নীরব চৌধুরী বিটন, খাগড়াছড়ি
তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি ছাড়াও রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার মানুষেরা চিকিৎসাসেবা নেন এই হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ না থাকায় রোগীদের ছুটতে হয় চট্টগ্রাম অথবা ঢাকায়। এ ছাড়া হাসপাতালের মূল ফটক থেকে মূল ভবন পর্যন্ত সড়কটিরও অবস্থা বেহাল। ফলে রোগীদের আনা-নেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্বজনদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে ৫৮টি পদের মধ্যে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১৯ জন। ১০৭টি নার্স পদের বিপরীতে কর্মরত ৬৫ জন। এ ছাড়া অন্য ২২৩ জনবলের মধ্যে নেই ১১৬ জন। হাসপাতালে নেই আইসিইউ, এমআরআই, এন্ডোসকপি, সিটি স্ক্যান ও ডেন্টাল এক্স-রে মেশিন। আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিনটিও পুরোনো।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, রোগী ও স্বজনদের বসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। ভবনের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বর্জ্য। ডেন্টাল রুমে রোগী বসা চেয়ার ঘেঁষে প্লাস্টিক বর্জ্য স্তূপ করে ডাস্টবিন রাখা হয়েছে। রোগীরা জানান, বিভিন্ন স্থানে পুরোনো বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাঁরা আতঙ্কে থাকেন।
জানতে চাইলে অর্থোসার্জারি বিভাগের নার্স জেসমিন চাকমা ও নন্দিতা চাকমা বলেন, ‘প্রতিদিন অতিরিক্ত রোগীর চাপ থাকে। তিনজন নার্সের কাজ একজনকে করতে হয়। কষ্ট হলেও আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’ মেডিসিন বিভাগের নার্স আথুইমা চৌধুরী ও লিপি চাকমা বলেন, ‘মেডিসিন বিভাগে তিনজন নার্স আছে। ওয়ার্ডে যখন চিকিৎসক রোগী দেখতে আসেন, তখন একজন নার্সকে সঙ্গে থাকতে হয়। বাকি দুজনকে বিভিন্ন কাজে থাকতে হয়। অনেক সময় টেবিলে রোগী দাঁড়িয়ে থাকে, অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় দেখতে পারি না। আমরা রোগীদের ভালো সেবা দিতে চাই; কিন্তু জনবল সংকটের জন্য পারছি না। বছরে একবার উৎসবের দিন, সেদিনও ছুটি কাটাতে পারি না।’
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, ‘রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, সে তুলনায় চিকিৎসক নেই। চিকিৎসক সংকটের কারণে মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি, পানছড়ি উপজেলা থেকে চিকিৎসক নিয়ে এসে সেবা দিতে হচ্ছে। নার্সও সংকট আছে। ২৫০ শয্যা অনুমতি পেলে আরও ৩০ জন নার্স বাড়বে। এ ছাড়া এক্সপার্ট না থাকার কারণে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পাচ্ছি না। হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন যেটা আছে সেটা পুরোনো, কিছুই দেখা যায় না।’
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ছাবের বলেন, ‘২০২২ সালের শুরুর দিকে ৫৯ জন মেডিকেল অফিসার পদায়ন করা হয়। সেখান থেকে অনেকেই উচ্চতর ডিগ্রিতে চান্স পাওয়ায় চলে গেছেন। কিছু কিছু মেচিউর হওয়ায় অন্য জায়গায় ট্রান্সফার হয়ে গেছেন। এভাবেই ৪০ ভাগ চিকিৎসক চলে গেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এন্ডোসকপি, সিটি স্ক্যান মেশিন নেই। এগুলো থাকলে জনগণ আরও উন্নত সেবা পেত। বিষয়গুলো নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, চাহিদা পাঠিয়েছি। তারা বিভিন্ন দিক থেকে চেষ্টা করছেন।’
তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি ছাড়াও রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার মানুষেরা চিকিৎসাসেবা নেন এই হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ না থাকায় রোগীদের ছুটতে হয় চট্টগ্রাম অথবা ঢাকায়। এ ছাড়া হাসপাতালের মূল ফটক থেকে মূল ভবন পর্যন্ত সড়কটিরও অবস্থা বেহাল। ফলে রোগীদের আনা-নেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্বজনদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে ৫৮টি পদের মধ্যে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১৯ জন। ১০৭টি নার্স পদের বিপরীতে কর্মরত ৬৫ জন। এ ছাড়া অন্য ২২৩ জনবলের মধ্যে নেই ১১৬ জন। হাসপাতালে নেই আইসিইউ, এমআরআই, এন্ডোসকপি, সিটি স্ক্যান ও ডেন্টাল এক্স-রে মেশিন। আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিনটিও পুরোনো।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, রোগী ও স্বজনদের বসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। ভবনের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বর্জ্য। ডেন্টাল রুমে রোগী বসা চেয়ার ঘেঁষে প্লাস্টিক বর্জ্য স্তূপ করে ডাস্টবিন রাখা হয়েছে। রোগীরা জানান, বিভিন্ন স্থানে পুরোনো বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাঁরা আতঙ্কে থাকেন।
জানতে চাইলে অর্থোসার্জারি বিভাগের নার্স জেসমিন চাকমা ও নন্দিতা চাকমা বলেন, ‘প্রতিদিন অতিরিক্ত রোগীর চাপ থাকে। তিনজন নার্সের কাজ একজনকে করতে হয়। কষ্ট হলেও আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’ মেডিসিন বিভাগের নার্স আথুইমা চৌধুরী ও লিপি চাকমা বলেন, ‘মেডিসিন বিভাগে তিনজন নার্স আছে। ওয়ার্ডে যখন চিকিৎসক রোগী দেখতে আসেন, তখন একজন নার্সকে সঙ্গে থাকতে হয়। বাকি দুজনকে বিভিন্ন কাজে থাকতে হয়। অনেক সময় টেবিলে রোগী দাঁড়িয়ে থাকে, অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় দেখতে পারি না। আমরা রোগীদের ভালো সেবা দিতে চাই; কিন্তু জনবল সংকটের জন্য পারছি না। বছরে একবার উৎসবের দিন, সেদিনও ছুটি কাটাতে পারি না।’
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, ‘রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, সে তুলনায় চিকিৎসক নেই। চিকিৎসক সংকটের কারণে মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি, পানছড়ি উপজেলা থেকে চিকিৎসক নিয়ে এসে সেবা দিতে হচ্ছে। নার্সও সংকট আছে। ২৫০ শয্যা অনুমতি পেলে আরও ৩০ জন নার্স বাড়বে। এ ছাড়া এক্সপার্ট না থাকার কারণে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পাচ্ছি না। হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন যেটা আছে সেটা পুরোনো, কিছুই দেখা যায় না।’
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ছাবের বলেন, ‘২০২২ সালের শুরুর দিকে ৫৯ জন মেডিকেল অফিসার পদায়ন করা হয়। সেখান থেকে অনেকেই উচ্চতর ডিগ্রিতে চান্স পাওয়ায় চলে গেছেন। কিছু কিছু মেচিউর হওয়ায় অন্য জায়গায় ট্রান্সফার হয়ে গেছেন। এভাবেই ৪০ ভাগ চিকিৎসক চলে গেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এন্ডোসকপি, সিটি স্ক্যান মেশিন নেই। এগুলো থাকলে জনগণ আরও উন্নত সেবা পেত। বিষয়গুলো নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, চাহিদা পাঠিয়েছি। তারা বিভিন্ন দিক থেকে চেষ্টা করছেন।’
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
২৪ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
২৭ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৩৮ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৪২ মিনিট আগে