Ajker Patrika

হুইপের তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই সহোদর 

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
হুইপের তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই সহোদর 

জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়া আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী এমপির তথ্য পাচারের অভিযোগে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের হুইপের নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন-মেহেবুবুর রহমান ও আবদুল দয়ান। 

আজ সোমবার তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে তাদের জেলে পাঠানো হয়। তাঁরা দুজনই উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের আবদুল মান্নান চৌধুরীর ছেলে।  

হুইপের একান্ত সহকারী হাবীবুল হক চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার দুজন ছাড়াও সংঘবদ্ধ ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের আরও দুজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। 

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে দর্শনার্থীদের ভিড়ের মধ্যে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের এক যুবকের গতিবিধি রহস্যজনক মনে হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাঁর শরীর তল্লাশি করে প্যান্টের পকেট থেকে দুটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়, যেখানে হুইপের বিভিন্ন কথাবার্তা রেকর্ড পাওয়া যায়। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১ নম্বর আসামি মেহেবুবুর ৬৩ হাজার টাকার বিনিময়ে হুইপের সম্মানহানির জন্য তাঁর ছোট ভাই দয়ানকে ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো দিয়ে হুইপের বাড়িতে পাঠান। দয়ান হুইপের কাছাকাছি অবস্থান করে তাঁর কথা রেকর্ড করেন এবং এডিট করে বিভিন্ন মাধ্যমে পাঠিয়ে সম্মানহানির চেষ্টা চালান। 

আবদুল দয়ানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাঁর বড় ভাই মেহেবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  

পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, হুইপের সম্মানহানি করার জন্য টাকার বিনিময়ে দুই ভাই ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের কাছে হুইপের তথ্য সরবরাহ করত। ওই চক্রের যোগসাজশে তাঁরা দুজন দীর্ঘদিন ধরে তথ্য সরবরাহ করেছে। চক্রের মূল হোতাসহ যারা জড়িত রয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনতে দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত