মো. বেল্লাল হোসেন, দশমিনা (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর দশমিনার বিভিন্ন চরে বন বিভাগের জমি ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিট কর্মকর্তা রওশন হাসানের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, এই বিট কর্মকর্তাকে সংরক্ষিত বন থেকে মধু আহরণেও কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বনের মধ্যের খালে বাঁধ দেওয়া, চাঁই পাতা এবং ঝারা দিয়ে মাছ শিকারেও নির্ধারিত হারে ভাড়া নেন তিনি। বনের জমিতে মহিষ চরানোর জন্যও তাঁকে ঘুষ দিতে হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এভাবেই দুর্নীতি ও অনৈতিকভাবে রওশন কোটি টাকা হাতিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, দশমিনা উপজেলায় বন বিভাগের আওতাধীন খাল পাঁচটি। এসব খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের জন্য রওশন হাসান বড় বাঁধে ৫ হাজার, ছোট বাঁধে ২ হাজার করে টাকা নেন। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আলগারচর, লালচর, দশমিনারচর হাদী, চর বোরহান ইউনিয়নের চর শাহজালালে মহিষ লালন-পালন করতে মহিষপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা নেন তিনি। দুটি চরে মধু আহরণের জন্য কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা নেন। বন বিভাগের আওতায় খাল বা নদীতে প্রায় দুই হাজার ঝারা আছে। এগুলো থেকে ৫০০ করে টাকা নেন।
অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তা রওশন হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাই, আপনারা তো বোঝেনই, এত বড় বন; সরকারের কোনো নৌকা বা ট্রলার নাই; সবকিছু মিলিয়ে চলতে হয়। ঝারা, বাঁধ, মহিষ চরানো ও মধু বিক্রি করে টাকা নেওয়া হয় না। উপজেলা থেকে এসব চরে যেতে যা খরচ হয়, তা সরকারের কাছ থেকে পাই না। চর থেকে যা টুকটাক পাই, তা দিয়ে কোনোরকমে বন নিয়ন্ত্রণ করি।’
আলগারচর গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি খালে ছোট-বড় অসংখ্য বাঁধ। এই বাঁধ দিয়ে চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করা হয়। কয়েকটি বাঁধ দেখার পর ট্রলার নিয়ে সামনে গেলে দেখা যায়, ১০-১২ জন জেলে বাঁধ দিচ্ছেন এবং ২০-২৫ জন মাছ ধরছেন। ট্রলারের শব্দ পেয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। কিছু দূরে লোকজনের জমায়েত দেখে এগিয়ে গেলে তাঁরা বলেন, ‘উপজেলার ৪-৫টি চরে প্রায় ১০ হাজার লোকের বসবাস। এসব লোকের উপার্জন খাল ও নদী থেকে মাছ শিকার। বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা আমাদের মাছ ধরতে না দিয়ে ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকদের কাছে টাকার বিনিময়ে বাঁধ দেন; মহিষ পালনের অনুমতি, মধু বিক্রি, খালে ঝারা, পাতা বিক্রি করেন। আমরা নদীতে জাল ফেললে তিনি আমাদের মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে দূরে সরিয়ে রাখেন। চর হাদী, লালচর, আলগারচর, ফাতেমাচরের খালে পাঁচ শতাধিক ঝারা দেখা যায়।’
লালচরের বাসিন্দা হেলাল গাজীসহ অনেকে আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘বন বিভাগের কর্মকর্তা রওশনের কাছ থেকে তিনটি খাল নিয়ে বাঁধ দিয়ে আমি প্রতি বাঁধে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দিই। চরে বাঁধ বাবদ ১০ হাজার, ৫ হাজার, ১ হাজার টাকা নেন খাল বুঝে।’ খালের ঝারার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘৪-৫ শত ঝারা আছে, তা ভোলার লোকদের কাছে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে ঝারা দেওয়া হয়।’
হেলাল আরও বলেন, ‘আমরা বনের একটি পাতা ধরলেও বিট কর্মকর্তাকে টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলেই গাছ কাটার মামলা দেন।’
আলগারচরে বাঁধ দেওয়া ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট গ্রামের একাধিক জেলে বলেন, ‘আমরা এ বিষয় কিছুই জানি না। দশমিনার হারুন আমাদের দিয়ে আলগারচরে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরায়। মাছ ধরা হলে হারুন ট্রলার নিয়ে এসে মাছ নিয়ে যায়।’ হারুনের ভাষ্য, তিনি বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরান।’
এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা (রেঞ্জ) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমি সদ্য যোগদান করছি। এ বিষয় জানা নেই। তবে এ রকম ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ওই বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সার্বিক বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা উপ-বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, দশমিনা উপজেলা বন বিভাগে এ রকম কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি থাকলে জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটুয়াখালীর দশমিনার বিভিন্ন চরে বন বিভাগের জমি ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিট কর্মকর্তা রওশন হাসানের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, এই বিট কর্মকর্তাকে সংরক্ষিত বন থেকে মধু আহরণেও কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বনের মধ্যের খালে বাঁধ দেওয়া, চাঁই পাতা এবং ঝারা দিয়ে মাছ শিকারেও নির্ধারিত হারে ভাড়া নেন তিনি। বনের জমিতে মহিষ চরানোর জন্যও তাঁকে ঘুষ দিতে হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এভাবেই দুর্নীতি ও অনৈতিকভাবে রওশন কোটি টাকা হাতিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, দশমিনা উপজেলায় বন বিভাগের আওতাধীন খাল পাঁচটি। এসব খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের জন্য রওশন হাসান বড় বাঁধে ৫ হাজার, ছোট বাঁধে ২ হাজার করে টাকা নেন। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আলগারচর, লালচর, দশমিনারচর হাদী, চর বোরহান ইউনিয়নের চর শাহজালালে মহিষ লালন-পালন করতে মহিষপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা নেন তিনি। দুটি চরে মধু আহরণের জন্য কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা নেন। বন বিভাগের আওতায় খাল বা নদীতে প্রায় দুই হাজার ঝারা আছে। এগুলো থেকে ৫০০ করে টাকা নেন।
অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তা রওশন হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাই, আপনারা তো বোঝেনই, এত বড় বন; সরকারের কোনো নৌকা বা ট্রলার নাই; সবকিছু মিলিয়ে চলতে হয়। ঝারা, বাঁধ, মহিষ চরানো ও মধু বিক্রি করে টাকা নেওয়া হয় না। উপজেলা থেকে এসব চরে যেতে যা খরচ হয়, তা সরকারের কাছ থেকে পাই না। চর থেকে যা টুকটাক পাই, তা দিয়ে কোনোরকমে বন নিয়ন্ত্রণ করি।’
আলগারচর গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি খালে ছোট-বড় অসংখ্য বাঁধ। এই বাঁধ দিয়ে চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করা হয়। কয়েকটি বাঁধ দেখার পর ট্রলার নিয়ে সামনে গেলে দেখা যায়, ১০-১২ জন জেলে বাঁধ দিচ্ছেন এবং ২০-২৫ জন মাছ ধরছেন। ট্রলারের শব্দ পেয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। কিছু দূরে লোকজনের জমায়েত দেখে এগিয়ে গেলে তাঁরা বলেন, ‘উপজেলার ৪-৫টি চরে প্রায় ১০ হাজার লোকের বসবাস। এসব লোকের উপার্জন খাল ও নদী থেকে মাছ শিকার। বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা আমাদের মাছ ধরতে না দিয়ে ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকদের কাছে টাকার বিনিময়ে বাঁধ দেন; মহিষ পালনের অনুমতি, মধু বিক্রি, খালে ঝারা, পাতা বিক্রি করেন। আমরা নদীতে জাল ফেললে তিনি আমাদের মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে দূরে সরিয়ে রাখেন। চর হাদী, লালচর, আলগারচর, ফাতেমাচরের খালে পাঁচ শতাধিক ঝারা দেখা যায়।’
লালচরের বাসিন্দা হেলাল গাজীসহ অনেকে আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘বন বিভাগের কর্মকর্তা রওশনের কাছ থেকে তিনটি খাল নিয়ে বাঁধ দিয়ে আমি প্রতি বাঁধে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দিই। চরে বাঁধ বাবদ ১০ হাজার, ৫ হাজার, ১ হাজার টাকা নেন খাল বুঝে।’ খালের ঝারার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘৪-৫ শত ঝারা আছে, তা ভোলার লোকদের কাছে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে ঝারা দেওয়া হয়।’
হেলাল আরও বলেন, ‘আমরা বনের একটি পাতা ধরলেও বিট কর্মকর্তাকে টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলেই গাছ কাটার মামলা দেন।’
আলগারচরে বাঁধ দেওয়া ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট গ্রামের একাধিক জেলে বলেন, ‘আমরা এ বিষয় কিছুই জানি না। দশমিনার হারুন আমাদের দিয়ে আলগারচরে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরায়। মাছ ধরা হলে হারুন ট্রলার নিয়ে এসে মাছ নিয়ে যায়।’ হারুনের ভাষ্য, তিনি বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরান।’
এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা (রেঞ্জ) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমি সদ্য যোগদান করছি। এ বিষয় জানা নেই। তবে এ রকম ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ওই বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সার্বিক বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা উপ-বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, দশমিনা উপজেলা বন বিভাগে এ রকম কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি থাকলে জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবছরের নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। এই সময়ে উপকূলের জমিতে পলিথিন বিছিয়ে সমুদ্রের লোনাপানি আটকে রেখে রোদে শুকিয়ে লবণ উৎপাদন করেন চাষিরা। কিন্তু এবার বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে কক্সবাজার উপকূলের লবণচাষিদের নির্দিষ্ট সময়ের দুই সপ্তাহ আগেই উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এতে চলতি
২ ঘণ্টা আগেকোস্ট গার্ড সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ তাশরীফ-১ তল্লাশি করে ৪৫ কেজি হরিণের মাংসসহ দুই জন পাচারকারীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন-মো. রা
২ ঘণ্টা আগেখুলনা মহানগরীর লবণচরা থানাধীন মোহাম্মদনগর বিশ্বরোডে ইজিবাইকের ধাক্কায় সোনালী ব্যাংকের এক প্রিন্সিপাল অফিসার নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আফরোজা আম্বিয়া খানম (৪২)। আজ বুধবার (২৮ মে) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে জাম দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিদ্যালয়ের টয়লেটে নিয়ে ৫ বছর বয়সের এক শিশুশিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে