Ajker Patrika

চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৭

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ জুন ২০২৩, ১১: ৩১
চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৭

খাবারের হোটেলে বসাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সহকারী প্রক্টর, পুলিশসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হল-সংলগ্ন একটি হোটেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়, যা থেমে থেমে প্রায় রাত ১২টা পর্যন্ত চলে। সংঘর্ষে পাঁচজন ছাত্র আহত হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব।

বিবদমান গ্রুপ দুটি হলো সিক্সটি নাইন ও সিএফসি। এদের মধ্যে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী এবং অপর গ্রুপ সিএফসি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচয় দেয়।

ছাত্রলীগের কর্মী ও নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাতের ট্রেন ক্যাম্পাসে আসার পর একটি খাবারের হোটেলের টেবিলে বসাকে কেন্দ্র করে সিক্সটি নাইনের এক কর্মীর সঙ্গে সিএফসির একাধিক কর্মীর তর্ক হয়। পরে তা দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহজালাল হল ও সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়ে একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এদিকে সংঘর্ষে দুই গ্রুপের অন্তত পাঁচজন আহত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষে আহত হয়ে আমাদের এখানে পাঁচজন শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন।’

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদাফ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতে খাবারের দোকানে বসা নিয়ে সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মীর সঙ্গে আমাদের কয়েকজন জুনিয়রের কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর আমাদের জুনিয়ররা হলে চলে আসে। এরপর সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা অতর্কিত আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা রাতে দুই পক্ষ বসে সমাধান করে নিয়েছি।’

তবে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের একজন সহকারী প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রক্টরিয়াল বডি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আমরা তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত