Ajker Patrika

মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি যুবক আহত 

বান্দরবান প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১: ৪০
মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি যুবক আহত 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার ভূখণ্ডে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অংঞাথাইন তঞ্চঙ্গ্যা (২৫) নামের এক বাংলাদেশি যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি তুমব্রু হেডম‍্যানপাড়ার অংক‍্যথাইন তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। 

আজ শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ঘুমধুমের তুমব্রুর বাসিন্দা অংঞাথাইন তঞ্চঙ্গ্যা মিয়ানমার সীমান্তের শূন‍্যরেখা (জিরোলাইন) ঘেঁষে ৩৫ নম্বর পিলারের কাছাকাছি যান। সে সময় হঠাৎ মিয়ানমার ভূখণ্ডে মাইন বিস্ফোরণের অংশ তাঁর পায়ে এসে পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল দল অংঞাথাইনকে উদ্ধার করেছে এবং স্থানীয়দের সীমান্ত এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, আহত যুবককে প্রথমে পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে এবং পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় বিকেলে তাঁকে চট্টগ্রামে চিকিৎসার জন‍্য পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে অংঞাথাইন তঞ্চঙ্গ্যা ও অপর এক যুবক জিরো লাইনের কাঁটাতারের বেড়া এলাকায় যায়। সেখানে হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণে অংঞাথাইন তঞ্চঙ্গ্যার বাঁ পায়ের একটা অংশ উড়ে যায়। 

ঘুমধুমের স্থানীয় হেডম‍্যান থাইনচাপ্রু সাংবাদিকদের জানান, মিয়ানমার সীমান্ত জিরোলাইনের ৩৫ নম্বর পিলারের কাছাকাছি গেলে হঠাৎ ওপারে (মিয়ানমার) মাইন বিস্ফোরণের অংশ এসে পড়লে অংঞাথাইন তঞ্চঙ্গ্যা নামে এক যুবকের পায়ের একটা অংশ উড়ে যায়। ওই ঘটনার পাশাপাশি এলাকায় একটি গরুও মারা যায় বলে জানান তিনি। 

এ ঘটনার পর সীমান্তে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকার লোকজন নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। 

এদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস‍্যরা লোকজনকে সীমান্তের আশপাশে যেতে দিচ্ছেন না। এ ঘটনার পর সীমান্তে বিজিবি টহল ও নজরদারি বেড়েছে বলে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন। 

টহলরত অবস্থায় বিজিবির কয়েকজন জওয়ান জানান, কী কারণে ওই দুই যুবক বিজিবির নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও জিরো লাইনে গিয়েছিলেন তা এখনো জানা যায়নি। মাইন কোথা থেকে কীভাবে বিস্ফোরণ হলো, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অথবা বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান বাহিনী সীমান্তে এসব মাইন পুঁতে রেখেছে। 

উল্লেখ্য, এক মাসের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তে সে দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) মধ্যে লড়াইকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি মর্টার শেল ও গুলি এসে পড়েছে বাংলাদেশের মধ্যে। সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বিজিবি। গত ২৮ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর দুই দফায় চারটি মর্টার শেল ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তরপাড়া ও বাইশফাঁড়ি এলাকায় এসে পড়ে। তবে এসব মর্টার শেল পড়লেও সেগুলো বিস্ফোরণ না হওয়ায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। 

 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মালয়েশিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, আবেদন ফি মাত্র ১৪ হাজার টাকা

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় মিলেছে

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাইরান কাজীর বিষয়ে ইলন মাস্কের মন্তব্যে বিস্ময়

অমীমাংসিত বিষয় সমাধানে পাকিস্তানের দাবি নাকচ করল সরকার

যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল বোঝার ভুলের খেসারত দিচ্ছে ভারত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত