চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা দিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুজনকে বহিষ্কার করেছে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি করছে দলটি।
আজ সোমবার রাতে জেলা ও উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বহিষ্কৃত দুই ব্যক্তিকে সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন—উপজেলা বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামের মৃত আবদুল বারিকের ছেলে মো. আবুল হাশেম ও মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে মো. ওহিদুর রহমান।
দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মু. শাহাজাহান ও সেক্রেটারি ড. সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মু. মাহফুজুর রহমান ও সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, বিভিন্ন পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি জামায়াতের দৃষ্টি গোচর হয়। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি।
মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জামায়াতে ইসলামী শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা নয়, দেশের সাধারণ কোনো নাগরিককেও হেনস্তার সমর্থন করে না। এটা একটি দুঃখজনক ঘটনা। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করার জন্য জামায়াত নেতৃবৃন্দ জোর দাবি জানান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা জামায়াতের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী নয়। জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া তারা কোনোভাবে সমর্থন করে না এবং প্রশ্রয় দেয় না।

জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমরা খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, লাঞ্ছিত হওয়া আবদুল হাই কানু তাঁর নিজ এলাকায় হত্যাসহ ৯টি মামলার আসামি। আমরা মনে করি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
‘একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তাদের জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

বিএনপির বিক্ষোভ
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত ও এলাকা ছাড়া করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি। আজ রাতে বিএনপির কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রদক্ষিণ করে।
পরে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমরা কোনো দুষ্কৃতকারী এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রতিবাদ করছি না। আমাদের প্রতিবাদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যারা অপমান করেছে, তাদের বিরুদ্ধে।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘এই মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যদি ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন না করতেন, তাহলে আমরা পেতাম না লাল-সবুজের পতাকা।’ তাঁরা দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুন নবী পাটোয়ারী নুরু, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন মামুন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মো. হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা দিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুজনকে বহিষ্কার করেছে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি করছে দলটি।
আজ সোমবার রাতে জেলা ও উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বহিষ্কৃত দুই ব্যক্তিকে সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন—উপজেলা বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামের মৃত আবদুল বারিকের ছেলে মো. আবুল হাশেম ও মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে মো. ওহিদুর রহমান।
দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মু. শাহাজাহান ও সেক্রেটারি ড. সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মু. মাহফুজুর রহমান ও সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, বিভিন্ন পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি জামায়াতের দৃষ্টি গোচর হয়। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি।
মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জামায়াতে ইসলামী শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা নয়, দেশের সাধারণ কোনো নাগরিককেও হেনস্তার সমর্থন করে না। এটা একটি দুঃখজনক ঘটনা। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করার জন্য জামায়াত নেতৃবৃন্দ জোর দাবি জানান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা জামায়াতের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী নয়। জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া তারা কোনোভাবে সমর্থন করে না এবং প্রশ্রয় দেয় না।

জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমরা খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, লাঞ্ছিত হওয়া আবদুল হাই কানু তাঁর নিজ এলাকায় হত্যাসহ ৯টি মামলার আসামি। আমরা মনে করি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
‘একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তাদের জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

বিএনপির বিক্ষোভ
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত ও এলাকা ছাড়া করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি। আজ রাতে বিএনপির কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রদক্ষিণ করে।
পরে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমরা কোনো দুষ্কৃতকারী এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রতিবাদ করছি না। আমাদের প্রতিবাদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যারা অপমান করেছে, তাদের বিরুদ্ধে।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘এই মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যদি ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন না করতেন, তাহলে আমরা পেতাম না লাল-সবুজের পতাকা।’ তাঁরা দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুন নবী পাটোয়ারী নুরু, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন মামুন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মো. হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দল সামনে এসেছে। স্থানীয় নেতারা তাঁর পাশে নেই। গত মঙ্গলবার রাতে সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা কমিটি জরুরি সভা করে মঞ্জুর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে
১ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে উপজেলা পরিষদের বরাদ্দের ছয়টি প্রকল্পে ৩৩ লক্ষাধিক টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল কাদের মুজাহিদের বিরুদ্ধে।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হেমায়েতপুর-কলাতিয়া-রোহিতপুর আঞ্চলিক সড়ক। বিশেষ করে মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরিগুলো ঢাকায় প্রবেশে বাধ্যবাধকতা থাকায় এই সড়ক দিয়ে ২৪ ঘণ্টা যান চলাচল করে।
২ ঘণ্টা আগে
সুন্দরবনে শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম। দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা ভিড় জমাচ্ছে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে। কিন্তু সম্প্রতি বাগেরহাটের মোংলায় ট্যুরিস্ট বোট উল্টে পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় নৌযানগুলোর ফিটনেস ও সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগেকাজী শামিম আহমেদ, খুলনা

খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দল সামনে এসেছে। স্থানীয় নেতারা তাঁর পাশে নেই। গত মঙ্গলবার রাতে সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা কমিটি জরুরি সভা করে মঞ্জুর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ চার বছরের বেশি সময় দলীয় কোনো পদে না থাকায় মহানগরের পাঁচটি থানা কমিটির সঙ্গে দূরত্ব রয়েছে তাঁর। সেই দূরত্ব কাটাতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে মহানগর বিএনপির ৫ থানার বর্তমান নেতারা দলীয় প্রার্থী মঞ্জুকে মেনে নিতে পারছেন না। তাই তাঁরা বৈঠকেও উপস্থিত হচ্ছেন না।
খুলনা-২ আসনে মঞ্জুকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পর গত রোববার দলীয় নীতিনির্ধারকদের প্রথম বৈঠক হয় মঞ্জুর বাসভবনে। পরদিন সোম ও মঙ্গলবার রাতে খুলনা ক্লাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রকিবুল ইসলাম বকুলের মধ্যস্থতায় বৈঠক হয়। বৈঠকে খুলনা-২ আসনের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩ (খালিশপুর, দৌলতপুর, খানজাহান আলী ও আড়ংঘাটা) আসনের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল ও খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া ও ফুলতলা) আসনের প্রার্থী আলী আসগর লবী এবং মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সাবেক নেতারা নজরুলের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
বৈঠক শেষে খুলনা-৩ আসনের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘কীভাবে খুলনা-২ এবং খুলনা-৩ আসনে নির্বাচনী কাজ করব, তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা নির্বাচন করব।’
এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে খুলনার কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সভা করেন সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা কমিটির বর্তমান নেতারা। সভায় নজরুল ইসলাম মঞ্জুর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাঁরা। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—১২ নভেম্বর বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে স্মারকলিপি পেশ। ১৩ নভেম্বর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপারসন কার্যালয় ও বিএনপি মহাসচিব এবং কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকের কাছে স্মারকলিপি পেশ।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বাবু বলেন, ‘আমরা আজ (বুধবার) রাত ১০টার পর বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের কাছে স্মারকলিপি দেব।’

খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দল সামনে এসেছে। স্থানীয় নেতারা তাঁর পাশে নেই। গত মঙ্গলবার রাতে সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা কমিটি জরুরি সভা করে মঞ্জুর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ চার বছরের বেশি সময় দলীয় কোনো পদে না থাকায় মহানগরের পাঁচটি থানা কমিটির সঙ্গে দূরত্ব রয়েছে তাঁর। সেই দূরত্ব কাটাতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে মহানগর বিএনপির ৫ থানার বর্তমান নেতারা দলীয় প্রার্থী মঞ্জুকে মেনে নিতে পারছেন না। তাই তাঁরা বৈঠকেও উপস্থিত হচ্ছেন না।
