তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
দুই যমজ বোনের পরে এবার বাড়িতে এল মা সিমু আক্তারের মরদেহ। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর গতকাল সিমু আক্তারের মরদেহ সুগন্ধা নদীতে ভেসে ওঠে। দাফনও হবে পাশাপাশি কবরে। বাড়িতে প্রতিবেশীরা সিমুর কবর প্রস্তুত করলেও নেই কন্নার আওয়াজ। সিমুর বাবা আজিজ মেয়ের মরদেহের খাটিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। কিছুই বলার ভাষা নেই তাঁর মুখে।
এর আগে গতকাল বুধবার সকালে সুগন্ধা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। সিমুর ভাই হান্নান নিজেই গিয়ে তাঁর বোনের মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে আসেন।
জানা গেছে, বরগুনার তালতলী উপজেলার আগাপাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে সিমু, দুই নাতনি লামিয়া-সামিয়া ও স্ত্রী দুলু বেগম (৫৫) ঢাকা থেকে বরগুনায় আসছিলেন। তাঁরা অভিযান-১০ লঞ্চে উঠেছিলেন বলে আব্দুল আজিজ জানতে পারেন। এরপর খবর আসে লঞ্চে আগুন লেগেছে। ওই আগুনে আব্দুল আজিজের দুই নাতনি পুড়ে মারা যায়। তাদের মরদেহ পেয়ে দাফন করেন। কিন্তু তখন তাঁর মেয়ে নিখোঁজ ছিলেন এবং স্ত্রী হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এদিকে সিমুর স্বামী রবিউল দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে আছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমজ বোন লামিয়া-সামিয়ার কবরের পাশেই তাঁর মা সিমুর কবর প্রস্তুত হচ্ছে। প্রতিবেশীদের যাওয়া-আসা থাকলেও বাড়িতে নেই কান্নার কোনো শব্দ। এলাকার লোকজন জানান, যেহেতু মরদেহটি অর্ধগলিত, তাই ভোররাতেই দাফন সম্পন্ন করা হয়। দুই মেয়ে ও মাকে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়।
সাংবাদিকদের দেখে নিহতের বাবা আব্দুল আজিজ হু-হু করে কেঁদে উঠে বলেন, ‘মোর নাতির (নাতনি) লাশ লইয়া আইছেন কয়দিন আগে। আইজগো আইছেন মোর মাইয়ার লাশটা লইয়া। এহন মাইয়াডার মরা মুখটি খুলে দেন আমরা শেষবারের মতো দেখব।’
আব্দুল আজিজ আরও বলেন, ‘আম্মেরা কেম্মে বোঝবেন যে সন্তানের লাশ বাবা কাঁধে নিয়ে কবরস্থানে গিয়ে দাফন করা, এই কষ্টের ভার একজন বাবা কেম্মে মেনে নিবে। মেয়েডার লাশ সামনে রেখে কানতেও পারি না।’ এটুকু বলেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
মৃত সিমুর ভাই হান্নান বলেন, ‘প্রতিদিনই বোনের মরদেহের খোঁজখবর নিতে ঝালকাঠির সেই ঘটনাস্থলে যাই। গতকাল জানতে পারি দুইটা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এমন সংবাদ পেয়ে ছুটে যাই, গিয়ে দেখি আমার বোনের মরদেহটি পড়ে আছে মাটিতে। জেলা প্রশাসনের কাছে বোনের সব তথ্য দিয়ে আমার বোনের মরদেহ নিয়ে বাড়িতে আসি।’
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার হোসেন বলেন, নিহতদের পরিবারকে দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
দুই যমজ বোনের পরে এবার বাড়িতে এল মা সিমু আক্তারের মরদেহ। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর গতকাল সিমু আক্তারের মরদেহ সুগন্ধা নদীতে ভেসে ওঠে। দাফনও হবে পাশাপাশি কবরে। বাড়িতে প্রতিবেশীরা সিমুর কবর প্রস্তুত করলেও নেই কন্নার আওয়াজ। সিমুর বাবা আজিজ মেয়ের মরদেহের খাটিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। কিছুই বলার ভাষা নেই তাঁর মুখে।
এর আগে গতকাল বুধবার সকালে সুগন্ধা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। সিমুর ভাই হান্নান নিজেই গিয়ে তাঁর বোনের মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে আসেন।
জানা গেছে, বরগুনার তালতলী উপজেলার আগাপাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে সিমু, দুই নাতনি লামিয়া-সামিয়া ও স্ত্রী দুলু বেগম (৫৫) ঢাকা থেকে বরগুনায় আসছিলেন। তাঁরা অভিযান-১০ লঞ্চে উঠেছিলেন বলে আব্দুল আজিজ জানতে পারেন। এরপর খবর আসে লঞ্চে আগুন লেগেছে। ওই আগুনে আব্দুল আজিজের দুই নাতনি পুড়ে মারা যায়। তাদের মরদেহ পেয়ে দাফন করেন। কিন্তু তখন তাঁর মেয়ে নিখোঁজ ছিলেন এবং স্ত্রী হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এদিকে সিমুর স্বামী রবিউল দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে আছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমজ বোন লামিয়া-সামিয়ার কবরের পাশেই তাঁর মা সিমুর কবর প্রস্তুত হচ্ছে। প্রতিবেশীদের যাওয়া-আসা থাকলেও বাড়িতে নেই কান্নার কোনো শব্দ। এলাকার লোকজন জানান, যেহেতু মরদেহটি অর্ধগলিত, তাই ভোররাতেই দাফন সম্পন্ন করা হয়। দুই মেয়ে ও মাকে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়।
সাংবাদিকদের দেখে নিহতের বাবা আব্দুল আজিজ হু-হু করে কেঁদে উঠে বলেন, ‘মোর নাতির (নাতনি) লাশ লইয়া আইছেন কয়দিন আগে। আইজগো আইছেন মোর মাইয়ার লাশটা লইয়া। এহন মাইয়াডার মরা মুখটি খুলে দেন আমরা শেষবারের মতো দেখব।’
আব্দুল আজিজ আরও বলেন, ‘আম্মেরা কেম্মে বোঝবেন যে সন্তানের লাশ বাবা কাঁধে নিয়ে কবরস্থানে গিয়ে দাফন করা, এই কষ্টের ভার একজন বাবা কেম্মে মেনে নিবে। মেয়েডার লাশ সামনে রেখে কানতেও পারি না।’ এটুকু বলেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
মৃত সিমুর ভাই হান্নান বলেন, ‘প্রতিদিনই বোনের মরদেহের খোঁজখবর নিতে ঝালকাঠির সেই ঘটনাস্থলে যাই। গতকাল জানতে পারি দুইটা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এমন সংবাদ পেয়ে ছুটে যাই, গিয়ে দেখি আমার বোনের মরদেহটি পড়ে আছে মাটিতে। জেলা প্রশাসনের কাছে বোনের সব তথ্য দিয়ে আমার বোনের মরদেহ নিয়ে বাড়িতে আসি।’
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার হোসেন বলেন, নিহতদের পরিবারকে দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
২৮ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
৪৩ মিনিট আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেমব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁর (নূরুল হুদার) সঙ্গে যেটা হয়েছে, মানে গলায় এটা-সেটা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
১ ঘণ্টা আগে