প্রতিনিধি, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা মনি রবি দাশ। দীর্ঘ ৩০ বছর তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে কাপ্তাইয়ের লকগেইট এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। গত এক মাস আগে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। কিন্তু জীবনের শেষ অন্তিম যাত্রায় তাঁর দেহটি কাপ্তাইয়ে সৎকার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে তাঁর দেহটি স্বামীর আদি বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জের চারিয়া গ্রামে নিয়ে গিয়ে সৎকার করা হয়। এই সময় তাঁর স্বামী বিষ্ণু রবি দাশের (মুসি) টাকা পয়সা কিছু ছিল না। এলাকার লোকজন টাকা পয়সা দিয়ে তাঁর দেহটি রংপুরে পাঠিয়েছিলেন।
এভাবে কাপ্তাই উপজেলার ৪ নম্বর কাপ্তাই ইউনিয়ন এবং ৩ নম্বর চিৎমরম ইউনিয়ন এর অনেক সনাতন পরিবারের সদস্যদের শেষ যাত্রা কোথায় হবে তা নিয়ে অনিশ্চিত হয়ে আসছেন। ফলে বছরের পর বছর মৃত্যুর পর যার যার গ্রামের বাড়িতে মরদেহ নিয়ে সৎকার করতে হচ্ছে তাঁদের। অথচ কারও কারও বাড়ি এখান হতে গড়ে ১০ হতে ২০০ কিলোমিটার দূরে।
জানা যায়, কাপ্তাই উপজেলার ৪ নম্বর কাপ্তাই ইউনিয়নের নতুনবাজার, শিল্প এলাকা এবং ৩ নম্বর চিৎমরম ইউনিয়ন মিলে ৫০০ হিন্দু পরিবারের বসবাস। তাঁদের অনেকেই পিতার ব্যবসায়িক বা চাকরির কারণে এই এলাকায় বসবাস করে আসছেন বছরের পর বছর। ফলে জায়গা জমি ক্রয় করে এইখানে অনেকে স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গেছেন। কিন্তু শেষ অন্তিম যাত্রাও তাদের ঠাঁই নেই এই এলাকায়। এই সব সনাতন পরিবারের জন্য নেই কোন মহাশ্মশান।
কাপ্তাই উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও কাপ্তাই লকগেইট জয়কালী মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ ধর পিন্টু বলেন, ‘আমাদের দুই ইউনিয়নের ৫০০ হিন্দু পরিবারের জন্য একটি শ্মশান নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। ইতিমধ্যে আমরা জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট আবেদন করেছি এবং কাপ্তাই ইউনিয়নের ব্যাঙছড়ি এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীরে একটি প্রস্তাবিত শ্মশানের জায়গা নির্ধারণ করেছি। কিন্তু এখনোও পর্যন্ত আমরা সেই জায়গার অনুমোদন পাই নাই।’
কাপ্তাই লকগেইট জয়কালী মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা ইউপি সদস্য সমলেন্দু বিকাশ দাশ ও মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি সমীর প্রসাদ ধর জানান, শ্মশানের দাবিতে তাঁরা ২০১৪ সালের মে মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে একটি আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২৯ জুন বিষয়টি উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপনের মাধ্যমে এই প্রস্তাবিত জায়গার বিপরীতে ব্যাঙছড়ির কর্ণফুলী নদীর তীরে খাস জায়গায় একটি শ্মশান করার জন্য রেজুলেশন পাস করা হয়। সেই রেজুলেশনে কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জন্য বলা হলেও এখনো সেই জায়গা তাঁরা পাননি।
৪ নম্বর কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ জানান, তাঁরা এই এলাকার সনাতন সম্প্রদায়ের মহাশ্মশান করার জন্য অনেক বছর ধরে চেষ্টা করে আসছেন। কিন্তু জায়গার অভাবে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। যেই প্রস্তাবিত জায়গাটা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা বন বিভাগের। তাই বিষয়টি উচ্চ মহলে সিদ্ধান্ত নিয়ে সমস্যা সমাধান করা হবে।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে এখানকার সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন জানিয়েছেন এবং তাঁদের প্রস্তাবিত জায়গা আমি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি।’
রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী জানান, ‘আমি কাপ্তাইয়ের লকগেইট জয়কালী মন্দিরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে তাঁদের এই সমস্যার কথা শুনেছি এবং আমি নিজে এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলাম। অচিরেই এর একটি সমস্যার সমাধান করব।’
এ রকম কাপ্তাই জেটিঘাট এলাকার জনপ্রিয় চিকিৎসক ডা. প্রিয়লাল মুহুরি। ৪০ বছর ধরে তিনি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছিলেন। গত মাসে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কাপ্তাইবাসীর ইচ্ছে ছিল এই মানবিক ডাক্তারকে এইখানে সৎকার করবেন। কিন্তু একটি মাত্র শ্মশানের অভাবে তাঁকেও রাউজান নিয়ে সৎকার করতে হয়।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা মনি রবি দাশ। দীর্ঘ ৩০ বছর তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে কাপ্তাইয়ের লকগেইট এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। গত এক মাস আগে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। কিন্তু জীবনের শেষ অন্তিম যাত্রায় তাঁর দেহটি কাপ্তাইয়ে সৎকার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে তাঁর দেহটি স্বামীর আদি বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জের চারিয়া গ্রামে নিয়ে গিয়ে সৎকার করা হয়। এই সময় তাঁর স্বামী বিষ্ণু রবি দাশের (মুসি) টাকা পয়সা কিছু ছিল না। এলাকার লোকজন টাকা পয়সা দিয়ে তাঁর দেহটি রংপুরে পাঠিয়েছিলেন।
এভাবে কাপ্তাই উপজেলার ৪ নম্বর কাপ্তাই ইউনিয়ন এবং ৩ নম্বর চিৎমরম ইউনিয়ন এর অনেক সনাতন পরিবারের সদস্যদের শেষ যাত্রা কোথায় হবে তা নিয়ে অনিশ্চিত হয়ে আসছেন। ফলে বছরের পর বছর মৃত্যুর পর যার যার গ্রামের বাড়িতে মরদেহ নিয়ে সৎকার করতে হচ্ছে তাঁদের। অথচ কারও কারও বাড়ি এখান হতে গড়ে ১০ হতে ২০০ কিলোমিটার দূরে।
জানা যায়, কাপ্তাই উপজেলার ৪ নম্বর কাপ্তাই ইউনিয়নের নতুনবাজার, শিল্প এলাকা এবং ৩ নম্বর চিৎমরম ইউনিয়ন মিলে ৫০০ হিন্দু পরিবারের বসবাস। তাঁদের অনেকেই পিতার ব্যবসায়িক বা চাকরির কারণে এই এলাকায় বসবাস করে আসছেন বছরের পর বছর। ফলে জায়গা জমি ক্রয় করে এইখানে অনেকে স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গেছেন। কিন্তু শেষ অন্তিম যাত্রাও তাদের ঠাঁই নেই এই এলাকায়। এই সব সনাতন পরিবারের জন্য নেই কোন মহাশ্মশান।
কাপ্তাই উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও কাপ্তাই লকগেইট জয়কালী মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ ধর পিন্টু বলেন, ‘আমাদের দুই ইউনিয়নের ৫০০ হিন্দু পরিবারের জন্য একটি শ্মশান নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। ইতিমধ্যে আমরা জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট আবেদন করেছি এবং কাপ্তাই ইউনিয়নের ব্যাঙছড়ি এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীরে একটি প্রস্তাবিত শ্মশানের জায়গা নির্ধারণ করেছি। কিন্তু এখনোও পর্যন্ত আমরা সেই জায়গার অনুমোদন পাই নাই।’
কাপ্তাই লকগেইট জয়কালী মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা ইউপি সদস্য সমলেন্দু বিকাশ দাশ ও মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি সমীর প্রসাদ ধর জানান, শ্মশানের দাবিতে তাঁরা ২০১৪ সালের মে মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে একটি আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২৯ জুন বিষয়টি উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপনের মাধ্যমে এই প্রস্তাবিত জায়গার বিপরীতে ব্যাঙছড়ির কর্ণফুলী নদীর তীরে খাস জায়গায় একটি শ্মশান করার জন্য রেজুলেশন পাস করা হয়। সেই রেজুলেশনে কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জন্য বলা হলেও এখনো সেই জায়গা তাঁরা পাননি।
৪ নম্বর কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ জানান, তাঁরা এই এলাকার সনাতন সম্প্রদায়ের মহাশ্মশান করার জন্য অনেক বছর ধরে চেষ্টা করে আসছেন। কিন্তু জায়গার অভাবে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। যেই প্রস্তাবিত জায়গাটা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা বন বিভাগের। তাই বিষয়টি উচ্চ মহলে সিদ্ধান্ত নিয়ে সমস্যা সমাধান করা হবে।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে এখানকার সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন জানিয়েছেন এবং তাঁদের প্রস্তাবিত জায়গা আমি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি।’
রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী জানান, ‘আমি কাপ্তাইয়ের লকগেইট জয়কালী মন্দিরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে তাঁদের এই সমস্যার কথা শুনেছি এবং আমি নিজে এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলাম। অচিরেই এর একটি সমস্যার সমাধান করব।’
এ রকম কাপ্তাই জেটিঘাট এলাকার জনপ্রিয় চিকিৎসক ডা. প্রিয়লাল মুহুরি। ৪০ বছর ধরে তিনি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছিলেন। গত মাসে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কাপ্তাইবাসীর ইচ্ছে ছিল এই মানবিক ডাক্তারকে এইখানে সৎকার করবেন। কিন্তু একটি মাত্র শ্মশানের অভাবে তাঁকেও রাউজান নিয়ে সৎকার করতে হয়।
নারায়ণগঞ্জে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জেলা বিএনপির আওতাধীন আট নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসব আদেশের পেছনে রয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, খুন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। কিন্তু এভাবে একের পর এক বহিষ্কার করেও বিএনপির নেতা-কর্মীদের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। উল্টো তাঁরা নতুন নতুন অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ...
২ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে গত এক বছরে বগুড়ায় একের পর এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও জেলা পুলিশের সদস্যরা কোথাও লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল বা রাবার বুলেট চালানোর মতো বলপ্রয়োগ করেনি। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৩৭ লাখ জনসংখ্যার এই জেলায় নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর...
৪ ঘণ্টা আগেফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার দোসরেরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীন।
৪ ঘণ্টা আগেঅ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ও ডক্টর অব ভেটিরিনারি মেডিসিন উভয় ডিসিপ্লিনের সমন্বয়ে কম্বাইন্ড ডিগ্রি প্রদানের দাবিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ দাবিতে অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ
৪ ঘণ্টা আগে