Ajker Patrika

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও এসপি পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩ 

কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও এসপি পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩ 

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও কুমিল্লার পুলিশ সুপারের পরিচয় দিয়ে কনস্টেবল নিয়োগে প্রতারণার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গত দুদিনে ঢাকা ও মাদারীপুর জেলা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এ কথা জানান। 

গ্রেপ্তাররা হলেন-মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার শাখারপাড় মোল্লাবাড়ির মৃত শুকুর আলীর ছেলে মেরাজুল ইসলাম লায়ন মেরাজ (৪৬), এইকই জেলার লুন্দি এলাকার সুলতান খন্দকারের ছেলে মো. জামান খন্দকার আলীমুজ্জামান (৪৩) ও রায়েরকান্দি এলাকার সারোয়ার ফকিরের ছেলে মো. রিপন ফকির (৩৭)।

এর মধ্যে মেরাজুল ইসলাম লায়ন মেরাজ ডিএমপি কদমতলী থানার প্রতারণা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং মো. জামান খন্দকার আলীমুজ্জামান ডিএমপির বংশাল থানার চাঁদাবাজির মামলার আসামি। 

পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় পুলিশে চাকরি দিয়ে দেবে বলে মরিয়ম বেগম নামে এক নারীর কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। প্রতারক মেরাজুল ইসলাম ফোনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, মো. আলীমুজ্জামান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের পরিচয় দেন। মো. রিপন ফকির তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।’ 

পুলিশ সুপার বলেন, ‘ভুক্তভোগী মরিয়ম বেগম তার নাতি ফাহিমের জন্য পুলিশে চাকরির চেষ্টা করে প্রতারণার শিকার হচ্ছিলেন। ঘটনাটি পুলিশ টের পেয়ে যাওয়ায়-দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যে ২ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১১ থেকে শুরু করে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিকাশ ও নগদে প্রতারকেরা টাকা নিয়ে যায়। এসব টাকা ঢাকা, মাদারীপুর ও সুনামগঞ্জ থেকে তোলা হয়। আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ হ্যালো পার্টির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসারদের নাম পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিল। এই ঘটনায় মরিময় বেগম বাদী হয়ে কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।’ 

মামলার বাদী মরিময় বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা বিভিন্ন কৌশলে তড়িৎ ভাবে টাকাগুলো নিয়ে যায়। ধার দেনা করে ৬ লাখ টাকা জোগাড় করেছিলাম। পুরো টাকা গেলে আরও বিপদে পড়তাম। তাদের এমন প্রতারণার বিষয়টি আমরা বুঝতে পারিনি।’ 

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দাম্পত্যকলহের গুঞ্জন, মুখ খুললেন জাহিদ হাসান

গভর্নর আমাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়ার কে: বিএফআইইউর প্রধান শাহীনুল

ছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে বিয়ে

সেই রুহুল আমিনের বসুন্ধরা, বনানী ও উত্তরার জমিসহ ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাদের যৌন সহিংসতার প্রসঙ্গ জাতিসংঘে তুললেন ভারতীয় দূত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত