Ajker Patrika

পটুয়াখালীতে হরে কৃষ্ণ ভক্ত ও মতুয়াদের মধ্যে বিরোধে মন্দির ভাঙচুর

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
পটুয়াখালীতে হরে কৃষ্ণ ভক্ত ও মতুয়াদের মধ্যে বিরোধে মন্দির ভাঙচুর

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সনাতন ধর্মাবলম্বী দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রতিমা ভাঙচুর ও আহতের ঘটনা ঘটে। রণগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়াপুর গ্রামের হরে কৃষ্ণ ভক্ত ও হরিবল মতুয়া ভক্তদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় হরিবল মতুয়া ভক্তদের মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুপক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করেছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়াপুর গ্রামে হরে কৃষ্ণ ভক্তদের একটি মন্দির ছিল। উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এর পাশে হরিবল মতুয়া ধর্মাবলম্বী ভক্তরা একটি মন্দির স্থাপন করেন। বিষয়টি হরে কৃষ্ণ ভক্তরা মানতে পারেননি। এ ঘটনায় দীর্ঘ ছয় মাস ধরে হরে কৃষ্ণ ও হরিবল মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে মন্দিরের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলমান। এ ঘটনায় জেলা জজ আদালতে মামলা চলমান আছে। এই মন্দির নিয়ে বিরোধের জেরেই গতকাল দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

হরিবল মতুয়া সম্প্রদায়ের সভাপতি ভাস্কর চন্দ্র হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হরে কৃষ্ণ মন্দিরের পাশে হরিবল মতুয়া সম্প্রদায় একটি মন্দির স্থাপন করে। প্রাথমিকভাবে হরে কৃষ্ণ ভক্তরা মেনে নিলেও মাস ছয়েক ধরে তারা এই মন্দির উচ্ছেদের চেষ্টা করছে। আমরা মন্দির রক্ষায় জেলা জজ আদালতে মামলা করি। শনিবার সন্ধ্যায় হরিবল মতুয়া ভক্তরা প্রার্থনা চলাকালীন হরে কৃষ্ণ ভক্তেরা গোবিন্দের নেতৃত্বে আক্রমণ করে। এতে ছয়-সাতজন আহত করে এবং হরিবল মতুয়া মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে। আহতরা দশমিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।’

হরে কৃষ্ণ ভক্ত মন্দিরের সভাপতি শৈলেন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, ‘দুটি মন্দিরের জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। শনিবার সন্ধ্যায় হাতাহাতি হয়েছে। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের হয়রানি করার জন্য সাজানো নাটক তৈরি করছে হরিবল মতুয়া সম্প্রদায়। আমাদের একজনকে পিটিয়ে আহত করেছে। দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি আছে।’ 

মতুয়া সম্প্রদায়ের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হরিবল মতুয়া সম্প্রদায়ের দশমিনা উপজেলা সভাপতি বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রতিমা ভাঙচুরের সাহস হয় কী করে হয়? হরিবল মতুয়া সম্প্রদায় কি বাংলাদেশে থাকতে পারবে না? প্রতিমা ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা কঠোর হতে বাধ্য হব।’

দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত আছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত