Ajker Patrika

ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ, ওসি–এসআইয়ের ভিন্ন বক্তব্য 

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ, ওসি–এসআইয়ের ভিন্ন বক্তব্য 

পিরোজপুরের নেছারাবাদে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ ডিসেম্বর উপজেলার একটি গ্রামে রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ২৮ ডিসেম্বর তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় অভিযোগের বিষয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। 

অভিযুক্ত তিনজন হলেন মো. আনোয়ার, রাকিব ও ইউনুছ। 

অভিযোগকারী গৃহবধূ বলেন, ‘আমি অভিযোগ দিয়ে বিপদে পড়েছি। ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না। কেন ওদের নাম বললাম। ওরা যে কোনো সময় আমাকে মেরে ফেলবে। আমার সঙ্গে ওরা খারাপ কাজ করে উল্টো আমাকে চরিত্রহীন বলছে।’ 

গৃহবধূ আরও বলেন, ‘আমার স্বামী বাক্প্রতিবন্ধী। কথা বলতে পারেন না। সংসারে দুটি সন্তান আছে। তারাই কাজকর্ম করে সংসার চালায়। গত ২৫ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে আমি রাকিব নামের একটি ছেলের কাছে কিছু পাওনা টাকা চাইতে গিয়েছিলাম। এ সময় আনোয়ার হোসেন, ইউনুছ এসে রাকিবকে জড়িয়ে আমাকে খারাপ অপবাদ দেন। একপর্যায়ে বাড়িতে আটকে রেখে মুখ বেঁধে রাকিব ও আনোয়ার আমাকে ধর্ষণ করেন। আর ইউনুছ এ কাজে তাঁদের দুজনকে সাহায্য করেন। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার না পেয়ে তিন দিন পর থানায় অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ এসে সব দেখে গেছে। তবে এখনো কোনো বিচার পাইনি।’ 

গৃহবধূ আরও বলেন, ঘটনার পর তিনি থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলে তাঁর ননদ জামাই মো. রুবেল তাঁকে থানায় যেতে দেননি। এলাকার মেম্বার–চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তাঁকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে অপেক্ষায় রেখেছিলেন। এ জন্য তিন দিন অপেক্ষা করেছেন। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নুরুল আমীন বলেন, ‘ওই নারী আমার কাছে বিচারের জন্য আসছিল। সে বলেছে, রাকিব নামের একটা ছেলের কাছে পাঁচশত টাকা পাইত। রাকিব তাকে ফোন করে আসতে বলে। পথিমধ্যে আনোয়ার, রাকিব এবং ইউনুস তিনজনে তাকে ধর্ষণ করেছে। আমি তাকে থানায় যেতে বলেছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘অভিযুক্তরা মিটমাটের জন্য আমার কাছে আসছিল। আমি বলছি বাদী যদি রাজি থাকে পুলিশকে জানিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করব। তবে একা একা এ বিষয়ে হাত দিব না।’ 

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে আনোয়ারের মা বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা। আমার ছেলে নির্দোষ।’ 

নেছারাবাদ থানার উপপরিদর্শক মো. মনির হোসেন বলেন, ‘আনোয়ার, রাকিব, ইউনুছ নামের তিনজনের বিরুদ্ধে ওই গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগ দিয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে বিষয়টি টাকাপয়সা লেনদেনজনিত সমস্যা। বিশেষ আর কিছু নয়। এটা (লেনদেন) নিয়েই ঝামেলা হয়েছিল।’ 

তবে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছিলাম। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ফ্লাইট থেকে সরানো হলো দুই কেবিন ক্রু

প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি: মাহমুদুর রহমান

১৯৪৭ থেকে ২০২৫: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ও ফলাফল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত