জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
‘মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে’ গানটির লাইনগুলো যেন বাস্তব হয়ে ওঠে চোখের সামনে। এমন এক ব্যক্তি যার দুই পা পুরোপুরি নিশ্চল! হাতে ভর করে নড়াচড়া করতে হয়! সেই তিনি চারটি গাড়ি বদলে ১৩ কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে এসেছিলেন দুর্ঘটনার শিকার মুমূর্ষু মানুষগুলোকে রক্ত দিয়ে বাঁচাতে।
তাঁর নাম মো. নাজিম উদ্দিন। যিনি জন্ম থেকে শারীরিকভাবে সীমাবদ্ধ হয়েও সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত রোগীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আজ বুধবার বিকেলেও তিনটায়ও তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) আসেন। এ সময় নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদকের। এ সময় নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘কারও রক্ত লাগবে কিনা তা খোঁজ নিতে এসেছি। আমার কাছে রক্ত দেওয়ার অনেক মানুষ পরিচিত আছে। কয়েক মাসের মধ্যে তো আমার রক্ত আর নেওয়া হবে না।’
তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতায় নাজিম উদ্দিন প্রতিবেদকে জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার আগেই ঘুমিয়ে যান তিনি। সকালে টিভি খুলে দেখেন, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের খবর। শত শত আহত রোগী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। এ দৃশ্য দেখে তাঁর আর মন মানে না। এক মুহূর্তও আর দেরি করেননি। দুই হাত ভর করে বাসা থেকে বের হন। এরপর চারটি বাহন পাল্টিয়ে চমেকে এসে মুমূর্ষু রোগীর জন্য দেন দুই ব্যাগ রক্ত।
চমেকে এভাবে ছুটে আসার কারণ বলতে গিয়ে নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার তো ভাই টাকা-পয়সা নেই। এই দেহটাই আছে। এখান থেকে যা প্রয়োজন তা সবটাই দিতে রাজি। রক্ত দিয়ে হলেও যদি সহযোগিতা করতে না পারি, তাহলে বেঁচে থাকার লাভটা কি?’
গত কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পরে এই বড় মনের মানুষটির ছবি। চমেকে রক্ত দিতে গিয়ে সেদিনের উপস্থিতদের সম্পর্কে তিনি জানান, যখন চমেকের ব্লাড ব্যাংকের সামনে রক্ত দিতে যান তখন সবাই তাঁকে ঘিরে ধরেন। দুই পা যার থেকেও নেই, দুই হাত ভর করেই যার চলাফেরা তিনি কিনা আগ্রাবাদের সিমেন্ট ক্রসিং থেকে এসেছেন রক্ত দিতে!
বাড়ি থেকে চমেক পর্যন্ত আসার গল্পটা নাজিম উদ্দিন বলেন আজকের পত্রিকাকে। তিনি বলেন, ‘গত রোববার বাসা থেকে ১০ মিনিটের পথ আগ্রাবাদ সিমেন্ট ক্রসিং। দুই হাতে ভর করে এসে ১০ নম্বর বাসে উঠে চলে আসি দুই নম্বর গেট। সেখান থেকে একটি অটোরিকশা করে প্রবর্তক মোড়, তারপর আবার রিকশা করে জরুরি বিভাগের সামনে এসে উপস্থিত হই। এর মধ্যে এক আত্মীয় জানায়, রক্ত লাগবে। মুহূর্তেই চমেকের ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে দুই ব্যাগ রক্ত দেই।’
পরিবারের বিষয়ে জানতে চাইলে নাজিম উদ্দিন জানান, বাড়িতে তাঁর মা-বাবা, স্ত্রী ও ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। কাঠগড় কনটেইনার ডিপোর মালিক দয়া করে তাঁকে ছোট একটি চাকরি দেন। সেই টাকায় তাঁর সংসার চলে। পাশাপাশি মানবিক কাজে যুক্ত আছেন তিনি।
‘মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে’ গানটির লাইনগুলো যেন বাস্তব হয়ে ওঠে চোখের সামনে। এমন এক ব্যক্তি যার দুই পা পুরোপুরি নিশ্চল! হাতে ভর করে নড়াচড়া করতে হয়! সেই তিনি চারটি গাড়ি বদলে ১৩ কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে এসেছিলেন দুর্ঘটনার শিকার মুমূর্ষু মানুষগুলোকে রক্ত দিয়ে বাঁচাতে।
তাঁর নাম মো. নাজিম উদ্দিন। যিনি জন্ম থেকে শারীরিকভাবে সীমাবদ্ধ হয়েও সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত রোগীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আজ বুধবার বিকেলেও তিনটায়ও তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) আসেন। এ সময় নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদকের। এ সময় নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘কারও রক্ত লাগবে কিনা তা খোঁজ নিতে এসেছি। আমার কাছে রক্ত দেওয়ার অনেক মানুষ পরিচিত আছে। কয়েক মাসের মধ্যে তো আমার রক্ত আর নেওয়া হবে না।’
তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতায় নাজিম উদ্দিন প্রতিবেদকে জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার আগেই ঘুমিয়ে যান তিনি। সকালে টিভি খুলে দেখেন, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের খবর। শত শত আহত রোগী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। এ দৃশ্য দেখে তাঁর আর মন মানে না। এক মুহূর্তও আর দেরি করেননি। দুই হাত ভর করে বাসা থেকে বের হন। এরপর চারটি বাহন পাল্টিয়ে চমেকে এসে মুমূর্ষু রোগীর জন্য দেন দুই ব্যাগ রক্ত।
চমেকে এভাবে ছুটে আসার কারণ বলতে গিয়ে নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার তো ভাই টাকা-পয়সা নেই। এই দেহটাই আছে। এখান থেকে যা প্রয়োজন তা সবটাই দিতে রাজি। রক্ত দিয়ে হলেও যদি সহযোগিতা করতে না পারি, তাহলে বেঁচে থাকার লাভটা কি?’
গত কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পরে এই বড় মনের মানুষটির ছবি। চমেকে রক্ত দিতে গিয়ে সেদিনের উপস্থিতদের সম্পর্কে তিনি জানান, যখন চমেকের ব্লাড ব্যাংকের সামনে রক্ত দিতে যান তখন সবাই তাঁকে ঘিরে ধরেন। দুই পা যার থেকেও নেই, দুই হাত ভর করেই যার চলাফেরা তিনি কিনা আগ্রাবাদের সিমেন্ট ক্রসিং থেকে এসেছেন রক্ত দিতে!
বাড়ি থেকে চমেক পর্যন্ত আসার গল্পটা নাজিম উদ্দিন বলেন আজকের পত্রিকাকে। তিনি বলেন, ‘গত রোববার বাসা থেকে ১০ মিনিটের পথ আগ্রাবাদ সিমেন্ট ক্রসিং। দুই হাতে ভর করে এসে ১০ নম্বর বাসে উঠে চলে আসি দুই নম্বর গেট। সেখান থেকে একটি অটোরিকশা করে প্রবর্তক মোড়, তারপর আবার রিকশা করে জরুরি বিভাগের সামনে এসে উপস্থিত হই। এর মধ্যে এক আত্মীয় জানায়, রক্ত লাগবে। মুহূর্তেই চমেকের ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে দুই ব্যাগ রক্ত দেই।’
পরিবারের বিষয়ে জানতে চাইলে নাজিম উদ্দিন জানান, বাড়িতে তাঁর মা-বাবা, স্ত্রী ও ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। কাঠগড় কনটেইনার ডিপোর মালিক দয়া করে তাঁকে ছোট একটি চাকরি দেন। সেই টাকায় তাঁর সংসার চলে। পাশাপাশি মানবিক কাজে যুক্ত আছেন তিনি।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে