Ajker Patrika

পটুয়াখালীতে একজনের মৃত্যু, ২ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্তসহ ভেসে গেছে পুকুরের মাছ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীতে একজনের মৃত্যু, ২ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্তসহ ভেসে গেছে পুকুরের মাছ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পটুয়াখালীতে একজন নিহত হয়েছেন এবং ২ শতাধিক কাচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও শতাধিক ঘের-পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর আমন এবং ৩০০ হেক্টর শাক-সবজির ক্ষতি হয়েছে। তবে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে পটুয়াখালী জেলায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ। 

নিহত ব্যক্তি হলেন—মো. নূরুল ইসলাম (৪০)। তিনি একজন ট্রলার শ্রমিক। পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরপুর গ্রামের রশিদ মোল্লার ছেলে। 

ট্রলার মালিক আব্দুল জলিল মোল্লা জানান, গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের প্রতাপপুর লঞ্চঘাটে নোঙর করা অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই ট্রলারের মালিক আব্দুল জলিল মোল্লা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও শ্রমিক নূরুল ইসলাম নিখোঁজ হন। পরে ১৩ ঘণ্টা পর আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা নূরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করেন। মো. নূরুল ইসলাম ও জলিল মোল্লা সোমবার বিকেলে পটুয়াখালীর একটি ইটভাটা থেকে ২৫ হাজার ইট নিয়ে মুরাদিয়া যাচ্ছিলেন। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব বেড়ে গেলে ইটভর্তি ট্রলারটি প্রতাপপুর লঞ্চঘাটে নোঙর করে রাখা হয়। পরে রাতে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ট্রলারটি ডুবে যায়। 

জেলা প্রশাসনের দেওয়া প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পটুয়াখালী জেলায় ২ শতাধিক কাচা ঘর-বাড়ি এবং শতাধিক ঘের ও পুকুরের মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। এ ছাড়া কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। 

এ ব্যাপারে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে এ জেলার ১৯ ইউনিয়নে ১৭৯টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। আর বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’ 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস. এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যতটা আশঙ্কা করেছিলাম, সে তুলনায় কিছুই হয়নি। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার ‘জো’র মতো জোয়ারের পানি হয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবে নিম্নাঞ্চল এবং বেড়িবাঁধের বাইরের ঘের ও পুকুর তলিয়ে কিছু মাছের ক্ষতি হতে পারে। সেটা বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি নয়।’ 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (চলতি দায়িত্বে) খাইরুল ইসলাম মল্লিক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে এ জেলায় কৃষিক্ষেত্রে ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর আমন এবং ৩০০ হেক্টর শাক-সবজির ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া কোনো কোনো জায়গায় কৃষকদের উপকারও হয়েছে। যেখানে এত দিন পানি ছিল না, সেখানকার কৃষকের খেতে পানির সুবিধা হয়েছে এ ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত