বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর নদের ভাঙনে ৩৩ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা, বামনা উপজেলার রামনা এবং আমতলীর পশুরবুনিয়া ও তালতলীর জায়ালভাঙ্গা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হেয়ে গেছে। এ ছাড়া ৩৩ কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিতে আছে। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই তাদের বসত-ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলা ডালভাঙা এলাকার লঞ্চঘাট থেকে মোল্লারহোরা ও ডালভাঙা স্কুল থেকে বরইতলা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার হাজার হাজার একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সেখানে ফসলি জমি বাইরে রেখে ভেতরে বাঁধ নির্মাণ করেছে পাউবো।
এ বছরের শুরুতে বরইতলা থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিমে আনোয়ার বাজার পর্যন্ত বেড়িবাঁধে মাটি ফেলে উঁচু করা হয়েছে। কিন্তু বাঁধের বাইরে ফসলি জমিতে নিয়মিত জোয়ারের পানি প্রবেশের ফলে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া ডালভাঙা স্কুল থেকে মোল্লারহোড়া পর্যন্ত এলাকার শত শত বাসিন্দা ভাঙনের শিকার হয়ে এলাকা ছেড়েছেন। যারা এলাকা ছাড়তে পারেননি তারা বাঁধের বাইরে বসতি গড়ে জোয়ার-ভাটার সঙ্গে বসবাস করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরগুনা কার্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, বরগুনা জেলার ২২টি পোল্ডারে অধীনে ৮০৫ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, বিভিন্ন সময়ে প্রবল বৃষ্টি ও উচ্চ জোয়ারের প্রভাবে পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা এলাকার এক কিলোমিটার, বামনার রামনা এবং আমতলীর পশুরবুনিয়া ও তালতলীর জায়ালভাঙ্গায় এলাকা বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বামনা উপজেলার চেচাং পুরোনো লঞ্চঘাট এলাকা থেকে দক্ষিণ দিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় আধা কিলোমিটার অংশ ভেঙে বিষখালী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধের অবশিষ্ট অংশ রক্ষার জন্য পাউবো ভাঙনকবলিত স্থানে বালুর বস্তা ফেলছে। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। পরে সেখানে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ হাতে নেওয়া হয়। একই অবস্থা বরগুনার তালতলি উপজেলার জয়ালভাঙ্গা এলাকার বাঁধের। এখানের পায়রা নদীর তীরের বাঁধের দুই তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যে নদীতে ভেঙে পড়েছে।
জয়ালভাঙা এলাকার বাসিন্দা আবদুর রব মিয়া বলেন, 'মোগো জমিজমা যা আলহে, বেবাক ভাইঙ্গা নদীতে গ্যাছে। এহন বাড়িঘরডু কোনরহম টিক্কা আছে। বাঁধ না দেলে বাড়িও ভাইঙ্গা মোগো পোতে (পথে) বইতে হবে।'
বামনার চেচাং এলাকার মিরাজ হোসেন বলেন, 'বালুর বস্তা আর বেড়িবাঁধ দিয়া মোগো রক্ষা করণ যাইবেনা। এইহানের ভাঙন ঠ্যকাইতে লাগবে ব্লক দিয়া নদী শাসন।'
ডালভাঙা এলাকার ফারুক মিয়া বলেন, 'তিন বচ্ছর ধইরা এমপি, উপজেলা পাউবোতে ঘুরছি, মোগো এহানে ব্লক দেওয়ার লইগ্গা, কেউ কথা হোনেনা।'
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কাইছার আলম বলেন, 'বরগুনায় ৩৩ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিতে আছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কারের জন্য ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে পাউবোর প্রধান কার্যালয়ে প্রকল্প পাঠানো হলে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যেসব জায়গায় বাঁধ ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে, সেসব স্থানে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণ করা হবে।'
বরগুনার বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর নদের ভাঙনে ৩৩ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা, বামনা উপজেলার রামনা এবং আমতলীর পশুরবুনিয়া ও তালতলীর জায়ালভাঙ্গা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হেয়ে গেছে। এ ছাড়া ৩৩ কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিতে আছে। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই তাদের বসত-ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলা ডালভাঙা এলাকার লঞ্চঘাট থেকে মোল্লারহোরা ও ডালভাঙা স্কুল থেকে বরইতলা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার হাজার হাজার একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সেখানে ফসলি জমি বাইরে রেখে ভেতরে বাঁধ নির্মাণ করেছে পাউবো।
এ বছরের শুরুতে বরইতলা থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিমে আনোয়ার বাজার পর্যন্ত বেড়িবাঁধে মাটি ফেলে উঁচু করা হয়েছে। কিন্তু বাঁধের বাইরে ফসলি জমিতে নিয়মিত জোয়ারের পানি প্রবেশের ফলে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া ডালভাঙা স্কুল থেকে মোল্লারহোড়া পর্যন্ত এলাকার শত শত বাসিন্দা ভাঙনের শিকার হয়ে এলাকা ছেড়েছেন। যারা এলাকা ছাড়তে পারেননি তারা বাঁধের বাইরে বসতি গড়ে জোয়ার-ভাটার সঙ্গে বসবাস করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরগুনা কার্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, বরগুনা জেলার ২২টি পোল্ডারে অধীনে ৮০৫ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, বিভিন্ন সময়ে প্রবল বৃষ্টি ও উচ্চ জোয়ারের প্রভাবে পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা এলাকার এক কিলোমিটার, বামনার রামনা এবং আমতলীর পশুরবুনিয়া ও তালতলীর জায়ালভাঙ্গায় এলাকা বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বামনা উপজেলার চেচাং পুরোনো লঞ্চঘাট এলাকা থেকে দক্ষিণ দিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় আধা কিলোমিটার অংশ ভেঙে বিষখালী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধের অবশিষ্ট অংশ রক্ষার জন্য পাউবো ভাঙনকবলিত স্থানে বালুর বস্তা ফেলছে। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। পরে সেখানে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ হাতে নেওয়া হয়। একই অবস্থা বরগুনার তালতলি উপজেলার জয়ালভাঙ্গা এলাকার বাঁধের। এখানের পায়রা নদীর তীরের বাঁধের দুই তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যে নদীতে ভেঙে পড়েছে।
জয়ালভাঙা এলাকার বাসিন্দা আবদুর রব মিয়া বলেন, 'মোগো জমিজমা যা আলহে, বেবাক ভাইঙ্গা নদীতে গ্যাছে। এহন বাড়িঘরডু কোনরহম টিক্কা আছে। বাঁধ না দেলে বাড়িও ভাইঙ্গা মোগো পোতে (পথে) বইতে হবে।'
বামনার চেচাং এলাকার মিরাজ হোসেন বলেন, 'বালুর বস্তা আর বেড়িবাঁধ দিয়া মোগো রক্ষা করণ যাইবেনা। এইহানের ভাঙন ঠ্যকাইতে লাগবে ব্লক দিয়া নদী শাসন।'
ডালভাঙা এলাকার ফারুক মিয়া বলেন, 'তিন বচ্ছর ধইরা এমপি, উপজেলা পাউবোতে ঘুরছি, মোগো এহানে ব্লক দেওয়ার লইগ্গা, কেউ কথা হোনেনা।'
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কাইছার আলম বলেন, 'বরগুনায় ৩৩ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিতে আছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কারের জন্য ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে পাউবোর প্রধান কার্যালয়ে প্রকল্প পাঠানো হলে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যেসব জায়গায় বাঁধ ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে, সেসব স্থানে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণ করা হবে।'
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকার ৮৮৭.৫০ গ্রাম স্বর্ণসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সালেহ ফয়সাল (২৭), মনিরুল ইসলাম (৩৪) ও মাসুম রানা (৩২)।
৪১ মিনিট আগেএশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পরামর্শকদের পরামর্শ উপেক্ষা করে রাঙামাটি শহরে কাপ্তাই হ্রদের পানি সরবরাহ প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এডিবির অর্থায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে একটি হল
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে অভিযান চালিয়ে দুটি অবৈধ পলিথিন কারখানাকে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ১৪ হাজার ১৭৯ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ও কাঁচামাল জব্দ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মহাখালী রাওয়া ক্লাবের বিপরীতে ইউরেকা ফিলিং স্টেশনে থাকা তেলবাহী ট্যাংকারে আগুন লেগেছিল। আজ রোববার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ৪৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৮ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২ ঘণ্টা আগে