Ajker Patrika

সীতাকুণ্ডে সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপিসহ সহযোগী ১১ কমিটি বিলুপ্ত

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯: ২১
সীতাকুণ্ডে সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপিসহ সহযোগী ১১টি কমিটি বিলুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত
সীতাকুণ্ডে সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপিসহ সহযোগী ১১টি কমিটি বিলুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী এবং অঙ্গ সংগঠনের ১১টি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ ইউনিয়নে রাজনৈতিক সকল কর্মসূচিও স্থগিত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মো. কমল কদর এবং সদস্যসচিব কাজী মো. মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে সীতাকুণ্ড উপজেলার ১০ নম্বর সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি এবং ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব ইউনিয়ন কমিটি-বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল, মৎস্যজীবী দল, মহিলা দল, ওলামা দল, মুক্তিযোদ্ধা দল ও জাসাসের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

কমিটি বিলুপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখার সদস্যসচিব কাজী মো. মহিউদ্দিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি সহ ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে। তাই বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীর নির্দেশনায় ওই ইউনিয়নের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সব কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের রাজনৈতিক সব কর্মসূচিও স্থগিত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে সলিমপুর ইউনিয়নের ফৌজদারহাট কে এম উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় উসকানিমূলক স্লোগানকে কেন্দ্র করে বিএনপি দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সোমবার দুপুরে সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মহিউদ্দিন নেতৃত্বে তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা বিজয়ের শোভাযাত্রা নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এরপর তাঁরা ফৌজদারহাট কে এম উচ্চবিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মহিউদ্দিন তার নেতা–কর্মীদের নিয়ে ওই এলাকায় অবস্থান নেন। এর ঘণ্টাখানেক পর সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান তাঁর অনুসারীদের আরেকটি শোভাযাত্রা নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যান। এ সময় মহিউদ্দিন ও জাহিদুলের সমর্থকেরা পাল্টাপাল্টি উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকেন। এতে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তর্কাতর্কির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন কর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হলেও সাতজনকে চমেক হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর সোমবার বিকেলে বিএনপি নেতা মহিউদ্দিনের অনুসারী নেতা-কর্মীরা জাহিদুলের ব্যক্তিগত গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের খবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা জাহিদুল হাসানের অনুসারী নেতা-কর্মীরা মহিউদ্দিনের ঘর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে বিএনপির মিছিল থেকে ফাঁকা গুলির অভিযোগ

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঢাকার কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ-মিছিল থেকে এক যুবদল নেতার বাড়িতে ফাঁকা গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদী এলাকায় ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।

অভিযোগকারী সাবেক যুবদল নেতা রিফাত মোল্লা বলেন, ‘ধানের শীষের একটি মিছিল থেকে আমার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে। এর আগেও ৯ নভেম্বর তারা আমার বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।’

রিফাত মোল্লার অভিযোগ, নিপুণ রায়ের সমর্থক ঢাকা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জুয়েল মোল্লা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মোল্লা এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন।

কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মোল্লা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে প্রয়াত চেয়ারম্যান লুৎফর মোল্লার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, এ সময় বাড়ির ভেতর থেকে একটি গুলি করা হয়, এতে নেতা-কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।’ তিনি দাবি করেন, প্রয়াত চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত মোল্লা বাড়ির ভেতর থেকে গুলি করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুই পক্ষই বিএনপির সমর্থক, একে অপরকে দোষারোপ করায় দায়দায়িত্ব বিএনপির ওপরেই বর্তায়, ঘটনার তদন্তে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে বলে তাঁরা মনে করেন।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গুলির একটি খোসা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বকশীগঞ্জে বিদ্যুতায়িত হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি    
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে রাইস কুকারে রান্না করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত গৃহবধূর নাম সুরুজা বেগম (৪৫)। তিনি সূর্যনগর গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকালে সুরুজা বেগম রাইস কুকারে ভাত রান্না করছিলেন। একপর্যায়ে তিনি বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ না করেই কুকারটি নামাতে গেলে বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা সোহেল জানান, রান্নার সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুতায়িত হয়ে সুরুজা বেগমের মৃত্যু হয়েছে।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাবেক এমপি নিক্সনের গানম্যানের নেতৃত্বে ভাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক বানানো হচ্ছিল: পুলিশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৫৮
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে পেট্রলবোমা ও ককটেল বানানোর সময় তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গানম্যান মুরাদ খানের নেতৃত্বে এসব বিস্ফোরক বানানো হচ্ছিল। আজ বুধবার রাতে ভাঙ্গা থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল এ কথা বলেন।

অভিযুক্ত মুরাদ খান মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উতরাইল নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা।

আজ বেলা ২টায় উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী টিটু সরদারের পরিত্যক্ত টিনের ঘরে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে বিস্ফোরক বানানোর সময় তিন যুবককে আটক করা হয়। এ সময় ২৩টি পেট্রলবোমা, বেশ কয়েকটি ককটেল, বারুদ, গান পাউডার, পেট্রল, অকটেনসহ বিস্ফোরক বানানোর উপকরণ জব্দ করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, আটক হওয়া তিন যুবক ভবঘুরে এবং তাঁরা ঢাকার মিরপুরে থাকেন। আটক ব্যক্তিরা হলেন হুসাইন রাজ (২৫), আহমেদুল রশিদ রাকিব (২৪) ও জিয়াউর রহমান (২৮)।

পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘আগামীকাল মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালের একটি রায়কে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বাস্তবায়নে অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই বাড়িতে বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরি করা হচ্ছিল। মুরাদ খান নামের যুবলীগের এক কর্মীর নেতৃত্বে এগুলো তৈরি করা হয়। এই মুরাদ এই আসনের (ফরিদপুর-৪) এমপি মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গানম্যান ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি এবং রাজিব নামের আরেক যুবলীগ নেতার নিকট থেকে এগুলো আনা হয়। তাদেরও আমরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’

পুলিশ সুপার বলেন, ভাঙ্গা গোলচত্বর ঘিরে আজ থেকেই ফোর্স ও গোয়েন্দা সদস্য মোতায়েন রয়েছে এবং চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া আগামীকাল ভোর ৫টা থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকবে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালাতে গেলে তিনজনকেই আটক করতে সক্ষম হই। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় দুর্ঘটনা: পরিবারের ৫ সদস্য হারানো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রও মারা গেলেন

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
শাহেদ মজুমদার নিশান। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাহেদ মজুমদার নিশান। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শাহেদ মজুমদার নিশান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হলো। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের জেঠাতো ভাই সৈকত মজুমদার ও প্রতিবেশী সাংবাদিক আবু বকর সুজন।

নিশান চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ফালগুনকরা গ্রামের আবদুল মান্নান মজুমদারের ছেলে। তিনি বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

৫ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কক্সবাজারমুখী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসের দিঘি আর্মি ক্যাম্পের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান নিশানের মা, দুই বোনসহ পাঁচজন। দুর্ঘটনায় নিশানসহ তিনজন আহত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য নিশানকে প্রথম দুই দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ সকালে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে তাঁকে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।

আজ সন্ধ্যায় নিহতের প্রতিবেশী সাংবাদিক আবু বকর সুজন বলেন, স্ত্রী ও দুই মেয়ের পর একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আবদুল মান্নান মজুমদার বাক্‌রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা কারও জানা নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত