Ajker Patrika

আইনজীবী আলিফ হত্যা: চিন্ময়সহ ৩৯ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র গ্রহণ আদালতের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। ছবি: সংগৃহীত
নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মহানগর হাকিম এস এম আলাউদ্দীন মাহমুদের আদালত শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। শুনানিতে মামলার বাদী, নিহত আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পিপি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুনানি শেষে আদালত পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রটি গ্রহণের পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছেন।

এর আগে গত ১ জুলাই আদালতে হত্যা মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. মাহফুজুর রহমান। এতে মামলায় এজাহারভুক্ত ও তদন্তে প্রাপ্ত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এ ছাড়া এজাহারভুক্ত তিন আসামি ও তদন্তে প্রাপ্ত এক আসামির অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

পিপি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে সঠিক নাম ও ঠিকানা না পাওয়ায় সুকান্ত দত্ত নামে এক আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্কে ঘটনার পর মূল হত্যাকারীদের সঙ্গে সুকান্ত দত্তের ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাই তাঁকে আসামি হিসেবেই অন্তর্ভুক্ত রাখার আবেদন করে। এ সময় আদালত শুনানি শেষে সুকান্ত দত্তকে অন্তর্ভুক্ত করে মোট ৩৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণের আদেশ দেন।

জানা গেছে, আজ সোমবার আদালতে যে ৩৯ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৯ জন পলাতক রয়েছেন। বাকিরা হাজতে আছেন। হুকুমদাতা হিসেবে এই মামলার প্রধান আসামি করা চিন্ময় দাসসহ ২০ জন আসামি গ্রেপ্তার আছেন।

গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে। পরে তাঁকে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রিজন ভ্যানে করে পরে আসামি চিন্ময়কে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রায় তিন ঘণ্টা গাড়ি আটকে রেখে অবরোধ করেন চিন্ময়ের অনুসারীরা।

একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে সংঘর্ষ আদালত এলাকার আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিন আদালত এলাকার অদূরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ৩০ নভেম্বর এজাহারনামীয় ৩১ জনের নামে ও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত আইনজীবী আলিফের বাবা মো. জামাল উদ্দিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত