Ajker Patrika

জামিন পেয়েই বিমানে চড়ে ঢাকায় বাবুল আক্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯: ২৫
বিমানবন্দরে বাবুল আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
বিমানবন্দরে বাবুল আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

সাড়ে তিন বছর কারাভোগের পর সাবেক এসপি বাবুল আক্তার কারামুক্ত হন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে তিনি সোজা চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে যান। কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পরপরই তাঁর জন্য বিমানের টিকিট কেনা হয়। রাত ৮টার ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছে তাঁর ইস্কাটনের বাসায় চলে যান।

বাবুলের ছোট ভাই অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান গতকাল রাতে আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানান।

চট্টগ্রাম কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহিম বলেন, বাবুল আক্তারের জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল বুধবার বিকেলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ১২ মে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হন বাবুল আক্তার। এরপর থেকে কারাগারে ছিলেন তিনি।

দীর্ঘ এই সময়ে বেশ কয়েকবার জামিন আবেদন করলেও আদালত বারবার নামঞ্জুর করেন। সর্বশেষ গত ২৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেন। এরপর ১ ডিসেম্বর বাবুল আক্তারের জামিনের আদেশ বিচারিক আদালত, অর্থাৎ তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে জমা দেওয়া হয়। ওই দিন বিকেলে জামিনের আদেশ কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু জামিন স্থগিতের আবেদন করা হবে বলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।

বিমানবন্দরে বাবুল আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
বিমানবন্দরে বাবুল আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

পরে জানা যায় বাবুল আক্তারের জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন তাঁর শ্বশুর, অর্থাৎ মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। গতকাল বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বাবুল আক্তারের জামিন বহাল রাখেন। চেম্বার আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। মিতুর বাবার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান।

শুনানি শেষে বাবুল আক্তারের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত। ফলে বাবুল আক্তারের মুক্তিতে আর আইনগত বাধা নেই।

এ বিষয়ে বাবুল আক্তারের চট্টগ্রামের আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, বাবুল আক্তারের মুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা আগেও ছিল না। রোববারই তাঁকে জামিন দেওয়া যেত। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ অকারণে বিলম্ব করেছে, যেটি দণ্ডবিধি আইনের ৩৪২ ধারায় অপরাধ। আমরা এটি নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে আইনগত নোটিশ দিয়েছি। এখন বাবুল আক্তারের পরিবারের কেউ যদি চায়, সে ক্ষেত্রে আমরা আদালতে কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করব।

তথ্যমতে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তবে মামলাটিতে পরে বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। ফলে ২০২১ সালের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়। দ্বিতীয় মামলার বাদী হন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওই দিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে ছিলেন বাবুল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত