নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ফেসবুক লাইভে এসে বায়েজিদ থানার ওসিকে নগ্ন করে পেটানোর হুমকি দিয়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ। এ ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের পর অপরাধ জগতে আলোচনায় আসেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন। কথায় কথায় গুলি ছোড়ার স্বভাব তাঁর। এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত তিন মাসের ব্যবধানে তিনটি হত্যাকাণ্ড সংঘটন ও ১০ মামলার আসামি সাজ্জাদ চট্টগ্রাম নগরীতে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টা ৩৯ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেন সাজ্জাদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষায় নিয়োজিত। ইতিপূর্বে এই সন্ত্রাসী ও তাঁর দল বায়েজিদের বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়েছে। সে গুলি করে তিনজনকে হত্যা মামলার আসামি।
জনগণের জানমাল রক্ষার্থে ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে তাঁকে ধরতে পুলিশ একাধিক অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে সাজ্জাদের গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ডসহ অনেক সহযোগীকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাঁকেও ধরার চেষ্টা চলছে। সেই ক্ষোভ থেকে এই ধরনের হুমকি সে দিয়ে থাকতে পারে।
ওসি বলেন, ‘পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জানমাল রক্ষা ও এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিতে রাখা। হুমকিতে আমরা দায়িত্ব পালনে পিছপা হব না। তাঁকে যেকোনো মূল্যে ধরা হবে।’
এর আগে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ বায়েজিদ থানার এসআই জগৎ জ্যোতি ও এসআই মনিরকেও ফেসবুকে হুমকি দিয়েছিলেন উল্লেখ করে ওসি জানান, এর মধ্যে একজন সাজ্জাদের বিরুদ্ধে হওয়া হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে ১৯ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের ফেসবুক লাইভে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় সাজ্জাদ বলেন, ‘ওসি আরিফ দেশের যেখানেই থাকুক না কেন, তাকে আমি ধরে ন্যাংটা করে পেটাব। ওসি আরিফ থানায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে আমার সন্তানকে হত্যা করেছে। আমার স্ত্রীকে আটক করে জেলে নিয়ে গেছে। তাকে আমি ছাড়ব না। পুলিশ না হলে তাকে আমি অনেক আগেই মারধর করতাম। পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধা করি বলেই চুপ করে আছি।’
সাজ্জাদ বলেন, ‘সারোয়ার বাবলা ও আসলাম চৌধুরী টাকা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব মামলা করিয়েছে। তারা মামলা করে আমাকে এলাকা ছাড়া করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকা অবস্থায়ও আমার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। অক্সিজেনে যে দুইটি খুন হয়েছে সেখানে আমি ছিলাম না। আমাকে কেউ দেখেনি। তবুও মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। তাহসিনকে আমি খুন করিনি। তার সঙ্গে ঢাকাইয়া আকবরের ঝামেলা ছিল।’
এ সময় সিএমপি কমিশনারকে উদ্দেশ করে সাজ্জাদ বলেন, ‘ওসি আরিফকে আপনি বদলি করেন। তার বিরুদ্ধে আপনারা তদন্ত করেন।’
পুলিশ জানায়, গণ–অভ্যুত্থানের পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ। জুলাই ও সেপ্টেম্বরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তিন মাসের ব্যবধানে প্রকাশ্যে গুলি করে তিনজনকে হত্যা ও প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নগরীতে এখন শীর্ষ সন্ত্রাসীর তকমা পেয়েছেন তিনি।
এই তিন খুনে আলোচিত বিদেশে পলাতক ‘শিবিরের শীর্ষ ক্যাডার’ সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছোট সাজ্জাদ। বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার অনুসারী হিসেবেও পরিচিত এই ছোট সাজ্জাদ।
এই সন্ত্রাসীকে ধরতে গত ৫ ডিসেম্বর ভোরে নগরের অক্সিজেন মিরপাড়া হাউজিং সোসাইটির বাসায় অভিযানে চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান সাজ্জাদ। পরে ওই বাসা থেকে শারমিন আক্তার তামান্না নামে এক নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
গত ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে শারমিন আক্তার তামান্না বায়েজিদ থানার ওসি, পুলিশের দুই উপ পরিদর্শকসহ ৬ জনের নামে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু আইনে একটি মামলার আবেদন করেন। আদালত আজ বুধবার মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, পিছিয়ে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে বিচারক।
ওই মামলার আবেদনে সাজ্জাদের স্ত্রী উল্লেখ করেছেন, ঘটনার দিন তাঁর স্বামীকে না পেয়ে বাদীকে নারী পুলিশ ছাড়াই আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় নিয়ে গিয়ে বিবাদী পুলিশ সদস্যরা বাদীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। লাঠির আঘাতে হাতের হাড় ভেঙেছে, বাদীর তলপেটে লাঠি মারে। মামলায় অভিযুক্ত আরও দুই বিবাদী আইন বহির্ভূতভাবে থানায় প্রবেশ করে পুলিশের সহযোগিতায় বাদীকে মারধর করে। বাদী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা, মারধরে তাঁর যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হয়। তাঁকে কোনো চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি। থানায় নিয়ে ৩৯ ঘণ্টা অমানবিক ও পৈশাচিক নির্যাতনের পর ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাদীকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া ছাড়াই মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ৮ ডিসেম্বর তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন। এরপর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। শারীরিক পরীক্ষা শেষে গর্ভে থাকা তিন মাসের অনাগত শিশু নষ্ট হয়ে গেছে বলে বাদীকে জানান সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।

চট্টগ্রামে ফেসবুক লাইভে এসে বায়েজিদ থানার ওসিকে নগ্ন করে পেটানোর হুমকি দিয়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ। এ ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের পর অপরাধ জগতে আলোচনায় আসেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন। কথায় কথায় গুলি ছোড়ার স্বভাব তাঁর। এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত তিন মাসের ব্যবধানে তিনটি হত্যাকাণ্ড সংঘটন ও ১০ মামলার আসামি সাজ্জাদ চট্টগ্রাম নগরীতে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টা ৩৯ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেন সাজ্জাদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষায় নিয়োজিত। ইতিপূর্বে এই সন্ত্রাসী ও তাঁর দল বায়েজিদের বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়েছে। সে গুলি করে তিনজনকে হত্যা মামলার আসামি।
জনগণের জানমাল রক্ষার্থে ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে তাঁকে ধরতে পুলিশ একাধিক অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে সাজ্জাদের গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ডসহ অনেক সহযোগীকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাঁকেও ধরার চেষ্টা চলছে। সেই ক্ষোভ থেকে এই ধরনের হুমকি সে দিয়ে থাকতে পারে।
ওসি বলেন, ‘পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জানমাল রক্ষা ও এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিতে রাখা। হুমকিতে আমরা দায়িত্ব পালনে পিছপা হব না। তাঁকে যেকোনো মূল্যে ধরা হবে।’
এর আগে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ বায়েজিদ থানার এসআই জগৎ জ্যোতি ও এসআই মনিরকেও ফেসবুকে হুমকি দিয়েছিলেন উল্লেখ করে ওসি জানান, এর মধ্যে একজন সাজ্জাদের বিরুদ্ধে হওয়া হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে ১৯ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের ফেসবুক লাইভে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় সাজ্জাদ বলেন, ‘ওসি আরিফ দেশের যেখানেই থাকুক না কেন, তাকে আমি ধরে ন্যাংটা করে পেটাব। ওসি আরিফ থানায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে আমার সন্তানকে হত্যা করেছে। আমার স্ত্রীকে আটক করে জেলে নিয়ে গেছে। তাকে আমি ছাড়ব না। পুলিশ না হলে তাকে আমি অনেক আগেই মারধর করতাম। পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধা করি বলেই চুপ করে আছি।’
সাজ্জাদ বলেন, ‘সারোয়ার বাবলা ও আসলাম চৌধুরী টাকা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব মামলা করিয়েছে। তারা মামলা করে আমাকে এলাকা ছাড়া করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকা অবস্থায়ও আমার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। অক্সিজেনে যে দুইটি খুন হয়েছে সেখানে আমি ছিলাম না। আমাকে কেউ দেখেনি। তবুও মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। তাহসিনকে আমি খুন করিনি। তার সঙ্গে ঢাকাইয়া আকবরের ঝামেলা ছিল।’
এ সময় সিএমপি কমিশনারকে উদ্দেশ করে সাজ্জাদ বলেন, ‘ওসি আরিফকে আপনি বদলি করেন। তার বিরুদ্ধে আপনারা তদন্ত করেন।’
পুলিশ জানায়, গণ–অভ্যুত্থানের পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ। জুলাই ও সেপ্টেম্বরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তিন মাসের ব্যবধানে প্রকাশ্যে গুলি করে তিনজনকে হত্যা ও প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নগরীতে এখন শীর্ষ সন্ত্রাসীর তকমা পেয়েছেন তিনি।
এই তিন খুনে আলোচিত বিদেশে পলাতক ‘শিবিরের শীর্ষ ক্যাডার’ সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছোট সাজ্জাদ। বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার অনুসারী হিসেবেও পরিচিত এই ছোট সাজ্জাদ।
এই সন্ত্রাসীকে ধরতে গত ৫ ডিসেম্বর ভোরে নগরের অক্সিজেন মিরপাড়া হাউজিং সোসাইটির বাসায় অভিযানে চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান সাজ্জাদ। পরে ওই বাসা থেকে শারমিন আক্তার তামান্না নামে এক নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
গত ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে শারমিন আক্তার তামান্না বায়েজিদ থানার ওসি, পুলিশের দুই উপ পরিদর্শকসহ ৬ জনের নামে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু আইনে একটি মামলার আবেদন করেন। আদালত আজ বুধবার মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, পিছিয়ে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে বিচারক।
ওই মামলার আবেদনে সাজ্জাদের স্ত্রী উল্লেখ করেছেন, ঘটনার দিন তাঁর স্বামীকে না পেয়ে বাদীকে নারী পুলিশ ছাড়াই আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় নিয়ে গিয়ে বিবাদী পুলিশ সদস্যরা বাদীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। লাঠির আঘাতে হাতের হাড় ভেঙেছে, বাদীর তলপেটে লাঠি মারে। মামলায় অভিযুক্ত আরও দুই বিবাদী আইন বহির্ভূতভাবে থানায় প্রবেশ করে পুলিশের সহযোগিতায় বাদীকে মারধর করে। বাদী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা, মারধরে তাঁর যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হয়। তাঁকে কোনো চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি। থানায় নিয়ে ৩৯ ঘণ্টা অমানবিক ও পৈশাচিক নির্যাতনের পর ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাদীকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া ছাড়াই মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ৮ ডিসেম্বর তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন। এরপর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। শারীরিক পরীক্ষা শেষে গর্ভে থাকা তিন মাসের অনাগত শিশু নষ্ট হয়ে গেছে বলে বাদীকে জানান সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।

গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
৪ মিনিট আগে
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৪১ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মহানগরীর বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস সংলগ্ন পেয়ারা বাগান এলাকায় ভিআইপি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভিআইপি পরিবহনের বাসটিতে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্ত পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলের কাছেই ফায়ার সার্ভিসের একটি স্টেশন থাকলেও আগুন লাগার পর সদস্যরা সময়মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসেননি।
তবে মডার্ন ফায়ার স্টেশন, ভোগড়ার স্টেশন অফিসার ইকবাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে প্রথমে পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস একসঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
তিনি আরও জানান, আগুন দেওয়ার সময় বাসে কোনো লোক ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে বাসটি সড়কের পাশে পার্ক করা ছিল।
এ ছাড়া, গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বেড়াইদের চালা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসে কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, আগুনে বাসটির ইঞ্জিন ও সিট পুড়ে গেছে।
অন্যদিকে, একই রাতে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। ঠিক তখনই একটি মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক এসে বাসের পাশে থামে এবং মুহূর্তের মধ্যে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসটির আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি, তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং অগ্নিসংযোগকারীদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মহানগরীর বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস সংলগ্ন পেয়ারা বাগান এলাকায় ভিআইপি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভিআইপি পরিবহনের বাসটিতে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্ত পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলের কাছেই ফায়ার সার্ভিসের একটি স্টেশন থাকলেও আগুন লাগার পর সদস্যরা সময়মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসেননি।
তবে মডার্ন ফায়ার স্টেশন, ভোগড়ার স্টেশন অফিসার ইকবাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে প্রথমে পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস একসঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
তিনি আরও জানান, আগুন দেওয়ার সময় বাসে কোনো লোক ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে বাসটি সড়কের পাশে পার্ক করা ছিল।
এ ছাড়া, গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বেড়াইদের চালা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসে কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, আগুনে বাসটির ইঞ্জিন ও সিট পুড়ে গেছে।
অন্যদিকে, একই রাতে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। ঠিক তখনই একটি মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক এসে বাসের পাশে থামে এবং মুহূর্তের মধ্যে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসটির আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি, তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং অগ্নিসংযোগকারীদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের পর অপরাধ জগতে আলোচনায় আসেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন। কথায় কথায় গুলি ছোড়ার স্বভাব তাঁর। এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত তিন মাসের ব্যবধানে তিনটি হত্যাকাণ্ড সংঘটন ও ১০ মামলার আসামি সাজ্জাদ চট্টগ্রাম নগরীতে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৪১ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগেশিমুল চৌধুরী, ভোলা

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। বাংলাদেশের উপকূলবাসীর জীবনে ইতিহাসের এক শোকাবহ, বেদনাদায়ক ও বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে ১২ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নিয়ে ধেয়ে আসা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার জনজীবন। দিনটি স্মরণে আজ (১২ নভেম্বর) সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর যে কয়টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে ভয়াবহ ও হিংস্র ছিল বলে মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জলোচ্ছ্বাসের পর দেড় মাস ধরে স্বজন হারানোর কান্নায় উপকূলের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে।
১৯৭০ সালের সেই ভয়াল দিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান (৮২) বলেন, ‘১১ নভেম্বর সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর আবহাওয়া আরও খারাপ হয়। রাত ১২টার পর থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস শুরু হলো। আমার বাড়ির উঠানে প্রায় বুকসমান পানি ছিল।’
ফারুকুর রহমান আরও বলেন, পরদিন সকালে পানি কমলেও বেড়েছিল মানুষের আহাজারি। ভোলা সদর সড়কেও ছিল হাঁটুসমান পানি। বিভিন্ন গাছে মানুষের লাশ আর মৃত পশুপাখি ঝুলতে দেখা গেছে। কয়েক মাস মানুষ কোনো মাছ খায়নি।
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের এই দিনকে প্রতিবছর ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। উপকূলবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে।
কোস্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (সিজেনেট) এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে উপকূলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় একযোগে উপকূল দিবস পালিত হচ্ছে। উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, উপকূল সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটানোই এই দিবসের লক্ষ্য।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আজিম উদ্দিন জানান, ১৯৭০ সালে দুর্যোগকালে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। তাই মানুষ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি এবং সচেতনতার অভাব ছিল। যার ফলে প্রাণহানি বেশি হয়।
আজিম উদ্দিন বলেন, এখন দেশে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ও ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন। ভোলায়ও পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
আজিম উদ্দিন আরও বলেন, ভোলায় বর্তমানে ২২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এ ছাড়া নতুন করে আরও ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলো নির্মিত হলে উপকূলীয় এলাকার বহু মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে।

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। বাংলাদেশের উপকূলবাসীর জীবনে ইতিহাসের এক শোকাবহ, বেদনাদায়ক ও বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে ১২ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নিয়ে ধেয়ে আসা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার জনজীবন। দিনটি স্মরণে আজ (১২ নভেম্বর) সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর যে কয়টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে ভয়াবহ ও হিংস্র ছিল বলে মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জলোচ্ছ্বাসের পর দেড় মাস ধরে স্বজন হারানোর কান্নায় উপকূলের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে।
১৯৭০ সালের সেই ভয়াল দিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান (৮২) বলেন, ‘১১ নভেম্বর সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর আবহাওয়া আরও খারাপ হয়। রাত ১২টার পর থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস শুরু হলো। আমার বাড়ির উঠানে প্রায় বুকসমান পানি ছিল।’
ফারুকুর রহমান আরও বলেন, পরদিন সকালে পানি কমলেও বেড়েছিল মানুষের আহাজারি। ভোলা সদর সড়কেও ছিল হাঁটুসমান পানি। বিভিন্ন গাছে মানুষের লাশ আর মৃত পশুপাখি ঝুলতে দেখা গেছে। কয়েক মাস মানুষ কোনো মাছ খায়নি।
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের এই দিনকে প্রতিবছর ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। উপকূলবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে।
কোস্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (সিজেনেট) এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে উপকূলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় একযোগে উপকূল দিবস পালিত হচ্ছে। উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, উপকূল সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটানোই এই দিবসের লক্ষ্য।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আজিম উদ্দিন জানান, ১৯৭০ সালে দুর্যোগকালে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। তাই মানুষ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি এবং সচেতনতার অভাব ছিল। যার ফলে প্রাণহানি বেশি হয়।
আজিম উদ্দিন বলেন, এখন দেশে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ও ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন। ভোলায়ও পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
আজিম উদ্দিন আরও বলেন, ভোলায় বর্তমানে ২২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এ ছাড়া নতুন করে আরও ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলো নির্মিত হলে উপকূলীয় এলাকার বহু মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে।

জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের পর অপরাধ জগতে আলোচনায় আসেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন। কথায় কথায় গুলি ছোড়ার স্বভাব তাঁর। এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত তিন মাসের ব্যবধানে তিনটি হত্যাকাণ্ড সংঘটন ও ১০ মামলার আসামি সাজ্জাদ চট্টগ্রাম নগরীতে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
৪ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকার জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে দুজন যুবক এসে বাসের পাশে থামেন। মুহূর্তের মধ্যে তাঁরা বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন দেখে দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। বাসে যাত্রী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসের আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি; তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে এবং দুর্বৃত্তদের শনাক্তে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকার জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে দুজন যুবক এসে বাসের পাশে থামেন। মুহূর্তের মধ্যে তাঁরা বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন দেখে দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। বাসে যাত্রী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসের আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি; তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে এবং দুর্বৃত্তদের শনাক্তে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।

জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের পর অপরাধ জগতে আলোচনায় আসেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন। কথায় কথায় গুলি ছোড়ার স্বভাব তাঁর। এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত তিন মাসের ব্যবধানে তিনটি হত্যাকাণ্ড সংঘটন ও ১০ মামলার আসামি সাজ্জাদ চট্টগ্রাম নগরীতে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
৪ মিনিট আগে
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৪১ মিনিট আগে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগেফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুর্বৃত্তের গুলিতে রুহুল আমিন (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ১০টায় উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের রুস্তমপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন ফরিদগঞ্জ পৌরসভা এলাকার পূর্ব বড়ালী গ্রামের মিজি বাড়ির মাওলানা মাহমুদুল হাসানের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। পেশায় একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে। এ সময় দুজন আরোহী থাকা মোটরসাইকেল থেকে অপর মোটরসাইকেল আরোহীকে গুলি করে নিজেরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।’
স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা কাউসার আহমেদসহ আরও অনেকে বলেন, গুলির শব্দ শুনে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মোটরসাইকেলসহ সড়কের ওপর একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে।
নিহত ব্যক্তির চাচা মো. আলী হোসেন মিজি বলেন, ‘সিটি গ্রুপের বেঙ্গল কোম্পানির চা-পাতা বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন রুহুল আমিন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও মোটরসাইকেলযোগে কোম্পানির পণ্য নিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বের হন। রাতে মোবাইলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ভাতিজার মরদেহ শনাক্ত করি।’
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, কারা, কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুর্বৃত্তের গুলিতে রুহুল আমিন (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ১০টায় উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের রুস্তমপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন ফরিদগঞ্জ পৌরসভা এলাকার পূর্ব বড়ালী গ্রামের মিজি বাড়ির মাওলানা মাহমুদুল হাসানের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। পেশায় একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘দয়াগাজী বাড়ি মসজিদের সামনে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুই আরোহী অপর একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে। এ সময় দুজন আরোহী থাকা মোটরসাইকেল থেকে অপর মোটরসাইকেল আরোহীকে গুলি করে নিজেরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।’
স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা কাউসার আহমেদসহ আরও অনেকে বলেন, গুলির শব্দ শুনে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মোটরসাইকেলসহ সড়কের ওপর একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে।
নিহত ব্যক্তির চাচা মো. আলী হোসেন মিজি বলেন, ‘সিটি গ্রুপের বেঙ্গল কোম্পানির চা-পাতা বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন রুহুল আমিন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও মোটরসাইকেলযোগে কোম্পানির পণ্য নিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বের হন। রাতে মোবাইলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ভাতিজার মরদেহ শনাক্ত করি।’
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, কারা, কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের পর অপরাধ জগতে আলোচনায় আসেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন। কথায় কথায় গুলি ছোড়ার স্বভাব তাঁর। এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত তিন মাসের ব্যবধানে তিনটি হত্যাকাণ্ড সংঘটন ও ১০ মামলার আসামি সাজ্জাদ চট্টগ্রাম নগরীতে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
৪ মিনিট আগে
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
৪১ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে