কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ভর্তিতে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। পাশাপাশি গুচ্ছ নিয়ে ১৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে সময় চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম তাদের প্রক্টর অফিসে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘আমরা চাই না আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে থাকুক। আমরা চাই স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা হোক এবং শিক্ষার্থীদের যে ভোগান্তি তা লাঘব হোক। গুচ্ছের মতো দীর্ঘ ভর্তি প্রক্রিয়া আসলে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত, আমরা গুচ্ছ প্রক্রিয়া চাই না।’
মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘আগামী ১৪ তারিখ আমাদের সিন্ডিকেট মিটিং আছে, আমরা সেখানে এটি আলোচনা করে আশা করি ১৫ তারিখ দুপুর ১২টার মাঝেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদা বেগম, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান ও মুতাসিম বিল্লাহ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহমুদুল হাসান, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সিদ্দিকুর রহমান।
উপস্থিত সব শিক্ষকই গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির প্রতি সমর্থন জানান এবং আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে নেওয়ার যে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গুচ্ছের পূর্বে ভর্তি পরীক্ষার সময় পুরো ক্যাম্পাসে একটা উৎসব মুখর পরিবেশ থাকে। এ ছাড়া গুচ্ছের ফলে আমরা মেধাবী শিক্ষার্থী কম পাচ্ছি। আমার বিভাগে ৬০টি সিট কিন্তু শিক্ষার্থী এর থেকে অনেক কম ভর্তি হয়। আবার মাস্টার্সে গিয়েও কমে যায়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমি গুচ্ছ পদ্ধতি বাতিল চাই।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘আমি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে বের হতেই চাচ্ছি। আমি এর আগেও এর পক্ষে ছিলাম না। তবে সরকার থেকে যেহেতু আমাকে থাকতে বলা হচ্ছে, তাই আমি চেষ্টা করছি তাদের বুঝিয়ে এই পদ্ধতি থেকে বের হতে।’
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩ তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে গত ৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী গণমাধ্যমে জানান, গুচ্ছ পদ্ধতিতেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নেবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেয়। এ ছাড়া গত ৫ জানুয়ারি সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি এবং পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী ও সমন্বয়কেরা। এরপর ৯ জানুয়ারি গুচ্ছ নিয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত জানাতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে স্মারকলিপি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ভর্তিতে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। পাশাপাশি গুচ্ছ নিয়ে ১৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে সময় চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম তাদের প্রক্টর অফিসে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘আমরা চাই না আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে থাকুক। আমরা চাই স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা হোক এবং শিক্ষার্থীদের যে ভোগান্তি তা লাঘব হোক। গুচ্ছের মতো দীর্ঘ ভর্তি প্রক্রিয়া আসলে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত, আমরা গুচ্ছ প্রক্রিয়া চাই না।’
মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘আগামী ১৪ তারিখ আমাদের সিন্ডিকেট মিটিং আছে, আমরা সেখানে এটি আলোচনা করে আশা করি ১৫ তারিখ দুপুর ১২টার মাঝেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদা বেগম, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান ও মুতাসিম বিল্লাহ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহমুদুল হাসান, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সিদ্দিকুর রহমান।
উপস্থিত সব শিক্ষকই গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির প্রতি সমর্থন জানান এবং আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে নেওয়ার যে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গুচ্ছের পূর্বে ভর্তি পরীক্ষার সময় পুরো ক্যাম্পাসে একটা উৎসব মুখর পরিবেশ থাকে। এ ছাড়া গুচ্ছের ফলে আমরা মেধাবী শিক্ষার্থী কম পাচ্ছি। আমার বিভাগে ৬০টি সিট কিন্তু শিক্ষার্থী এর থেকে অনেক কম ভর্তি হয়। আবার মাস্টার্সে গিয়েও কমে যায়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমি গুচ্ছ পদ্ধতি বাতিল চাই।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘আমি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে বের হতেই চাচ্ছি। আমি এর আগেও এর পক্ষে ছিলাম না। তবে সরকার থেকে যেহেতু আমাকে থাকতে বলা হচ্ছে, তাই আমি চেষ্টা করছি তাদের বুঝিয়ে এই পদ্ধতি থেকে বের হতে।’
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩ তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে গত ৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী গণমাধ্যমে জানান, গুচ্ছ পদ্ধতিতেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নেবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেয়। এ ছাড়া গত ৫ জানুয়ারি সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি এবং পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী ও সমন্বয়কেরা। এরপর ৯ জানুয়ারি গুচ্ছ নিয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত জানাতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে স্মারকলিপি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৬ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
৩১ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৬ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে