চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
গত ৩১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) স্টেশন থেকে বটতলী যাচ্ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাদাত আল সামি। শাটল ট্রেন দেওয়ানহাট লেভেল ক্রসিং এলাকায় থামতেই মাস্ক পরা ছয়-সাতজন কিশোর সামিকে ঘিরে ধরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেটে ছুরি ধরে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে তারা। একপর্যায়ে সামির আইফোন-১৪ ও একটি বাটন ফোন নিয়ে ট্রেন থেকে সটকে পড়ে তারা।
সামি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের একাংশ শাটল আটকে দেওয়ায় বিকেল সাড়ে ৫টার ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়ে রাত সাড়ে ৮টায়। ট্রেন দেওয়ানহাট লেভেল ক্রসিং এলাকায় একটু থামতেই ছয়-সাতজন কিশোর শাটলে ওঠে। ছুরি ধরে মারধর করে দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এ সময় ওই বগি বা আশপাশের কোনো বগিতেই পুলিশ ছিল না। আমি এক থানা থেকে আরেক থানা ঘুরে, নানা হয়রানির শিকার হয়েও মোবাইল ফোন দুটি ফিরে পাইনি।’
এ ঘটনার রেশ না কাটতেই এক দিন পর বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন থেকে মোবাইল ফোনসহ ব্যাগ ছিনতাই হয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা আমিন সোনিয়ার। তিনি দেড়টার ট্রেনের জানালা দিয়ে ব্যাগ রেখে ট্রেনে উঠে এসে আর ব্যাগ খুঁজে পাননি। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মাথায় তাঁর ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় বহিরাগত টোকাই।
শুধু সামি বা সোনিয়া নন, গত ১০ দিনে শাটলে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে মোবাইল ফোন খুইয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী। বহিরাগতদের উৎপাত, বাইরে থেকে পাথর নিক্ষেপ, যৌন হয়রানি, ছিনতাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের জন্য নতুন কিছু নয়। কিছুদিন পরপর শাটল ট্রেনে এসব ঘটনা পালা করে ঘটে থাকে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও রেলওয়ে পুলিশের গাফিলতিকে দুষছেন শিক্ষার্থীরা।
গত বছর শাটল ট্রেনে অন্তত দুজন নারী শিক্ষার্থী বহিরাগতদের দিয়ে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া কয়েক মাস ধরে চলন্ত শাটল ট্রেনে অনবরত পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, একসময়ের আবেগ আর গর্বের শাটল ট্রেন কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাতের শাটলের সব বগিতে বাতি থাকে না। ঘুটঘুটে অন্ধকারে আতঙ্কে যাতায়াত করতে হয়।
রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য নির্ধারিত দুটি শাটল ট্রেন সপ্তাহে পাঁচ দিন পালা করে সাতবার যাতায়াত করে। সাত থেকে নয়টি বগিতে প্রতিবার প্রায় দুই হাজার করে শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন। এ দুই হাজার শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার জন্য শাটলে নিয়োজিত থাকেন মাত্র তিনজন পুলিশ সদস্য। তবে অনেক সময় এই তিনজন পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হায়দার বলেন, একসময় শাটল ট্রেন ছাড়ার আগে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ সদস্যরা প্রতিটি বগিতে তল্লাশি চালিয়ে বহিরাগত, টোকাইদের নামিয়ে দিতেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রক্টরিয়াল বডির তৎপরতা চোখে পড়ছে না। তাতে বহিরাগত, টোকাইরা শাটলে উঠে পড়ে। আর সুযোগ মতো শিক্ষার্থীদের ব্যাগ, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ ইয়াকুব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে কী করা যায় দেখব।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাটল ট্রেনের বগিগুলো কাটা বগি হওয়ায় পুলিশ নিয়মিত চলাচল করতে পারে না। তাই এক স্টেশনে না থামা পর্যন্ত পুলিশ অন্য বগিতে যেতে পারে না। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
গত ৩১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) স্টেশন থেকে বটতলী যাচ্ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাদাত আল সামি। শাটল ট্রেন দেওয়ানহাট লেভেল ক্রসিং এলাকায় থামতেই মাস্ক পরা ছয়-সাতজন কিশোর সামিকে ঘিরে ধরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেটে ছুরি ধরে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে তারা। একপর্যায়ে সামির আইফোন-১৪ ও একটি বাটন ফোন নিয়ে ট্রেন থেকে সটকে পড়ে তারা।
সামি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের একাংশ শাটল আটকে দেওয়ায় বিকেল সাড়ে ৫টার ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়ে রাত সাড়ে ৮টায়। ট্রেন দেওয়ানহাট লেভেল ক্রসিং এলাকায় একটু থামতেই ছয়-সাতজন কিশোর শাটলে ওঠে। ছুরি ধরে মারধর করে দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এ সময় ওই বগি বা আশপাশের কোনো বগিতেই পুলিশ ছিল না। আমি এক থানা থেকে আরেক থানা ঘুরে, নানা হয়রানির শিকার হয়েও মোবাইল ফোন দুটি ফিরে পাইনি।’
এ ঘটনার রেশ না কাটতেই এক দিন পর বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন থেকে মোবাইল ফোনসহ ব্যাগ ছিনতাই হয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা আমিন সোনিয়ার। তিনি দেড়টার ট্রেনের জানালা দিয়ে ব্যাগ রেখে ট্রেনে উঠে এসে আর ব্যাগ খুঁজে পাননি। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মাথায় তাঁর ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় বহিরাগত টোকাই।
শুধু সামি বা সোনিয়া নন, গত ১০ দিনে শাটলে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে মোবাইল ফোন খুইয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী। বহিরাগতদের উৎপাত, বাইরে থেকে পাথর নিক্ষেপ, যৌন হয়রানি, ছিনতাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের জন্য নতুন কিছু নয়। কিছুদিন পরপর শাটল ট্রেনে এসব ঘটনা পালা করে ঘটে থাকে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও রেলওয়ে পুলিশের গাফিলতিকে দুষছেন শিক্ষার্থীরা।
গত বছর শাটল ট্রেনে অন্তত দুজন নারী শিক্ষার্থী বহিরাগতদের দিয়ে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া কয়েক মাস ধরে চলন্ত শাটল ট্রেনে অনবরত পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, একসময়ের আবেগ আর গর্বের শাটল ট্রেন কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাতের শাটলের সব বগিতে বাতি থাকে না। ঘুটঘুটে অন্ধকারে আতঙ্কে যাতায়াত করতে হয়।
রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য নির্ধারিত দুটি শাটল ট্রেন সপ্তাহে পাঁচ দিন পালা করে সাতবার যাতায়াত করে। সাত থেকে নয়টি বগিতে প্রতিবার প্রায় দুই হাজার করে শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন। এ দুই হাজার শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার জন্য শাটলে নিয়োজিত থাকেন মাত্র তিনজন পুলিশ সদস্য। তবে অনেক সময় এই তিনজন পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হায়দার বলেন, একসময় শাটল ট্রেন ছাড়ার আগে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ সদস্যরা প্রতিটি বগিতে তল্লাশি চালিয়ে বহিরাগত, টোকাইদের নামিয়ে দিতেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রক্টরিয়াল বডির তৎপরতা চোখে পড়ছে না। তাতে বহিরাগত, টোকাইরা শাটলে উঠে পড়ে। আর সুযোগ মতো শিক্ষার্থীদের ব্যাগ, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ ইয়াকুব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে কী করা যায় দেখব।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাটল ট্রেনের বগিগুলো কাটা বগি হওয়ায় পুলিশ নিয়মিত চলাচল করতে পারে না। তাই এক স্টেশনে না থামা পর্যন্ত পুলিশ অন্য বগিতে যেতে পারে না। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
আধুনিকতার রঙিন ঝলকানির ভিড়ে যখন বিয়ের বাহন হিসেবে হেলিকপ্টার বা বিলাসবহুল গাড়িই মুখ্য হয়ে উঠেছে, তখন ঠাকুরগাঁওয়ের এক তরুণ আয়োজন করলেন একেবারে ভিন্ন কিছু। গ্ল্যামারের ছায়া পেরিয়ে ফিরে গেলেন অতীতের সেই দিনগুলোতে—যখন পালকি আর গরুর গাড়ি ছিল বিয়ের অন্যতম অনুষঙ্গ।
৩০ মিনিট আগেচট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানিকে যুক্ত করার উদ্যোগ, রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডর চালু এবং স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে’ জড়ানোর ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে রোডমার্চ করেছে ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
১ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে ব্যবসায়ী আলী আজম মানিককে দাড়ি ধরে হেনস্তাকারী নাসিম ভূঁইয়াকে কারাগারে নেওয়ার সময় ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিকদের ওপর খেপে গেলেন তিনি ও তাঁর অনুসারীরা। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে আদালতের হাজতখানা থেকে কারাগারে নেওয়ার পথে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উল্টো পথে আসা শ্যালো ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার যানের (স্থানীয়ভাবে নছিমন হিসেবে পরিচিত) ধাক্কায় মিরসরাইয়ের উপজেলা সহকারী কমিশনারের (এসি ল্যান্ড) গাড়ি দুমড়েমুচড়ে গেছে। তবে এসি ল্যান্ড ও তাঁর গাড়িচালক সুস্থ আছেন।
২ ঘণ্টা আগে