Ajker Patrika

মির্জাগঞ্জের প্রত্যেকটি ঘরে জ্বরের রোগী, ফার্মেসিতে নেই প্যারাসিটামল ওষুধ

প্রতিনিধি, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
মির্জাগঞ্জের প্রত্যেকটি ঘরে জ্বরের রোগী, ফার্মেসিতে নেই প্যারাসিটামল ওষুধ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ওষুধের দোকানগুলোতে (ফার্মেসি) প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে সর্বত্রই দেখা দিয়েছে জ্বরের প্রকোপ। করোনা উপসর্গ নিয়ে গ্রামাঞ্চলে প্রত্যেক ঘরেই জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট সহজলভ্য হলেও আতঙ্কে লোকজনের করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ নেই। বাড়িতেই পল্লি চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাঁরা। ফলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। সরবরাহ কম থাকায় অনেক ফার্মেসিতে ন্যায্য মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এ জাতীয় ওষুধ। এমন পরিস্থিতিতে ওষুধ কিনতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়ছেন রোগীরা।

আজ সোমবার সকালে উপজেলার কয়েকটি ওষুধের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ যেমন ট্যাবলেট নাপা, নাপা-৫০০, নাপা এক্সটেন্ড, নাপা র‍্যাপিড, নাপা সিরাপ, নাপা ড্রপ এবং স্কয়ার গ্রুপের এইচ প্লাস, এইচ সিরাপ ইত্যাদি ওষুধের চরম সংকট রয়েছে। এমন সংকটের মধ্যে ওষুধের চাহিদা বেশি থাকায় অনেক দোকানি বেশি দামে তা বিক্রি করছেন।

মহিষকাটা বাজারে ওষুধ কিনতে আসা রনি হাওলাদার বলেন, বাসার আশে পাশে অনেক ঘরেই জ্বরের রোগী আছেন। আমিও বেশ কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা-জ্বর ভুগছি। নাপা ট্যাবলেট কিনতে এসেছি। বেশ কয়েকটি দোকান খুঁজেও নাপা ট্যাবলেট পাওয়া যায়নি।

উপজেলার মহিষকাটা বাজারে মায়ের দোয়া মেডিসিন হাউজের মালিক মো. মিলন চোকদার বলেন, হঠাৎ করে জ্বরের রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় ওষুধের চাহিদা প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে। বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধির কাছে ওষুধের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ দিতে বললেও তাঁরা দিতে পারছে না। তাই এ জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এমনকি পাশের উপজেলা বাকেরগঞ্জে যোগাযোগ করেও সংগ্রহ করা যায়নি।

সুবিদখালী সদরের রোগমুক্তি ফার্মেসির মালিক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, জ্বরের রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে যার এক পাতা প্যারাসিটামল ওষুধের প্রয়োজন, সে ১০ পাতা কিনে ঘরে রাখছে। যাদের প্রয়োজন নেই তারাও কিনে ঘরে রেখে দিচ্ছেন। ফলে প্রায় ২ মাস ধরে নাপা গ্রুপের ওষুধের সংকট রয়েছে।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মেডিকেল প্রমোশন এক্সিকিউটিভ (এমপিই) মো. সাব্বির হোসেন এ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে করোনা ও জ্বরের রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ায় নাপার চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। নাপা ট্যাবলেটের কাঁচামালের সংকটে উৎপাদনও কমে গেছে। তবে কমবেশি প্রায় দোকানে ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে বাজারে এ সংকট আর থাকবে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইয়াসমীন লিজা বলেন, উপজেলায় করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। তবে হাসপাতালে পর্যাপ্ত প্যারাসিটামল ওষুধ মজুত রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সরকারিভাবে এ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত