ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালে বাসশ্রমিকদের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশাশ্রমিকদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। বাস ডিপোতে অটোরিকশা রাখাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার রাত থেকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়।
এ সময় চারটি বাস ও বেশ কয়েকটি অটোরিকশায় আগুন দেওয়া হয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনাল সড়কে দীর্ঘদিন ধরে অটোরিকশা রাখা নিয়ে বাস মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে অটোরিকশাশ্রমিকদের দ্বন্দ্ব চলছিল। গত মঙ্গলবার রাতে সড়কে সিএনজি স্ট্যান্ড করা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা বাস ও অটোরিকশায় আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু গতকাল সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বাসশ্রমিক ও অটোরিকশাচালকেরা। আগুন দেওয়া হয় আরও তিনটি অটোরিকশায়।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে গতকাল ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সব পথে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় ভোলা বাস মালিক সমিতি। তাতে ভোগান্তিতে পড়ে হাজারো যাত্রী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভোলা থেকে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে আসা বিভিন্ন দূরদূরান্তের সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই আবার রয়েছে বাস ছাড়ার অপেক্ষায়। কেউ কেউ আবার থ্রি হুইলারসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহন দিয়ে ছুটে যাচ্ছেন কর্মস্থল ও গন্তব্যে।
যাত্রীদের অভিযোগ, বাসশ্রমিক ও অটোরিকশার শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় বাস বন্ধ থাকার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে থ্রি হুইলারসহ ছোট যানবাহনের চালকেরা। ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করছেন। তাই বাধ্য হয়ে এসব যানবাহনে করেই যাচ্ছেন গন্তব্যে। দ্রুত বাস চলাচলের দাবিও করেন যাত্রীরা।
একাধিক অটোরিকশাচালক বলেন, ‘বাস মালিক সমিতি অবৈধভাবে ডিপো দখল করে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার করে এসেছে। এ রকম স্বৈরাচারী আচরণ আমরা চাই না। স্বাধীন দেশে স্বাধীন হিসেবে বসবাস করতে চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পাঁচ-ছয় মাস আগে ভোলা পৌরসভা থেকে ২৫ লাখ টাকায় ডিপো ইজারা নিয়েছি। কিন্তু অটোরিকশাচালকেরা দখল করতে গেলে আমাদের শ্রমিকেরা বাধা দেয়। তাতে দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আমাদের ৩০ জন আহত হয়েছে। তারা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা অপরাধীদের বিচার চাই।’
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শরিফুল হক বলেন, ভোলায় বাসস্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় বাস ও অটোরিকশায় আগুন দেওয়া হয়। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের জায়গা ভোলায় হবে না, সে যে-ই হোক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাদ জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল রাতে অটোরিকশা ও বাস মালিক সমিতির নেতাদের ডাকা হয়েছে। উভয় পক্ষের সমন্বয়ের ভিত্তিতে আজ সকাল থেকে বাস ও সিএনজি চলাচল চলমান রয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে।
ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালে বাসশ্রমিকদের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশাশ্রমিকদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। বাস ডিপোতে অটোরিকশা রাখাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার রাত থেকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়।
এ সময় চারটি বাস ও বেশ কয়েকটি অটোরিকশায় আগুন দেওয়া হয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনাল সড়কে দীর্ঘদিন ধরে অটোরিকশা রাখা নিয়ে বাস মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে অটোরিকশাশ্রমিকদের দ্বন্দ্ব চলছিল। গত মঙ্গলবার রাতে সড়কে সিএনজি স্ট্যান্ড করা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা বাস ও অটোরিকশায় আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু গতকাল সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বাসশ্রমিক ও অটোরিকশাচালকেরা। আগুন দেওয়া হয় আরও তিনটি অটোরিকশায়।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে গতকাল ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সব পথে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় ভোলা বাস মালিক সমিতি। তাতে ভোগান্তিতে পড়ে হাজারো যাত্রী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভোলা থেকে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে আসা বিভিন্ন দূরদূরান্তের সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই আবার রয়েছে বাস ছাড়ার অপেক্ষায়। কেউ কেউ আবার থ্রি হুইলারসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহন দিয়ে ছুটে যাচ্ছেন কর্মস্থল ও গন্তব্যে।
যাত্রীদের অভিযোগ, বাসশ্রমিক ও অটোরিকশার শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় বাস বন্ধ থাকার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে থ্রি হুইলারসহ ছোট যানবাহনের চালকেরা। ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করছেন। তাই বাধ্য হয়ে এসব যানবাহনে করেই যাচ্ছেন গন্তব্যে। দ্রুত বাস চলাচলের দাবিও করেন যাত্রীরা।
একাধিক অটোরিকশাচালক বলেন, ‘বাস মালিক সমিতি অবৈধভাবে ডিপো দখল করে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার করে এসেছে। এ রকম স্বৈরাচারী আচরণ আমরা চাই না। স্বাধীন দেশে স্বাধীন হিসেবে বসবাস করতে চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পাঁচ-ছয় মাস আগে ভোলা পৌরসভা থেকে ২৫ লাখ টাকায় ডিপো ইজারা নিয়েছি। কিন্তু অটোরিকশাচালকেরা দখল করতে গেলে আমাদের শ্রমিকেরা বাধা দেয়। তাতে দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আমাদের ৩০ জন আহত হয়েছে। তারা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা অপরাধীদের বিচার চাই।’
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শরিফুল হক বলেন, ভোলায় বাসস্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় বাস ও অটোরিকশায় আগুন দেওয়া হয়। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের জায়গা ভোলায় হবে না, সে যে-ই হোক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাদ জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল রাতে অটোরিকশা ও বাস মালিক সমিতির নেতাদের ডাকা হয়েছে। উভয় পক্ষের সমন্বয়ের ভিত্তিতে আজ সকাল থেকে বাস ও সিএনজি চলাচল চলমান রয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে।
সকাল সাড়ে ৭টা। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার সামনের আঞ্চলিক সড়ক ধীরে ধীরে ভরে উঠতে থাকে ধান ও সরিষার বস্তায়। আশপাশের চরাঞ্চল থেকে আসা কৃষকেরা নৌকা বা ভ্যানগাড়িতে করে ধান নামাতে থাকেন আর ব্যাপারীরা দরদামে ব্যস্ত। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাস্তাটি পরিণত হয় বড়সড় হাটে। কেনাবেচা চলে দুপুর পর্যন্ত।
২ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সড়ক সংস্কারের ছয়টি প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন ঠিকাদার ও আওয়ামী লীগের নেতা অলি আহাম্মেদ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এসব প্রকল্পের মধ্যে পাঁচটিতে বরাদ্দ দেয় ১০ কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা। মোট সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার।
২ ঘণ্টা আগেকারও তিনতলা বাড়ি আছে, কেউ চড়ে প্রাইভেট কারে—তবু পেশা দিনমজুর। এভাবে রাজশাহী মহানগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেড়ে গেছে দিনমজুরের সংখ্যা। কথা বলে জানা গেল, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্ড পেতে এমন চতুরতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এতে বঞ্চিত হয়েছে দুস্থরা।
২ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ শহরের চেচানিয়াকান্দি এলাকায় প্রেমানন্দ হালদার (৮০) নামের এক বৃদ্ধ ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলার ভেন্নাবাড়ি গ্রামে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে