কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
কলাপাড়া উপজেলার ১ নম্বর চাকামইয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁঠালপাড়া গ্রাম। কাঁঠালপাড়া স্লুইসগেটের ভেতরে ও বাইরে সারিবদ্ধ হয়ে ছোট ডিঙি নৌকায় চড়ে বড়শি ফেলে মাছ শিকার করেন একদল মৎস্য শিকারি। সারা দিনের প্রাপ্ত মাছ ডোলের মধ্যে রেখে সকালে কলাপাড়া শহরে বিক্রি করতে নিয়ে যান তাঁরা।
স্থানীয়রা জানান, আগে এখানে বড় বড় মাছ উঠলেও এখন তেমন একটা পাওয়া যায় না। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারবেন বলে জানান তাঁরা। এখানে গলদা চিংড়ি, গুলসা, বগনি, কোরাল, গাগঁড়া, পাঙাশ, রুই, কাউন, পোয়া, বাইলা, কাঁকড়াসহ নানা প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। সারা দিন মাছ শিকার করে তাঁরা ৪০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। কোনো কোনো দিন মাছ পান না, আবার কোনো দিন পেয়ে যান বড় কোনো মাছ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাঁঠালপাড়া গ্রামের রসিদ মুনশি, হামিদ সরদার, হানিফ হাওলাদার, নুরসায়েদ খান, মঞ্জুরুল হক, ইউসুফ শিকদার, কালাম আকন, নুর ইসলাম হাওলাদার, জাকির আকান, ফারুক আকন, শহীদুল গাজী, কামাল গাজী, সালেহাবাদ এলাকার প্রতিবন্ধী নজরুল, বাবুল ব্যাপারী, বারেক ব্যাপারী, শামসুদ্দিন, চুন্নু সিকদার, কড়ইবাড়িয়া এলাকার দুই পা-বিহীন প্রতিবন্ধী জালাল ফকির, আফজালসহ গান্ধাপাড়া, আনিপাড়া ও চাউলাপাড়া এলাকার ৩৪ জন মাছ শিকারি এখানে মাছ ধরতে আসেন। পানির জোঁ বুঝে ২৪ ঘণ্টাই এখানে কেউ না কেউ থাকেন।
এ বিষয়ে কাঁঠালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৎস্যজীবী আবদুল হামিদ সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'বয়স হয়ে গেছে, তাই নদীতে মাছ শিকার করতে যেতে পারি না। তিন বছর ধরে এখানে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছি। এক কেজি মাছ পেলে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বেচতে পারি। এখন পর্যন্ত কোনো জেলে কার্ড পাইনি। গত বছর মৎস্য কর্মকর্তা এসে নাম নিয়ে গেছেন। এরপর আর কোনো খবর নেই।'
মাছ শিকারে আসা দুই পা-বিহীন প্রতিবন্ধী জালাল ফকির আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'সংসার চালাতে নৌকায় বসে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছি। অন্য কোনো কাজ করতে পারি না। সকালে আমার স্ত্রী কড়ইবাড়িয়া থেকে আমাকে নৌকায় উঠিয়ে দেয়, আবার বাড়িতে গেলে নৌকা থেকে তুলে নেয়।'
নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'একসময় এই মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে বড় সাইজের কোরাল, কাউন ও বগনি মাছ কিনে নিতাম। এখন এসব মাছ তেমন পাওয়া যায় না। এই মৎস্যজীবীদের অধিকাংশ সন্তান আমার বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। আমরা যতটুকু সম্ভব তাদের সহযোগিতা করে থাকি।'
এ বিষয়ে চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির কেরামত হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমার ইউনিয়নের মৎস্যজীবীদের সম্পর্কে আমি অবগত আছি। এরা যাতে নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন, সে ব্যাপারে আমরা সহযোগিতা করছি। সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা এলে এদের পুনর্বাসনসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।'
এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততার জন্য কথা বলেননি।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বর্তমানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী (কাঁসারি, বাঁশ ও বেতশিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত, কামার, কুমার, তাঁতি, নাপিত, বাউলশিল্পী) ১০টি পেশার মানুষের জরিপ চলছে। এদের মধ্যে এই পেশার মানুষকে তালিকাভুক্ত করা হবে। এ ছাড়া উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যে যারা প্রতিবন্ধী আছে তাদের সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হবে।'
কলাপাড়া উপজেলার ১ নম্বর চাকামইয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁঠালপাড়া গ্রাম। কাঁঠালপাড়া স্লুইসগেটের ভেতরে ও বাইরে সারিবদ্ধ হয়ে ছোট ডিঙি নৌকায় চড়ে বড়শি ফেলে মাছ শিকার করেন একদল মৎস্য শিকারি। সারা দিনের প্রাপ্ত মাছ ডোলের মধ্যে রেখে সকালে কলাপাড়া শহরে বিক্রি করতে নিয়ে যান তাঁরা।
স্থানীয়রা জানান, আগে এখানে বড় বড় মাছ উঠলেও এখন তেমন একটা পাওয়া যায় না। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারবেন বলে জানান তাঁরা। এখানে গলদা চিংড়ি, গুলসা, বগনি, কোরাল, গাগঁড়া, পাঙাশ, রুই, কাউন, পোয়া, বাইলা, কাঁকড়াসহ নানা প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। সারা দিন মাছ শিকার করে তাঁরা ৪০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। কোনো কোনো দিন মাছ পান না, আবার কোনো দিন পেয়ে যান বড় কোনো মাছ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাঁঠালপাড়া গ্রামের রসিদ মুনশি, হামিদ সরদার, হানিফ হাওলাদার, নুরসায়েদ খান, মঞ্জুরুল হক, ইউসুফ শিকদার, কালাম আকন, নুর ইসলাম হাওলাদার, জাকির আকান, ফারুক আকন, শহীদুল গাজী, কামাল গাজী, সালেহাবাদ এলাকার প্রতিবন্ধী নজরুল, বাবুল ব্যাপারী, বারেক ব্যাপারী, শামসুদ্দিন, চুন্নু সিকদার, কড়ইবাড়িয়া এলাকার দুই পা-বিহীন প্রতিবন্ধী জালাল ফকির, আফজালসহ গান্ধাপাড়া, আনিপাড়া ও চাউলাপাড়া এলাকার ৩৪ জন মাছ শিকারি এখানে মাছ ধরতে আসেন। পানির জোঁ বুঝে ২৪ ঘণ্টাই এখানে কেউ না কেউ থাকেন।
এ বিষয়ে কাঁঠালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৎস্যজীবী আবদুল হামিদ সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'বয়স হয়ে গেছে, তাই নদীতে মাছ শিকার করতে যেতে পারি না। তিন বছর ধরে এখানে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছি। এক কেজি মাছ পেলে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বেচতে পারি। এখন পর্যন্ত কোনো জেলে কার্ড পাইনি। গত বছর মৎস্য কর্মকর্তা এসে নাম নিয়ে গেছেন। এরপর আর কোনো খবর নেই।'
মাছ শিকারে আসা দুই পা-বিহীন প্রতিবন্ধী জালাল ফকির আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'সংসার চালাতে নৌকায় বসে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছি। অন্য কোনো কাজ করতে পারি না। সকালে আমার স্ত্রী কড়ইবাড়িয়া থেকে আমাকে নৌকায় উঠিয়ে দেয়, আবার বাড়িতে গেলে নৌকা থেকে তুলে নেয়।'
নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'একসময় এই মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে বড় সাইজের কোরাল, কাউন ও বগনি মাছ কিনে নিতাম। এখন এসব মাছ তেমন পাওয়া যায় না। এই মৎস্যজীবীদের অধিকাংশ সন্তান আমার বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। আমরা যতটুকু সম্ভব তাদের সহযোগিতা করে থাকি।'
এ বিষয়ে চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির কেরামত হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমার ইউনিয়নের মৎস্যজীবীদের সম্পর্কে আমি অবগত আছি। এরা যাতে নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন, সে ব্যাপারে আমরা সহযোগিতা করছি। সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা এলে এদের পুনর্বাসনসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।'
এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততার জন্য কথা বলেননি।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বর্তমানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী (কাঁসারি, বাঁশ ও বেতশিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত, কামার, কুমার, তাঁতি, নাপিত, বাউলশিল্পী) ১০টি পেশার মানুষের জরিপ চলছে। এদের মধ্যে এই পেশার মানুষকে তালিকাভুক্ত করা হবে। এ ছাড়া উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যে যারা প্রতিবন্ধী আছে তাদের সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হবে।'
খাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের সময় তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি) সদস্য বলে পুলিশ দাবি করেছে। আজ শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি সদরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৪৪ মিনিট আগেহান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান। আমি আপনাদের কাছে কখনো ভোট চাইতে আসব না। কখনো বলব না আপনারা আমাকে ভোট দেন। আপনারা যদি আমার থেকে যোগ্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে পান, তবে তাকে সবাই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। এটাতে আমার কোনো আপত্তি নাই। তবুও আমি চাইব, অবহেলিত এই হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়ন হোক।
১ ঘণ্টা আগেসি-সেফ লাইফ গার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সামির চট্টগ্রামের হালিশহরের বাসিন্দা এবং পেশায় রেফ্রিজারেটর মেকানিক। সাইফুল্লাহ সিফাত জানান, সকালে সামিরসহ চার বন্ধু মিলে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। দুপুরে সৈকতে গোসলে নামলে ঢেউয়ে ভেসে যেতে থাকেন সামির।
১ ঘণ্টা আগেসন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। যদিও অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলছেন, তিনি কখনো অস্ত্র ছুঁয়েও দেখেননি।
১ ঘণ্টা আগে