কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেকে সমুদ্রে ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে ১০ জনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে র্যাবের হাতে দুজন এবং গতকাল বুধবার রাতে চকরিয়ার বদরখালী থেকে পুলিশের হাতে একজন গ্রেপ্তার হন।
তাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ পর্যন্ত চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম।
এসপি মাহফুজুল জানান, পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল রাতে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী এলাকা থেকে গিয়াস উদ্দিন মুনির (৩২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মুনির বদরখালী এলাকায় মো. নুর নবীর ছেলে। তাঁকে আজ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সেই সঙ্গে আজ সকালে এ ঘটনায় সন্দেহজনক দুজনকে র্যাব আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। বাঁশখালীর কুদুকখালী থেকে তাঁদের আটক করা হয়। তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সিরাজুল হকের ছেলে ফজল কাদের মাঝি (৩০) এবং শামসুল আলমের ছেলে আবু তৈয়ব মাঝি (৩২)। তাঁরা দুজনই বাঁশখালীর কুদুকখালী এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গ্রেপ্তার দুই আসামি বাইট্টা কামাল ও করিম সিকদারকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোমের সোনাদিয়া খালে উদ্ধার হওয়া একটি কঙ্কাল ট্রলারের বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ ওই কঙ্কালের নমুনা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে।
পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, মহেশখালী থেকে উদ্ধার হওয়া মানুষের কঙ্কাল ১০ লাশের সঙ্গে ছিল কি না, দেখা হচ্ছে। এই কঙ্কালের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ১০ লাশের শরীরে কোন ধরনের আঘাত ছিল, জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘লাশগুলো অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। কারও শরীরে গুলি বা অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাদের হাত-পা বেঁধে হিমঘরে আটকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
পুলিশ এ ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ও ঘটনার সূত্র পেয়েছেন বলে জানান পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ‘দুজন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁরা এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। পুলিশ এ ঘটনায় কয়েকটি উৎসকে সামনে রেখে তদন্ত করছে। শিগগির ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হবে।’
অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া ১০ লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো পুলিশের হাতে দেওয়া হয়নি বলে জানান কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশিকুর রহমান। লাশের শরীরে কোন ধরনের আঘাত পাওয়া গেছে, জানতে চাইলে তিনি এ-সংক্রান্ত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
উল্লেখ্য, গত রোববার সাগরে ডুবন্ত ট্রলারটি গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মাছ ধরার ট্রলারের জেলেদের জালে আটকা পড়ে। পরে ওই ট্রলারটির সাহায্যে জেলেরা রশি দিয়ে ডুবন্ত ট্রলারটি টেনে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে নিয়ে আসেন। বেলা দেড়টার দিকে ডুবন্ত ট্রলারটি কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে পৌঁছালে ট্রলারে লাশ থাকার বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন:
কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেকে সমুদ্রে ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে ১০ জনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে র্যাবের হাতে দুজন এবং গতকাল বুধবার রাতে চকরিয়ার বদরখালী থেকে পুলিশের হাতে একজন গ্রেপ্তার হন।
তাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ পর্যন্ত চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম।
এসপি মাহফুজুল জানান, পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল রাতে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী এলাকা থেকে গিয়াস উদ্দিন মুনির (৩২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মুনির বদরখালী এলাকায় মো. নুর নবীর ছেলে। তাঁকে আজ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সেই সঙ্গে আজ সকালে এ ঘটনায় সন্দেহজনক দুজনকে র্যাব আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। বাঁশখালীর কুদুকখালী থেকে তাঁদের আটক করা হয়। তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সিরাজুল হকের ছেলে ফজল কাদের মাঝি (৩০) এবং শামসুল আলমের ছেলে আবু তৈয়ব মাঝি (৩২)। তাঁরা দুজনই বাঁশখালীর কুদুকখালী এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গ্রেপ্তার দুই আসামি বাইট্টা কামাল ও করিম সিকদারকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোমের সোনাদিয়া খালে উদ্ধার হওয়া একটি কঙ্কাল ট্রলারের বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ ওই কঙ্কালের নমুনা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে।
পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, মহেশখালী থেকে উদ্ধার হওয়া মানুষের কঙ্কাল ১০ লাশের সঙ্গে ছিল কি না, দেখা হচ্ছে। এই কঙ্কালের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ১০ লাশের শরীরে কোন ধরনের আঘাত ছিল, জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘লাশগুলো অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। কারও শরীরে গুলি বা অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাদের হাত-পা বেঁধে হিমঘরে আটকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
পুলিশ এ ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ও ঘটনার সূত্র পেয়েছেন বলে জানান পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ‘দুজন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁরা এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। পুলিশ এ ঘটনায় কয়েকটি উৎসকে সামনে রেখে তদন্ত করছে। শিগগির ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হবে।’
অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া ১০ লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো পুলিশের হাতে দেওয়া হয়নি বলে জানান কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশিকুর রহমান। লাশের শরীরে কোন ধরনের আঘাত পাওয়া গেছে, জানতে চাইলে তিনি এ-সংক্রান্ত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
উল্লেখ্য, গত রোববার সাগরে ডুবন্ত ট্রলারটি গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মাছ ধরার ট্রলারের জেলেদের জালে আটকা পড়ে। পরে ওই ট্রলারটির সাহায্যে জেলেরা রশি দিয়ে ডুবন্ত ট্রলারটি টেনে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে নিয়ে আসেন। বেলা দেড়টার দিকে ডুবন্ত ট্রলারটি কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে পৌঁছালে ট্রলারে লাশ থাকার বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন:
আবিদ নার্সারির স্বত্বাধিকারী হাফিজুর রহমান মাসুদ বলেন, ‘২০২০–২১ সালে বিভিন্ন স্থান থেকে চারা এনে রোপণ করি। গত বছর কয়েকটি গাছে সামান্য ফল ধরেছিল। এবছর আশানুরূপ ফল এসেছে। আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ফলগুলো পাকে।’
২৯ মিনিট আগেবিএনপির রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি কখনো ক্ষমতার রাজনীতি করে না, বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে। আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে আমাদের দলের নেতা–কর্মীরা রক্ত দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন। আমরা তাঁদের কাছে দায়বদ্ধ।’
৩৮ মিনিট আগেপুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে বৃদ্ধা মমতাজ বেগম ঘরে একা ছিলেন। তাঁর ছেলে সোহেল প্রধানিয়া বাসায় ফিরে মাকে খুঁজে না পেয়ে দেখতে পান, ঘরের দরজা খোলা এবং কক্ষগুলো রক্তাক্ত। পরে রান্নাঘরের পাশে পাতার স্তূপের নিচে মমতাজ বেগমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের
৪৪ মিনিট আগেদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ময়মনসিংহ জেলার নালিতাবাড়ির তাহসিন আহমেদ (২৫), ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়ার ইশাক হোসেন শান্ত (২৩), বাউন্ডারি রোডের আনাফ রাজিন (২৪), আউটার স্টেডিয়াম রোডের নাসির হোসাইন (২৬) এবং সানকিপাড়ার আহমেদ মাহফুজ (২৪)। তাঁরা সবাই ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের স্নাতকের (অনার্স) শিক্ষার্থী।
১ ঘণ্টা আগে