সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিখোঁজের এক মাস পরেও দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীর সন্ধান মেলেনি। ঘটনার পর নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীকে খুঁজে পেতে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সীতাকুণ্ড থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগের পর নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে তদন্ত কার্যক্রম চলমান থাকার এক মাস পরেও এখনো ওই দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে সন্তানদের বিপদের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে দিন যাপন করছে দুই পরিবার।
নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থী হলো সীতাকুণ্ডের কুমিরার দক্ষিণ মসজিদ্দা মাস্টারপাড়ার ফোরুক মিস্ত্রিবাড়ির মৃত মাসুদ মিয়ার মেয়ে তামান্না আক্তার (১৭) ও ছোট কুমিরার মসজিদ্দা এলাকার স্বপন মল্লিকের মেয়ে অর্পা মল্লিক (১৬)। তাঁরা দুজনই কুমিরা লতিফা সিদ্দিকী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২৩ নভেম্বর শেষ পরীক্ষা দিয়েই রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায় তামান্না ও অর্পা মল্লিক। ঘটনার পর দুই পরিবার আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করে। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান না পেয়ে সন্তানের খোঁজ পেতে দুই পরিবার বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। কিন্তু নিখোঁজের এক মাস পার হয়ে গেলেও এখনো তাদের সন্ধান মেলেনি। তাদের অপহরণের কথা জানিয়ে কেউ মুক্তিপণ চেয়েও ফোন করেনি। দিনদিন দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে পরিবারের উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
এদিকে, একসঙ্গে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজের এ ঘটনা এলাকায় আলোচনার বিষয়ে রূপ নিয়েছে। নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা কোথায় আছে, কী অবস্থায় আছে তা নিয়ে এলাকাবাসীর কৌতূহলের শেষ নেই।
নিখোঁজ অর্পা মল্লিকের মা অঞ্জনা মল্লিক বলেন, শেষ পরীক্ষা দিতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি অর্পা। তার বালিশের নিচে একটি চিঠি পাওয়া গেছে। তাতে সে লিখেছে, ‘আমি চলে যাচ্ছি আর আসব না। আমি একজনকে ভালোবাসি, তাকে নিয়েই চলে যাচ্ছি। আমাকে মাফ করে দিয়ো।’ সে তার ব্যবহৃত ফোনটিও রেখে গেছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে নিখোঁজ তামান্নার মা সুফিয়া বেগম বলেন, শেষ পরীক্ষা দিতে গিয়ে তামান্না নিখোঁজ হলেও সে কী কারণে চলে গেছে সে ব্যাপারে কোনো ধরনের চিঠি লিখে যায়নি। সে নিয়ে যায়নি নিজের ব্যবহৃত ফোন। তাই সে কোথায় গেছে, কী উদ্দেশ্যে গেছে, কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি। এতে মেয়ের বিপদের আশঙ্কায় নিদ্রাহীন রাত কাটছে তাঁর। তিনি মেয়েকে ফিরে পেতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বলেও জানান।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনাটি সত্যিই রহস্যজনক। তারা দুজনই খুব ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিল। প্রতিদিন তারা একসঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করত। শেষ পরীক্ষা দিয়ে দুজনই নিখোঁজ হয়ে যায়। আবার যাওয়ার সময় কেউই কোনো মোবাইলও নিয়ে যায়নি। তাই তাদের খুঁজে পেতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবু আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিখোঁজের এক মাস পরেও দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীর সন্ধান মেলেনি। ঘটনার পর নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীকে খুঁজে পেতে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সীতাকুণ্ড থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগের পর নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে তদন্ত কার্যক্রম চলমান থাকার এক মাস পরেও এখনো ওই দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে সন্তানদের বিপদের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে দিন যাপন করছে দুই পরিবার।
নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থী হলো সীতাকুণ্ডের কুমিরার দক্ষিণ মসজিদ্দা মাস্টারপাড়ার ফোরুক মিস্ত্রিবাড়ির মৃত মাসুদ মিয়ার মেয়ে তামান্না আক্তার (১৭) ও ছোট কুমিরার মসজিদ্দা এলাকার স্বপন মল্লিকের মেয়ে অর্পা মল্লিক (১৬)। তাঁরা দুজনই কুমিরা লতিফা সিদ্দিকী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২৩ নভেম্বর শেষ পরীক্ষা দিয়েই রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায় তামান্না ও অর্পা মল্লিক। ঘটনার পর দুই পরিবার আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করে। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান না পেয়ে সন্তানের খোঁজ পেতে দুই পরিবার বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। কিন্তু নিখোঁজের এক মাস পার হয়ে গেলেও এখনো তাদের সন্ধান মেলেনি। তাদের অপহরণের কথা জানিয়ে কেউ মুক্তিপণ চেয়েও ফোন করেনি। দিনদিন দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে পরিবারের উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
এদিকে, একসঙ্গে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজের এ ঘটনা এলাকায় আলোচনার বিষয়ে রূপ নিয়েছে। নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা কোথায় আছে, কী অবস্থায় আছে তা নিয়ে এলাকাবাসীর কৌতূহলের শেষ নেই।
নিখোঁজ অর্পা মল্লিকের মা অঞ্জনা মল্লিক বলেন, শেষ পরীক্ষা দিতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি অর্পা। তার বালিশের নিচে একটি চিঠি পাওয়া গেছে। তাতে সে লিখেছে, ‘আমি চলে যাচ্ছি আর আসব না। আমি একজনকে ভালোবাসি, তাকে নিয়েই চলে যাচ্ছি। আমাকে মাফ করে দিয়ো।’ সে তার ব্যবহৃত ফোনটিও রেখে গেছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে নিখোঁজ তামান্নার মা সুফিয়া বেগম বলেন, শেষ পরীক্ষা দিতে গিয়ে তামান্না নিখোঁজ হলেও সে কী কারণে চলে গেছে সে ব্যাপারে কোনো ধরনের চিঠি লিখে যায়নি। সে নিয়ে যায়নি নিজের ব্যবহৃত ফোন। তাই সে কোথায় গেছে, কী উদ্দেশ্যে গেছে, কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি। এতে মেয়ের বিপদের আশঙ্কায় নিদ্রাহীন রাত কাটছে তাঁর। তিনি মেয়েকে ফিরে পেতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বলেও জানান।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনাটি সত্যিই রহস্যজনক। তারা দুজনই খুব ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিল। প্রতিদিন তারা একসঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করত। শেষ পরীক্ষা দিয়ে দুজনই নিখোঁজ হয়ে যায়। আবার যাওয়ার সময় কেউই কোনো মোবাইলও নিয়ে যায়নি। তাই তাদের খুঁজে পেতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবু আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতি তাঁর সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে নোটিশ দিয়েছে।
১৭ মিনিট আগেপাহাড় ও বনের মিশেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর। তবে এ অঞ্চলের বনভূমির চিত্র আর আগের মতো নেই। একসময়ের বিশাল বনভূমি এখন অনেকটাই উজাড় হয়ে গেছে। বনের মূল্যবান গাছের অধিকাংশই শেষ পর্যন্ত ঠাঁই নিয়েছে করাতকলে।
৩১ মিনিট আগেখুলনার নতুন জেলা কারাগার নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ এবং দফায় দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে আটবার। কিন্তু এর নির্মাণকাজ গত ৯ বছরেও শেষ হয়নি। কাজ চলছে ধীরগতিতে। মাটি ভরাট বাকি থাকাসহ কিছু ভবন অসম্পূর্ণ রয়েছে। ফলে গত মে এবং পরে জুলাই মাসে সময় নির্ধারণ করা হলেও গণপূর্ত বিভাগ কারাগারটি...
৩৭ মিনিট আগেরাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) ক্যাম্পাসের জন্য যে ২০৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তার এক কোণে একটি খামার ছিল হাফিজুলের। সেটি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তবে এই হাফিজুলই এখন ক্যাম্পাসের হর্তাকর্তা। আজকের পত্রিকার হাতে আসা ভিডিও অনুযায়ী, তাঁর নির্দেশেই ক্যাম্পাস থেকে কাটা হয়েছে সহস্রাধিক গাছ।
১ ঘণ্টা আগে