Ajker Patrika

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কাল থেকে একাডেমিক শাটডাউন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আজ রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী মশাল মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আজ রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী মশাল মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আগামীকাল সোমবার থেকে একাডেমিক শাটডাউন ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বিকেলে শিক্ষকদের উদ্দেশে এক খোলাচিঠিতে এ ঘোষণা দেন তাঁরা। চলমান প্রশাসনিক শাটডাউনের পাশাপাশি একাডেমিক শাটডাউনও শুরু হতে যাওয়ায় কার্যত অচল হতে যাচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা এক প্রতিবাদী মশাল মিছিল বের করেন। এ সময় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগ দাবিতে ৬ মে থেকে প্রশাসনিক সব কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুরের দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের প্রতি এক চিঠিতে একাডেমিক শাটডাউনের বিষয়টিও জানিয়ে দেন। তবে পরীক্ষা, পরিবহনসেবাসহ অন্যান্য জরুরি সেবা শাটডাউনের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকার আমাদের দাবির প্রতি এখন পর্যন্ত কর্ণপাত করেনি। দীর্ঘদিন আন্দোলনের কারণে আমাদের আর পেছনে ফিরে যাওয়ার ন্যূনতম জায়গা নেই। দাবি আদায়ের এই আপসহীন লড়াইয়ে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে আমরা ১২ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক শাটডাউন ঘোষণা করেছি। সকল শিক্ষকের প্রতি একাডেমিক ক্লাস বন্ধ রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

আন্দোলনকারী ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমরা যেকোনো উপায়ে ২৫টি বিভাগের চেয়ারম্যান ও অন্য শিক্ষকদের কাছে আমাদের খোলাচিঠি পৌঁছে দিয়েছি। উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ বলেন, ‘চলমান এক দফা দাবিতে আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত ১৮টি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা বিবৃতির মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করেছে। যেটা জোড়ালো জনমত হিসেবে কাজ করেছে। সবার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শিক্ষকদের বিষয়টি অবহিত করেছি যেন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে তাঁরাও ক্লাস বর্জন করেন।’

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে স্বৈরাচার পুনর্বাসন ও জুলাই আন্দোলনের পক্ষে অবস্থানকারীদের হয়রানির অভিযোগ তুলে গত ১৭ এপ্রিল থেকে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। গত শুক্রবার উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ জন শিক্ষক বিবৃতি দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

এবার ‘পাকিস্তানপন্থার’ বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

বাহাত্তরের সংবিধান, জুলাই সনদ, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা নিয়ে আইন উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তাকে হত্যা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত