারপ্রাইজ (প্রাইভেট) লিমিটেডকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। গত ২৩ অক্টোবর জরিমানার ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের জন্য পাঁচ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধূমপানের কারণে এই জরিমানা করা হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।

এ বিষয়ে জেটি সরকার মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি অপরাধ করছি। আমার জরিমানা হতে পারে। আমার প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা অন্যায়। বিষয়টি নিয়ে আমি ক্ষমা চেয়েছি এবং জরিমানা কমানোর জন্য দরখাস্ত করেছি।’

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার জানান, একজনের অপরাধে অন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া যাবে না। যিনি অপরাধ করবেন তাঁকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। এটাই নিয়ম, এটাই আইনের বিধান।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল জহিরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর যেহেতু একটি কেপিআইভুক্ত বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সেহেতু বন্দরের অভ্যন্তরে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই এখানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখানে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার পাশাপাশি জেল দেওয়ার বিধান রয়েছে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টে অ্যাসোসিয়েশন থেকে সদস্যদের মাঝে বন্দরের অভ্যন্তরে দাহ্য পদার্থ বহন না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর প্রচারিত পত্রে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টে অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক মো. শওকত আলী সিঅ্যান্ডএফ মালিক ও প্রতিনিধিদের বন্দরে প্রবেশের সময় সিগারেট লাইটার ও অন্য কোনো দাহ্য বহন না করার জন্য অনুরোধ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত