চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হলের ফটকে তালা দিয়ে এ বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে ২ নম্বর গেট এলাকার সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের আশ্বাসে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলাওল হলের তালা খুলে দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে হলে বিভিন্ন সমস্যা চলছে। সমস্যার বিষয়ে বারবার হল কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো সুরাহা মিলছে না। তাই তাঁরা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ চান। তবে প্রাধ্যক্ষের দাবি, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য। কয়েকজন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করায় এই আন্দোলন করা হচ্ছে।
তালা দেওয়ার বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইকো হিমাদ্র বলেন, ‘আমরা যারা আলাওল হলে থাকি, তারা বিভিন্ন সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছি। বিশুদ্ধ পানি নেই, হলের ওয়াই-ফাই সমস্যা, আমাদের হলের প্রত্যেকেরই কক্ষে দরজা-জানালা ভাঙা। প্রাধ্যক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ দিলেও আমরা সুফল পাচ্ছি না।’
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আলাওল হলে অনেক দিন ধরে পানির সমস্যা, প্রাধ্যক্ষের কাছে বলার পরেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমাদের হলে ওয়াইফাই সমস্যা, হলের বাথরুমগুলোতে ঢোকা যায় না, ড্রেনেজের সমস্যা।’
তবে আলাওল হলের প্রাধ্যক্ষ ফরিদুল আলম বলেন, ‘এখানে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের একটা বিষয় আছে। জানুয়ারি মাসে আমরা বেশ কয়েকজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছি। এখানে কয়েকটা ছেলে সাজা মওকুফের জন্য আবেদন করে, যারা এই হলে থাকে। আমি ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য। কমিটি তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজা পুনর্বিবেচনা করে সাজা ৫০ শতাংশ মওকুফ করে। কারও কারও ক্ষেত্রে এই সাজার মধ্যেই বিভাগের পরীক্ষা হয়েছে, তাই তাঁদের ফলাফল হচ্ছে না।’
শিক্ষার্থীরা পুরো সাজা মাফ চাচ্ছেন বলে জানিয়ে প্রাধ্যক্ষ ফরিদুল বলেন, ‘আজও সব বিবেচনা করে তাঁদের শাস্তির বিষয়ে বহিষ্কার আদেশ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এই জন্যই তাঁরা আন্দোলন করছেন। আজকে তাঁদের সাজা মাফ করলে এই আন্দোলন তাঁরা করত না।’
প্রাধ্যক্ষ ফরিদুল আরও বলেন, ‘এর আগে শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধান করা হয়েছে। এখন কোনো সমস্যা নেই। আমার পদের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে অন্যায়ের কাছে মাথানত করব না।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে হলে তালা দিয়েছেন। আমরা তাঁদের দাবি লিখে নিয়েছি। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁরা তালা খুলে দিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, সাংবাদিক হেনস্তা, আবাসিক হলে ভাঙচুর, ছাত্রী হলে মারামারিসহ পৃথক ছয়টি ঘটনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হলের ফটকে তালা দিয়ে এ বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে ২ নম্বর গেট এলাকার সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের আশ্বাসে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলাওল হলের তালা খুলে দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে হলে বিভিন্ন সমস্যা চলছে। সমস্যার বিষয়ে বারবার হল কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো সুরাহা মিলছে না। তাই তাঁরা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ চান। তবে প্রাধ্যক্ষের দাবি, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য। কয়েকজন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করায় এই আন্দোলন করা হচ্ছে।
তালা দেওয়ার বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইকো হিমাদ্র বলেন, ‘আমরা যারা আলাওল হলে থাকি, তারা বিভিন্ন সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছি। বিশুদ্ধ পানি নেই, হলের ওয়াই-ফাই সমস্যা, আমাদের হলের প্রত্যেকেরই কক্ষে দরজা-জানালা ভাঙা। প্রাধ্যক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ দিলেও আমরা সুফল পাচ্ছি না।’
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আলাওল হলে অনেক দিন ধরে পানির সমস্যা, প্রাধ্যক্ষের কাছে বলার পরেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমাদের হলে ওয়াইফাই সমস্যা, হলের বাথরুমগুলোতে ঢোকা যায় না, ড্রেনেজের সমস্যা।’
তবে আলাওল হলের প্রাধ্যক্ষ ফরিদুল আলম বলেন, ‘এখানে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের একটা বিষয় আছে। জানুয়ারি মাসে আমরা বেশ কয়েকজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছি। এখানে কয়েকটা ছেলে সাজা মওকুফের জন্য আবেদন করে, যারা এই হলে থাকে। আমি ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য। কমিটি তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজা পুনর্বিবেচনা করে সাজা ৫০ শতাংশ মওকুফ করে। কারও কারও ক্ষেত্রে এই সাজার মধ্যেই বিভাগের পরীক্ষা হয়েছে, তাই তাঁদের ফলাফল হচ্ছে না।’
শিক্ষার্থীরা পুরো সাজা মাফ চাচ্ছেন বলে জানিয়ে প্রাধ্যক্ষ ফরিদুল বলেন, ‘আজও সব বিবেচনা করে তাঁদের শাস্তির বিষয়ে বহিষ্কার আদেশ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এই জন্যই তাঁরা আন্দোলন করছেন। আজকে তাঁদের সাজা মাফ করলে এই আন্দোলন তাঁরা করত না।’
প্রাধ্যক্ষ ফরিদুল আরও বলেন, ‘এর আগে শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধান করা হয়েছে। এখন কোনো সমস্যা নেই। আমার পদের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে অন্যায়ের কাছে মাথানত করব না।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে হলে তালা দিয়েছেন। আমরা তাঁদের দাবি লিখে নিয়েছি। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁরা তালা খুলে দিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, সাংবাদিক হেনস্তা, আবাসিক হলে ভাঙচুর, ছাত্রী হলে মারামারিসহ পৃথক ছয়টি ঘটনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২০ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৫ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩০ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে