Ajker Patrika

দুই উপজেলার অপকর্মে মায়ার দুই বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুই উপজেলার অপকর্মে মায়ার দুই বাহিনী

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ। 

সরকার পতনের পর স্থানীয় লোকজন ও দলের নেতা-কর্মীরাই বলছেন, সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করত এই দুই বাহিনী। গত ৫ আগস্টের পর মায়া চৌধুরীসহ তাঁর বাহিনীর লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন এখনো চলছে।

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে জানা গেছে, মতলব উত্তরের মায়ার বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মামুন ওরফে কুত্তা মামুন, রিয়াদ, রিয়াজুল ইসলাম, শরীফ ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। দক্ষিণের নেতৃত্বে ছিলেন মতলব পৌরসভার সাবেক মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল এবং জেলা পরিষদ সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন ফরাজি।

সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারেরা এই দুই বাহিনীর নাম বললেও কেউ নিজে টাকা দেওয়ার কথা সরাসরি স্বীকার না করে অন্যকে দেখিয়ে দেন।   

উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন
মতলব উত্তর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লক বসানোর কাজ থেকে মায়া চৌধুরী ১০ শতাংশ কমিশন নিয়েছেন বলে প্রকল্পের একটি সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয় আলাউদ্দিন সরকার, বাতেন চেয়ারম্যান, লধুয়া গ্রামের রিপন পাটওয়ারী যৌথভাবে এই কাজের ঠিকাদার ছিলেন। 

ঠিকাদার আলাউদ্দিন সরকার জানান, তিনি ব্লকের কাজ করেছেন সংস্কারমূলক। তাঁর কাজ ছিল ছোট। তাঁকে এমপির লোকজন তেমন বিরক্ত করেননি। তবে মতলব দক্ষিণের আওয়ামী লীগ সভাপতি এইচ এম কবিরের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়েছেন।
পরে এইচ এম কবিরকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি সরাসরি কাজ করি নাই। আমার ছোট ভাইসহ কয়েকজন ব্লকের কাজের ঠিকাদার।’ এমপির লোকজন কমিশন নিয়েছেন সরাসরি স্বীকার না করলেও তিনি বলেন, কাজ করলে লাভ-লোকসান হবেই।
এদিকে স্থানীয় সরকারের অধীন দুই উপজেলার গ্রামীণ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ৭০০ কোটি টাকার কাজ এবং মতলব উত্তরে নির্মাণাধীন হাই-টেক পার্কের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছেন মায়া চৌধুরী। তবে এই বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীসহ কেউ নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। 

টাকার বিনিময়ে দলীয় মনোনয়ন 
২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন এবং সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রত্যেক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন ও সমর্থন দিতে টাকা নেওয়া হয়েছে। মায়া চৌধুরীর পক্ষে এ কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁর প্রয়াত ছেলে দীপু চৌধুরী। 

মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন হাফিজ মাস্টার। তিনি নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেন। তবে টাকা দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আপনি আমার সামনে আসেন, তখন বলব।’

মতলব দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম কবির বলেন, ‘সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মায়া চৌধুরী আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন করেননি। বরং উল্টো তাঁর লোকজন দিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। এ বিষয়ে ওই সময় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমি যাকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি, সেই সিরাজুল মোস্তফা তালুকদারকে তিনি মনোনয়ন নিয়ে দিয়েছেন।’

একই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রিপন মীর বলেন, ‘আমি কখনো টাকা দিয়ে নৌকার মনোনয়ন পাইনি। দল থেকেই আমাকে দিয়েছে। তবে আমাদের ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন টাকা দিয়ে নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছেন।’

অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণ 
২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মায়া চৌধুরী ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী। ওই সময় মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে তাঁর ছেলে দীপু চৌধুরী, স্ত্রীসহ পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা ওঠানো হতো। এলাকাভিত্তিক এই কাজ করতেন তাঁর আত্মীয় আহার খালাসি, বোরহান খালাসি ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। আর ওই টাকা ঢাকায় পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করতেন মোহনপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান বালু মিজান, ছ্যাঙ্গারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম জজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টার। 

এই বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল মৃধা বলেন, মায়া চৌধুরী যতবারই এমপি এবং মন্ত্রী হয়েছেন, তিনি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছেন। 

দলের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন
মায়ার প্রতিহিংসার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল মৃধা বলেন, ‘তাঁর অত্যাচারের কারণে ৫ মাস বিভিন্ন জায়গায় থেকে ৫ আগস্টের পরে বাড়িতে এসেছি।’

মায়া চৌধুরীর নিজ ইউনিয়ন মোহনপুর। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই বাবুল চৌধুরী। তিনি মারা যাওয়ার পর ২০২৩ সালে উপনির্বাচন হয়। সেখানে নৌকা প্রতীক পান কাজী মিজানুর রহমান। তিনি মায়া চৌধুরীর মতের বিরুদ্ধের লোক হওয়ায় তাঁর পরিবর্তে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে নৌকা এনে দেন। এরপর শুরু হয় কাজী মিজানের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও হামলা-মামলা।

কাজী মিজান বলেন, ‘আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্র ভেঙে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে তার লোকজন। আমার ২০ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। এসব ঘটনায় আমি তার লোকজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা দিয়েছি।’

বিরোধী দমন
চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা বলেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় নেতা-কর্মীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বহু গায়েবি মামলার আসামি হয়েছেন আমাদের নেতা-কর্মীরা।’ 
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিক ফোন দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। আর দুই উপজেলায় তাঁর বাহিনীর লোকজনও সরকার পতনের পর আত্মগোপনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

২ শিশুকে হত্যা করে বালুচাপা: বিএনপির নেতা কারাগারে

ভিন দেশে সরকার উৎখাতের মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সেই রূপলালের মেয়ের বিয়ে: বাইরে আনন্দ, ভেতরে কষ্ট

শিপুল ইসলাম, রংপুর প্রতিনিধি
নিহত রূপলালের স্ত্রী ও সন্তানেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহত রূপলালের স্ত্রী ও সন্তানেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।

রংপুরের তারাগঞ্জের কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামে রূপলালের বাড়িতে গতকাল সকাল থেকে চলছে ব্যস্ততা। সড়কে রঙিন গেট, উঠানে বাঁশের মাচা, মণ্ডপ, রঙিন কাপড়ের প্যান্ডেল, ধোঁয়া উঠছে রান্নার হাঁড়ি থেকে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয়, আনন্দঘন উৎসব, কিন্তু একটু কাছে গেলে বোঝা যায়—উৎসবের ভেতর পরিবারের সদস্যদের মনে লুকিয়ে রয়েছে রূপলালকে হারানোর গভীর ব্যথা।

রূপলালের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত ১০ আগস্ট রূপলালের বড় মেয়ে নুপুর রানীর বিয়ের দিন ঠিক করার কথা ছিল মিঠাপুকুর উপজেলার শ্যামপুর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে। এ জন্য ৯ আগস্ট মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে আত্মীয় রূপলাল দাসের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন ভাগনি জামাই প্রদীপ দাস। তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে ভ্যান চোর সন্দেহে তাঁদের দুজনকে থামান স্থানীয় কয়েকজন। এরপর সেখানে লোক জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে মব তৈরি করে রূপলাল দাস ও প্রদীপ দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রূপলালের স্ত্রী হত্যা মামলা করলে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।

বাবার মৃত্যুর পর নুপুর রানীর বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। রূপলালকে হারিয়ে পুরো পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ে। তবে রূপলালের পরিবার জানিয়েছে, মেয়ের বিয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক লাখ, তারাগঞ্জ হাটের ব্যবসায়ীরা ৭১ হাজার, উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৭৫ হাজার, একটি সংগঠন থেকে এক লাখ টাকা টাকা পেয়েছে তারা। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন ব্যক্তি রূপলালের ছেলে জয় রবিদাস ও ছোট মেয়ে রুপার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন।

রূপলালের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের ভেতরে কনে নুপুর রবিদাস বসে আছেন বিয়ের শাড়িতে। মুখে বিয়ের সাজ, কিন্তু চোখ দুটো লাল। পাশে মা ভারতী রানী নীরবে অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি সামলাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

২ শিশুকে হত্যা করে বালুচাপা: বিএনপির নেতা কারাগারে

ভিন দেশে সরকার উৎখাতের মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা: খাদ্যগুদামে বদলি-বাণিজ্য

  • দুই বছরের আগেই কর্মকর্তাদের বদলি; তাৎক্ষণিক নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ।
  • মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে অন্যদের পদায়নের অভিযোগ।
  • পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তার স্থলে উপপরিদর্শককে পদায়ন।
সাইফুল আরিফ জুয়েল, নেত্রকোনা 
ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা: খাদ্যগুদামে বদলি-বাণিজ্য

ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় বদলি-বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ‘পারিবারিক সমস্যা’ দেখিয়ে প্রত্যাহারের আবেদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে অন্যদের পদায়ন করা হচ্ছে।

সম্প্রতি অন্তত ছয়টি গুদামের কর্মকর্তাদের এভাবে বদলি ও পদায়নের তথ্য পাওয়া গেছে।

অভিযোগ উঠেছে, ময়মনসিংহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এই বদলি-বাণিজ্যের মূল হোতা। পুরো প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করছেন খাদ্য পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম কামাল।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া সদর খাদ্যগুদামে সম্প্রতি মেয়াদ শেষ না হতেই বিধিবহির্ভূতভাবে একজন উপপরিদর্শককে পদায়ন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা থাকার কথা। অভিযোগ ওঠার পর ওই পদায়ন আদেশ পরে বাতিল করা হয়।

এদিকে নেত্রকোনা সদর, ঠাকুরাকোণা, ময়মনসিংহের গৌরীপুর, তারাকান্দা, ধলা ও শ্যামগঞ্জ গুদামে দেখা গেছে, দুই বছর পূর্ণের আগেই কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথ্য-উপাত্ত ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট ময়মনসিংহের তারাকান্দা গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলাল হোসেনকে দুই বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৫ দিন আগেই পারিবারিক সমস্যার কারণে বদলি করা হয় ফুলবাড়িয়ায়। একই দিন তারাকান্দায় পদায়ন করা হয় শাকিল আহম্মেদকে। ২৭ দিন পর আলাল হোসেনকে গৌরীপুর খাদ্যগুদামে পদায়ন করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর শ্যামগঞ্জ গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুমকে একই কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস ৫ দিন আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে একই দিনে পদায়ন করা হয় সাজ্জাদ হোসেন খান পাঠানকে। ১৪ সেপ্টেম্বর গৌরীপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিনকে পারিবারিক সমস্যার কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৮ দিন আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে আলাল হোসেনকে পদায়ন করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর ত্রিশালের ধলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে একই কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে হিমেল চন্দ্র সরকারকে পদায়ন করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনার ঠাকুরাকোণা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম আহমেদকে একই কারণ (পারিবারিক সমস্যা) দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস ২০ দিন আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে আব্দুল ওয়াহাবকে পদায়ন করা হয়। ৩০ অক্টোবর নেত্রকোনা সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম মোহাম্মদকে পারিবারিক সমস্যার কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২২ দিন আগে বদলি করে তাঁর স্থলে রেজাউল ইসলামকে পদায়ন করা হয়েছে।

খাদ্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে চাপ দিয়ে পারিবারিক সমস্যার আবেদন করতে বলা হয়েছে। ঊর্ধ্বতনের কথা না মানলে সমস্যায় পড়তে হবে। তাই সবাই বাধ্য হয়ে আবেদন করেছে। বদলি-বাণিজ্যে এখন প্রতি পদায়নে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হচ্ছে। টাকা না দিলে গুদামের দায়িত্বও দেওয়া হচ্ছে না। অনেকের বদলি ও পদায়নের অফিস কপিও লুকিয়ে রাখা হয়েছে; যেটা অফিস ফাইলে থাকার কথা। ওই কর্মকর্তারা বলেন, একসঙ্গে এত কর্মকর্তাকে পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে প্রত্যাহার করা এবং ঘুষ নিয়ে নতুনদের বসানো হয়েছে। এর আগে কখনো এমন অনিয়ম দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে কথা বলতে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) আশরাফুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে কল দেখে তিনি এ বিষয়টি তাঁর অনিয়মের সহযোগী পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম কামালকে জানিয়ে রাখেন।

খাদ্য পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্যারকে কল দিয়েছিলাম; সাংবাদিক কল দিয়েছিল, এটা তিনি আমাকে জানিয়েছেন। স্যার মূলত সচরাচর কারও কল ধরেন না। আমি নিজেই একসময় সাংবাদিক ছিলাম। অভিযোগের বিষয়টা মিথ্যা। ঠাকুরাকোণা গুদামের কর্মকর্তা শামীম তাঁর এক বন্ধুকে এখানে দিয়ে সময়কাল শেষ হওয়ার আগেই তিনি স্বেচ্ছায় আবেদন করে চলে গেছেন। অন্যগুলোও প্রায় একই রকম। কয়েকজন অহেতুক আমাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করে যাচ্ছে। সোর্স লাগিয়ে তাদের খুঁজে বের করতে সময় লাগবে না।’

এ বিষয়ে জানতে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীরের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

খাদ্যসচিব মাসুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের খাদ্য অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী একজন কর্মকর্তা দুই বছর একটি স্টেশনে থাকবেন। যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি না থাকে, তাহলে তাঁকে বদলি করার নিয়ম নেই। আর একসঙ্গে তো এত কর্মকর্তার পারিবারিক সমস্যা হতে পারে না। বিষয়টা তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

২ শিশুকে হত্যা করে বালুচাপা: বিএনপির নেতা কারাগারে

ভিন দেশে সরকার উৎখাতের মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসী সংঘাত

নিজের খুলি পেলেন মামুন, ফেরার অপেক্ষায় সায়েম

  • গত শনিবার নগরীর পার্ক ভিউ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়।
  • এর আগে ৩০ আগস্ট চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন।
  • মামুনের মাথায় খুলি প্রতিস্থাপন করেছি। এরপর তিনি স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন: চিকিৎসক
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার (বাঁয়ে) পাশে চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. ইসমাঈল হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার (বাঁয়ে) পাশে চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. ইসমাঈল হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’—মর্মস্পর্শী বাক্যটি দেশজুড়ে বেশ আলোচিত হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার (২৪) মাথায় চাপ না দেওয়ার সতর্কবাণী ছিল এটি। সমাজতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীর মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়েছিল দুই মাস আগে। অবশেষে গত শনিবার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

গত ৩০ আগস্ট এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। গ্রামবাসীর মধ্যেও অনেকে আহত হন। তাঁদের মধ্যে মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন মামুন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েম (২৪)। প্রথমে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। দ্রুত অস্ত্রোপচারের জন্য পরে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই তাঁদের অস্ত্রোপচার হয়। এর মধ্যে অপারেশনের মাধ্যমে মামুনের মাথার খুলি পৃথক করে রেখে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে মামুন ও সায়েম পার্কভিউ হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসাধীন। তবে এখন বেশ উন্নতি হয়েছে। মামুনের চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর সায়েমও (২৪) সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।

পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানান, ‘মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দুই শিক্ষার্থীকে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দুজনই এখন সুস্থ। মামুনের মাথায় খুলি আমরা প্রতিস্থাপন করেছি। এরপর মামুন স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন।’

চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. ইসমাঈল হোসেন জানান, অপারেশনের দুই মাস পর মামুনের মাথার খুলিটা প্রতিস্থাপন করা হলো। এখন মামুন সুস্থ। আর হামলায় সায়েমের একটি পা অবশ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তিনিও সুস্থ। আরও কিছুদিন তাঁকে থেরাপি দিতে হবে। দুজনই এখন স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন। হামলার সময় ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মামুনের মাথার পেছনের অংশে মারাত্মকভাবে আঘাত করা হয়। অপারেশনের মাধ্যমে তাঁর মাথা থেকে ১৩ টুকরা হাড় বের করা হয়েছিল বলেও জানান এই চিকিৎসক।

মামুনের ভাই মাসুদ রানা বলেন, ‘মামুনের সুস্থতার জন্য আমরা সবার কাছে ঋণী।’

তথ্যমতে, মাথার খুলি রেখে দেওয়ার ঘটনা এটি প্রথম নয়। এর আগে ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাহাদি আকিব মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান। দুদিন পর তাঁর মাথায় অপারেশন করা হয়। তখনো খুলি রেখে দিয়ে ব্যান্ডেজের ওপর লিখে দেওয়া হয়েছিল—‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

২ শিশুকে হত্যা করে বালুচাপা: বিএনপির নেতা কারাগারে

ভিন দেশে সরকার উৎখাতের মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে বুক অলিম্পিয়াড

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।

বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু।

অধ্যাপক রহমান রাজু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড একটি স্বপ্ন অভিযাত্রা, যেখানে স্বপ্নের ডানা মেলার আয়োজন নিহিত রয়েছে। এই আয়োজনের মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর সম্ভাবনার বীজ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠপ্রেম জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি সমাজে জ্ঞাননির্ভর, প্রগতিশীল ও মানবিক মনন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চিন্তা ও বুদ্ধির সমন্বয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে এবং নির্মাণের পথে এগিয়ে নিতে বুক অলিম্পিয়াড এক অনন্য উদ্যোগ।

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার এক অসাধারণ উদ্যোগ। ক্লাসের বই অনেক সময় বাধ্য হয়েই পড়া হয়, কিন্তু বুক অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের গণ্ডি পেরিয়ে জ্ঞানের নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে। এই বই পড়া অভ্যাসই তাদের মানবিক ও চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।

নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওমর আলী আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ জাগিয়েছে, যা ভবিষ্যতে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘সারা দেশে বুক অলিম্পিয়াডের আলোকছটা ছড়িয়ে দিতে আমরা রাজশাহীতে এই আয়োজন করেছি। বইয়ের ভেতরেই লুকিয়ে আছে জ্ঞানের আলো আর সেই আলোকে প্রতিটি শিক্ষার্থী ও প্রান্তিক অঞ্চলে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু, নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, জালাল উদ্দিন, আকতার ফারুক, সার্ক কৃষিকেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াডের যোগাযোগবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল বাশার মিরাজ, লেখক সুফিয়া ডেইজি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটির সহযোগী হিসেবে ছিল স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন, বইচারিতা, কাঠবিড়ালি প্রকাশন ও শব্দঘর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

২ শিশুকে হত্যা করে বালুচাপা: বিএনপির নেতা কারাগারে

ভিন দেশে সরকার উৎখাতের মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত