নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে তন্ন তন্ন করে খুঁজে না পাওয়া চট্টগ্রাম সিটি কাউন্সিলের (চসিক) সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল আলম জসিম ঢাকার বিলাসবহুল একটি অ্যাপার্টমেন্টে আত্মগোপনে ছিলেন। জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর তিনি চট্টগ্রাম ছেড়ে পালিয়ে সেখানে যান। ওখান থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে আটক করা হয়।
পুলিশ বলেছে, আটকের পর জসিমকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তিনটি হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আটক হন জসিম। পুলিশ জানায়, এ সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন।
অভিযুক্ত জসিম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি-উত্তর) আমিরুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৬ জুলাই মুরাদপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে অভিযুক্ত আসামি জসিমসহ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ককটেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতে হামলা করেন।
ওই হামলার ঘটনায় ছাত্রদল কর্মী ওয়াসিম আকরাম, শিবির কর্মী ফয়সাল আহমেদ শান্ত এবং ফার্নিচার মিস্ত্রি মো. ফারুক নিহত ও ৪০-৫০ জন সাধারণ ছাত্র গুরুতর আহত হন। গ্রেপ্তার জসিম নিজে সরাসরি ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালিয়েছেন মর্মে সত্যতা পাওয়া গেছে।
ওই ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় পৃথক তিনটি হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৮ আগস্ট করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জসিম। বাকি দুটি মামলায় তদন্তে পাওয়া আসামি তিনি। ১৮ আগস্ট ও ২৭ ডিসেম্বর মামলা দুটি করা হয়েছিল। ঢাকায় আটকের পর এই তিনটি মামলায় জসিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশের ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) যাচাই করে তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন আইনে ১৮টি মামলা থাকার তথ্য পাওয়া যায় বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান বলেন, ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিলাসবহুল ওই অ্যাপার্টমেন্টের মালিক অন্য কেউ। তাঁর আশ্রয়ে ছিলেন অভিযুক্ত জসিম।
জানা যায়, জসিমের খোঁজে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে নগরীর এ কে খান মোড়ে ‘গ্রিন গুলবাহার টাওয়ার’ নামের একটি আবাসিক ভবন ঘিরে রেখে রাতভর অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। পরদিন দুপুরে একটি ফ্ল্যাট থেকে জসিমের স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হামলার অভিযোগে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি নগরীর আকবর শাহ থানার উত্তর পাহাড়তলী এলাকায় পাহাড় কাটা পরিদর্শনে গিয়ে হামলার শিকার হয় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল। এ ঘটনায় হওয়া মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১২ জুন জহুরুল আলম জসিমসহ ছয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
একাধিক ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়ায় ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি জসিমকে কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে মাসখানেকের মধ্যেই আবার পদ ফিরে পান প্রভাবশালী এই আওয়ামী লীগের নেতা। তিনি চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চসিকের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
চট্টগ্রাম শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে তন্ন তন্ন করে খুঁজে না পাওয়া চট্টগ্রাম সিটি কাউন্সিলের (চসিক) সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল আলম জসিম ঢাকার বিলাসবহুল একটি অ্যাপার্টমেন্টে আত্মগোপনে ছিলেন। জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর তিনি চট্টগ্রাম ছেড়ে পালিয়ে সেখানে যান। ওখান থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে আটক করা হয়।
পুলিশ বলেছে, আটকের পর জসিমকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তিনটি হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আটক হন জসিম। পুলিশ জানায়, এ সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন।
অভিযুক্ত জসিম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি-উত্তর) আমিরুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৬ জুলাই মুরাদপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে অভিযুক্ত আসামি জসিমসহ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ককটেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতে হামলা করেন।
ওই হামলার ঘটনায় ছাত্রদল কর্মী ওয়াসিম আকরাম, শিবির কর্মী ফয়সাল আহমেদ শান্ত এবং ফার্নিচার মিস্ত্রি মো. ফারুক নিহত ও ৪০-৫০ জন সাধারণ ছাত্র গুরুতর আহত হন। গ্রেপ্তার জসিম নিজে সরাসরি ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালিয়েছেন মর্মে সত্যতা পাওয়া গেছে।
ওই ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় পৃথক তিনটি হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৮ আগস্ট করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জসিম। বাকি দুটি মামলায় তদন্তে পাওয়া আসামি তিনি। ১৮ আগস্ট ও ২৭ ডিসেম্বর মামলা দুটি করা হয়েছিল। ঢাকায় আটকের পর এই তিনটি মামলায় জসিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশের ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) যাচাই করে তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন আইনে ১৮টি মামলা থাকার তথ্য পাওয়া যায় বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান বলেন, ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিলাসবহুল ওই অ্যাপার্টমেন্টের মালিক অন্য কেউ। তাঁর আশ্রয়ে ছিলেন অভিযুক্ত জসিম।
জানা যায়, জসিমের খোঁজে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে নগরীর এ কে খান মোড়ে ‘গ্রিন গুলবাহার টাওয়ার’ নামের একটি আবাসিক ভবন ঘিরে রেখে রাতভর অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। পরদিন দুপুরে একটি ফ্ল্যাট থেকে জসিমের স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হামলার অভিযোগে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি নগরীর আকবর শাহ থানার উত্তর পাহাড়তলী এলাকায় পাহাড় কাটা পরিদর্শনে গিয়ে হামলার শিকার হয় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল। এ ঘটনায় হওয়া মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১২ জুন জহুরুল আলম জসিমসহ ছয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
একাধিক ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়ায় ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি জসিমকে কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে মাসখানেকের মধ্যেই আবার পদ ফিরে পান প্রভাবশালী এই আওয়ামী লীগের নেতা। তিনি চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চসিকের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২২ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৭ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩২ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে