নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে নিজের মেয়ের পা আগুনে পুড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করে রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তিতে নামানোর অভিযোগ উঠছে হোসনে আরা বেগম (৩৮) নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। ওই নারীর মেয়েকে অপহরণের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির ঘটনা উঠে আসে বলে জানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আজ সোমবার পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে রোববার দিবাগত রাতে নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন বদনাশাহ মাজার এলাকা থেকে হোসনে আরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি রাঙামাটি জেলা সদরের মৃত আব্দুল খালেকের মেয়ে।
পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, গত বছর ২৭ এপ্রিল হোসনে আরা বেগম তাঁর ১১ বছর বয়সী মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ সময় আদালত মামলাটি অনুসন্ধানের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেন। পরে পিবিআই মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
এ সময় ভুক্তভোগী মেয়েটির আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে উঠে আসে—সে বদনাশাহ মাজারের সামনে ভিক্ষা করত। তার মা হোসনে আরা বেগম পলিথিন দিয়ে তার পা পুড়ে দিতেন। সেই পোড়া পা দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে ভিক্ষা করে টাকা সংগ্রহ করত। ভুক্তভোগী মেয়েটির ছোট ভাই এক দুর্ঘটনা পা ভেঙে যায়। তার চিকিৎসায় টাকার প্রয়োজন হওয়ায় রাশেদ ও লিমু নামে দুজন তার মাকে আর্থিক সহায়তা করেন। পরে রাশেদ ও লিমুর বাসায় তাকে গৃহকর্মী হিসেবে নিয়ে যান।
নাইমা সুলতানা বলেন, ‘পিবিআইয়ের অনুসন্ধানে পাওয়া যায় টাকা আদায়ের উদ্দেশে রাশেদ, লিমুসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে অপহরণের মিথ্যা মামলা করেন হোসনে আরা বেগম। এ ঘটনায় আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।’
এদিকে আদালত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে মেয়েটিকে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়ানোর অভিযোগে হোসনে আরা বেগমকে আসামি করে মামলা নেওয়ার জন্য পাঁচলাইশ থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেন। পরে গত বছর ১৯ নভেম্বর পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তদন্তভারও পিবিআইয়ের ওপরে পড়ে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোসনে আরাকে পিবিআই গ্রেপ্তার করে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মর্জিনা আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি হোসনে আরা ধূর্ত প্রকৃতির। তিনি তাঁর গর্ভজাত সন্তানের পা আগুনে পুড়িয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামাতেন। সন্তানকে দিয়ে ভিক্ষা করানোর মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে তিনি জুয়া খেলতেন। সোমবার গ্রেপ্তার হোসনে আরাকে চট্টগ্রাম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
চট্টগ্রামে নিজের মেয়ের পা আগুনে পুড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করে রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তিতে নামানোর অভিযোগ উঠছে হোসনে আরা বেগম (৩৮) নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। ওই নারীর মেয়েকে অপহরণের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির ঘটনা উঠে আসে বলে জানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আজ সোমবার পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে রোববার দিবাগত রাতে নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন বদনাশাহ মাজার এলাকা থেকে হোসনে আরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি রাঙামাটি জেলা সদরের মৃত আব্দুল খালেকের মেয়ে।
পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, গত বছর ২৭ এপ্রিল হোসনে আরা বেগম তাঁর ১১ বছর বয়সী মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ সময় আদালত মামলাটি অনুসন্ধানের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেন। পরে পিবিআই মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
এ সময় ভুক্তভোগী মেয়েটির আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে উঠে আসে—সে বদনাশাহ মাজারের সামনে ভিক্ষা করত। তার মা হোসনে আরা বেগম পলিথিন দিয়ে তার পা পুড়ে দিতেন। সেই পোড়া পা দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে ভিক্ষা করে টাকা সংগ্রহ করত। ভুক্তভোগী মেয়েটির ছোট ভাই এক দুর্ঘটনা পা ভেঙে যায়। তার চিকিৎসায় টাকার প্রয়োজন হওয়ায় রাশেদ ও লিমু নামে দুজন তার মাকে আর্থিক সহায়তা করেন। পরে রাশেদ ও লিমুর বাসায় তাকে গৃহকর্মী হিসেবে নিয়ে যান।
নাইমা সুলতানা বলেন, ‘পিবিআইয়ের অনুসন্ধানে পাওয়া যায় টাকা আদায়ের উদ্দেশে রাশেদ, লিমুসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে অপহরণের মিথ্যা মামলা করেন হোসনে আরা বেগম। এ ঘটনায় আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।’
এদিকে আদালত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে মেয়েটিকে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়ানোর অভিযোগে হোসনে আরা বেগমকে আসামি করে মামলা নেওয়ার জন্য পাঁচলাইশ থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেন। পরে গত বছর ১৯ নভেম্বর পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তদন্তভারও পিবিআইয়ের ওপরে পড়ে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোসনে আরাকে পিবিআই গ্রেপ্তার করে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মর্জিনা আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি হোসনে আরা ধূর্ত প্রকৃতির। তিনি তাঁর গর্ভজাত সন্তানের পা আগুনে পুড়িয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামাতেন। সন্তানকে দিয়ে ভিক্ষা করানোর মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে তিনি জুয়া খেলতেন। সোমবার গ্রেপ্তার হোসনে আরাকে চট্টগ্রাম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মো. ইস্রাফিল (৩৯) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
৬ মিনিট আগেজামালপুরের বকশীগঞ্জে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে (এনসিপি) আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ ...
৯ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গৃহবধূ ফাতেমা আক্তারকে (২৬) পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে শাশুড়ি সাজেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৭ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার গভীর রাত থেকে ভোররাতের কোনো একসময় উপজেলার মাওনা দক্ষিণপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ মিনিট আগে