কক্সবাজার ও মহেশখালী প্রতিনিধি
পানিতে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে একটি সেতু। সেতুর এপাশ-ওপাশ নেই কোনো রাস্তা। বাঁশের তৈরি মই বেয়ে সেতুর এপার থেকে ওপারে যেতে হয়। এভাবেই পায়ে হেঁটে সেতু পার হয়ে দ্বীপবাসীর কেটেছে ১৫ বছর। কখন সেতুটির সংযোগ সড়ক হবে তাও কেউ জানেন না।
জানা যায়, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের স্বর্ণদ্বীপ খ্যাত সোনাদিয়ায় সড়ক যোগাযোগের জন্য নির্মিত হয়েছে দরবেশকাটা সেতুটি। ২০০৬ সালে দরবেশকাটা খালের ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সোনাদিয়া দ্বীপের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সেতুটি নির্মাণ করেন। এ সেতু নির্মাণের ফলে কুতুবজোম থেকে ঘটিভাঙা হয়ে সোনাদিয়া সড়কে সরাসরি যোগাযোগ সৃষ্টি হয়। সে সময় একই সড়কের সোনাদিয়া প্যারাবনের ভেতর আরও একটি সেতু নির্মাণ করা হয়।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭০ ও ২২০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু দুইটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৯ সালে ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দরবেশকাটা সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। কিন্তু ঠিকাদার কাজ শেষ করার পরপরই সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে সড়কটি বিলীন হয়ে যায়।
দেশের একমাত্র শৈলদ্বীপ মহেশখালীর আরেক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সোনাদিয়া। এ দ্বীপের আয়তন ১০ হাজার একর। পর্যটনের জন্য দেশজুড়ে দ্বীপটির খ্যাতি রয়েছে। এরই মধ্যে সরকার এখানে পর্যটন কেন্দ্রের বিকাশে নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ দ্বীপ চিংড়ি, লবণ ও শুঁটকি উৎপাদনে প্রসিদ্ধ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুতুবজোম-ঘটিভাঙা সড়কের দরবেশকাটা খালের ওপর নির্মিত হয় এই সেতু। এ সেতু সোনাদিয়া দ্বীপের বাসিন্দা এবং আশপাশের লবণ ও চিংড়ি চাষিদের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন। এ সড়ক ছাড়া সোনাদিয়ায় পায়ে হেঁটে যাওয়ার কোনো বিকল্প রাস্তা নেই।
সড়ক নিয়ে ঘটিভাঙা এলাকার বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী বাদশাহ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, সড়ক নির্মাণে মাটির পরিবর্তে বালি ব্যবহার করায় ৬-৭ মাসের মাথায় সড়কটি বিলীন হয়ে যায়। এরপর আর সড়ক নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
উৎপাদনের বিষয়ে ঘটিভাঙার কৃষক জালাল আহমদ বলেন, ঘটিভাঙা ও সোনাদিয়ায় প্রায় ১০ হাজার একর জমিতে প্রতিবছর লবণ, চিংড়ি মাছ ও বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে উৎপাদন হয় শুঁটকির। সড়ক যোগাযোগের অভাবে পানির দরেই এসব পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া সমুদ্রপথে নৌকায় করে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত খরচ পড়ে।
কুতুবজোম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ কামাল জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অধীনে সোনাদিয়ার সাড়ে ৯ হাজার একর জমি রয়েছে। সেখানে সেতু ও সড়কসহ অবকাঠামো নির্মাণে আপাতত কোনো তথ্য নেই।
বেজার সূত্রে জানা গেছে, সেতু দুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সেখানে বেজারের বাইরে নতুন কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনার সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি সেতুগুলোর সংযোগ সড়ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। তবে বেজারের আপত্তিতে তা বাতিল করা হয়েছে।
পানিতে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে একটি সেতু। সেতুর এপাশ-ওপাশ নেই কোনো রাস্তা। বাঁশের তৈরি মই বেয়ে সেতুর এপার থেকে ওপারে যেতে হয়। এভাবেই পায়ে হেঁটে সেতু পার হয়ে দ্বীপবাসীর কেটেছে ১৫ বছর। কখন সেতুটির সংযোগ সড়ক হবে তাও কেউ জানেন না।
জানা যায়, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের স্বর্ণদ্বীপ খ্যাত সোনাদিয়ায় সড়ক যোগাযোগের জন্য নির্মিত হয়েছে দরবেশকাটা সেতুটি। ২০০৬ সালে দরবেশকাটা খালের ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সোনাদিয়া দ্বীপের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সেতুটি নির্মাণ করেন। এ সেতু নির্মাণের ফলে কুতুবজোম থেকে ঘটিভাঙা হয়ে সোনাদিয়া সড়কে সরাসরি যোগাযোগ সৃষ্টি হয়। সে সময় একই সড়কের সোনাদিয়া প্যারাবনের ভেতর আরও একটি সেতু নির্মাণ করা হয়।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭০ ও ২২০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু দুইটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৯ সালে ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দরবেশকাটা সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। কিন্তু ঠিকাদার কাজ শেষ করার পরপরই সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে সড়কটি বিলীন হয়ে যায়।
দেশের একমাত্র শৈলদ্বীপ মহেশখালীর আরেক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সোনাদিয়া। এ দ্বীপের আয়তন ১০ হাজার একর। পর্যটনের জন্য দেশজুড়ে দ্বীপটির খ্যাতি রয়েছে। এরই মধ্যে সরকার এখানে পর্যটন কেন্দ্রের বিকাশে নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ দ্বীপ চিংড়ি, লবণ ও শুঁটকি উৎপাদনে প্রসিদ্ধ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুতুবজোম-ঘটিভাঙা সড়কের দরবেশকাটা খালের ওপর নির্মিত হয় এই সেতু। এ সেতু সোনাদিয়া দ্বীপের বাসিন্দা এবং আশপাশের লবণ ও চিংড়ি চাষিদের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন। এ সড়ক ছাড়া সোনাদিয়ায় পায়ে হেঁটে যাওয়ার কোনো বিকল্প রাস্তা নেই।
সড়ক নিয়ে ঘটিভাঙা এলাকার বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী বাদশাহ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, সড়ক নির্মাণে মাটির পরিবর্তে বালি ব্যবহার করায় ৬-৭ মাসের মাথায় সড়কটি বিলীন হয়ে যায়। এরপর আর সড়ক নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
উৎপাদনের বিষয়ে ঘটিভাঙার কৃষক জালাল আহমদ বলেন, ঘটিভাঙা ও সোনাদিয়ায় প্রায় ১০ হাজার একর জমিতে প্রতিবছর লবণ, চিংড়ি মাছ ও বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে উৎপাদন হয় শুঁটকির। সড়ক যোগাযোগের অভাবে পানির দরেই এসব পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া সমুদ্রপথে নৌকায় করে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত খরচ পড়ে।
কুতুবজোম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ কামাল জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অধীনে সোনাদিয়ার সাড়ে ৯ হাজার একর জমি রয়েছে। সেখানে সেতু ও সড়কসহ অবকাঠামো নির্মাণে আপাতত কোনো তথ্য নেই।
বেজার সূত্রে জানা গেছে, সেতু দুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সেখানে বেজারের বাইরে নতুন কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনার সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি সেতুগুলোর সংযোগ সড়ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। তবে বেজারের আপত্তিতে তা বাতিল করা হয়েছে।
প্রায় ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা এলাকায় ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ময়মনসিংহ ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি)। কিন্তু প্রতিষ্ঠার সময় নিয়োগ দেওয়া হয়নি প্রয়োজনীয় জনবল। বর্তমানে দুজন অতিথি শিক্ষক সপ্তাহে দুই দিন করে ক্লাস নেন। এতে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের পর ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল পারকি। চট্টগ্রাম শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত এই সৈকতের দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার। পাশে বিশাল ঝাউবাগান থাকা সৈকতটি একসময় পর্যটকে মুখর থাকলেও এখন সেই অবস্থা আর নেই। ভাঙনের কারণে বালু সরে গিয়ে বিবর্ণ হয়ে
৩ ঘণ্টা আগেরংপুর জেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন ৮টি উপজেলায় জনবলসংকট চরমে। এতে ঠিকমতো গবাদি পশুর চিকিৎসা পাচ্ছে না খামারিরা। নিয়মানুযায়ী প্রতিটি উপজেলায় ১১টি পদের জন্য একজন করে মোট ৮৮ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত ৫২ জন। তাঁদের মধ্যে আবার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা প্রেষণে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেকয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুর হটস্পট হয়ে ওঠা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির এবং আশপাশের এলাকায় এ বছর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। গত এক মাসে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচ রোহিঙ্গাসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসের ২৬ জুন পর্যন্ত জেলায় ২১৬ জন ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপও।
৩ ঘণ্টা আগে