খুলনা-২ আসনে মঞ্জুকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পর গত রোববার দলীয় নীতিনির্ধারকদের প্রথম বৈঠক হয় মঞ্জুর বাসভবনে। পরদিন সোম ও মঙ্গলবার রাতে খুলনা ক্লাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রকিবুল ইসলাম বকুলের মধ্যস্থতায় বৈঠক হয়। বৈঠকে খুলনা-২ আসনের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩ (খালিশপুর, দৌলতপুর, খানজাহান আলী ও আড়ংঘাটা) আসনের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল ও খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া ও ফুলতলা) আসনের প্রার্থী আলী আসগর লবী এবং মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সাবেক নেতারা নজরুলের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
বৈঠক শেষে খুলনা-৩ আসনের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘কীভাবে খুলনা-২ এবং খুলনা-৩ আসনে নির্বাচনী কাজ করব, তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা নির্বাচন করব।’
এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে খুলনার কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সভা করেন সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা কমিটির বর্তমান নেতারা। সভায় নজরুল ইসলাম মঞ্জুর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাঁরা। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—১২ নভেম্বর বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে স্মারকলিপি পেশ। ১৩ নভেম্বর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপারসন কার্যালয় ও বিএনপি মহাসচিব এবং কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকের কাছে স্মারকলিপি পেশ।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বাবু বলেন, ‘আমরা আজ (বুধবার) রাত ১০টার পর বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের কাছে স্মারকলিপি দেব।’
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা দিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুজনকে বহিষ্কার করেছে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি করছে দলটি।
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে উপজেলা পরিষদের বরাদ্দের ছয়টি প্রকল্পে ৩৩ লক্ষাধিক টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল কাদের মুজাহিদের বিরুদ্ধে।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হেমায়েতপুর-কলাতিয়া-রোহিতপুর আঞ্চলিক সড়ক। বিশেষ করে মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরিগুলো ঢাকায় প্রবেশে বাধ্যবাধকতা থাকায় এই সড়ক দিয়ে ২৪ ঘণ্টা যান চলাচল করে।
২ ঘণ্টা আগে
সুন্দরবনে শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম। দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা ভিড় জমাচ্ছে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে। কিন্তু সম্প্রতি বাগেরহাটের মোংলায় ট্যুরিস্ট বোট উল্টে পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় নৌযানগুলোর ফিটনেস ও সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগেকমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে উপজেলা পরিষদের বরাদ্দের ছয়টি প্রকল্পে ৩৩ লক্ষাধিক টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল কাদের মুজাহিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজেই ‘ঠিকাদার’ হয়ে কাজ সম্পন্ন করেছেন এবং পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যবহার করে বিল উত্তোলন করেন। এসব কাজে তিনি মেসার্স আনাস এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স ফয়সাল অ্যান্ড ব্রাদার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করেছেন বলেও জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৬টি প্রকল্পে আরএফকিউ ও পিআইসির মাধ্যমে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুমোদন করে উপজেলা পরিষদ। প্রকল্পগুলো হলো, চরমার্টিন ইউনিয়নের বলিরপুল সড়কে ২টি কালভার্ট নির্মাণ এবং সড়ক সংস্কারের বরাদ্দ ১৩ লাখ টাকা, তোরাবগঞ্জ সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে বরাদ্দ ৬ লাখ টাকা, উপজেলা পরিষদের গেজেটেড নন-গেজেটেড কোয়ার্টার ও অন্যান্য সংস্কারে বরাদ্দ ৫ লাখ টাকা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টয়লেট সংস্কারে বরাদ্দ ৪ লাখ টাকা এবং হাজিরহাট দক্ষিণ বাজার ড্রেন সংস্কারে বরাদ্দ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব প্রকল্পেই নয়ছয় করে বেশির ভাগ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে এলাকাবাসী জানান, চরমার্টিনের বলিরপুল রাস্তা সংস্কারের ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় লাখ টাকার মাটি ভরাটের কাজ হয়েছে। আবার ওই সড়কে দুটি কালভার্টের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হলেও মাত্র একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। এদিকে তোরাবগঞ্জ সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হলেও এক থেকে দেড় লাখ টাকার কাজ হয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টয়লেট সংস্কারের নামে ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হলেও সামান্য কিছু কাজ করে বাকি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে উপজেলা পরিষদের গেজেটেড ও নন গেজেটেড কোয়ার্টার সংস্কারে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হলেও কিছু কিছু অংশে রঙের কাজ করেই শেষ। এ ছাড়াও হাজিরহাট বাজারের ড্রেন সংস্কারে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেখানো হলেও এক থেকে দেড় লাখ টাকার কাজ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
চরমার্টিন বলিরপুল এলাকার বাসিন্দা হোসেন আহমেদ বলেন, ‘এ রাস্তা বন্যার সময় ভেঙে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) সমস্যার কথা বলার পর পরিষদের অর্থায়নে বেধে দিয়েছে। তা ছাড়া মাটি তো আমি দিয়েছি। তাহলে এত টাকা লাগবে কেন?’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ঠিকাদার বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল কাদের মুজাহিদ এ উপজেলায় আসার পর থেকে নিজে অনেক কাজ করেছেন। অতীতের কোনো প্রকৌশলী এমন করেননি।
এ বিষয়ে আনাস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘এ কাজগুলো উপজেলা পরিষদ থেকে করা হয়েছে। শুধু আমাদের লাইসেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। এর বাইরে আমি কিছু জানি না।’
এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ছয়টি প্রকল্প আমি নিজেই এস্টিমেট করে দিয়েছি। আমার স্বাক্ষরে বিল উত্তোলন হওয়ার কথা। এখন শুনছি আউটসোর্সিংয়ের লোক দিয়ে বিলে স্বাক্ষর করা হয়েছে। এভাবে বিল করার কোনো নিয়ম নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল কাদের মুজাহিদ বলেন, ‘কোনো অনিয়মের সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত নই। তা ছাড়া চাকরিকে অনেক ভালোবাসি; আমার চাকরির ক্ষতি হবে, এমন কোনো কাজ করি না।’
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী একরামুল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে উপজেলা পরিষদের বরাদ্দের ছয়টি প্রকল্পে ৩৩ লক্ষাধিক টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল কাদের মুজাহিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজেই ‘ঠিকাদার’ হয়ে কাজ সম্পন্ন করেছেন এবং পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যবহার করে বিল উত্তোলন করেন। এসব কাজে তিনি মেসার্স আনাস এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স ফয়সাল অ্যান্ড ব্রাদার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করেছেন বলেও জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৬টি প্রকল্পে আরএফকিউ ও পিআইসির মাধ্যমে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুমোদন করে উপজেলা পরিষদ। প্রকল্পগুলো হলো, চরমার্টিন ইউনিয়নের বলিরপুল সড়কে ২টি কালভার্ট নির্মাণ এবং সড়ক সংস্কারের বরাদ্দ ১৩ লাখ টাকা, তোরাবগঞ্জ সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে বরাদ্দ ৬ লাখ টাকা, উপজেলা পরিষদের গেজেটেড নন-গেজেটেড কোয়ার্টার ও অন্যান্য সংস্কারে বরাদ্দ ৫ লাখ টাকা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টয়লেট সংস্কারে বরাদ্দ ৪ লাখ টাকা এবং হাজিরহাট দক্ষিণ বাজার ড্রেন সংস্কারে বরাদ্দ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব প্রকল্পেই নয়ছয় করে বেশির ভাগ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে এলাকাবাসী জানান, চরমার্টিনের বলিরপুল রাস্তা সংস্কারের ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় লাখ টাকার মাটি ভরাটের কাজ হয়েছে। আবার ওই সড়কে দুটি কালভার্টের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হলেও মাত্র একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। এদিকে তোরাবগঞ্জ সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হলেও এক থেকে দেড় লাখ টাকার কাজ হয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টয়লেট সংস্কারের নামে ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হলেও সামান্য কিছু কাজ করে বাকি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে উপজেলা পরিষদের গেজেটেড ও নন গেজেটেড কোয়ার্টার সংস্কারে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হলেও কিছু কিছু অংশে রঙের কাজ করেই শেষ। এ ছাড়াও হাজিরহাট বাজারের ড্রেন সংস্কারে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেখানো হলেও এক থেকে দেড় লাখ টাকার কাজ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
চরমার্টিন বলিরপুল এলাকার বাসিন্দা হোসেন আহমেদ বলেন, ‘এ রাস্তা বন্যার সময় ভেঙে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) সমস্যার কথা বলার পর পরিষদের অর্থায়নে বেধে দিয়েছে। তা ছাড়া মাটি তো আমি দিয়েছি। তাহলে এত টাকা লাগবে কেন?’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ঠিকাদার বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল কাদের মুজাহিদ এ উপজেলায় আসার পর থেকে নিজে অনেক কাজ করেছেন। অতীতের কোনো প্রকৌশলী এমন করেননি।
এ বিষয়ে আনাস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘এ কাজগুলো উপজেলা পরিষদ থেকে করা হয়েছে। শুধু আমাদের লাইসেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। এর বাইরে আমি কিছু জানি না।’
এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ছয়টি প্রকল্প আমি নিজেই এস্টিমেট করে দিয়েছি। আমার স্বাক্ষরে বিল উত্তোলন হওয়ার কথা। এখন শুনছি আউটসোর্সিংয়ের লোক দিয়ে বিলে স্বাক্ষর করা হয়েছে। এভাবে বিল করার কোনো নিয়ম নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল কাদের মুজাহিদ বলেন, ‘কোনো অনিয়মের সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত নই। তা ছাড়া চাকরিকে অনেক ভালোবাসি; আমার চাকরির ক্ষতি হবে, এমন কোনো কাজ করি না।’
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী একরামুল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা দিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুজনকে বহিষ্কার করেছে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি করছে দলটি।
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দল সামনে এসেছে। স্থানীয় নেতারা তাঁর পাশে নেই। গত মঙ্গলবার রাতে সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা কমিটি জরুরি সভা করে মঞ্জুর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হেমায়েতপুর-কলাতিয়া-রোহিতপুর আঞ্চলিক সড়ক। বিশেষ করে মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরিগুলো ঢাকায় প্রবেশে বাধ্যবাধকতা থাকায় এই সড়ক দিয়ে ২৪ ঘণ্টা যান চলাচল করে।
২ ঘণ্টা আগে
সুন্দরবনে শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম। দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা ভিড় জমাচ্ছে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে। কিন্তু সম্প্রতি বাগেরহাটের মোংলায় ট্যুরিস্ট বোট উল্টে পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় নৌযানগুলোর ফিটনেস ও সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগেকেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা

রাজধানী ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হেমায়েতপুর-কলাতিয়া-রোহিতপুর আঞ্চলিক সড়ক। বিশেষ করে মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরিগুলো ঢাকায় প্রবেশে বাধ্যবাধকতা থাকায় এই সড়ক দিয়ে ২৪ ঘণ্টা যান চলাচল করে। দীর্ঘ যানজট, পথে পথে বাধা আর সংক্ষিপ্ত দূরত্ব হওয়ায় লাখো মানুষের ভরসা এই সড়কটি।
তবে দীর্ঘদিন কোনো সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্ত, ভাঙন ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যান চলাচল ধীরগতির পাশাপাশি দুর্ঘটনার শঙ্কাও বেড়েছে। অনেকে বাধ্য হয়ে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করছেন। এতে সময় এবং অতিরিক্ত অর্থের অপচয় হচ্ছে চালক, যাত্রী ও পথচারীদের।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের কানারচর থেকে ঝাউচর পর্যন্ত বেশ কিছু জায়গায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এক কিলোমিটার রাস্তায় তিন-চার জায়গায় এমন বিপজ্জনক গর্ত রয়েছে, যেখানে প্রায়ই যানবাহন উল্টে যায়। বড় যানবাহনগুলো যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিকল হয়ে মাঝেমধ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে সৃষ্ট হয় দীর্ঘ যানজট।
এ ছাড়া আলিপুর ব্রিজ থেকে জালাল মেম্বারের বাড়ি হয়ে জগন্নাথপুর ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তাতেও ছড়িয়ে আছে ছোট-বড় গর্ত ও ভাঙন। বিশেষ করে অসুস্থ, গর্ভবতী নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করেন।
একই চিত্র রোহিতপুর ইউনিয়নের রোহিতপুর বাজার, ধর্মশুর ও বালুয়াটেক এলাকায়। রোহিতপুর বাজারের তিন রাস্তা মোড়, সান প্লাজার সামনে সামান্য জায়গায় চার-পাঁচটি বিপজ্জনক গর্ত তৈরি হয়েছে। বালুয়াটেক গ্রামে প্রায় ২০ গজ জায়গাজুড়ে নিচু ও ভাঙা রাস্তা সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানিতে তলিয়ে যায়। বৃষ্টি হলে এই সড়কে সৃষ্টি হয় চরম দুর্ভোগ, ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
জানতে চাইলে রোহিতপুর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম ভূঁইয়া ও শাহজালাল জানান, স্থানীয়ভাবে নিজেরা অর্থ ব্যয়ে কয়েকবার সংস্কার করলেও বৃষ্টিতে আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে রাস্তা। চোখের সামনেই প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। বড় ট্রাক বিকল হয়ে যানজটের সৃষ্টি করছে।
রিকশাচালক মতিন মিয়া বলেন, ‘ভাঙা রাস্তায় রিকশার চাকা ভেঙে যায়, যাত্রী পড়ে যায়। তাই এখন আর এই পথে যেতে চাই না।’
এ বিষয়ে কথা হয়, কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হেমায়েতপুর-কলাতিয়া-রোহিতপুর সড়কের চার লেন করার কাজ খুব শিগগির শুরু হবে। জমি অধিগ্রহণে বিলম্ব হওয়ায় কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হবে। কানারচর, আলিপুর-জালাল মেম্বার-জগন্নাথপুর এবং রোহিতপুর-ধর্মশুর-বালুয়াটেক অংশগুলো সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে।’

রাজধানী ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হেমায়েতপুর-কলাতিয়া-রোহিতপুর আঞ্চলিক সড়ক। বিশেষ করে মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরিগুলো ঢাকায় প্রবেশে বাধ্যবাধকতা থাকায় এই সড়ক দিয়ে ২৪ ঘণ্টা যান চলাচল করে। দীর্ঘ যানজট, পথে পথে বাধা আর সংক্ষিপ্ত দূরত্ব হওয়ায় লাখো মানুষের ভরসা এই সড়কটি।
তবে দীর্ঘদিন কোনো সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্ত, ভাঙন ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যান চলাচল ধীরগতির পাশাপাশি দুর্ঘটনার শঙ্কাও বেড়েছে। অনেকে বাধ্য হয়ে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করছেন। এতে সময় এবং অতিরিক্ত অর্থের অপচয় হচ্ছে চালক, যাত্রী ও পথচারীদের।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের কানারচর থেকে ঝাউচর পর্যন্ত বেশ কিছু জায়গায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এক কিলোমিটার রাস্তায় তিন-চার জায়গায় এমন বিপজ্জনক গর্ত রয়েছে, যেখানে প্রায়ই যানবাহন উল্টে যায়। বড় যানবাহনগুলো যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিকল হয়ে মাঝেমধ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে সৃষ্ট হয় দীর্ঘ যানজট।
এ ছাড়া আলিপুর ব্রিজ থেকে জালাল মেম্বারের বাড়ি হয়ে জগন্নাথপুর ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তাতেও ছড়িয়ে আছে ছোট-বড় গর্ত ও ভাঙন। বিশেষ করে অসুস্থ, গর্ভবতী নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করেন।
একই চিত্র রোহিতপুর ইউনিয়নের রোহিতপুর বাজার, ধর্মশুর ও বালুয়াটেক এলাকায়। রোহিতপুর বাজারের তিন রাস্তা মোড়, সান প্লাজার সামনে সামান্য জায়গায় চার-পাঁচটি বিপজ্জনক গর্ত তৈরি হয়েছে। বালুয়াটেক গ্রামে প্রায় ২০ গজ জায়গাজুড়ে নিচু ও ভাঙা রাস্তা সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানিতে তলিয়ে যায়। বৃষ্টি হলে এই সড়কে সৃষ্টি হয় চরম দুর্ভোগ, ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
জানতে চাইলে রোহিতপুর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম ভূঁইয়া ও শাহজালাল জানান, স্থানীয়ভাবে নিজেরা অর্থ ব্যয়ে কয়েকবার সংস্কার করলেও বৃষ্টিতে আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে রাস্তা। চোখের সামনেই প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। বড় ট্রাক বিকল হয়ে যানজটের সৃষ্টি করছে।
রিকশাচালক মতিন মিয়া বলেন, ‘ভাঙা রাস্তায় রিকশার চাকা ভেঙে যায়, যাত্রী পড়ে যায়। তাই এখন আর এই পথে যেতে চাই না।’
এ বিষয়ে কথা হয়, কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হেমায়েতপুর-কলাতিয়া-রোহিতপুর সড়কের চার লেন করার কাজ খুব শিগগির শুরু হবে। জমি অধিগ্রহণে বিলম্ব হওয়ায় কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হবে। কানারচর, আলিপুর-জালাল মেম্বার-জগন্নাথপুর এবং রোহিতপুর-ধর্মশুর-বালুয়াটেক অংশগুলো সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে।’
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা দিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুজনকে বহিষ্কার করেছে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি করছে দলটি।
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দল সামনে এসেছে। স্থানীয় নেতারা তাঁর পাশে নেই। গত মঙ্গলবার রাতে সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা কমিটি জরুরি সভা করে মঞ্জুর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে
২ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে উপজেলা পরিষদের বরাদ্দের ছয়টি প্রকল্পে ৩৩ লক্ষাধিক টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল কাদের মুজাহিদের বিরুদ্ধে।
২ ঘণ্টা আগে
সুন্দরবনে শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম। দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা ভিড় জমাচ্ছে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে। কিন্তু সম্প্রতি বাগেরহাটের মোংলায় ট্যুরিস্ট বোট উল্টে পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় নৌযানগুলোর ফিটনেস ও সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগেসুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)

সুন্দরবনে শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম। দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা ভিড় জমাচ্ছে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে। কিন্তু সম্প্রতি বাগেরহাটের মোংলায় ট্যুরিস্ট বোট উল্টে পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় নৌযানগুলোর ফিটনেস ও সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বন বিভাগ এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধেও উদাসীনতার অভিযোগ সুন্দরবনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিদের।
বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য সুন্দরবনের চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম বলেন, মোংলা থেকে যেসব ট্যুরিস্ট বোট সুন্দরবনে আসা-যাওয়া করে, এগুলোর নৌপথে চলাচলের কোনো লাইসেন্স নেই, কোনো ফিটনেস ছাড়পত্র নেই। চালকদেরও নেই কোনো লাইসেন্স। আবার অধিকাংশ বোটে কোনো লাইফ জ্যাকেট থাকে না, লাইফ বয়াও থাকে না। কোনো বোটে ২০ জনের বেশি যাত্রী না ওঠানোর নিয়ম থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া পাওয়ার আশায় তারা দ্বিগুণ যাত্রী বহন করে। আবার অনেক সময় পর্যটকেরা ব্যয় কমানোর জন্য অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে একটি বোটে উঠে পড়ে।
ফরিদুল ইসলামের অভিযোগ, ওই রকম নানা অনিয়ম নিয়ে বছরের পর বছর ধরে এসব ট্যুরিস্ট বোট চলাচল করলেও সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ অথবা প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।একটি দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়। তারপর আবার যা তা-ই।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস সুন্দরবন ঘুরে দেখার জন্য উপযুক্ত সময়। এই সময় নদী ও সমুদ্র শান্ত থাকে। তাই সুন্দরবনের সব দর্শনীয় স্থান সহজে ঘুরে দেখা যায়। সুন্দরবনে ঘোরা যায় খুলনা, বাগেরহাটের মোংলা ও শরণখোলা এবং সাতক্ষীরা দিয়ে। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ ভ্রমণ করে খুলনা ও বাগেরহাটের মোংলা দিয়ে। এই দুই জায়গা থেকে ভ্রমণের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে করমজল, হারবাড়িয়া, কচিখালি, কটকা, হিরণ পয়েন্ট ও দুবলার চর।
কম খরচে এক দিনে সুন্দরবন ঘুরে দেখতে পর্যটকেরা মোংলা থেকে করমজল অথবা হারবাড়িয়া পর্যটনকেন্দ্রে যায়। মোংলা থেকে সকালে রওনা দিলে দুটি জায়গা এক দিনে ঘুরে দেখা সম্ভব। মোংলা ফেরিঘাট থেকে করমজল ভ্রমণের জন্য ট্যুরিস্ট বোট ভাড়া পাওয়া যায়। এ বোটে ২০ জনের বেশি চড়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা ও মোংলা থেকে সুন্দরবনে দু-তিন দিনের ভ্রমণের জন্য ট্যুর অপারেটরের শতাধিক লঞ্চ রয়েছে। এসব লঞ্চ নৌপথের নির্দেশনা মেনে লাইফ জ্যাকেট, বয়াসহ পর্যাপ্ত সুরক্ষাব্যবস্থা মেনে চলে। মূল সমস্যা হলো মোংলা ফেরিঘাট থেকে যেসব ট্যুরিস্ট বোট সুন্দরবনের স্বল্প দূরত্বে যায়, তাদের নিয়ে। মোংলায় জালি বোট, ডেনিস বডি বোট নামে পরিচিত এসব ট্যুরিস্ট বোটের সংখ্যা প্রায় ৩০০। অভিযোগ রয়েছে, এসব বোটের অধিকাংশই নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না। এগুলোতে কোনো লাইফ জ্যাকেট ও বয়া নেই। এরা অধিক যাত্রী বহন করে। এসব বোটের কোনো ফিটনেস সার্টিফিকেটও নেই।
১০ নভেম্বর সকালে ১৩ জন পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনের ঢাইনমারী থেকে করমজল পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার সময় একটি ছোট ট্যুরিস্ট বোট ঢেউয়ের ধাক্কায় উল্টে যায়। এতে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাবেক এক নারী পাইলট ডুবে মারা গেছেন।
মোংলা জালি বোট মালিক সমিতির সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ দুলাল বলেন, ‘আমাদের সমিতির সুন্দরবনে চলাচলের জন্য অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে সব বিধিনিষেধ সবাই মানে না। সমিতির পক্ষ থেকে আমরা তার সদস্যপদ স্থগিত করতে পারি। কিন্তু আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব তো প্রশাসনের।’ সব ট্যুরিস্ট বোটে পর্যাপ্ত সুরক্ষাব্যবস্থা নেই বলে তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ এই বোটগুলো চলাচলের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করলে সবাই একটা নিয়মের মধ্যে থাকত।
জানতে চাইলে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন ও পর্যটনকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, মোংলা থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে চলাচলকারী ট্যুরিস্ট বোটগুলোর গঠন ত্রুটিযুক্ত। ছাদে যাত্রী বসানো ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও তারা ছাদেই যাত্রীদের বসার জন্য আলাদা চেয়ার-টেবিলের ব্যবস্থা করে। আর অধিকাংশ পর্যটক নৌপথে সুন্দরবনের দৃশ্য দেখার জন্য ছাদেই বসে থাকেন। ফলে তীব্র ঢেউ মুখে পড়লে এবং কুমির বা বাঘ দেখলে যাত্রীরা বোটের যেকোনো এক পাশে ভিড় করলেই বোট উল্টে যাওয়ার ভয় থাকে। এ জন্য প্রতিটি ট্যুরিস্ট বোটে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য লাইফ জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক করা উচিত। এ ছাড়া মোংলা ও পশুর নদে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর খুব দ্রুতগতির কিছু স্পিডবোট চলাচল করে। সেগুলো চলাচলের সময় প্রবল ঢেউ সৃষ্টি করে। ছোট ছোট নৌযান তখন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ে।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন আক্তার সুমি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দু-এক দিনের মধ্যেই ট্যুরিস্ট বোট মালিকদের নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বসব। আশা করছি, তাদের একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসতে পারব।’
ট্যুরিস্ট বোট দেখভালের দায়িত্ব বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ)। জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর খুলনা বিভাগের পরিবহন পরিদর্শক মো. আখতার হোসেন খান বলেন, ‘নৌযানের নকশা, লাইসেন্স ও সার্ভে সনদ দেওয়া সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের কাজ। তারপরও আমরা বিভিন্ন সময়ে এই নৌযানগুলো সঠিক নিয়মে চলাচল করছে কি না, তা তদারক করি এবং অনিয়মের অভিযোগ পেলে মামলাসহ জরিমানা করি। কিন্তু আমাদের জনবলসংকট রয়েছে। এই বোটগুলো বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। ফলে সব সময় আমরা সীমিত জনবল দিয়ে তাদের তদারক করতে পারি না।’

সুন্দরবনে শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম। দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা ভিড় জমাচ্ছে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে। কিন্তু সম্প্রতি বাগেরহাটের মোংলায় ট্যুরিস্ট বোট উল্টে পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় নৌযানগুলোর ফিটনেস ও সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বন বিভাগ এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধেও উদাসীনতার অভিযোগ সুন্দরবনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিদের।
বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য সুন্দরবনের চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম বলেন, মোংলা থেকে যেসব ট্যুরিস্ট বোট সুন্দরবনে আসা-যাওয়া করে, এগুলোর নৌপথে চলাচলের কোনো লাইসেন্স নেই, কোনো ফিটনেস ছাড়পত্র নেই। চালকদেরও নেই কোনো লাইসেন্স। আবার অধিকাংশ বোটে কোনো লাইফ জ্যাকেট থাকে না, লাইফ বয়াও থাকে না। কোনো বোটে ২০ জনের বেশি যাত্রী না ওঠানোর নিয়ম থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া পাওয়ার আশায় তারা দ্বিগুণ যাত্রী বহন করে। আবার অনেক সময় পর্যটকেরা ব্যয় কমানোর জন্য অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে একটি বোটে উঠে পড়ে।
ফরিদুল ইসলামের অভিযোগ, ওই রকম নানা অনিয়ম নিয়ে বছরের পর বছর ধরে এসব ট্যুরিস্ট বোট চলাচল করলেও সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ অথবা প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।একটি দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়। তারপর আবার যা তা-ই।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস সুন্দরবন ঘুরে দেখার জন্য উপযুক্ত সময়। এই সময় নদী ও সমুদ্র শান্ত থাকে। তাই সুন্দরবনের সব দর্শনীয় স্থান সহজে ঘুরে দেখা যায়। সুন্দরবনে ঘোরা যায় খুলনা, বাগেরহাটের মোংলা ও শরণখোলা এবং সাতক্ষীরা দিয়ে। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ ভ্রমণ করে খুলনা ও বাগেরহাটের মোংলা দিয়ে। এই দুই জায়গা থেকে ভ্রমণের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে করমজল, হারবাড়িয়া, কচিখালি, কটকা, হিরণ পয়েন্ট ও দুবলার চর।
কম খরচে এক দিনে সুন্দরবন ঘুরে দেখতে পর্যটকেরা মোংলা থেকে করমজল অথবা হারবাড়িয়া পর্যটনকেন্দ্রে যায়। মোংলা থেকে সকালে রওনা দিলে দুটি জায়গা এক দিনে ঘুরে দেখা সম্ভব। মোংলা ফেরিঘাট থেকে করমজল ভ্রমণের জন্য ট্যুরিস্ট বোট ভাড়া পাওয়া যায়। এ বোটে ২০ জনের বেশি চড়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা ও মোংলা থেকে সুন্দরবনে দু-তিন দিনের ভ্রমণের জন্য ট্যুর অপারেটরের শতাধিক লঞ্চ রয়েছে। এসব লঞ্চ নৌপথের নির্দেশনা মেনে লাইফ জ্যাকেট, বয়াসহ পর্যাপ্ত সুরক্ষাব্যবস্থা মেনে চলে। মূল সমস্যা হলো মোংলা ফেরিঘাট থেকে যেসব ট্যুরিস্ট বোট সুন্দরবনের স্বল্প দূরত্বে যায়, তাদের নিয়ে। মোংলায় জালি বোট, ডেনিস বডি বোট নামে পরিচিত এসব ট্যুরিস্ট বোটের সংখ্যা প্রায় ৩০০। অভিযোগ রয়েছে, এসব বোটের অধিকাংশই নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না। এগুলোতে কোনো লাইফ জ্যাকেট ও বয়া নেই। এরা অধিক যাত্রী বহন করে। এসব বোটের কোনো ফিটনেস সার্টিফিকেটও নেই।
১০ নভেম্বর সকালে ১৩ জন পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনের ঢাইনমারী থেকে করমজল পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার সময় একটি ছোট ট্যুরিস্ট বোট ঢেউয়ের ধাক্কায় উল্টে যায়। এতে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাবেক এক নারী পাইলট ডুবে মারা গেছেন।
মোংলা জালি বোট মালিক সমিতির সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ দুলাল বলেন, ‘আমাদের সমিতির সুন্দরবনে চলাচলের জন্য অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে সব বিধিনিষেধ সবাই মানে না। সমিতির পক্ষ থেকে আমরা তার সদস্যপদ স্থগিত করতে পারি। কিন্তু আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব তো প্রশাসনের।’ সব ট্যুরিস্ট বোটে পর্যাপ্ত সুরক্ষাব্যবস্থা নেই বলে তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ এই বোটগুলো চলাচলের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করলে সবাই একটা নিয়মের মধ্যে থাকত।
জানতে চাইলে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন ও পর্যটনকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, মোংলা থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে চলাচলকারী ট্যুরিস্ট বোটগুলোর গঠন ত্রুটিযুক্ত। ছাদে যাত্রী বসানো ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও তারা ছাদেই যাত্রীদের বসার জন্য আলাদা চেয়ার-টেবিলের ব্যবস্থা করে। আর অধিকাংশ পর্যটক নৌপথে সুন্দরবনের দৃশ্য দেখার জন্য ছাদেই বসে থাকেন। ফলে তীব্র ঢেউ মুখে পড়লে এবং কুমির বা বাঘ দেখলে যাত্রীরা বোটের যেকোনো এক পাশে ভিড় করলেই বোট উল্টে যাওয়ার ভয় থাকে। এ জন্য প্রতিটি ট্যুরিস্ট বোটে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য লাইফ জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক করা উচিত। এ ছাড়া মোংলা ও পশুর নদে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর খুব দ্রুতগতির কিছু স্পিডবোট চলাচল করে। সেগুলো চলাচলের সময় প্রবল ঢেউ সৃষ্টি করে। ছোট ছোট নৌযান তখন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ে।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন আক্তার সুমি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দু-এক দিনের মধ্যেই ট্যুরিস্ট বোট মালিকদের নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বসব। আশা করছি, তাদের একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসতে পারব।’
ট্যুরিস্ট বোট দেখভালের দায়িত্ব বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ)। জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর খুলনা বিভাগের পরিবহন পরিদর্শক মো. আখতার হোসেন খান বলেন, ‘নৌযানের নকশা, লাইসেন্স ও সার্ভে সনদ দেওয়া সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের কাজ। তারপরও আমরা বিভিন্ন সময়ে এই নৌযানগুলো সঠিক নিয়মে চলাচল করছে কি না, তা তদারক করি এবং অনিয়মের অভিযোগ পেলে মামলাসহ জরিমানা করি। কিন্তু আমাদের জনবলসংকট রয়েছে। এই বোটগুলো বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। ফলে সব সময় আমরা সীমিত জনবল দিয়ে তাদের তদারক করতে পারি না।’
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা দিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুজনকে বহিষ্কার করেছে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি করছে দলটি।
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দল সামনে এসেছে। স্থানীয় নেতারা তাঁর পাশে নেই। গত মঙ্গলবার রাতে সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা কমিটি জরুরি সভা করে মঞ্জুর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে
২ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে উপজেলা পরিষদের বরাদ্দের ছয়টি প্রকল্পে ৩৩ লক্ষাধিক টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল কাদের মুজাহিদের বিরুদ্ধে।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হেমায়েতপুর-কলাতিয়া-রোহিতপুর আঞ্চলিক সড়ক। বিশেষ করে মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরিগুলো ঢাকায় প্রবেশে বাধ্যবাধকতা থাকায় এই সড়ক দিয়ে ২৪ ঘণ্টা যান চলাচল করে।
২ ঘণ্টা আগে