রাঙামাটি প্রতিনিধি
পাহাড়ে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় বৌদ্ধদের অন্যতম উৎসব কঠিন চীবরদান উদ্যাপন না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ রোববার রাঙামাটি বনরূপা মৈত্রী বিহারে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সভাপতি ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের। তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে এ বছর পার্বত্য চট্টগ্রাম (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কঠিন চীবরদান উদ্যাপন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের বলেন, ‘গত ১৮ ও ২০ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর খাগড়াছড়ি–রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। একই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিনজন আদিবাসী ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হামলায় বিভিন্ন মন্দির, বুদ্ধমূর্তি ভাঙচুর ও দানবাক্স লুট করা হয়।’
ভিক্ষু সংঘের সভাপতি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় এমন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত যত সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে তার কোনো বিচার হয়নি। নামেমাত্র তদন্ত কমিটি করা হয়, যা আলোর মুখ দেখে না। প্রশাসনের প্রতি আস্থা না থাকার পাশাপাশি বৌদ্ধসমাজসহ ভিক্ষু সংঘ উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত। এমন নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের সব বিহারে কঠিন চীবরদান না করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় বনভান্তে শিষ্য সংঘ বাংলাদেশের সহসভাপতি ভদন্ত সৌরজগৎ মহাথের, পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদ বান্দরবানের ভদন্ত তেজপ্রিয় মহাথের, রাজ নিকার মার্গ চিৎমরম কাপ্তাইয়ের সহসভাপতি জ্ঞানবংশ মহাথের, ত্রিরত্ন ভিক্ষু অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের ভদন্ত আপ্রাশ্রী মহাথের, খাগড়াছড়ি শাসনা রক্ষিতা ভিক্ষু সংঘের সভাপতি ভদন্ত সুমনা মহাথেরসহ তিন পার্বত্য জেলার ১৫টি বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে পরবর্তী এক মাস বৌদ্ধবিহারগুলোতে এ চীবরদান অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায় দুই হাজার অধিক বৌদ্ধবিহার রয়েছে। চীবরদান উৎসব বৌদ্ধদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সরকারিভাবে এ উৎসবে অনুদান প্রদান করা হয়।
পাহাড়ে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় বৌদ্ধদের অন্যতম উৎসব কঠিন চীবরদান উদ্যাপন না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ রোববার রাঙামাটি বনরূপা মৈত্রী বিহারে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সভাপতি ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের। তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে এ বছর পার্বত্য চট্টগ্রাম (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কঠিন চীবরদান উদ্যাপন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের বলেন, ‘গত ১৮ ও ২০ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর খাগড়াছড়ি–রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। একই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিনজন আদিবাসী ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হামলায় বিভিন্ন মন্দির, বুদ্ধমূর্তি ভাঙচুর ও দানবাক্স লুট করা হয়।’
ভিক্ষু সংঘের সভাপতি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় এমন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত যত সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে তার কোনো বিচার হয়নি। নামেমাত্র তদন্ত কমিটি করা হয়, যা আলোর মুখ দেখে না। প্রশাসনের প্রতি আস্থা না থাকার পাশাপাশি বৌদ্ধসমাজসহ ভিক্ষু সংঘ উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত। এমন নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের সব বিহারে কঠিন চীবরদান না করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় বনভান্তে শিষ্য সংঘ বাংলাদেশের সহসভাপতি ভদন্ত সৌরজগৎ মহাথের, পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদ বান্দরবানের ভদন্ত তেজপ্রিয় মহাথের, রাজ নিকার মার্গ চিৎমরম কাপ্তাইয়ের সহসভাপতি জ্ঞানবংশ মহাথের, ত্রিরত্ন ভিক্ষু অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের ভদন্ত আপ্রাশ্রী মহাথের, খাগড়াছড়ি শাসনা রক্ষিতা ভিক্ষু সংঘের সভাপতি ভদন্ত সুমনা মহাথেরসহ তিন পার্বত্য জেলার ১৫টি বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে পরবর্তী এক মাস বৌদ্ধবিহারগুলোতে এ চীবরদান অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায় দুই হাজার অধিক বৌদ্ধবিহার রয়েছে। চীবরদান উৎসব বৌদ্ধদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সরকারিভাবে এ উৎসবে অনুদান প্রদান করা হয়।
খাগড়াছড়িতে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করছে মানুষ। ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে গত শনিবার থেকে জেলাজুড়ে চলছে অবরোধ কর্মসূচি। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলা সদরে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, ‘ভারত শেষ ট্রাম্পকার্ড খেলে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। একটা ঘটনার মধ্য দিয়ে তারা পাহাড়ি-বাঙালিদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। ভারত আমাদের এই পার্বত্য অঞ্চলকে কেড়ে নিতে চায়
২ ঘণ্টা আগেবগুড়ায় মহাসড়কে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে সদর উপজেলার বাঘোপাড়া খোলারঘর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধের পর এবার আট দফা দাবিতে তিন পার্বত্য জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অবরোধ চলাকালে সব পর্যটন কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে