মো. ইমরান হোসাইন, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম)
২০০২ সালে সরকারের কাছ থেকে ১০০ টাকা মূল্যে একটি খাসজমি লিজ নিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এখলাছুর রহমান। দুই দশকেও ওই জমি দখলে নিতে পারেননি এখলাছুর বা তাঁর পরিবার। এর মধ্যে তিনি মারাও গেছেন। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী শেখ মোহাম্মদ এবং আরও কয়েকজন জমিটি দখল করে রেখেছেন।
মো. এখলাছুর রহমান চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর বড় উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি দেড় বছর আগে মারা যান। প্রায় দুই দশক আগে বড় উঠান ইউপির দৌলতপুর গ্রামের রাজ্জাক পাড়া সীতারাম পুকুরপাড়ে সরকারের কাছ থেকে ১৮ গণ্ডা খাসজমি বন্দোবস্ত পেয়েছিলেন মো. এখলাছুর রহমান। ওই সময় তিনি গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। এখলাছুরের মৃত্যুর পর সম্প্রতি তাঁর নাম বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে তালিকাভুক্ত হয়।
বড় উঠান ইউনিয়নের ভূমি উপসহকারী মুহাম্মদ তৌহিদুল আলম জানান, উত্তরাধিকার সূত্রে ছাড়া ওই জমি হস্তান্তরযোগ্য নয়।
এখলাছুরের স্ত্রী মোছেনা বেগম জানান, জমি উদ্ধারের জন্য তাঁর মামাতো ভাই জামাল উদ্দীনের সাহায্য চাইতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জমি উদ্ধারের কথা বলে দলিল ও মুক্তিযুদ্ধের সনদ নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান জামালও।
মোছেনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বীকৃতি না পাওয়ায় মৃত্যুর পর তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও পাননি কোনো দিন। অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। অন্যের ঘরে আশ্রয় নিয়ে আছি আমরা। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে জরাজীর্ণ বাড়িটিও। এ দুশ্চিন্তায় আতঙ্কের মধ্যে ঘুমাতে পারি না। ঝড়-বৃষ্টির দিনে আতঙ্ক আরও বাড়ে। দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন আমার স্বামী। কিন্তু পরিবারের জন্য কিছুই করে যেতে পারেননি। স্কুলের দপ্তরি হিসেবে ঘণ্টা বাজিয়ে জীবন পার করেছেন।’
এ বিষয়ে শেখ মোহাম্মদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা এখলাছ দীর্ঘদিন স্কুলে দপ্তরির কাজ করেছেন। তাঁর ওই জমির দখল কখনো তাঁর কাছে ছিল না। তাঁর প্রথম স্ত্রীর সংসারে কোনো সন্তান ছিল না। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিয়ে করেন। সেই সংসারে স্কুলপড়ুয়া একটি মেয়ে রয়েছে। কিছুদিন পর দ্বিতীয় স্ত্রী মারা গেলে আবার বিয়ে করেন মোছেনা বেগমকে। তাঁর এই সংসারে রয়েছে স্কুলপড়ুয়া দুই ছেলে ও এক শিশুকন্যা। তাঁদের নিজেদের কোনো জমি না থাকায় এম এ মাসুদ নামে এক ব্যক্তি ঘর দিয়ে আশ্রয় দিয়েছেন।’
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘সম্প্রতি গেজেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এখলাছুর রহমানের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। জমি বেদখলের বিষয়টি আমি জেনেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে মাসিক সম্মানী ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এবং জমিটি উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর তাঁর প্রাপ্য সব সুযোগ-সুবিধা স্ত্রী আর সন্তানেরা ভোগ করবেন।’
কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পীযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘একটি চক্র এখলাছ নামীয় একটি অছিয়তনামা নামজারির আবেদন করতে আসলে আমাদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে তদন্ত করে জানা যায় জমিটি মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমানের। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মৃত মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমানের স্ত্রী সন্তানেরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাঁদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। সরকার থেকে বন্দোবস্ত পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাঁরা কোনো দিন জমিটি দখলে নিতে পারেননি। এটা আমরা জানতে পেরে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে সহায়তা করছি। ওয়ারিশমূলে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের নামজারি খতিয়ান তৈরি করে দিয়ে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হয়রানি করা অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কর্ণফুলী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এন এম ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি গেজেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এখলাছুর রহমানের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁদের সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
২০০২ সালে সরকারের কাছ থেকে ১০০ টাকা মূল্যে একটি খাসজমি লিজ নিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এখলাছুর রহমান। দুই দশকেও ওই জমি দখলে নিতে পারেননি এখলাছুর বা তাঁর পরিবার। এর মধ্যে তিনি মারাও গেছেন। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী শেখ মোহাম্মদ এবং আরও কয়েকজন জমিটি দখল করে রেখেছেন।
মো. এখলাছুর রহমান চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর বড় উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি দেড় বছর আগে মারা যান। প্রায় দুই দশক আগে বড় উঠান ইউপির দৌলতপুর গ্রামের রাজ্জাক পাড়া সীতারাম পুকুরপাড়ে সরকারের কাছ থেকে ১৮ গণ্ডা খাসজমি বন্দোবস্ত পেয়েছিলেন মো. এখলাছুর রহমান। ওই সময় তিনি গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। এখলাছুরের মৃত্যুর পর সম্প্রতি তাঁর নাম বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে তালিকাভুক্ত হয়।
বড় উঠান ইউনিয়নের ভূমি উপসহকারী মুহাম্মদ তৌহিদুল আলম জানান, উত্তরাধিকার সূত্রে ছাড়া ওই জমি হস্তান্তরযোগ্য নয়।
এখলাছুরের স্ত্রী মোছেনা বেগম জানান, জমি উদ্ধারের জন্য তাঁর মামাতো ভাই জামাল উদ্দীনের সাহায্য চাইতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জমি উদ্ধারের কথা বলে দলিল ও মুক্তিযুদ্ধের সনদ নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান জামালও।
মোছেনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বীকৃতি না পাওয়ায় মৃত্যুর পর তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও পাননি কোনো দিন। অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। অন্যের ঘরে আশ্রয় নিয়ে আছি আমরা। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে জরাজীর্ণ বাড়িটিও। এ দুশ্চিন্তায় আতঙ্কের মধ্যে ঘুমাতে পারি না। ঝড়-বৃষ্টির দিনে আতঙ্ক আরও বাড়ে। দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন আমার স্বামী। কিন্তু পরিবারের জন্য কিছুই করে যেতে পারেননি। স্কুলের দপ্তরি হিসেবে ঘণ্টা বাজিয়ে জীবন পার করেছেন।’
এ বিষয়ে শেখ মোহাম্মদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা এখলাছ দীর্ঘদিন স্কুলে দপ্তরির কাজ করেছেন। তাঁর ওই জমির দখল কখনো তাঁর কাছে ছিল না। তাঁর প্রথম স্ত্রীর সংসারে কোনো সন্তান ছিল না। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিয়ে করেন। সেই সংসারে স্কুলপড়ুয়া একটি মেয়ে রয়েছে। কিছুদিন পর দ্বিতীয় স্ত্রী মারা গেলে আবার বিয়ে করেন মোছেনা বেগমকে। তাঁর এই সংসারে রয়েছে স্কুলপড়ুয়া দুই ছেলে ও এক শিশুকন্যা। তাঁদের নিজেদের কোনো জমি না থাকায় এম এ মাসুদ নামে এক ব্যক্তি ঘর দিয়ে আশ্রয় দিয়েছেন।’
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘সম্প্রতি গেজেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এখলাছুর রহমানের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। জমি বেদখলের বিষয়টি আমি জেনেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে মাসিক সম্মানী ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এবং জমিটি উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর তাঁর প্রাপ্য সব সুযোগ-সুবিধা স্ত্রী আর সন্তানেরা ভোগ করবেন।’
কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পীযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘একটি চক্র এখলাছ নামীয় একটি অছিয়তনামা নামজারির আবেদন করতে আসলে আমাদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে তদন্ত করে জানা যায় জমিটি মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমানের। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মৃত মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমানের স্ত্রী সন্তানেরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাঁদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। সরকার থেকে বন্দোবস্ত পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাঁরা কোনো দিন জমিটি দখলে নিতে পারেননি। এটা আমরা জানতে পেরে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে সহায়তা করছি। ওয়ারিশমূলে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের নামজারি খতিয়ান তৈরি করে দিয়ে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হয়রানি করা অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কর্ণফুলী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এন এম ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি গেজেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এখলাছুর রহমানের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁদের সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
খাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের সময় তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি) সদস্য বলে পুলিশ দাবি করেছে। আজ শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি সদরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৪৪ মিনিট আগেহান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান। আমি আপনাদের কাছে কখনো ভোট চাইতে আসব না। কখনো বলব না আপনারা আমাকে ভোট দেন। আপনারা যদি আমার থেকে যোগ্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে পান, তবে তাকে সবাই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। এটাতে আমার কোনো আপত্তি নাই। তবুও আমি চাইব, অবহেলিত এই হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়ন হোক।
১ ঘণ্টা আগেসি-সেফ লাইফ গার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সামির চট্টগ্রামের হালিশহরের বাসিন্দা এবং পেশায় রেফ্রিজারেটর মেকানিক। সাইফুল্লাহ সিফাত জানান, সকালে সামিরসহ চার বন্ধু মিলে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। দুপুরে সৈকতে গোসলে নামলে ঢেউয়ে ভেসে যেতে থাকেন সামির।
১ ঘণ্টা আগেসন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। যদিও অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলছেন, তিনি কখনো অস্ত্র ছুঁয়েও দেখেননি।
১ ঘণ্টা আগে