Ajker Patrika

ভুয়া অভিজ্ঞতা ও জাল সনদে একাধিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক, শাস্তির সুপারিশ বোর্ডের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ভুয়া অভিজ্ঞতা ও জাল সনদে একাধিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক, শাস্তির সুপারিশ বোর্ডের

চট্টগ্রামে জাল সনদ ও ভুয়া অভিজ্ঞতা দেখিয়ে একাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদে দায়িত্ব পালন করে আসা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছে শিক্ষা বোর্ড।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক অধ্যাপক মো. আবুল কাসেম স্বাক্ষরিত একটি পত্রে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আইসিটি) ও আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির কাছে চিঠি দিয়ে এ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

অভিযুক্ত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস মোস্তফা আলম সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটির দাখিল করা প্রতিবেদনে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।

শিক্ষা বোর্ডের চিঠিতে তদন্ত কমিটির মন্তব্য ও সুপারিশের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ২০০২ সালের মে মাসে ক্যাপ্টেন শামছুল হুদা উচ্চবিদ্যালয়ে ১০ম গ্রেডে প্রথম এমপিওভুক্ত হন অভিযুক্ত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। প্রথম এমপিওভুক্ত হয়ে আট মাসের এমপিওর অভিজ্ঞতা নিয়ে পাহাড়তলি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২০০৩ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ১৯৯৫ সালে এমপিও জনবল কাঠামো অনুসারে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগে কাম্য অভিজ্ঞতা এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নির্ধারিত থাকলেও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সেই অভিজ্ঞতা ছিল না। যেহেতু কাম্য অভিজ্ঞতা ছিল না, সেহেতু এমপিও জনবল কাঠামোর নিরিখে তাঁর নিয়োগে বৈধ্যতা সঠিক নয়। একই সময়ে তিনি চাঁন্দগাও থানাধীন উত্তর মোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন, যা বিধিসম্মত নয়।

এ ছাড়া ২০১৪ সালে ১ সেপ্টেম্বর পাহাড়তলি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এবং একই পদে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ে তাঁর নিয়োগ ও এমপিওভুক্তি বিধি সম্মত হয়নি বলে তদন্তে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে, ‘আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি’ কর্তৃক জাহাঙ্গীর আলমের নামে ইস্যু করা ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে এমএ (ইংরেজি) সনদটির বৈধতা তদন্তকারী দলের কাছে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন এবং তদন্তকারী দলও তাঁর অর্জিত সনদের কোনো বৈধতা খুঁজে পাননি। তদন্তকারী দল মনে করে, একজন প্রধান শিক্ষক ভুয়া সনদ শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে উপস্থাপন করেছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকাকালে তিনি বেতন ও ভাতাদি খাতে যে অর্থ উত্তোলন করেছেন, তা বিধিসম্মত নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক নারীকে স্ত্রী দাবি করে দুই পুরুষের টানাটানি, শেষে ৩ জনই কারাগারে

১৫ শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ইবির এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে

মার্কা শাপলাই হতে হবে, না হলে নির্বাচন কীভাবে হয় দেখে নেব: সারজিস আলম

ইসির তালিকায় ‘শাপলা’ নেই, বিকল্প প্রতীক নিতে হবে এনসিপিকে

এই আক্রমণ আখতার হোসেনকে এক বিন্দুও দুর্বল করবে না: তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত