খান রফিক, বরিশাল

২০১২ সাল থেকে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় এই নেতার নিয়ন্ত্রণেই ছিল এই অঞ্চলের আওয়ামী লীগ। তাঁর ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক।
সরকার পতনের পর স্থানীয়রা, এমনকি আওয়ামী লীগের বঞ্চিত নেতা-কর্মীরাই বলছেন, এই বাবা-ছেলের নিয়ন্ত্রণে ছিল এলাকার চাঁদাবাজি, দলের পদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন বাণিজ্য। আর দলে পরিবারতন্ত্র কায়েম করে আওয়ামী লীগকেই পঙ্গু বানিয়েছেন। তাঁরা আত্মগোপনে গিয়ে আরাম-আয়েশে থাকতে পারলেও তৃণমূলের কর্মীরা ঝুঁকিতে পড়েছেন।
মনোনয়ন ও পদ-বাণিজ্য
বরিশাল অঞ্চলে আ.লীগের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর হাতেই ছিল দলীয় পদ এবং মনোনয়নের চাবিকাঠি। তিনি জেলার সব ইউপি চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে একচেটিয়া বাণিজ্য করতেন বলে অভিযোগ দলের নেতা-কর্মীদের। মনোনয়নপ্রতি নেওয়া হতো ১০ থেকে ৫০ লাখ টাকা।
তা ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সহযোগী সংগঠনের পদ পেতেও হাসানাতকে উৎকোচ দিতে হতো বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক নেতা। তাঁদের মতে, হাসানাতের বড় সহযোগী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস তালুকদার, বানারীপাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক এবং গৌরনদী পৌরসভার সাবেক মেয়র হারিছুর রহমান হারিছ।
নেতারা জানান, কেউ হাসানাতের বিরুদ্ধাচরণ করলেই বহিষ্কার করা হতো। উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদ-বাণিজ্যও চলত একই পন্থায়।
২০২১ সালের নির্বাচনে বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হন নুরে আলম ব্যাপারী। বর্তমানে তিনি পলাতক। নির্বাচনে তাঁর প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মাসুম মৃধা। তিনি বলেন, ‘দলের কাছে দুবার মনোনয়ন চাইলেও পাননি। অথচ অলৌকিক যোগ্যতার কারণে নুরে আলম ব্যাপারী মনোনয়ন পান। আসলে শতভাগ সত্য যে এখানে মনোনয়ন বাণিজ্য হয়েছে। এটাই বাস্তবতা। এটা যদি না হতো, তাহলে চাঁদপাশার বিএনপি-সমর্থিত দেলোয়ার রাঢ়ীও মনোনয়ন পেতেন না।’
ছাত্রলীগের একসময়ের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন ভুলু বলেন, ‘ছয় দফা আন্দোলনে জেল খেটেছি, ১৯৭৫ সালে বরিশালে মিছিল করেছি। আশির দশকে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলাম। কিন্তু দুঃখ হলো হাসানাত সাহেব ৩৮ বছর ধরে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যেও আমাকে থাকতে দেননি।’
আলতাফ হোসেন ভুলু বলেন, ‘কৃষক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি থাকাকালীন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন পেলেও আমার মনোনয়ন কেড়ে নিয়ে জাতীয় পার্টির মইদুলকে দেন হাসানাত।’
এ বিষয়ে জানতে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে ফোনে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস তালুকদারের ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনসুর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বরিশালে কর্মীরা দুরবস্থায় আছেন। এখন তাঁদের অপেক্ষায় থাকতে হবে। তবে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘পদ-বাণিজ্য এবং মনোনয়ন-বাণিজ্য হয়েছে—এমন কী প্রমাণ আছে? সভাপতি-সম্পাদকের অনুমতি ছাড়া এসব বিষয় মন্তব্য করব না।’
সাদিকের চাঁদাবাজি
বরিশাল নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ছয়জন ‘খলিফা’ দিয়ে গোটা নগরী পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নগরের সব হাটবাজার, লঞ্চঘাট, খেয়াঘাট নিয়ন্ত্রণ করতেন সাদিকের অন্যতম খলিফা নগর আওয়ামী লীগের শিল্পবিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল। তিনি ক্যাশিয়ার হিসেবে সাদিকের চাঁদাবাজির টাকা তুলতেন। টুটুল বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়।
এ ছাড়া শ্রমিক লীগ নেতা রঈজ আহমেদ মান্না বাস টার্মিনালে চাঁদাবাজি, ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত সিটি করপোরেশনের প্ল্যান পাস করানোর বিনিময়ে ঘুষ, কাউন্সিলর শেখ সাঈদ আহমেদ মান্না ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে দলের কর্মীরাই বলছেন। সাদিকের এই খলিফারা এখন ভারতে পালিয়ে আছেন বলে জানা যায়।
নগরের নথুল্লাবাদের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শ্রমিক লীগ নেতা রঈজ আহমেদ মান্না সেখানকার “বাঙলা হোটেল” দখল করে বাণিজ্য করেছেন। বাস টার্মিনাল থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করতেন। চাঁদা না দিলে কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হতো।’
ব্যক্তিস্বার্থে দলকে ব্যবহার
২০০২ সালে বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন মঈন তুষার। এরপর আর দলে ঠাঁই হয়নি। তিনি বলেন, দুই যুগ ধরে যুবলীগের নেতৃত্ব নেই। স্বেচ্ছাসেবক লীগও দুই যুগ ধরে অচল। মহানগর আওয়ামী লীগ একতরফা গঠিত হয়েছে। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক নিজস্ব বলয় দিয়ে একতরফা দল চালাতেন। এই বরিশালে নেতারা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাননি, ব্যক্তিকে শক্তিশালী করে টাকা কামিয়েছেন।’
বরিশাল শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক হারুন বলেন, এখানে ব্যক্তি রাজনীতি হয়েছে। এটাকে শো করে ব্যবসা করেছে হাসানাত পরিবার।
এ ব্যাপারে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নেতারা দল করেনি, ক্যাডার দিয়ে লুটপাট করছে। আসলে বেসরকারি নাইট কলেজের নেতা দিয়ে কি দল চালানো যায়?’
আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তিন বছর হয়েছে ওয়ার্কিং কমিটির সভা হয়নি। কমিটিতে পদ পেয়ে কয়েকজন লুটপাট করছে। ভারতে আরামে থেকে মাঝে মাঝে ছবিও দেয় ফেসবুকে। অথচ এই নেতাদের জন্যই কর্মীরা আজ নির্যাতিত হচ্ছে।’

২০১২ সাল থেকে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় এই নেতার নিয়ন্ত্রণেই ছিল এই অঞ্চলের আওয়ামী লীগ। তাঁর ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক।
সরকার পতনের পর স্থানীয়রা, এমনকি আওয়ামী লীগের বঞ্চিত নেতা-কর্মীরাই বলছেন, এই বাবা-ছেলের নিয়ন্ত্রণে ছিল এলাকার চাঁদাবাজি, দলের পদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন বাণিজ্য। আর দলে পরিবারতন্ত্র কায়েম করে আওয়ামী লীগকেই পঙ্গু বানিয়েছেন। তাঁরা আত্মগোপনে গিয়ে আরাম-আয়েশে থাকতে পারলেও তৃণমূলের কর্মীরা ঝুঁকিতে পড়েছেন।
মনোনয়ন ও পদ-বাণিজ্য
বরিশাল অঞ্চলে আ.লীগের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর হাতেই ছিল দলীয় পদ এবং মনোনয়নের চাবিকাঠি। তিনি জেলার সব ইউপি চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে একচেটিয়া বাণিজ্য করতেন বলে অভিযোগ দলের নেতা-কর্মীদের। মনোনয়নপ্রতি নেওয়া হতো ১০ থেকে ৫০ লাখ টাকা।
তা ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সহযোগী সংগঠনের পদ পেতেও হাসানাতকে উৎকোচ দিতে হতো বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক নেতা। তাঁদের মতে, হাসানাতের বড় সহযোগী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস তালুকদার, বানারীপাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক এবং গৌরনদী পৌরসভার সাবেক মেয়র হারিছুর রহমান হারিছ।
নেতারা জানান, কেউ হাসানাতের বিরুদ্ধাচরণ করলেই বহিষ্কার করা হতো। উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদ-বাণিজ্যও চলত একই পন্থায়।
২০২১ সালের নির্বাচনে বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হন নুরে আলম ব্যাপারী। বর্তমানে তিনি পলাতক। নির্বাচনে তাঁর প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মাসুম মৃধা। তিনি বলেন, ‘দলের কাছে দুবার মনোনয়ন চাইলেও পাননি। অথচ অলৌকিক যোগ্যতার কারণে নুরে আলম ব্যাপারী মনোনয়ন পান। আসলে শতভাগ সত্য যে এখানে মনোনয়ন বাণিজ্য হয়েছে। এটাই বাস্তবতা। এটা যদি না হতো, তাহলে চাঁদপাশার বিএনপি-সমর্থিত দেলোয়ার রাঢ়ীও মনোনয়ন পেতেন না।’
ছাত্রলীগের একসময়ের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন ভুলু বলেন, ‘ছয় দফা আন্দোলনে জেল খেটেছি, ১৯৭৫ সালে বরিশালে মিছিল করেছি। আশির দশকে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলাম। কিন্তু দুঃখ হলো হাসানাত সাহেব ৩৮ বছর ধরে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যেও আমাকে থাকতে দেননি।’
আলতাফ হোসেন ভুলু বলেন, ‘কৃষক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি থাকাকালীন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন পেলেও আমার মনোনয়ন কেড়ে নিয়ে জাতীয় পার্টির মইদুলকে দেন হাসানাত।’
এ বিষয়ে জানতে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে ফোনে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস তালুকদারের ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনসুর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বরিশালে কর্মীরা দুরবস্থায় আছেন। এখন তাঁদের অপেক্ষায় থাকতে হবে। তবে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘পদ-বাণিজ্য এবং মনোনয়ন-বাণিজ্য হয়েছে—এমন কী প্রমাণ আছে? সভাপতি-সম্পাদকের অনুমতি ছাড়া এসব বিষয় মন্তব্য করব না।’
সাদিকের চাঁদাবাজি
বরিশাল নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ছয়জন ‘খলিফা’ দিয়ে গোটা নগরী পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নগরের সব হাটবাজার, লঞ্চঘাট, খেয়াঘাট নিয়ন্ত্রণ করতেন সাদিকের অন্যতম খলিফা নগর আওয়ামী লীগের শিল্পবিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল। তিনি ক্যাশিয়ার হিসেবে সাদিকের চাঁদাবাজির টাকা তুলতেন। টুটুল বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়।
এ ছাড়া শ্রমিক লীগ নেতা রঈজ আহমেদ মান্না বাস টার্মিনালে চাঁদাবাজি, ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত সিটি করপোরেশনের প্ল্যান পাস করানোর বিনিময়ে ঘুষ, কাউন্সিলর শেখ সাঈদ আহমেদ মান্না ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে দলের কর্মীরাই বলছেন। সাদিকের এই খলিফারা এখন ভারতে পালিয়ে আছেন বলে জানা যায়।
নগরের নথুল্লাবাদের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শ্রমিক লীগ নেতা রঈজ আহমেদ মান্না সেখানকার “বাঙলা হোটেল” দখল করে বাণিজ্য করেছেন। বাস টার্মিনাল থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করতেন। চাঁদা না দিলে কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হতো।’
ব্যক্তিস্বার্থে দলকে ব্যবহার
২০০২ সালে বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন মঈন তুষার। এরপর আর দলে ঠাঁই হয়নি। তিনি বলেন, দুই যুগ ধরে যুবলীগের নেতৃত্ব নেই। স্বেচ্ছাসেবক লীগও দুই যুগ ধরে অচল। মহানগর আওয়ামী লীগ একতরফা গঠিত হয়েছে। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক নিজস্ব বলয় দিয়ে একতরফা দল চালাতেন। এই বরিশালে নেতারা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাননি, ব্যক্তিকে শক্তিশালী করে টাকা কামিয়েছেন।’
বরিশাল শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক হারুন বলেন, এখানে ব্যক্তি রাজনীতি হয়েছে। এটাকে শো করে ব্যবসা করেছে হাসানাত পরিবার।
এ ব্যাপারে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নেতারা দল করেনি, ক্যাডার দিয়ে লুটপাট করছে। আসলে বেসরকারি নাইট কলেজের নেতা দিয়ে কি দল চালানো যায়?’
আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তিন বছর হয়েছে ওয়ার্কিং কমিটির সভা হয়নি। কমিটিতে পদ পেয়ে কয়েকজন লুটপাট করছে। ভারতে আরামে থেকে মাঝে মাঝে ছবিও দেয় ফেসবুকে। অথচ এই নেতাদের জন্যই কর্মীরা আজ নির্যাতিত হচ্ছে।’

পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
২ মিনিট আগে
বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।
২৪ মিনিট আগে
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
৩৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি প্রতিযোগীদের হাতে ইয়েস কার্ড, ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন। এ সময় মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘পিএইচপির আয়োজনে ‘‘পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’’ প্রতিযোগিতা। বিশ্বজুড়ে কোরআনের আলো ছড়াতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রমজান মাস ধরে আমাদের আয়োজকেরা হাফেজে কোরআনদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গত ১৭ বছর ধরে চলে আসা এই অনুষ্ঠান দেশে ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’
কোরআনের আলো অনুষ্ঠানকে চলমান রাখার ঘোষণা দিয়ে মোহাম্মদ মহসিন বলেন, পিএইচপি কেয়ামত পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে থাকবে। তিনি বলেন, যারা কুফরি করে এবং মানুষকে সত্যের পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে, আল্লাহ তাদের দুনিয়ায় শাস্তি দেবেন এবং আখিরাতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন—এটিই হচ্ছে মহান আল্লাহর ঘোষণা। প্রত্যেকের জীবনকে পবিত্র কোরআনের আলোয় জীবন গঠন করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির অনুষ্ঠান পরিচালক সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘সারা দেশের হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাই করে টিভি অনুষ্ঠানের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। সেখান থেকে মাত্র চারজনকে বাছাই করা অনেক কঠিন কাজ। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা পৌঁছাই।’ অডিশনে উপস্থিত ছিলেন কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মুফতি মোহম্মদ মহিউদ্দিন, অর্থ সচিব হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়া, ক্বারী মাওলানা জহিরুল ইসলাম, হাফেজ আবদুল্লাহ আল জায়েদ, পিএইচপি পরিবারের মিডিয়া অ্যাডভাইজার দিলশাদ আহমেদসহ পিএইচপি পরিবার ও আয়োজকেরা।

পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি প্রতিযোগীদের হাতে ইয়েস কার্ড, ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন। এ সময় মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘পিএইচপির আয়োজনে ‘‘পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’’ প্রতিযোগিতা। বিশ্বজুড়ে কোরআনের আলো ছড়াতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রমজান মাস ধরে আমাদের আয়োজকেরা হাফেজে কোরআনদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গত ১৭ বছর ধরে চলে আসা এই অনুষ্ঠান দেশে ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’
কোরআনের আলো অনুষ্ঠানকে চলমান রাখার ঘোষণা দিয়ে মোহাম্মদ মহসিন বলেন, পিএইচপি কেয়ামত পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে থাকবে। তিনি বলেন, যারা কুফরি করে এবং মানুষকে সত্যের পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে, আল্লাহ তাদের দুনিয়ায় শাস্তি দেবেন এবং আখিরাতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন—এটিই হচ্ছে মহান আল্লাহর ঘোষণা। প্রত্যেকের জীবনকে পবিত্র কোরআনের আলোয় জীবন গঠন করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির অনুষ্ঠান পরিচালক সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘সারা দেশের হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাই করে টিভি অনুষ্ঠানের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। সেখান থেকে মাত্র চারজনকে বাছাই করা অনেক কঠিন কাজ। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা পৌঁছাই।’ অডিশনে উপস্থিত ছিলেন কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মুফতি মোহম্মদ মহিউদ্দিন, অর্থ সচিব হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়া, ক্বারী মাওলানা জহিরুল ইসলাম, হাফেজ আবদুল্লাহ আল জায়েদ, পিএইচপি পরিবারের মিডিয়া অ্যাডভাইজার দিলশাদ আহমেদসহ পিএইচপি পরিবার ও আয়োজকেরা।

২০১২ সাল থেকে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় এই নেতার নিয়ন্ত্রণেই ছিল এই অঞ্চলের আওয়ামী লীগ। তাঁর ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।
২৪ মিনিট আগে
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
৩৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর প্রতিনিধি

বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।
লাভলু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধের কারণে এক্সপ্রেসওয়ের উভয় পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থকেরা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর অংশে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় পর সড়ক অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।
লাভলু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধের কারণে এক্সপ্রেসওয়ের উভয় পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থকেরা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর অংশে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় পর সড়ক অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

২০১২ সাল থেকে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় এই নেতার নিয়ন্ত্রণেই ছিল এই অঞ্চলের আওয়ামী লীগ। তাঁর ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
২ মিনিট আগে
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
৩৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লা থেকে হাজারো নেতা-কর্মী কান্দিরপাড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা দলীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান এবং প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন।
ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার রাত পৌনে ১২টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হাজী ইয়াছিনের সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলছি। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বলে তাঁদের মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছি।’

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লা থেকে হাজারো নেতা-কর্মী কান্দিরপাড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা দলীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান এবং প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন।
ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার রাত পৌনে ১২টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হাজী ইয়াছিনের সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলছি। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বলে তাঁদের মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছি।’

২০১২ সাল থেকে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় এই নেতার নিয়ন্ত্রণেই ছিল এই অঞ্চলের আওয়ামী লীগ। তাঁর ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
২ মিনিট আগে
বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।
২৪ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নেন সোহরাব সমর্থকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও প্রতিবাদ মিছিল করেন।
এ ছাড়াও সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষ্মীপুর এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন।
এ সময় তাঁরা বলেন, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে আবার মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
এর আগে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।
এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।
জানতে চাইলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সদ্য সদর আসনের মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নেন সোহরাব সমর্থকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও প্রতিবাদ মিছিল করেন।
এ ছাড়াও সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষ্মীপুর এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন।
এ সময় তাঁরা বলেন, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে আবার মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
এর আগে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।
এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।
জানতে চাইলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সদ্য সদর আসনের মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

২০১২ সাল থেকে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় এই নেতার নিয়ন্ত্রণেই ছিল এই অঞ্চলের আওয়ামী লীগ। তাঁর ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
২ মিনিট আগে
বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।
২৪ মিনিট আগে
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
৩৫ মিনিট আগে