ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
টানা লকডাউনের কারণে বিপাকে পড়েছেন ময়মনসিংহে নিম্ন আয়ের মানুষজন। আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তাঁরা। অনেকে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। কেউ বা একবেলা আধ পেট খেয়ে চলছেন। এমন দুর্ভোগের সময় কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সরকারের সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ময়মনসিংহের ঋষিপাড়ার বাসিন্দা পরেশ দাস (৫৯) বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে মুচির কাজ করছি। সংসারে আমি, আমার স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। ছেলেরাও বিয়ে করেছে। দুই ছেলেকে নিয়ে একান্ন পরিবারে বসবাস করি। বড় ছেলে পরিতোষ দাস কাচারিঘাট এলাকায় চটপটির দোকান করে। ছোট ছেলে হরিচরণ দাস ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় তারা এখন বেকার। ফলে দুই ছেলে এখন আমার আয়ের ওপরেই চলে।’
পরেশ দাস আরও বলেন, ‘লকডাউনের আগে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা রোজগার করতে পারতাম। লকডাউন দেওয়ার পর থেকে সেখানে ৭০ থেকে ৮০ টাকার রোজগার হয়। অপরদিকে, এক দিনে আমার পরিবারের খরচ আছে সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। কিন্তু আয় না থাকায় দিনে একবেলা খেয়ে থাকি। মাঝে মাঝে না খেয়েই দিন কাটাতে হয়।’
ময়মনসিংহ নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামাবাদ বস্তির বাসিন্দা হেনা আক্তার (৬০)। তাঁর পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে। ১০ বছর আগে স্বামী মারা গেছেন। দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদা পরিবারে বসবাস করেন। দুই মেয়ের মধ্যে এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে। এক মেয়ে ও তিন ছেলে নিয়ে তাঁর সংসার। একটি চা-পানের দোকান করে সংসার চালান তিনি। কিন্তু লকডাউন দেওয়ার পর থেকে দোকান বন্ধ থাকায় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। এ সময়েও কারও সহযোগিতা পাননি তিনি।
হেনা আক্তার বলেন, ‘লকডাউনের আগে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার চা-পান বিক্রি করতাম। এখন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বিক্রি করতে পারি। ৫০০-৬০০ টাকা বিক্রি করে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা লাভ হয়। এ টাকায় সংসার চলে না। শুনেছি ডিসি, পুলিশ থেকে খাদ্যসহায়তা করা হচ্ছে। যদি তাঁরা খোঁজ নিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিত, তাহলে প্রকৃত অভাবীরা সমানভাবে সরকারি সহায়তা পেত।’
একই বস্তির মিনা বেগম (৬০)। স্বামী মারা গেছেন ২৫ বছর আগে। ২০ বছর ধরে মানুষের বাসায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। লকডাউন দেওয়ার পর থেকে এখন তাঁকে আর বাসায় কাজে নিচ্ছে না। এক ছেলে বিয়ে করে আলাদা থাকেন। ফলে নিজের খরচ নিজেকেই চালাতে হয়। কিন্তু আয় না থাকায় কয়েক দিন আগেও তাঁকে টানা তিন দিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে।
মিনা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, ‘গতকাল রাতে একজন ভাত দিয়েছিল। রাতে খাওয়ার পর কিছু ভাত ছিল। পানি দিয়ে রেখে সকালে আবার খেয়েছি। যদি আজ রাতে আবার কেউ খাবার দেয় তাহলে খাওয়া হবে, না হলে হবে না। আমাদের মতো অভাবীদের কেউ খোঁজখবর নেয় না। শুধু শুনি সরকার গরিব লোকদের সহযোগিতা দিচ্ছে। কিন্তু আমি তো এখন পর্যন্ত পেলাম না।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘এরই মধ্যে অনেককেই সহযোগিতা করা হয়েছে। খাদ্যসামগ্রী বিতরণও অব্যাহত রয়েছে। কেউ যদি বেশি সমস্যায় পড়ে তাহলে ৩৩৩-এ কল দিলেই আমরা খাবার পৌঁছে দিচ্ছি।'
সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘শ্রেণিভেদে সব মানুষকেই বিভিন্ন সময়ে ত্রাণসামগ্রী দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখনো বিভিন্নভাবে নিম্ন আয়ের মানুষকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না।’
টানা লকডাউনের কারণে বিপাকে পড়েছেন ময়মনসিংহে নিম্ন আয়ের মানুষজন। আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তাঁরা। অনেকে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। কেউ বা একবেলা আধ পেট খেয়ে চলছেন। এমন দুর্ভোগের সময় কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সরকারের সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ময়মনসিংহের ঋষিপাড়ার বাসিন্দা পরেশ দাস (৫৯) বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে মুচির কাজ করছি। সংসারে আমি, আমার স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। ছেলেরাও বিয়ে করেছে। দুই ছেলেকে নিয়ে একান্ন পরিবারে বসবাস করি। বড় ছেলে পরিতোষ দাস কাচারিঘাট এলাকায় চটপটির দোকান করে। ছোট ছেলে হরিচরণ দাস ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় তারা এখন বেকার। ফলে দুই ছেলে এখন আমার আয়ের ওপরেই চলে।’
পরেশ দাস আরও বলেন, ‘লকডাউনের আগে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা রোজগার করতে পারতাম। লকডাউন দেওয়ার পর থেকে সেখানে ৭০ থেকে ৮০ টাকার রোজগার হয়। অপরদিকে, এক দিনে আমার পরিবারের খরচ আছে সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। কিন্তু আয় না থাকায় দিনে একবেলা খেয়ে থাকি। মাঝে মাঝে না খেয়েই দিন কাটাতে হয়।’
ময়মনসিংহ নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামাবাদ বস্তির বাসিন্দা হেনা আক্তার (৬০)। তাঁর পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে। ১০ বছর আগে স্বামী মারা গেছেন। দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদা পরিবারে বসবাস করেন। দুই মেয়ের মধ্যে এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে। এক মেয়ে ও তিন ছেলে নিয়ে তাঁর সংসার। একটি চা-পানের দোকান করে সংসার চালান তিনি। কিন্তু লকডাউন দেওয়ার পর থেকে দোকান বন্ধ থাকায় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। এ সময়েও কারও সহযোগিতা পাননি তিনি।
হেনা আক্তার বলেন, ‘লকডাউনের আগে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার চা-পান বিক্রি করতাম। এখন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বিক্রি করতে পারি। ৫০০-৬০০ টাকা বিক্রি করে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা লাভ হয়। এ টাকায় সংসার চলে না। শুনেছি ডিসি, পুলিশ থেকে খাদ্যসহায়তা করা হচ্ছে। যদি তাঁরা খোঁজ নিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিত, তাহলে প্রকৃত অভাবীরা সমানভাবে সরকারি সহায়তা পেত।’
একই বস্তির মিনা বেগম (৬০)। স্বামী মারা গেছেন ২৫ বছর আগে। ২০ বছর ধরে মানুষের বাসায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। লকডাউন দেওয়ার পর থেকে এখন তাঁকে আর বাসায় কাজে নিচ্ছে না। এক ছেলে বিয়ে করে আলাদা থাকেন। ফলে নিজের খরচ নিজেকেই চালাতে হয়। কিন্তু আয় না থাকায় কয়েক দিন আগেও তাঁকে টানা তিন দিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে।
মিনা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, ‘গতকাল রাতে একজন ভাত দিয়েছিল। রাতে খাওয়ার পর কিছু ভাত ছিল। পানি দিয়ে রেখে সকালে আবার খেয়েছি। যদি আজ রাতে আবার কেউ খাবার দেয় তাহলে খাওয়া হবে, না হলে হবে না। আমাদের মতো অভাবীদের কেউ খোঁজখবর নেয় না। শুধু শুনি সরকার গরিব লোকদের সহযোগিতা দিচ্ছে। কিন্তু আমি তো এখন পর্যন্ত পেলাম না।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘এরই মধ্যে অনেককেই সহযোগিতা করা হয়েছে। খাদ্যসামগ্রী বিতরণও অব্যাহত রয়েছে। কেউ যদি বেশি সমস্যায় পড়ে তাহলে ৩৩৩-এ কল দিলেই আমরা খাবার পৌঁছে দিচ্ছি।'
সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘শ্রেণিভেদে সব মানুষকেই বিভিন্ন সময়ে ত্রাণসামগ্রী দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখনো বিভিন্নভাবে নিম্ন আয়ের মানুষকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না।’
মৌলভীবাজারের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে নদী আর ছড়া। এ জেলায় রয়েছে কয়েক শ ছড়া। কিন্তু সিলিকা বালু লুটের কারণে এসব ছড়া শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। এখানকার অর্ধশতাধিক ছড়া থেকে রাতের আঁধারে একটি মহল বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে; কিন্তু তা ঠেকানোর দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রশাস
১ ঘণ্টা আগেসন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বছরে জমির নামজারি বা খারিজ হয় ৭ হাজারের অধিক। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ড কার্যালয়ের এলআর (লোকাল রিলেশনস) ফান্ডের নামে নেওয়া হয় ২ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে পৌর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোর কন্টিনজেন্সি বিলের (খাতা, কলমসহ আনুষঙ্গিক খরচ) জন্য বরাদ্দ আসে বছরে সাড়ে ৩ থেকে ৫
২ ঘণ্টা আগেকৃষি ব্যাংকের খুলনার পূর্ব রূপসা শাখা থেকে লকার ভেঙে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরেরা। শুক্রবার রাতে বিষয়টি ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে কোনো এক সময়ে এ চুরির ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। ব্যাংক এবং আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরদের শনাক্ত করার চেষ্টা
৩ ঘণ্টা আগে