হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ ও তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধূর বাবার অভিযোগ, তাঁর স্বামীর পরিবারের লোকজন তাদের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হোমনা সদরের ফকির বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতেরা হলেন—গৃহবধূ সানজিদা আক্তার (২০) ও একমাত্র সন্তান আবদুল্লাহ (২)। সানজিদা আক্তার উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের মো. রনি মিয়ার মেয়ে এবং হোমনা সদরের ফকির বাড়ির মো. বাবু মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের বড় ভাই মো. শরীফ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন বছর আগে ফকির বাড়ির বাবু মিয়ার সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। এরপর কিছুদিন তাদের সংসার ভালো চললেও, তাদের ছেলে আবদুল্লাহর জন্মের পরই আমার বোনের স্বামী অন্য মেয়ের পাল্লায় পড়ে এবং আমার বোনের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করে। শুধু আমার বোনের স্বামীই না, বোনের শাশুড়ি, ননদ লাকী, আকলিমা ও পাখি মিলে কারণে-অকারণে তাঁকে মারধর করত।’
শরীফ মিয়া আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা কথায় কথায় আমার বোনকে বলত-বাপের বাড়ির থেকে তুই কিছু আনতে পারছ না। তুই মর; তুই মরলে, তরতে ভালো বিয়া করাইতে পারমু। প্রায় সময়ই তারা মারধর করে আমার বোনকে আহত করে আমাদের বাড়িতে পাঠাইয়া দিত। এতে অতিষ্ঠ হয়ে আমার বাবা বলত-থাক! আর আমরা সানজিদাকে হের (বাবুর) ভাত খাওয়াইতামনা। তারপর আমাদের ওয়ার্ড মেম্বার জালাল উদ্দিনের কথায় আমরা আবার সানজিদাকে স্বামীর বাড়িতে দেই।’
এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান শরীফ মিয়া। এ ঘটনার পর থেকে নিহত সানজিদার স্বামী বাবু মিয়া পলাতক রয়েছেন।
ভাষানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার জালাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়েটির (সানজিদার) স্বামী, শাশুড়ি ও ননদেরা দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে অত্যাচার করে আসছে। এ নিয়ে প্রায় ৫-৬ বার সালিস বৈঠকও হয়। সর্বশেষ বৈঠকে আমি ছিলাম। ওই বৈঠকে রনি মিয়া মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে দিতে রাজি ছিল না। একটা ছেলে হইছে, এখন বিয়েটা ভেঙে গেলে ছেলেটা এতিম হবে। এই চিন্তা করে আমরা স্থানীয়রা সবাই বুঝিয়ে মেয়েটাকে স্বামীর বাড়িতে দিয়েছিলাম।’
এ বিষয়ে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘরের দরজা ভেঙে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা এবং ছেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই জানা যাবে এটি হত্যা না, আত্মহত্যা। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
কুমিল্লার হোমনায় একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ ও তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধূর বাবার অভিযোগ, তাঁর স্বামীর পরিবারের লোকজন তাদের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হোমনা সদরের ফকির বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতেরা হলেন—গৃহবধূ সানজিদা আক্তার (২০) ও একমাত্র সন্তান আবদুল্লাহ (২)। সানজিদা আক্তার উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের মো. রনি মিয়ার মেয়ে এবং হোমনা সদরের ফকির বাড়ির মো. বাবু মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের বড় ভাই মো. শরীফ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন বছর আগে ফকির বাড়ির বাবু মিয়ার সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। এরপর কিছুদিন তাদের সংসার ভালো চললেও, তাদের ছেলে আবদুল্লাহর জন্মের পরই আমার বোনের স্বামী অন্য মেয়ের পাল্লায় পড়ে এবং আমার বোনের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করে। শুধু আমার বোনের স্বামীই না, বোনের শাশুড়ি, ননদ লাকী, আকলিমা ও পাখি মিলে কারণে-অকারণে তাঁকে মারধর করত।’
শরীফ মিয়া আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা কথায় কথায় আমার বোনকে বলত-বাপের বাড়ির থেকে তুই কিছু আনতে পারছ না। তুই মর; তুই মরলে, তরতে ভালো বিয়া করাইতে পারমু। প্রায় সময়ই তারা মারধর করে আমার বোনকে আহত করে আমাদের বাড়িতে পাঠাইয়া দিত। এতে অতিষ্ঠ হয়ে আমার বাবা বলত-থাক! আর আমরা সানজিদাকে হের (বাবুর) ভাত খাওয়াইতামনা। তারপর আমাদের ওয়ার্ড মেম্বার জালাল উদ্দিনের কথায় আমরা আবার সানজিদাকে স্বামীর বাড়িতে দেই।’
এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান শরীফ মিয়া। এ ঘটনার পর থেকে নিহত সানজিদার স্বামী বাবু মিয়া পলাতক রয়েছেন।
ভাষানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার জালাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়েটির (সানজিদার) স্বামী, শাশুড়ি ও ননদেরা দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে অত্যাচার করে আসছে। এ নিয়ে প্রায় ৫-৬ বার সালিস বৈঠকও হয়। সর্বশেষ বৈঠকে আমি ছিলাম। ওই বৈঠকে রনি মিয়া মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে দিতে রাজি ছিল না। একটা ছেলে হইছে, এখন বিয়েটা ভেঙে গেলে ছেলেটা এতিম হবে। এই চিন্তা করে আমরা স্থানীয়রা সবাই বুঝিয়ে মেয়েটাকে স্বামীর বাড়িতে দিয়েছিলাম।’
এ বিষয়ে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘরের দরজা ভেঙে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা এবং ছেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই জানা যাবে এটি হত্যা না, আত্মহত্যা। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সমন্বিত মৎস্য খামার। মাছ চাষের পাশাপাশি একই স্থানে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালন করে বেশ ভালো লাভ করছেন খামারিরা। তবে অর্থনৈতিক সুবিধার আড়ালে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য এক অদৃশ্য হুমকি হয়ে উঠেছে সমন্বিত এ খামারপদ্ধতি।
১ ঘণ্টা আগেবিশাল সেতু। তারই দুই পাশে পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। কেউ নির্মাণ করছে বাড়ি। কেউ কেউ নির্মাণ করছে দোকানপাট। এ ছাড়া মাটি কেটে নিজেদের ইচ্ছামাফিক সীমানা তৈরি করে সেতুর জমি ভোগদখল করছে। স্থাপনা নির্মাণের জন্য কেউ কেউ সেতুর সিসি ব্লকও কেটে ফেলেছে।
২ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন জান মোহাম্মদ। এই প্রতিষ্ঠানের খাদ্য পরিদর্শক ও সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকিলা নাসরিন। এই দুজনের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে দুর্নীতির সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে জান মোহাম্মদকে বদলি করা হয়েছে। তবে তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে...
২ ঘণ্টা আগেফুটে আছে জারুল, কৃষ্ণচূড়া, হিজল, সোনালু, বন বেলি। দিনে ক্যাম্পাসজুড়ে এমন ফুল চোখে পড়ছে। আর রাতে আলোর রোশনাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে আলোর ঝলকানি। প্রতিটি ভবনে করা হয়েছে লাল-নীল রঙের আলোকসজ্জা। এই চিত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি)।
২ ঘণ্টা আগে