নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত প্রমাণিত হওয়ার পর সাত দিন আগেই চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীসহ কমিটির সদস্যদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খানকে সমাজসেবা অধিদপ্তর নতুন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আদেশ দেয়। কিন্তু সাত দিন পরও নতুন প্রশাসক হাসপাতালের দায়িত্ব বুঝে নেননি। এতে হাসপাতালের প্রতিদিনের আয়ের লাখ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
দায়িত্ব পাওয়া অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেলর হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদ/সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রমাণিত হওয়া কমিটির সদস্যদের বরখাস্ত করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। নতুন প্রশাসক হিসেবে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। খুব শিগগির আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করব।’
এদিকে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিককে ডেকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জাহাঙ্গীর চৌধুরী। সেখানে জাহাঙ্গীর দাবি করেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে, যার কোনো বৈধতাও নেই বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি।
চট্টগ্রামের সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক নাজিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি (জাহাঙ্গীর চৌধুরী) স্বেচ্ছায় না গেলে আমরা গিয়ে নতুন প্রশাসককে বসিয়ে দেব। প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নেব। আমরা সঠিক তদন্ত করেই তাঁর কমিটির বিরুদ্ধে ঢাকায় প্রতিবেদন দিয়েছি। ঢাকার সমাজসেবা অধিদপ্তর আমাদের ওপর আস্থা রেখে কমিটিকে বরখাস্ত করেছে।’
গত ২৫ জানুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সাব্বির রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিবিধ অভিযোগ উত্থাপিত হয়। অভিযোগসমূহ তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি দাখিলকৃত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৯৬১ সালের ৪৬ নম্বর অধ্যাদেশ অনুযায়ী বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ সাময়িক সদস্যদের বরখাস্ত করা হলো। স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ আইন অনুযায়ী বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খানকে প্রশাসক নিয়োগ করা হলো।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) আইনজীবী আখতার কবীর চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাত দিন পরও দায়িত্ব গ্রহণ না করেই বড় গাফিলতির প্রমাণ দিচ্ছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। কয়েক দিনের মধ্যেই দুর্নীতিবাজ কমিটিকে সরিয়ে নতুন প্রশাসককে দায়িত্ব নেওয়া উচিত।’
হাসপাতালের অ্যাকাউন্ট অফিসার বেলাল উদ্দিন দাবি করে বলেন, ‘হাসপাতালের আয়ের টাকা কাউকে দেওয়া হচ্ছে না।’
এদিকে হাসপাতাল থেকে আয়ের টাকা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন।
দায়িত্ব হস্তান্তর না করার বিষয়ে মোবাইল ফেনে কথা হয় জাহাঙ্গীর চৌধুরীর সঙ্গে। জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো চিঠি আমরা হাতে পাইনি। হাতে পেলে দেখা যাবে।’ হাসপাতালের আয়ের টাকা নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কল কেটে দেন।
গত ৫ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় ‘হাসপাতালের মা-বাপ আমি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরা হয়। এর আগে জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ২১ জুলাই তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে সমাজসেবা অধিদপ্তর।
দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত প্রমাণিত হওয়ার পর সাত দিন আগেই চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীসহ কমিটির সদস্যদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খানকে সমাজসেবা অধিদপ্তর নতুন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আদেশ দেয়। কিন্তু সাত দিন পরও নতুন প্রশাসক হাসপাতালের দায়িত্ব বুঝে নেননি। এতে হাসপাতালের প্রতিদিনের আয়ের লাখ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
দায়িত্ব পাওয়া অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেলর হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদ/সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রমাণিত হওয়া কমিটির সদস্যদের বরখাস্ত করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। নতুন প্রশাসক হিসেবে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। খুব শিগগির আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করব।’
এদিকে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিককে ডেকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জাহাঙ্গীর চৌধুরী। সেখানে জাহাঙ্গীর দাবি করেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে, যার কোনো বৈধতাও নেই বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি।
চট্টগ্রামের সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক নাজিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি (জাহাঙ্গীর চৌধুরী) স্বেচ্ছায় না গেলে আমরা গিয়ে নতুন প্রশাসককে বসিয়ে দেব। প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নেব। আমরা সঠিক তদন্ত করেই তাঁর কমিটির বিরুদ্ধে ঢাকায় প্রতিবেদন দিয়েছি। ঢাকার সমাজসেবা অধিদপ্তর আমাদের ওপর আস্থা রেখে কমিটিকে বরখাস্ত করেছে।’
গত ২৫ জানুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সাব্বির রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিবিধ অভিযোগ উত্থাপিত হয়। অভিযোগসমূহ তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি দাখিলকৃত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৯৬১ সালের ৪৬ নম্বর অধ্যাদেশ অনুযায়ী বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ সাময়িক সদস্যদের বরখাস্ত করা হলো। স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ আইন অনুযায়ী বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খানকে প্রশাসক নিয়োগ করা হলো।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) আইনজীবী আখতার কবীর চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাত দিন পরও দায়িত্ব গ্রহণ না করেই বড় গাফিলতির প্রমাণ দিচ্ছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। কয়েক দিনের মধ্যেই দুর্নীতিবাজ কমিটিকে সরিয়ে নতুন প্রশাসককে দায়িত্ব নেওয়া উচিত।’
হাসপাতালের অ্যাকাউন্ট অফিসার বেলাল উদ্দিন দাবি করে বলেন, ‘হাসপাতালের আয়ের টাকা কাউকে দেওয়া হচ্ছে না।’
এদিকে হাসপাতাল থেকে আয়ের টাকা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন।
দায়িত্ব হস্তান্তর না করার বিষয়ে মোবাইল ফেনে কথা হয় জাহাঙ্গীর চৌধুরীর সঙ্গে। জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো চিঠি আমরা হাতে পাইনি। হাতে পেলে দেখা যাবে।’ হাসপাতালের আয়ের টাকা নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কল কেটে দেন।
গত ৫ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় ‘হাসপাতালের মা-বাপ আমি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরা হয়। এর আগে জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ২১ জুলাই তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে সমাজসেবা অধিদপ্তর।
সিলেটের রাজনীতির ‘সৌন্দর্য’ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সৌহার্দ্য। চোরাচালান, বালু-পাথর লুটসহ নানা অপকর্মেও তাঁদের ‘মিলমিশের’ বিষয়টিও বেশ আলোচিত-সমালোচিত। বিখ্যাত পর্যটন স্পট সাদাপাথরের পাথর লুটের পর বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে। পাথর লুটপাটে বিএনপির অন্তত ২৮ নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
৪ ঘণ্টা আগেসাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দির পর এবার লুটপাটে অস্তিত্ব হারানোর পথে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার রাংপানি। সেখান থেকেও শুরু হয়েছে পাথর চুরি। দিনদুপুরে ঘটছে এসব ঘটনা। রাংপানি পর্যটনকেন্দ্র একসময় শ্রীপুর নামে পরিচিত ছিল। সালমান শাহসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় নায়কের সিনেমার শুটিং হয়েছিল সেই সময়।
৪ ঘণ্টা আগেনদ-নদীতে পানি বাড়ায় রাজশাহী বিভাগের পাঁচ জেলায় কমপক্ষে সাড়ে ছয় হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে অনেক বাড়িঘর। গতকাল রোববার সকাল থেকে পদ্মার পানি কমছে। এর ফলে ভাঙন আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে নদীপারের মানুষ। এদিকে রংপুরের পীরগাছায় অর্ধশত পরিবার এখন নদীভাঙনের কারণে অসহায় দিন পার করছে
৪ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালেই ডেঙ্গুর হটস্পট রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা।
৪ ঘণ্টা আগে